HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
ছবি ও মূর্তির ব্যাপারে ইসলামের হুকুম
লেখকঃ আখতারুজ্জামান মুহাম্মাদ সুলাইমান
৪
ছবি ও মূর্তির ক্ষতিকর দিকসমূহ:ইসলামে যত জিনিসকেই হারাম করা হয়েছে তা দীনের ক্ষেত্রে কিংবা চরিত্রের ক্ষেত্রে কিংবা সম্পদ অথবা অন্যান্য কোনো ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করেই করা হয়েছে। আর সত্যিকারের মুসলিম সর্বদা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের হুকুমের কাছে নিজেকে অবনত করে। যদিও সে ঐ হুকুমের হাকীকত নাও জানতে পারে তথাপিও। মূর্তি ও ছবির অনেক ক্ষতিকর দিক রয়েছে। ঐগুলো হচ্ছে:
১। আকীদা ও দীনের ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই যে, ছবি মূর্তি বহু লোকেরই আকীদা নষ্ট করে ফেলেছে। কারণ, খ্রিষ্টানরা ঈসা ও মারইয়াম ‘আলাইহিমাস সালাম এবং ক্রুশের ছবির পূজা করে। ইউরোপ ও আমেরিকায় তাদের নেতাদের মূর্তির পূজা করা হয়।
আর ঐ মূর্তিগুলোর সামনে নিজেদের মস্তক সমূহকে অবনত করে সম্মান ও শ্রদ্ধার সাথে। তাদের সাথে পা মিলিয়ে চলছে কোনো কোনো মুসলিম ও আরব দেশ। তারাও তাদের নেতাদের মূর্তি ও ভাস্কর্য স্থাপন করেছে। তারপর কোনো কোনো সূফি পীরদের মধ্যে এর প্রবনতা দেখা দিয়েছে। তারা তাদের পীর মাশায়েখদের ছবি, সালাত আদায় করার সময়, তাদের সম্মুখে স্থাপন করে এই নিয়তে যে, এতে তাদের মধ্যে খুশু বা আল্লাহর ভয় সৃষ্টি হয়। আর তাদের মাশায়েখরা যখন যিকির করতে থাকে, তখন তাদের ছবি উত্তোলন করে। ফলে তাদের মুরাকাবা ও মুশাহাদা দেখাতে বিঘ্ন ঘটায়। কোনো কোনো স্থানে তাদের ছবিকে সম্মান দেখিয়ে লটকিয়ে রাখে এ ধারনা করে যে, এতে বরকত হয়।
সেই রকম অনেক গায়ক-গায়িকা ও শিল্পীদের ছবি তাদের অনুসারীরা ভালোবাসে। তারা তাদের ছবি সংগ্রহ করে সম্মান এবং পবিত্রতা দেখানোর জন্য ঘরে অথবা অন্যত্র ঝুলিয়ে রাখে। ১৯৬৭ সালে ইয়াহূদীদের সাথে যুদ্ধে এ জাতীয় কাজ ঘটেছিল। ফলে তাদের পরাজয় ঘটে। কারণ, তাদের সাথে গায়করা ছিল, আল্লাহ ছিলেন না। ফলে ঐ গায়ক গায়িকারা কোনো উপকার করতে পারে নি। বরঞ্চ এদের কারণেই তাদের পরাজয় ঘটেছিল। হায়! যদি আরবগণ এ ঘটনা হতে শিক্ষা গ্রহণ করে সর্বান্তকরণে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করত, তবে তারা আল্লাহর সাহায্য পেত।
২। ছবি ও মূর্তি যে কীভাবে যুবক, যুবতিদের স্বভাব চরিত্র নষ্ট করছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। রাস্তাঘাট বাড়িঘর পূর্ণ হয়ে আছে এই ধরণের তথাকথিত শিল্পীদের ছবিতে যারা নগ্ন, অর্ধ নগ্ন অবস্থায় ছবি উঠিয়েছে। ফলে যুবকরা তাদের প্রতি আশেক হয়ে পড়েছে। প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য নানা ধরনের ফাহেশা কাজে তারা লিপ্ত হয়ে পড়েছে। তাদের চরিত্র ও অভ্যাস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে তারা না দীন সম্বন্ধে চিন্তা করছে আর না বাইতুল মুকাদ্দাসকে মুক্ত করার চিন্তা-ভাবনা করছে। না সম্মান, আর না জিহাদের চিন্তা ভাবনা করে। আজকের যামানায় ছবির প্রচার খুবই বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে মহিলা ও শিল্পীদের ছবি। এমনকি জুতার বাক্স, পত্রিকা, পাক্ষিক, বই পুস্তক, টেলিভিশন ইত্যাদিতেও। বিশেষ করে যৌন উত্তেজক সিনেমা, ধারাবাহিক নাটক এবং ডিটেকটিভ চলচিত্রসমূহে। অনেক ধরনের কার্টুন ছবিতেও, যাতে আল্লাহ পাকের সৃষ্টিকে বিকৃত করা হচ্ছে। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা লম্বা নাক, বড় কান কিংবা বিরাট বিরাট চোখ সৃষ্টি করেন নি, যা তারা এই ছবিসমূহে অংকন করে থাকে। বরঞ্চ আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে অতি উত্তমরূপে সৃষ্টি করেছেন।
৩। ছবি ও মূর্তির ক্ষেত্রে যে ধন-দৌলত নষ্ট হয়, প্রকাশ্যভাবে তা সকলেরই গোচরীভূত হয়। এ জাতীয় ভাস্কর মূর্তিসমূহ সৃষ্টি করার জন্য হাজার হাজার, লাখ লাখ টাকা ব্যয় করা হয় শয়তানের রাস্তায়। বহু লোক এ জাতীয় ঘোড়া, উট, হাতি, মানুষের মূর্তি ইত্যাদি ক্রয় করে তাদের ঘরে নিয়ে কাঁচের আলমারীতে সাজিয়ে রাখে। আবার অনেকে তাদের মাতা-পিতা বা পরিবারের লোকদের ছবি দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখে। এ সমস্ত কাজে যে ধন-দৌলত তারা ব্যয় করে তা যদি গরীব মিসকীনদের মাঝে দান সদকা করত, তবে মৃতের রূহ তাতে শান্তি পেত। এর থেকেও লজ্জাকর ঘটনা হলো, কেউ কেউ বাসর রাতে স্ত্রীর সাথে যে ছবি তোলে তা ড্রইং রুমে ঝুলিয়ে রাখে অন্যদের দেখানোর জন্য। মনে হয় যেন তার স্ত্রী তার একার নয়; বরঞ্চ তা সকলেরই।
১। আকীদা ও দীনের ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই যে, ছবি মূর্তি বহু লোকেরই আকীদা নষ্ট করে ফেলেছে। কারণ, খ্রিষ্টানরা ঈসা ও মারইয়াম ‘আলাইহিমাস সালাম এবং ক্রুশের ছবির পূজা করে। ইউরোপ ও আমেরিকায় তাদের নেতাদের মূর্তির পূজা করা হয়।
আর ঐ মূর্তিগুলোর সামনে নিজেদের মস্তক সমূহকে অবনত করে সম্মান ও শ্রদ্ধার সাথে। তাদের সাথে পা মিলিয়ে চলছে কোনো কোনো মুসলিম ও আরব দেশ। তারাও তাদের নেতাদের মূর্তি ও ভাস্কর্য স্থাপন করেছে। তারপর কোনো কোনো সূফি পীরদের মধ্যে এর প্রবনতা দেখা দিয়েছে। তারা তাদের পীর মাশায়েখদের ছবি, সালাত আদায় করার সময়, তাদের সম্মুখে স্থাপন করে এই নিয়তে যে, এতে তাদের মধ্যে খুশু বা আল্লাহর ভয় সৃষ্টি হয়। আর তাদের মাশায়েখরা যখন যিকির করতে থাকে, তখন তাদের ছবি উত্তোলন করে। ফলে তাদের মুরাকাবা ও মুশাহাদা দেখাতে বিঘ্ন ঘটায়। কোনো কোনো স্থানে তাদের ছবিকে সম্মান দেখিয়ে লটকিয়ে রাখে এ ধারনা করে যে, এতে বরকত হয়।
সেই রকম অনেক গায়ক-গায়িকা ও শিল্পীদের ছবি তাদের অনুসারীরা ভালোবাসে। তারা তাদের ছবি সংগ্রহ করে সম্মান এবং পবিত্রতা দেখানোর জন্য ঘরে অথবা অন্যত্র ঝুলিয়ে রাখে। ১৯৬৭ সালে ইয়াহূদীদের সাথে যুদ্ধে এ জাতীয় কাজ ঘটেছিল। ফলে তাদের পরাজয় ঘটে। কারণ, তাদের সাথে গায়করা ছিল, আল্লাহ ছিলেন না। ফলে ঐ গায়ক গায়িকারা কোনো উপকার করতে পারে নি। বরঞ্চ এদের কারণেই তাদের পরাজয় ঘটেছিল। হায়! যদি আরবগণ এ ঘটনা হতে শিক্ষা গ্রহণ করে সর্বান্তকরণে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করত, তবে তারা আল্লাহর সাহায্য পেত।
২। ছবি ও মূর্তি যে কীভাবে যুবক, যুবতিদের স্বভাব চরিত্র নষ্ট করছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। রাস্তাঘাট বাড়িঘর পূর্ণ হয়ে আছে এই ধরণের তথাকথিত শিল্পীদের ছবিতে যারা নগ্ন, অর্ধ নগ্ন অবস্থায় ছবি উঠিয়েছে। ফলে যুবকরা তাদের প্রতি আশেক হয়ে পড়েছে। প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য নানা ধরনের ফাহেশা কাজে তারা লিপ্ত হয়ে পড়েছে। তাদের চরিত্র ও অভ্যাস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে তারা না দীন সম্বন্ধে চিন্তা করছে আর না বাইতুল মুকাদ্দাসকে মুক্ত করার চিন্তা-ভাবনা করছে। না সম্মান, আর না জিহাদের চিন্তা ভাবনা করে। আজকের যামানায় ছবির প্রচার খুবই বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে মহিলা ও শিল্পীদের ছবি। এমনকি জুতার বাক্স, পত্রিকা, পাক্ষিক, বই পুস্তক, টেলিভিশন ইত্যাদিতেও। বিশেষ করে যৌন উত্তেজক সিনেমা, ধারাবাহিক নাটক এবং ডিটেকটিভ চলচিত্রসমূহে। অনেক ধরনের কার্টুন ছবিতেও, যাতে আল্লাহ পাকের সৃষ্টিকে বিকৃত করা হচ্ছে। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা লম্বা নাক, বড় কান কিংবা বিরাট বিরাট চোখ সৃষ্টি করেন নি, যা তারা এই ছবিসমূহে অংকন করে থাকে। বরঞ্চ আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে অতি উত্তমরূপে সৃষ্টি করেছেন।
৩। ছবি ও মূর্তির ক্ষেত্রে যে ধন-দৌলত নষ্ট হয়, প্রকাশ্যভাবে তা সকলেরই গোচরীভূত হয়। এ জাতীয় ভাস্কর মূর্তিসমূহ সৃষ্টি করার জন্য হাজার হাজার, লাখ লাখ টাকা ব্যয় করা হয় শয়তানের রাস্তায়। বহু লোক এ জাতীয় ঘোড়া, উট, হাতি, মানুষের মূর্তি ইত্যাদি ক্রয় করে তাদের ঘরে নিয়ে কাঁচের আলমারীতে সাজিয়ে রাখে। আবার অনেকে তাদের মাতা-পিতা বা পরিবারের লোকদের ছবি দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখে। এ সমস্ত কাজে যে ধন-দৌলত তারা ব্যয় করে তা যদি গরীব মিসকীনদের মাঝে দান সদকা করত, তবে মৃতের রূহ তাতে শান্তি পেত। এর থেকেও লজ্জাকর ঘটনা হলো, কেউ কেউ বাসর রাতে স্ত্রীর সাথে যে ছবি তোলে তা ড্রইং রুমে ঝুলিয়ে রাখে অন্যদের দেখানোর জন্য। মনে হয় যেন তার স্ত্রী তার একার নয়; বরঞ্চ তা সকলেরই।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন