মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
কুরআনে কারীম ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে গুনাহ্ মাফের আমল
লেখকঃ শাইখ সালীম ইবন ‘ঈদ আল-হিলালী
৩
ভূমিকা
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/181/3
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য; আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি; আর আমাদের নফসের জন্য ক্ষতিকর এমন সকল খারাপি এবং আমাদের সকল প্রকার মন্দ আমল থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই। আল্লাহ যাকে পথ প্রদর্শন করেন, কেউ তাকে পথভ্রষ্ট করতে পারে না; আর তিনি যাকে পথহারা করেন, কেউ তাকে পথ দেখাতে পারবে না। আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল।
অতঃপর:
বান্দা অপরাধ থেকে মুক্ত নয়; সুতরাং এই ত্রুটি থেকে কোনো আদম সন্তানই মুক্ত নয়। আর নিষ্পাপ শুধু সেই, যাকে আল্লাহ তা‘আলা পাপমুক্ত করেছেন।
আর মানুষ শক্তি ও সামর্থ্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে; এটাই অমোঘ মূলনীতি। আর যে ব্যক্তি নিজকে নিয়ে পর্যালোচনা করবে, সে তাকে এই ধরনের ত্রুটিতে ভরপুর পাবে; সুতরাং যখন তাকে তাওফীক (শক্তি-সামর্থ্য) দেওয়া হবে, তখন তার উপর ধ্বংসাত্মক আক্রমণের ভয়ে সে এর থেকে সতর্ক ও সচেতন হবে এবং আল্লাহর পথ থেকে ভিন্ন পথে চলার কারণে সে ব্যথা অনুভব করবে। অতঃপর যখন সে ব্যথা ও কষ্ট অনুভব করবে, তখন সে মুক্তির আশায় গুনাহের অভ্যাস ছেড়ে দিয়ে দ্রুত আল্লাহর দিকে ফিরে আসবে। আর তখন সে গুনাহ মাফের দরজা উন্মুক্ত অবস্থায় পাবে, যার দুই পাল্লায় লেখা থাকবে:
“বলুন, ‘হে আমার বান্দাগণ! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ---আল্লাহ্র অনুগ্রহ হতে নিরাশ হয়ো না; নিশ্চয় আল্লাহ্ সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৫৩]
পাপ মোচন দু’ভাবে হয়:
প্রথমত: মুছে ফেলা বা নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া; যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“আর তুমি অসৎ কাজ করলে সাথে সাথেই সৎকাজ কর, তাহলে ভালো কাজ মন্দ কাজকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে।” [তিরমিযী, হাদিস নং- ১৯৮৭, তিনি হাদিসটিকে হাসান-সহীহ বলেছেন।] আর এটা হল ক্ষমার পর্যায়।
দ্বিতীয়ত: পরিবর্তন করে দেওয়া; যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:
“তবে যে তাওবা করে, ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, ফলে আল্লাহ্ তাদের গুণাহসমূহ নেক দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন। আর আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” [সূরা আল-ফুরকান, আয়াত: ৭০] আর এটা হল ‘মাগফিরাত’ তথা গুনাহ মাফের পর্যায়।
আর যে ব্যক্তি (গুনাহ মাফের) দু’টি পর্যায় নিয়ে চিন্তাভাবনা করবে, সে সূক্ষ্ম পার্থক্য উপলব্ধি করতে পারবে; কারণ, মাগফিরাতের মধ্যে ক্ষমার উপর অতিরিক্ত ইহসান ও দয়ার ব্যাপার রয়েছে; আর এ দু’টিই উত্তম ও শুভসংবাদ।
জেনে রাখুন, এই দীন কত উদার! আর তার নিয়মনীতি কত সহজ! তার প্রতিটি শ্লোগানই হল উচ্চতা, শ্রেষ্ঠত্ব, পবিত্রতা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নির্ভর; আর তার প্রত্যেকটি অর্পিত দায়িত্বপূর্ণ কাজ, শাস্তিবিধান, নির্দেশ এবং ধমক বা তিরস্কারের মূল লক্ষ্য হল পবিত্র ও পরিশুদ্ধ ব্যক্তি তৈরি করা। আল-কুরআনের ভাষায়:
“হে মানুষ! তোমরা তোমাদের সেই রবের ‘ইবাদাত কর, যিনি তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাকওয়ার অধিকারী হও।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২১]
নিশ্চয় এই শ্লোগান এবং শরী‘য়ত কর্তৃক নির্ধারিত এই দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ মানুষের দুর্বলতা ও অক্ষমতা সম্পর্কে অচেতন নয়, তার শক্তি ও সামর্থ্যের সীমানা অতিক্রম করে না, তার স্বভাবকে অবজ্ঞা করে না এবং তার মনের অনেক অনেক আগ্রহ ও উদ্দীপনা সম্পর্কে অজ্ঞ নয়।
আর সেই কারণেই অর্পিত কাজের দায়িত্ব ও শক্তি-সামর্থ্যের মধ্যে, ঠেলে দেওয়া ও টেনে ধরার মধ্যে, উৎসাহিত করা ও হুমকি প্রদানের মধ্যে, নির্দেশ ও তিরস্কারের মধ্যে এবং অপরাধের ক্ষেত্রে প্রচণ্ড আকারে শাস্তির ভয় প্রদর্শন ও ক্ষমার ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারি আশা পোষণ করার মধ্যে এক চমৎকার ভারসাম্য রয়েছে।
এই দীন মানব আত্মাকে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ অভিমুখী এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতের অনুসরণ করাতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। ... এর পরেও সেখানে রয়েছে আল্লাহ তা‘আলার অবারিত রহমত ... যা ভুল-ত্রুটির মত ঘাটতি পূরণ করবে ... সীমাবদ্ধতার ব্যাপারে সহানুভূতিশীল হবে ... তাওবা কবুল করবে ... গুনাহ ক্ষমা করবে ... পাপরাশি ধুয়ে-মুছে সাফ করে দিবে ... এবং প্রত্যাবর্তনকারীদের সামনে তাদের বাসস্থান ও আঙ্গিনা জান্নাতের দিকে দরজা উন্মুক্ত করে দিবে।
(পদক্ষেপ নাও এবং অস্বস্তিকর জীবনে তুমি সন্তুষ্ট হয়ো না;
কারণ, আনন্দ-ফুর্তির দ্বারা সে ব্যক্তি সফল হবে না, যে (তাওবার পথে) অগ্রসর হবে না।
وإن ضاقتِ الدنيا عليكَ بأسرِها
ولم يكُ فيها منزلٌ لكَ يُعلَمُ
(যদিও দুনিয়ার তাবৎ কর্মকাণ্ডের কারণে তোমার উপর দুনিয়া সঙ্কুচিত হয়ে গেছে
এবং জানা মতে তোমার জন্য তাতে কোনো বাসস্থানও নেই)।
فحيَّ على جناتِ عدْنٍ فإنَّها
منازلكَ الأولى وفيها المخيَّمُ
(সুতরাং তুমি শ্বাশ্বত বাসস্থান জান্নাতের দিকে আস; কেননা, তা
তোমার প্রথম বাসস্থান এবং তাতে রয়েছে তাঁবু গাড়ার স্থান)।
ولكننا سَبْيُ العدوِّ فهل ترى
نعودُ إلى أوطانِنا ونسلَّمُ
(কিন্তু আমারা হলাম শত্রুর হাতে বন্দী; কেননা, তুমি কি মনে কর—
আমরা আমাদের নিজ আবাসভূমিতে ফিরে যাব এবং তা সঠিক বলে মেনে নেব)।
وقد زعموا أن الغريبَ إذا نأى
وشطَّتْ به أوطانُه فهو مغرم
(আর তারা ধারণা করে যে, প্রবাসী ব্যক্তি যখন দূরে চলে যায়
এবং তার কারণে তার মাতৃভূমি খান খান হয়, তখন সে তার প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে)।
وأيُّ اغترابٍ فوق غربَتِنا التي
لها أضحتِ الأعداءُ فينا تَحَكَّمُ
(আমাদের প্রবাসজীবনের উপর আর কোনো প্রবাসজীবন কী আছে?
যেখানে আমাদের উপর কর্তৃত্ব হয়ে যায় শত্রুগণের)।
আমরা যে বিষয় অধ্যয়ন করছি, তা হল আল-কুরআনের একগুচ্ছ সুস্পষ্ট আয়াত এবং নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কতগুলো বিশুদ্ধ হাদিস যেগুলো আমি একত্রিত করেছি; অতঃপর আমি তা লিপিবদ্ধ করেছি, যার সবকটিই একই অর্থের অন্তর্ভুক্ত; আর তা হল এমন আমল, যার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত হয়েছে গুনাহ মাফ আর পাপরাশি মোচনের।
আমি এ আলোচনাটি সাজিয়েছি কয়েকটি অধ্যায়ে, যাতে পাঠক সহজেই তার বিষয়বস্তু সম্পর্কে অনুধাবন করতে পারে এবং আমি তার নাম দিয়েছি:
« مكفرات الذنوب في ضوء القرآن الكريم و السنة الصحيحة المطهرة »
(আল-কুরআনুল কারীম ও পবিত্র সহীহ সুন্নাহ’র আলোকে গুনাহ্ মাফের আমল)
এখন দেখুন আমরা কিন্তু আমাদের সেই ওয়াদাকৃত বিষয়টি উপস্থাপনের কাজ শুরু করতে যাচ্ছি এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার নিকট আশা করছি যে, তিনি তার দ্বারা আমাদেরকে উপকৃত করবেন; তিনি হলেন খুবই নিকটতম, আবেদন-নিবেদন কবুলকারী, তিনি ব্যতীত উপাসনার যোগ্য আর কোনো ইলাহ্ নেই, আমি তাঁর উপরই ভরসা করি এবং তাঁর কাছেই তাওবা করি। আর সরল পথ আল্লাহর কাছেই পৌঁছায়।
লেখক:
আবূ উসামা সালীম ইবন ‘ঈদ আল-হেলালী
জামাদিউল উলা, ১৪০৮ হিজরী, আম্মান, জর্দান।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/181/3
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।