HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
বিদ‘আত হ’তে সাবধান
লেখকঃ শায়খ আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায
৩
লেখকের সংক্ষিপ্ত জীবনী (مختصر حياة المؤلف)নাম : আব্দুল আযীয, পিতা : আব্দুল্লাহ। ঊর্ধ্বতন ৪র্থ পিতামহ ‘বায’-এর নামানুসারে তিনি ‘বিন বায’ নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি ১২ই যিলহাজ্জ ১৩৩০ হিঃ মোতাবেক ১৯১৩ খৃষ্টাব্দে রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৯ সালের ১৩ই মে বৃহস্পতিবার ভোর রাত ৩-টায় ত্বায়েফের এক হাসপাতালে ৮৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শুক্রবার বাদ জুম‘আ পবিত্র কা‘বা চত্বরে তাঁর জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। সঊদী বাদশাহ সহ লক্ষ লক্ষ শোকবিহবল মুছল্লী উক্ত জানাযায় অংশগ্রহণ করেন। মৃত্যুর ৩ ঘণ্টা আগেও রাত ১২-টা পর্যন্ত তিনি সুস্থ ছিলেন ও সকলের সাথে স্বাভাবিক ভাবে কথাবার্তা বলেন।
শিক্ষা জীবন : তিনি বাল্যকালেই পবিত্র কুরআন হেফয করেন। অতঃপর রিয়াদের শ্রেষ্ঠ বিদ্বানগণের নিকট শিক্ষা লাভ করেন ও শরী‘আতের বিভিন্ন শাখায় গভীর পান্ডিত্য অর্জন করেন। ১৬ বছর বয়সে তাঁর চোখের অসুখ দেখা দেয় এবং মাত্র ২০ বছর বয়সে দৃষ্টি শক্তি সম্পূর্ণ রূপে বিলুপ্ত হয়। কিন্তু প্রখর মেধাশক্তির কারণে লেখাপড়ায় কোন সমস্যা হয়নি। তিনি ছহীহ বুখারী ও ছহীহ মুসলিম কয়েকবার খতম করেছেন। এতদ্ব্যতীত কুতুবে সিত্তাহর অন্যান্য হাদীছ গ্রন্থ এবং মুসনাদে আহমাদ ও দারেমীর বেশীর ভাগ অংশ অধ্যয়ন করেন। তিনি বুখারী শরীফের হাফেয ছিলেন বলে যে কথা প্রচলিত আছে, তা ঠিক নয়। তবে ছহীহ বুখারীর উপর তাঁর দখল এমন ছিল যে, আলোচনায় মনে হ’ত যেন সমস্ত বুখারী শরীফ তাঁর নখদর্পণে।
কর্ম জীবন : ১৩৫৭ হিজরীতে মাত্র ২৭ বছর বয়সে তিনি রিয়াদের আল-খারজ এলাকার বিচারপতি নিযুক্ত হন এবং ১৩৭১ হিজরী পর্যন্ত ১৪ বছর উক্ত দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি রিয়াদ আল-মা‘হাদ আল-ইলমীতে একবছর ও পরে শরী‘আহ কলেজে ৭ বছর অধ্যাপনা করেন। ১৩৮৩ হিজরীতে মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি এর ১ম ভাইস চ্যান্সেলর নিযুক্ত হন এবং ১৩৯০ হিজরীতে চ্যান্সেলর হন। তিনি হজ্জ-এর ময়দানে খুৎবা দিতেন ও ইমামতি করতেন। ১৩৯৫ হিজরীতে তিনি রিয়াদের কেন্দ্রীয় দারুল ইফতা-র প্রধান নিযুক্ত হন। ১৪১৪ হিজরীতে তিনি সঊদী আরবের ‘মুফতী আম’ বা গ্রান্ড মুফতী হিসাবে বরিত হন। এটাই ছিল সেদেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় পদ। এজন্য বাদশাহ তাঁকে سماحة الوالد বা ‘বুযর্গ পিতা’ বলে ডাকতেন। কখনও রাজ দরবারে আহবান করলে বাদশাহ তাঁকে নিজের পাশে বসাতেন। তাঁর পরামর্শ সেদেশের সরকার ও মজলিসে শূরা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করত।
লেখনী : তাঁর রচিত ও প্রকাশিত ছোট-বড় অন্যূন ২১টি বইয়ের মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ কলেবরের হ’ল তাঁর মূল্যবান টীকা সম্বলিত ছহীহ বুখারীর ভাষ্যগ্রন্থ ফাৎহুল বারী যা ১৩ খন্ডে সমাপ্ত এবং তাঁর নিজস্ব ফৎওয়া সংকলন, যা ৮ খন্ডে সমাপ্ত। এছাড়া রয়েছে হজ্জ ও ওমরাহ নির্দেশিকা, বিদ‘আত হ’তে সাবধান, আল্লাহর পথে দাওয়াতের গুরুত্ব ও দাঈ-র চরিত্র, ছহীহ আক্বীদা ও তার বিপরীত আক্বীদা, রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাতের উপর আমলের অপরিহার্যতা, আল্লাহর বিধান সমূহ বাস্তবায়ন করা ও তার বিপরীত বিধান সমূহ পরিত্যাগ করা, ইমাম মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব: তাঁর দাওয়াত ও চরিত্র, সফর ও হিজাবের বিধান, ছালাত বিষয়ে (একত্রে) তিনটি পুস্তিকা, কুরআন ও রাসূল (ছাঃ)-এর সমালোচনাকারীদের বিষয়ে ইসলামের বিধান, আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নিকট সাহায্যপ্রার্থীর বিষয়ে শরী‘আতের বিধান, জাদুকর ও গনৎকারদের সত্যতা, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ, সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরার অপরিহার্যতা ও বিদ‘আত হ’তে দূরে থাকা, আরব জাতীয়তাবাদের সমালোচনা ইত্যাদি। আল্লাহ তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসে স্থান দান করুন- আমীন! -অনুবাদক
শিক্ষা জীবন : তিনি বাল্যকালেই পবিত্র কুরআন হেফয করেন। অতঃপর রিয়াদের শ্রেষ্ঠ বিদ্বানগণের নিকট শিক্ষা লাভ করেন ও শরী‘আতের বিভিন্ন শাখায় গভীর পান্ডিত্য অর্জন করেন। ১৬ বছর বয়সে তাঁর চোখের অসুখ দেখা দেয় এবং মাত্র ২০ বছর বয়সে দৃষ্টি শক্তি সম্পূর্ণ রূপে বিলুপ্ত হয়। কিন্তু প্রখর মেধাশক্তির কারণে লেখাপড়ায় কোন সমস্যা হয়নি। তিনি ছহীহ বুখারী ও ছহীহ মুসলিম কয়েকবার খতম করেছেন। এতদ্ব্যতীত কুতুবে সিত্তাহর অন্যান্য হাদীছ গ্রন্থ এবং মুসনাদে আহমাদ ও দারেমীর বেশীর ভাগ অংশ অধ্যয়ন করেন। তিনি বুখারী শরীফের হাফেয ছিলেন বলে যে কথা প্রচলিত আছে, তা ঠিক নয়। তবে ছহীহ বুখারীর উপর তাঁর দখল এমন ছিল যে, আলোচনায় মনে হ’ত যেন সমস্ত বুখারী শরীফ তাঁর নখদর্পণে।
কর্ম জীবন : ১৩৫৭ হিজরীতে মাত্র ২৭ বছর বয়সে তিনি রিয়াদের আল-খারজ এলাকার বিচারপতি নিযুক্ত হন এবং ১৩৭১ হিজরী পর্যন্ত ১৪ বছর উক্ত দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি রিয়াদ আল-মা‘হাদ আল-ইলমীতে একবছর ও পরে শরী‘আহ কলেজে ৭ বছর অধ্যাপনা করেন। ১৩৮৩ হিজরীতে মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি এর ১ম ভাইস চ্যান্সেলর নিযুক্ত হন এবং ১৩৯০ হিজরীতে চ্যান্সেলর হন। তিনি হজ্জ-এর ময়দানে খুৎবা দিতেন ও ইমামতি করতেন। ১৩৯৫ হিজরীতে তিনি রিয়াদের কেন্দ্রীয় দারুল ইফতা-র প্রধান নিযুক্ত হন। ১৪১৪ হিজরীতে তিনি সঊদী আরবের ‘মুফতী আম’ বা গ্রান্ড মুফতী হিসাবে বরিত হন। এটাই ছিল সেদেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় পদ। এজন্য বাদশাহ তাঁকে سماحة الوالد বা ‘বুযর্গ পিতা’ বলে ডাকতেন। কখনও রাজ দরবারে আহবান করলে বাদশাহ তাঁকে নিজের পাশে বসাতেন। তাঁর পরামর্শ সেদেশের সরকার ও মজলিসে শূরা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করত।
লেখনী : তাঁর রচিত ও প্রকাশিত ছোট-বড় অন্যূন ২১টি বইয়ের মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ কলেবরের হ’ল তাঁর মূল্যবান টীকা সম্বলিত ছহীহ বুখারীর ভাষ্যগ্রন্থ ফাৎহুল বারী যা ১৩ খন্ডে সমাপ্ত এবং তাঁর নিজস্ব ফৎওয়া সংকলন, যা ৮ খন্ডে সমাপ্ত। এছাড়া রয়েছে হজ্জ ও ওমরাহ নির্দেশিকা, বিদ‘আত হ’তে সাবধান, আল্লাহর পথে দাওয়াতের গুরুত্ব ও দাঈ-র চরিত্র, ছহীহ আক্বীদা ও তার বিপরীত আক্বীদা, রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাতের উপর আমলের অপরিহার্যতা, আল্লাহর বিধান সমূহ বাস্তবায়ন করা ও তার বিপরীত বিধান সমূহ পরিত্যাগ করা, ইমাম মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব: তাঁর দাওয়াত ও চরিত্র, সফর ও হিজাবের বিধান, ছালাত বিষয়ে (একত্রে) তিনটি পুস্তিকা, কুরআন ও রাসূল (ছাঃ)-এর সমালোচনাকারীদের বিষয়ে ইসলামের বিধান, আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নিকট সাহায্যপ্রার্থীর বিষয়ে শরী‘আতের বিধান, জাদুকর ও গনৎকারদের সত্যতা, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ, সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরার অপরিহার্যতা ও বিদ‘আত হ’তে দূরে থাকা, আরব জাতীয়তাবাদের সমালোচনা ইত্যাদি। আল্লাহ তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসে স্থান দান করুন- আমীন! -অনুবাদক
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন