hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সুনানে আবু দাউদ

. নফল সালাত

سنن أبي داود

/ পরিচ্ছেদঃ নাফ্‌ল ও সুন্নাত সালাতের রাক’আত সংখ্য

১২৫২

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي قَبْلَ الظُّهْرِ رَكْعَتَيْنِ وَبَعْدَهَا رَكْعَتَيْنِ - وَبَعْدَ الْمَغْرِبِ رَكْعَتَيْنِ - فِي بَيْتِهِ وَبَعْدَ صَلاَةِ الْعِشَاءِ رَكْعَتَيْنِ وَكَانَ لاَ يُصَلِّي بَعْدَ الْجُمُعَةِ حَتَّى يَنْصَرِفَ فَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুহরের (ফারয সলাতের) পুর্বে দু’ রাক’আত ও পরে দু’ রাক’আত, মাগরিবের পরে দু’ রাক’আত সলাত তাঁর ঘরে আদায় করতেন। তিনি ‘ইশার পরে দু’ রাক’আত সলাত আদায় করতেন। আর জুমু’আহর (ফারয সলাতের) পরে ঘরে এসে দু’ রাক’আত আদায় করতেন।

সহীহঃ বুখারী, মুসলিমে কেবল জুমুআহর পরে দু’ রাক’আত ।

১২৫০

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، حَدَّثَنِي النُّعْمَانُ بْنُ سَالِمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَوْسٍ، عَنْ عَنْبَسَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ، قَالَتْ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنْ صَلَّى فِي يَوْمٍ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً تَطَوُّعًا بُنِيَ لَهُ بِهِنَّ بَيْتٌ فِي الْجَنَّةِ ‏"‏ ‏.‏

উম্মু হাবীবা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দৈনিক বারো রাক’আত নাফ্‌ল সলাত আদায় করবে এর বিনিময়ে তার জন্য জান্নাতে একখানা ঘর নির্মান করা হবে।

১২৫৩

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْتَشِرِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ لاَ يَدَعُ أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ وَرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ صَلاَةِ الْغَدَاةِ ‏.

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুহরের পূর্বে চার রাক’আত ও ফজরের পূর্বে দু রাক’আত সলাত কখনও ত্যাগ করতেন না।

সহীহঃ বুখারী।

১২৫১

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، - الْمَعْنَى - عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ التَّطَوُّعِ فَقَالَتْ كَانَ يُصَلِّي قَبْلَ الظُّهْرِ أَرْبَعًا فِي بَيْتِي ثُمَّ يَخْرُجُ فَيُصَلِّي بِالنَّاسِ ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى بَيْتِي فَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَكَانَ يُصَلِّي بِالنَّاسِ الْمَغْرِبَ ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى بَيْتِي فَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَكَانَ يُصَلِّي بِهِمُ الْعِشَاءَ ثُمَّ يَدْخُلُ بَيْتِي فَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَكَانَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ تِسْعَ رَكَعَاتٍ فِيهِنَّ الْوِتْرُ وَكَانَ يُصَلِّي لَيْلاً طَوِيلاً قَائِمًا وَلَيْلاً طَوِيلاً جَالِسًا فَإِذَا قَرَأَ وَهُوَ قَائِمٌ رَكَعَ وَسَجَدَ وَهُوَ قَائِمٌ وَإِذَا قَرَأَ وَهُوَ قَاعِدٌ رَكَعَ وَسَجَدَ وَهُوَ قَاعِدٌ وَكَانَ إِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ يَخْرُجُ فَيُصَلِّي بِالنَّاسِ صَلاَةَ الْفَجْرِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনে শাক্বীক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন আমি ‘আয়িশাহ (রাঃ) কে রসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাফ্‌ল সলাত সর্ম্পকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, তিনি আমার ঘরে যুহরের (ফরয সলাতের) পুর্বে চার রাক’আত সলাত আদায় করেন। অতঃপর বাইরে গিয়ে লোকদেরকে নিয়ে ফরয সলাত আদায় করতেন। পুনরায় আমার ঘরে ফিরে এসে দু’ রাক’আত সলাত আদায় করেন। তিনি লোকদেরকে নিয়ে ইশার সলাত আদায় করার পর আমার ঘরে এসে দু’ রাক’আত সলাত আদায় করেন। তিনি লোকদের নিয়ে ‘ইশার সলাত আদায়ের পর আমার ঘরে এসে দু’ রাক’আত সলাত আদায় করতেন। এছাড়া তিনি রাতে বিতরসহ নয় রাক’আত সলাত আদায় করতেন। তিনি রাতে দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে এবং দীর্ঘক্ষন বসে সলাত আদায় করতেন। যখন তিনি দাঁড়িয়ে ক্বিরাআত পড়তেন ঐ অবস্থায়ই রু’কু ও সাজদাহ্‌ করতেন আর বসাবস্থায় ক্বিরাআত পড়লে বসাবস্থায় থেকেই রু’কু ও সাজদাহ্‌ করতেন। যখন ফাজ্‌র উদয় হতো তিনি দু’ রাক’আত সলাত আদায় করতেন। অতঃপর বের হয়ে লোকদেরকে নিয়ে ফাজ্‌রের সলাত আদায় করতেন।

সহীহঃ মুসলিম।
/ পরিচ্ছেদঃ ফাজরের দু’ রাক’আত (সুন্নাত )

১২৫৪

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي عَطَاءٌ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - قَالَتْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَكُنْ عَلَى شَىْءٍ مِنَ النَّوَافِلِ أَشَدَّ مُعَاهَدَةً مِنْهُ عَلَى الرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ الصُّبْحِ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাজরের পূর্বে দু রাক’আত সলাতের চেয়ে অধিক দৃঢ় প্রত্যয় অন্য কোন নাফ্‌ল সলাতে রাখেননি।

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
/ পরিচ্ছেদঃ ফাজ্‌রের দু’ রাক’আত সুন্নাত সংক্ষেপ করা

১২৫৫

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي شُعَيْبٍ الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُخَفِّفُ الرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ صَلاَةِ الْفَجْرِ حَتَّى إِنِّي لأَقُولُ هَلْ قَرَأَ فِيهِمَا بِأُمِّ الْقُرْآنِ

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাজরের পুর্বে দু’ রাক’আত সলাত এতো সংক্ষেপে আদায় করতেন যে , আমি (মনে মনে ) বলতাম, তিনি কি এ দু’ রাক’আতে সূরাহ ফাতিহা পাঠ করেছেন?

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

১২৫৬

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ كَيْسَانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَرَأَ فِي رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ ‏{‏ قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ ‏}‏ وَ ‏{‏ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ‏}‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাজরের দু’ রাক’আত (সুন্নাতে) ‘ক্বুল ইয়া- আয়্যুহাল কা-ফিরু-ন’ এবং ‘ক্বুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ’ সূরাদ্বয় তিলাওয়াত করতেন।

সহীহঃ মুসলিম।

১২৫৮

দুর্বল হাদিস
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ إِسْحَاقَ الْمَدَنِيَّ - عَنِ ابْنِ زَيْدٍ، عَنِ ابْنِ سِيْلاَنَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ تَدَعُوهُمَا وَإِنْ طَرَدَتْكُمُ الْخَيْلُ ‏"‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা ফাজরের দু’রাক’আত কখনো ত্যাগ করো না, যদিও তোমাদেরকে ঘোড়া পদদলিত করলেও। [১২৬১]
[১২৬১] আহমাদ (হাঃ ৯২৪২) খালিদ হতে। এর সানাদ দুর্বল। সানাদে আবদুর রহমান ইবনু ইসহাক্ব জমরুর ইমামগণের নিকট দুর্বল।

১২৫৯

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ حَكِيمٍ، أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ يَسَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ كَثِيرًا، مِمَّا كَانَ يَقْرَأُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ بِـ ‏{‏ آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْنَا ‏}‏ هَذِهِ الآيَةَ قَالَ هَذِهِ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى وَفِي الرَّكْعَةِ الآخِرَةِ بِـ ‏{‏ آمَنَّا بِاللَّهِ وَاشْهَدْ بِأَنَّا مُسْلِمُونَ ‏}‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অধিকাংশ সময় ফাজরের দু’ রাক’আতে “আমান্না বিল্লাহি ওয়ামা উনজিলা ইলাইনা” (সূরাহ আল-বাকারাহঃ ১৩৬) এ আয়াতটি তিলাওয়াত করতেন। তিনি বলেন, তবে এ আয়াতটি প্রথম রাক’আতে পাঠ করতেন। আর দ্বিতীয় রাক’আতে পাঠ করতেনঃ “আমান্না বিল্লাহি ওয়াশহাদ বিআন্না মুসলিমূন” (সূরাহ আলে-ইমরানঃ ৫২)।

সহীহঃ মুসলিমে এ কথা বাদেঃ অধিকাংশ সময়।

১২৫৭

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنِي أَبُو زِيَادَةَ، عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ الْكِنْدِيُّ عَنْ بِلاَلٍ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّهُ، أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِيُؤْذِنَهُ بِصَلاَةِ الْغَدَاةِ فَشَغَلَتْ عَائِشَةُ - رضى الله عنها - بِلاَلاً بِأَمْرٍ سَأَلَتْهُ عَنْهُ حَتَّى فَضَحَهُ الصُّبْحُ فَأَصْبَحَ جِدًّا قَالَ فَقَامَ بِلاَلٌ فَآذَنَهُ بِالصَّلاَةِ وَتَابَعَ أَذَانَهُ فَلَمْ يَخْرُجْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا خَرَجَ صَلَّى بِالنَّاسِ وَأَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ شَغَلَتْهُ بِأَمْرٍ سَأَلَتْهُ عَنْهُ حَتَّى أَصْبَحَ جِدًّا وَأَنَّهُ أَبْطَأَ عَلَيْهِ بِالْخُرُوجِ فَقَالَ ‏"‏ إِنِّي كُنْتُ رَكَعْتُ رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّكَ أَصْبَحْتَ جِدًّا ‏.‏ قَالَ ‏"‏ لَوْ أَصْبَحْتُ أَكْثَرَ مِمَّا أَصْبَحْتُ لَرَكَعْتُهُمَا وَأَحْسَنْتُهُمَا وَأَجْمَلْتُهُمَا ‏"‏ ‏.‏

বিলাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ফাজ্‌রের সলাতের সংবাদ দিতে আসলে ‘আয়িশাহ (রাঃ) বিলালকে কোন বিষয়ে প্রশ্ন করে তাকে তাতেই ব্যস্ত রাখলেন, এমতাবস্থায় আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেলো। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর বিলাল (রাঃ) এসে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বারবার সংবাদ দেয়া স্বত্বেও তিনি বাইরে আসলেন না। অতঃপর কিছুক্ষণ পর বাইরে এসে লোকদেরকে নিয়ে সলাত আদায় করলেন। তিনি তাঁকে জানালেন যে, আয়িশাহ (রাঃ) তাকে কোন এক কাজে ব্যস্ত রেখেছিলেন এবং তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ও বাইরে আসতে যথেষ্ট দেরী করেছেন, এমতাবস্থায় আকাশ পরিষ্কার হয়ে যায়। অতঃপর (বিলম্ব হওয়ার কারণ সম্পর্কে) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি ফাজরের দু’ রাক’আত (সুন্নাত) সলাত আদায় করেছি। বিলাল বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনিও আজ খুব ভোর করে ফেলেছেন। তিনি বললেনঃ আমি এর চেয়ে অধিক ভোর করলেও ঐ দু’রাক’আত আদায় করবো এবং তা উত্তম সুন্দরভাবে আদায় করবো।

১২৬০

হাসান হাদিস
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ بْنِ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عُمَرَ، - يَعْنِي ابْنَ مُوسَى - عَنْ أَبِي الْغَيْثِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ ‏{‏ قُلْ آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنْزِلَ عَلَيْنَا ‏}‏ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى وَفِي الرَّكْعَةِ الأُخْرَى بِهَذِهِ الآيَةِ ‏{‏ رَبَّنَا آمَنَّا بِمَا أَنْزَلْتَ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ ‏}‏ أَوْ ‏{‏ إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ بِالْحَقِّ بَشِيرًا وَنَذِيرًا وَلاَ تُسْأَلُ عَنْ أَصْحَابِ الْجَحِيمِ ‏}‏ شَكَّ الدَّرَاوَرْدِيُّ ‏.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ফাজ্‌রের দু’ রাক’আতের প্রথম রাক’আতে “কুল আমান্না বিল্লাহি ওয়ামা উনযিলা ‘আলাইনা” (সূরাহ আলে ইমরানঃ ৮৪) তিলাওয়াত করতে শুনেছেন। আর দ্বিতীয় রাক’আতে তিলাওয়াত করতে শুনেছেন এ আয়াতঃ “রব্বানা আমান্না বিমা আনযালতা ওয়াত্তাবা’নার রসূলা ফাক্তুবনা মা’আশ শাহিদীন” (সূরাহ আলে-ইমরানঃ ৫৩) অথবা “ইন্না আরসালনাকা বিলহাক্কি বাশীরাও ওয়া নাযীরা, ওয়ালা তুসআলু আন আসহাবিল জাতীম” (সূরাহ আল-বাকারাহঃ ১১৯)।

হাসানঃ বায়হাক্বী এটি বর্ণনা করেছেন তার এ কথাটি বাদেঃ অথবা “ইন্না আরসালনাকা বিলহাক্কি বাশীরাও ওয়া নাযীরা, ওয়ালা তুসআলু আন আসহাবিল জাতীম” (সূরাহ আল-বাকারাহঃ ১১৯)
/ পরিচ্ছেদঃ ফাজরের সুন্নাতের পর বিশ্রাম গ্রহণ

১২৬২

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ سَالِمٍ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَضَى صَلاَتَهُ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ نَظَرَ فَإِنْ كُنْتُ مُسْتَيْقِظَةً حَدَّثَنِي وَإِنْ كُنْتُ نَائِمَةً أَيْقَظَنِي وَصَلَّى الرَّكْعَتَيْنِ ثُمَّ اضْطَجَعَ حَتَّى يَأْتِيَهُ الْمُؤَذِّنُ فَيُؤْذِنَهُ بِصَلاَةِ الصُّبْحِ فَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ ثُمَّ يَخْرُجُ إِلَى الصَّلاَةِ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর শেষ রাতের সলাত শেষ করার পর আমাকে জাগ্রত দেখলে আমার সাথে কথাবার্তা বলতেন। যদি আমি ঘুমিয়ে থাকতাম তাহলে তিনি আমাকে জাগিয়ে দিয়ে দু’ রাক’আত আদায় করতেন। অতঃপর মুয়ায্‌যিন আসা পর্যন্ত ডান কাতে শুয়ে থাকতেন। মুয়াযযিন এসে ফাজ্‌রের সলাতের সংবাদ দিলে তিনি সংক্ষেপে দু’ রাক’আত আদায় করে সলাতের জন্য বের হতেন।

সহীহঃ কিন্তু হাদিসের ‘মুয়াযযিন আসার পর্যন্ত ডান কাতে শুয়ে থাকা’ কথাটি শায। মাহফূয হচ্ছেঃ তার পরে।

১২৬৪

দুর্বল হাদিস
حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ الْعَنْبَرِيُّ، وَزِيَادُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ، عَنْ أَبِي مَكِينٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْفَضْلِ، - رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ - عَنْ مُسْلِمِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ خَرَجْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لِصَلاَةِ الصُّبْحِ فَكَانَ لاَ يَمُرُّ بِرَجُلٍ إِلاَّ نَادَاهُ بِالصَّلاَةِ أَوْ حَرَّكَهُ بِرِجْلِهِ ‏.‏ قَالَ زِيَادٌ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو الْفُضَيْلِ ‏.‏

মুসলিম ইবনু আবূ বাকরাহ (রাঃ) হতে তাঁর পিতার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ফাজ্‌রের সলাতের জন্য বের হতাম। তিনি কারোর নিকট দিয়ে যাবার সময় তাকে সলাতের জন্য আহ্বান করতেন অথবা তাঁর পা দিয়ে তাকে নাড়া দিতেন। [১২৬৭]
[১২৬৭] বায়হাক্বী ‘সুনান’ (৩/৪৬) আবুল ফাযল হতে। এর সানাদ দুর্বল। সানাদে আবুল ফাযল আনসারী সম্পর্কে হাফিয ‘আত-তাক্বরী’র গ্রন্থে বলেনঃ মাজহুল (অজ্ঞাত)।

১২৬৩

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ زِيَادِ بْنِ سَعْدٍ، عَمَّنْ حَدَّثَهُ - ابْنِ أَبِي عَتَّابٍ، أَوْ غَيْرِهِ - عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا صَلَّى رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ فَإِنْ كُنْتُ نَائِمَةً اضْطَجَعَ وَإِنْ كُنْتُ مُسْتَيْقِظَةً حَدَّثَنِي ‏.

আবূ সালামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাজ্‌রের দু’ রাক’আত সুন্নাত আদায়ের পর আমি ঘুমিয়ে থাকলে তিনিও বিশ্রাম নিতেন। আর আমি জাগ্রত থাকলে তিনি আমার সাথে কথাবার্তা বলতেন।

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

১২৬১

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَأَبُو كَامِلٍ وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمُ الرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ الصُّبْحِ فَلْيَضْطَجِعْ عَلَى يَمِينِهِ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ أَمَا يُجْزِئُ أَحَدَنَا مَمْشَاهُ إِلَى الْمَسْجِدِ حَتَّى يَضْطَجِعَ عَلَى يَمِينِهِ قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ فِي حَدِيثِهِ قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَ فَبَلَغَ ذَلِكَ ابْنَ عُمَرَ فَقَالَ أَكْثَرَ أَبُو هُرَيْرَةَ عَلَى نَفْسِهِ ‏.‏ قَالَ فَقِيلَ لاِبْنِ عُمَرَ هَلْ تُنْكِرُ شَيْئًا مِمَّا يَقُولُ قَالَ لاَ وَلَكِنَّهُ اجْتَرَأَ وَجَبُنَّا ‏.‏ قَالَ فَبَلَغَ ذَلِكَ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ فَمَا ذَنْبِي إِنْ كُنْتُ حَفِظْتُ وَنَسُوا ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ ফাজরের পূর্বে দু’ রাক’আত সলাত আদায়ের পর যেন ডান কাতে শুয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়। মারওয়ান ইবনুল হাকাম তাকে বললো, আমাদের কেউ যতক্ষণ ডান কাতে শুয়ে বিশ্রাম গ্রহণের সময়টুকুতে মসজিদে রওয়ানা হলে তাকি যথেষ্ট হবে না? ‘উবায়দুল্লাহ বর্ণনা করেন যে, তিনি উত্তরে বলেন, ‘না’। তিনি বলেন, ইবনু উমারের কাছে এ হাদিস পৌঁছুলে তিনি বলেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ) নিজের প্রতি বাড়াবাড়ি করেছেন। তখন কেউ ইবনু উমার (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলো, তিনি যা বলেছেন আপনি তার কিছু অস্বীকার করেন? তিনি বলেন, না, তবে তিনি সাহসিকতার পরিচয় দিচ্ছেন, আর আমরা ভীরুতা ও নমনীয়তা প্রকাশ করছি। বর্ণনাকারী বলেন, ইবনু উমারের উক্তিতে আবূ হুরায়রা (রাঃ) বললেন, তারা ভুলে গেলে এবং আমি স্মরণে রাখলে আমার দোষ কোথায়?

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন