hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

বৈধ ও অবৈধ অসীলা- আব্দুল আযীয ইবন আব্দুল্লাহ আল জুহানী

লেখকঃ আব্দুল আযীয ইবন আব্দুল্লাহ আল জুহানী

শরী‘আহসম্মত অসীলা
আর তা হলো, আল্লাহ তা‘আলার সত্ত্বার অসীলা করা। যেমন তোমার বলা ‘হে আল্লাহ’ অথবা তাঁর যে কোনো নাম যেমন তুমি বলবে ‘হে রহমান, হে রাহীম, ও চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী’ অথবা তাঁর যে কোনো গুণবাচক নাম, যেমন তুমি বলবে ‘হে আল্লাহ তোমার রহমত দ্বারা আমি সাহায্য প্রার্থনা করি’ অথবা জীবিত সৎ ব্যক্তির দো‘আর মাধ্যমে আহ্বান করা, যেমন তুমি বলবে ‘শায়খ! আমার জন্য আল্লাহর নিকট দো‘আ করুন’। যেমন সাহাবা রাদিয়াল্লাহু আনহুম বৃষ্টির জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অসীলা করেছেন। গুহাবাসীগণের কাহিনীতে সৎকর্মের দ্বারা অসীলা করা হয়েছে, যাদের ওপর পাথর চেপে বসেছিল। অতঃপর তারা আল্লাহ তা‘আলার নিকট তাদের সৎকর্ম দ্বারা প্রার্থনা করেছেন, ফলে আল্লাহ তাদের থেকে তা দূর করে দিয়েছেন এবং তারা হেঁটে বের হয়েছিল।

এক্ষেত্রে তুমি বলবে, হে আল্লাহ আমি তোমার কাছে তোমার নবীর ভালোবাসা, তোমার একত্ববাদে ও তোমার আনুগত্য ও তোমার রাসূলের মাধ্যমে চাচ্ছি যে, তুমি আমাকে অমুক অমুক ব্যবস্থা করে দাও।

কিন্তু নবীর সত্ত্বা ও ওলীর সত্ত্বা অথবা আল্লাহর কোনো অংশের সত্ত্বার মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলার কাছে তোমাদের চাওয়া এমন এক বিদ‘আত যা শির্কের দিকে ধাবিত করে। ফলে তা হারাম যদিও তা শির্কের পর্যায় না পৌঁছে। কেননা এখানে প্রার্থনাকারী এক আল্লাহর কাছে চেয়েছে। পক্ষান্তরে মৃত অথবা অনুপস্থিত কোনো ব্যক্তির নিকট তোমার সরাসরি কোনো কিছু চাওয়া বড় শির্ক।

আর পবিত্র আল্লাহ তার বান্দাদেরকে একমাত্র তার কাছে চাইতে নির্দেশ দিয়েছেন। তারা তিনি ব্যতীত অন্যের কাছে চাইবে না, তিনি তাদের প্রার্থনা কবুল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যদিও তা কিছু সময় অতিবাহিত হবার পর হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌۖ أُجِيبُ دَعۡوَةَ ٱلدَّاعِ إِذَا دَعَانِۖ فَلۡيَسۡتَجِيبُواْ لِي وَلۡيُؤۡمِنُواْ بِي لَعَلَّهُمۡ يَرۡشُدُونَ ١٨٦﴾ [ البقرة : ١٨٦ ]

“আর যখন আমার বান্দাগণ তোমাকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে, আমি তো নিকটবর্তী। আমি আহ্বানকারীর ডাকে সাড়া দেই, যখন সে আমাকে ডাকে। সুতরাং তারা যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় এবং আমার প্রতি ঈমান আনে। আশা করা যায় তারা সঠিক পথে চলবে।” [সূরা আল-বাকারাহ, আযাত: ১৮৬]

﴿ٱدۡعُونِي أَسۡتَجِبۡ لَكُمۡۚ ٦٠﴾ [ غافر : ٦٠ ]

“তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের জন্য সাড়া দেবো।” [সূরা গাফির, আয়াত: ৬০]

আরো নিদের্শ দিয়েছেন যে, আমরা যেন তিনি ব্যতীত আর কারো কাছে সাহায্য প্রার্থনা না করি। অতএব, আমরা প্রত্যেক রাকা‘আতে বলি ‘‘আমরা একমাত্র তোমারই কাছে প্রার্থনা করি এবং তোমারই সাহায্য চাই।’’

এতদসত্ত্বেও তুমি অনেক সালাত আদায়কারীকে দেখতে পাবে তাদের কোনো উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে কবরসমূহ ও মাযারের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে। অথচ আল্লাহ তা‘আলা তাৎক্ষনিকভাবে তাদের প্রার্থনার জবাব দিতে সক্ষম; কিন্তু বান্দাকে পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের জন্যই তিনি কবূল করতে দেরী করে থাকেন। আল্লাহ তা‘আলার হেকমত হচ্ছে, তিনি বান্দাদের পরীক্ষা করতে চান। ফলে অধিকাংশ সময়ে চাওয়া ব্যক্তির জবাব বিলম্বিত হওয়ার উদ্দেশ্য হলো যেন তার সততা সম্পর্কে জানা যায়। তিনি যদি সত্য হন তবে অনেক কঠিন পরিস্থিতিতে অবিচল থাকবেন। অতএব, তিনি আল্লাহ ব্যতীত কারো দিকে ধাবিত হবেন না। তিনি ব্যতীত কারো নিকট কোনো কিছু যাচ্ঞা করবেন না। যদিও তার মাথার উপর পাহাড় চাপিয়ে দেওয়া হয় অথবা তার জন্য জমিন বিদীর্ণ করা হয় যেন তাকে গিলে ফেলে। আর এটা হলো আল্লাহ তা‘আলার বিষয়ে সর্বোচ্চ দৃঢ়তা, শক্তিশালী সাহায্য প্রার্থনা ও তার ওপর ভরসা করা। সুতরাং তার দো‘আ কবুল হওয়ার বেশি উপযোগী।

অনুরূপ আরেকজনকে দেখবে সে ফিতনা-পরীক্ষায় নিপতিত। পরীক্ষার সময়ে তার ঈমান দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সে আল্লাহ তা‘আলার সাহায্যের দিকে ধাবিত হয় না। তখন শয়তান তার নিকট তার প্রয়োজন পূরণে মাযার ও কবরসমূহকে সুসজ্জিত করে তুলে; যেন সে তাকে দীন থেকে বের করে নিয়ে যেতে পারে এবং সে তার শপথের পূর্ণতা দিতে পারে, যে শপথ সে নিজের ওপর গ্রহণ করে বলেছিল,

﴿قَالَ فَبِعِزَّتِكَ لَأُغۡوِيَنَّهُمۡ أَجۡمَعِينَ ٨٢ إِلَّا عِبَادَكَ مِنۡهُمُ ٱلۡمُخۡلَصِينَ ٨٣﴾ [ص: ٨٢، ٨٣ ]

“সে বলল, আপনার ইজ্জতের কসম, আমি তাদের সকলকেই বিপথগামী করে ছাড়ব। তাদের মধ্য থেকে আপনার একনিষ্ঠ বান্দারা ছাড়া।” [সূরা সাদ, আয়াত: ৮২-৮৩]

আর আল্লাহ তা‘আলা যে বান্দাকে পরীক্ষা করার ইচ্ছা করেন তার সত্যতা হচ্ছে আল্লাহর বাণীতে, তিনি বলেন,

﴿أَحَسِبَ ٱلنَّاسُ أَن يُتۡرَكُوٓاْ أَن يَقُولُوٓاْ ءَامَنَّا وَهُمۡ لَا يُفۡتَنُونَ ٢ وَلَقَدۡ فَتَنَّا ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِهِمۡۖ فَلَيَعۡلَمَنَّ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ صَدَقُواْ وَلَيَعۡلَمَنَّ ٱلۡكَٰذِبِينَ ٣﴾ [ العنكبوت : ٢، ٣ ]

“মানুষ কি মনে করে যে, ‘আমরা ঈমান এনেছি’ বললেই ছেড়ে দেওয়া হবে আর তাদের পরীক্ষা করা হবে না? আর আমি তো তাদের পূর্ববর্তীদের পরীক্ষা করেছি। ফলে আল্লাহ অবশ্যই জেনে নেবেন যে, কারা সত্য বলে এবং অবশ্যই তিনি জেনে নেবেন, কারা মিথ্যাবাদী।” [সূরা আল-‘আনকাবূত, আয়াত: ২-৩]

অনুরূপভাবে মহান আল্লাহ আরও বলেন,

﴿أَوَلَا يَرَوۡنَ أَنَّهُمۡ يُفۡتَنُونَ فِي كُلِّ عَامٖ مَّرَّةً أَوۡ مَرَّتَيۡنِ ثُمَّ لَا يَتُوبُونَ وَلَا هُمۡ يَذَّكَّرُونَ ١٢٦﴾ [ التوبة : ١٢٦ ]

“তারা কি দেখে না যে, তারা প্রতি বছর একবার কিংবা দু’বার বিপথগ্রস্ত হয়? এর পরও তারা তাওবা করে না এবং উপদেশ গ্রহণ করে না।” [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ১২৬]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন