hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

যে সকল হারামকে মানুষ হালকা মনে করে

লেখকঃ মুহাম্মাদ ছালেহ আল-মুনাজ্জিদ

৪৪
সন্তানদের উপহার প্রদানে সমতা রক্ষা না করা
আমাদের সমাজে এমন অনেক মাতা-পিতা আছেন, যারা এক সন্তানকে ‘হেবা’ বা উপহার দিলে অন্যান্য সন্তানকে দেন না। নিয়ম হ’ল, সন্তানদের সবাইকে বিশেষ কোন উপহার সমান হারে দিতে হবে; আর না হলে কাউকে দেয়া যাবে না। নিয়ম লংঘন করে সন্তান বিশেষকে দেয়া ও অন্যদের বঞ্চিত করা ঠিক নয়। শারঈ কারণ ব্যতীত এরূপ দান করলে তা হারাম বলে গণ্য হবে। শারঈ কারণ বলতে সন্তানদের একজনের এমন প্রয়োজন দেখা দিয়েছে, যা অন্যদের নেই। যেমন- সে অসুস্থ, কিংবা বেকার, অথবা ছাত্র, কিংবা সংসারে তার সদস্য সংখ্যা অনেক তথা সে পোষ্য ভারাক্রান্ত, অথবা সে কুরআন মুখস্থ করেছে তাই উৎসাহ ধরে রাখতে কিছু দেয়া ইত্যাদি। পিতা এরূপ শারঈ কারণবশতঃ কোন সন্তানকে কিছু দেয়ার সময় নিয়ত করবে যে, অন্য কোন সন্তানের যদি এরূপ প্রয়োজন দেখা দেয় তাহলে তাকেও তিনি তার প্রয়োজন মত দিবেন। এ কথার সাধারণ দলীল আল্লাহর বাণী - اِعْدِلُوا هُوَ أَقْرَبُ لِلتَّقْوَى وَاتَّقُوا اللهَ ‘তোমরা সুবিচার কর। ইহা আল্লাহভীতির অধিকতর নিকটবর্তী। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর’ (মায়েদাহ ৮)। আর বিশেষ দলীল হল রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর হাদীছ। একদা নু‘মান বিন বাশীর (রাঃ)-এর পিতা তাকে রাসূল (ছাঃ)-এর দরবারে নিয়ে গিয়ে বললেন, ‘আমি আমার এই পুত্রকে একটা দাস দান করেছি’। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একথা শুনে বললেন, ‘তোমার সকল সন্তানকে কি তার মত করে দান করেছ? পিতা বললেন, ‘না’। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, ‘তাহলে উক্ত দান ফেরত নাও’। অন্য বর্ণনায় আছে, ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমাদের সন্তানদের মধ্যে সুবিচার কর’। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি বাড়ী ফিরে এসে ঐ দাস ফেরত নেন। অপর এক বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, فَلاَ تُشْهِدْنِى إِذًا فَإِنِّى لاَ أَشْهَدُ عَلَى جَوْرٍ ‘তাহলে তুমি আমাকে সাক্ষী করো না। কেননা যুলুমের সাক্ষী আমি হতে পারি না’।[1]

কোন কোন পিতাদের দেখা যায় যে, তারা সন্তান বিশেষকে অহেতুক অগ্রাধিকার দানে আল্লাহকে ভয় করেন না। এর ফলে সন্তানদের মধ্যে মন কষাকষির সৃষ্টি হয়। তারা একে অপরের প্রতি শত্রু ও বিদ্বেষ ভাবাপন্ন হয়ে ওঠে। কখনো কোন সন্তানকে পিতৃকুলের আকৃতি পাওয়ার জন্য দেওয়া হয়, অন্য সন্তানকে মাতৃকুলের আকৃতি পাওয়ার জন্য বঞ্চিত করা হয়। এক স্ত্রীর সন্তানকে দেওয়া হয়, অন্য স্ত্রীর সন্তানদের দেওয়া হয় না। আবার অনেক সময় তাদের একজনের সন্তানদেরকে বিশেষ ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা হয়, কিন্তু অন্যজনের সন্তানদের ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এর কুফল অচিরেই ঐসব মাতা-পিতাকে ভোগ করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রেই ঐসব বঞ্চিত সন্তান ভবিষ্যতে তাদের পিতার সঙ্গে সদাচরণ করে না।

সন্তানদের মধ্যে দান-দক্ষিণায় কাউকে বেশী গুরুত্ব দেয়া ব্যক্তি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, أَلَيْسَ يَسُرُّكَ أَنْ يَكُونُوا إِلَيْكَ فِى الْبِرِّ سَوَاءً ‘তোমার সন্তানেরা তোমার সাথে সমান সদাচরণ করুক তা কি তোমাকে আনন্দিত করবে না’?।[2] সুতরাং সন্তানদের প্রতি দান-দক্ষিণায় সমতা রক্ষা করা অপরিহার্য।

[1]. মুসলিম হা/১৬২৩; মিশকাত হা/৩০৯০।

[2]. ইবনু মাজাহ হা/২৩৭৫; আবুদাঊদ হা/৩৫৪২।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন