মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
পশু নিবেদন (বা যবেহ) করা হবে এক আল্লাহর ইবাদতের উদ্দেশ্যে যার কোন শরিক নেই। আল্লাহ রাববুল ‘আলামীন মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদত করার জন্য। যেমন তিনি বলেছেন-
‘আমি জিন ও মানুষকে এ জন্য সৃষ্টি করেছি যে তারা শুধু আমার ইবাদত করবে’ [সূরা আয-যারিয়াত (৫১):৫৬]।
অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা একমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন।
ইবাদত বলা হয়-
لفظ شامل لكل ما يحبه الله و يرضاه من الأقوال والأفعال الظاهرة والباطنة
-যে সকল কথা ও কাজ আল্লাহ রাববুল ‘আলামীন ভালোবাসেন ও পছন্দ করেন; হোক সে কাজ প্রকাশ্যে বা গোপনে। (ফতহুল মজিদ: ১৭)।
আর এ ইবাদতের ইকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তার উদ্দেশ্যে পশু যবেহ করা। এ কাজটি তিনি শুধু তাঁর উদ্দেশ্যে করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘য়ালা বলেন-
‘বল,আমার সালাত, আমার কুরবাণী, আমার জীবন ও আমার মরণ জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই উদ্দেশ্যে। তার কোন শরিক নাই এবং আমি এর জন্য আদিষ্ট হয়েছি এবং আমিই প্রথম মুসলিম।’ [সূরা-আন‘আম (৬):১৬২-১৬৩]।
ইবনে কাসীর (রহ:) বলেন, ‘এ আয়াতে আল্লাহ রাববুল ‘আলামীন নির্দেশ দিয়েছেন, যে সকল মুশরিক আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে পশু যবেহ করে তাদের যেন জানিয়ে দেয়া হয় আমরা তাদের বিরোধী। সালাত, কুরবানী শুধু তাঁর নামেই হবে যার কোন শরিক নাই। এ কথাই আল্লাহ তা‘আলা সূরা কাওসারে কলেছেন-
﴿ فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَٱنۡحَرۡ ٢ ﴾ [ الكوثر : ٢ ]
‘তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর ও পশু কুরবানী কর।’ [সূরা কাওসার (১০৮):২]।
অর্থাৎ তোমার সালাত ও কুরবানী তাঁরই জন্য আদায় কর। কেননা, মুশরিকরা প্রতিমার উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করে ও পশু যবেহ করে। আর সকল কাজে ইখলাস অবলম্বন করতে হবে। ইখলাসের আদর্শে অবিচল থাকতে হবে।
যে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে পশু উৎসর্গ বা যবেহ করবে তার ব্যাপারে কঠোর শাস্তির কথা হাদিসে এসেছে-
আবু তোফায়েল থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘আমি আলী ইবনে আবি তালেবের কাছে উপস্থিত ছিলাম। এক ব্যক্তি তার কাছে এসে বলল, ‘নবী কারীম (সা:) গোপনে আপনাকে কি বলেছিলে ?’ বর্ণনাকারী বলেন, ‘আলী (রা.) এ কথা শুনে রেগে গেলেন এবং বললেন; ‘নবী কারীম (সা.) মানুষের কাছে গোপন রেখে আমার কাছে একান্তে কিছু বলেননি। তবে তিনি আমাকে চারটি কথা বলেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর লোকটি বলল, ‘হে আমিরুল মু‘মিনীন! সে চারটি কথা কি? তিনি বললেন,
« لعن الله من لعن والديه- ولعن الله من ذبح لغير الله- ولعن الله من أوى محدثا ولعن الله من غير منار الأرض » ( رواه مسلم )
‘১. যে ব্যক্তি তার পিতামাতাকে অভিশাপ দেয় আল্লাহ তাকে অভিশাপ দেন। ২. যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে পশু যবেহ করে আল্লাহ তার উপর লা‘নত করেন। ৩. ঐ ব্যক্তির উপর আল্লাহ লা‘নত করেন যে ব্যক্তি কোন বিদ‘আতীকে প্রশ্রয় দেয়। ৪. যে ব্যক্তি জমির সীমানা পরিবর্তন করে আল্লাহ তাকে লা‘নত করেন। (সহীহ মুসলিম, শরহে নবভী)।
এ কাজগুলো এমন, যে ব্যক্তি তা করল সে ইসলামের গন্ডি থেকে বের হয়ে কুফুরির সীমানায় প্রবেশ করল।
এ হাদিসের ব্যাখ্যায় ইমাম নবভী ( রাহ.) বলেন, ‘আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে পশু যবেহ করার অর্থ এমন, যেমন কোন ব্যক্তি প্রতিমার নামে যবেহ করল অথবা কোন নবীর নামে যবেহ করল বা কাবার নামে যবেহ করল। এ ধরনের যত যবেহ সব নাজায়েয ও তা খাওয়া হারাম। যবেহকারী মুসলীম হোক বা অমুসলিম।
যা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে যবেহ করা হয় তা হারাম ঘোষনা করা হয়েছে,
‘তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত জন্তুর রক্ত, শুকরের মাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাস রোধে মৃত জন্তু, শৃংগাঘাতে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুতে খাওয়া জন্তুও; তবে যা তোমরা যবেহ করতে পেরেছ তা ব্যতীত, আর যা মূর্তি পূজার বেদীর উপর বলি দেয়া হয় তা এবং জুয়ার তীর দ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা, এ সব হলো পাপ-কার্য। [সূরা মায়িদাহ (৫):৩]।
ইবনে কাসীর (রাহ.) বলেছেন, যা কিছু আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে যবেহ করা হয় তা যে হারাম এ ব্যাপারে মুসলিমদের ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত।
যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে পশু যবেহ করে সে জাহান্নামে যাবে। যেমন হাদিসে এসেছে- সালমান (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, এক ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে একটি মাছির কারণে। এ কথা শুনার পর লোকেরা জিজ্ঞেস করল এটা কীভাবে হবে? তিনি বললেন, দু‘ব্যক্তি এক সম্প্রদায়ের কাছ দিয়ে যাচ্ছিল। সে সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত নিয়ম ছিল, যে ব্যক্তি তাদের কাছ দিয়ে যাবে তাকে তাদের প্রতিমার উদ্দেশ্যে কিছু উৎসর্গ করতে হবে। সে সম্প্রদায়ের লোকেরা এ দু‘জনের একজনকে বলল, আমাদের এ প্রতিমার জন্য কিছু উৎসর্গ কর! লোকটি উত্তর দিল- আমার কাছে তো এমন কিছু নেই যা আমি এ প্রতিমার জন্য উৎসর্গ করতে পারি। তারা বলল একটি মাছি হলেও উৎসর্গ কর। সে একটি মাছি উৎসর্গ করল। তারা তাকে ছেড়ে দিল। ফলে সে জাহান্নামে গেল। তারপর তারা দ্বিতীয় ব্যক্তিকে অনুরূপ কথা বলল। সে উত্তরে বলল আমি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য কিছু উৎসর্গ (নিবেদন) করি না। তারা তাকে হত্যা করল। ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করল। ( আবু নঈম, আহমদ)
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/145/5
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।