HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তওহীদের তত্ত্বকথা

লেখকঃ সানাউল্লাহ বিন নজির আহমদ

মোদ্দা কথা :
আমরা যদি তাওহীদের এ শিক্ষার উপর আমল করি, তবে আমরা আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে পুরস্কৃত হব। লক্ষ্য করব তিনি আমাদের বিভিন্নভাবে সম্মানিত করছেন। আল্লাহ স্বীয় বান্দার আহবানে খুশি হন। মানুষ অন্যের যাঞ্চনায় বিরক্তি বোধ করে। কারণ, সে নিজের কমতি, ঘাটতি ও দৈন্যতা সম্পর্কে খুব ভাল করে জ্ঞান রাখে।

ইবনে তাইমিয়াহ (রহ.) বলেন : ‘‘তুমি যে বিষয়ে আল্লাহর শরণাপন্ন, আল্লাহ সে বিষয়ে অভাবশূন্য। তুমি যে বিষয়ে মানুষের শরণাপন্ন, মানুষ সে বিষয়ে মুখাপেক্ষী। এতদ্ব্যতীত তারা তোমার উপকার-অপকার বুঝারও ক্ষমতা রাখে না। অধিকন্তু তারা নিজেদের কল্যাণ ও জরুরত সম্পর্কেও অজ্ঞ। অতএব যে নিজের ভাল মন্দের জ্ঞান রাখে না, সে অন্যের ভাল মন্দের জ্ঞান কীভাবে রাখবে?’’ [মাজমূউল ফাতাওয়া]

মানুষ যত বেশি আল্লাহর নিকট প্রার্থনার অভ্যাস গড়ে তুলবে, তত বেশি তাদের ঈমান ও তাওহীদের দ্বারসমূহ উন্মুক্ত হতে থাকবে, সীরকের দ্বার সমূহ রুদ্ধ হতে থাকবে।

মানুষ যত বেশি মাখলুকের নিকট প্রার্থনা করার অভ্যাস গড়ে তুলবে, তত বেশি তার নিকট শিরকের দ্বারসমূহ খুলতে থাকবে, তওহীদের দ্বারসমূহ রুদ্ধ হতে থাকবে। সুতরাং আমাদের নিকট স্পষ্ট হল যে, আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা তাওহীদের অংশ, যেমন মানুষের নিকট প্রার্থনা শিরকের অংশ। এটি অনন্য বৈশিষ্ট্য মন্ডিত ইসলামের একটি মূলনীতিও বটে। এর উপর উলামায়ে ইসলামের বিশেষ দৃষ্টিও আকৃষ্ট হয়েছে। তারা এর উপর ভিত্তিকরে অনেক ফিকহী মাসআলার ভিত নির্মাণ করেছেন।

যেমন তারা বলেছেন, কারো দান দাক্ষিণ্যে হজ্জ ফরয হয় না। সুতরাং যে ব্যক্তি ভ্রমণ ব্যয় ও যানবাহন খরচে অক্ষম, তার হজ্জ সম্পাদন করার জন্য অনুদান গ্রহণ করা জরুরি নয়। যদিও এটা তার ফরয হজ্জ হয়। যেন সে মানুষের করুণা মুক্ত থাকতে পারে।

ইমাম ইবনে তাইমিয়াহ রহ. বলেন:

فإن كان قادرا على تحصيله بصنعة أو هبة أو وصية أو مسألة أو أخذ من صدقة أو بيت المال لم يجب عليه ذلك . شرح العمدة 1/131

‘‘যে ব্যক্তি কোন পেশা, অনুদান, ওসিয়ত, ভিক্ষা, সদকা অথবা রাষ্ট্রীয় কোষাগার হতে অনুদান গ্রহণ করে হজ্জের সক্ষম হয়, তার উপর হজ্জ ফরয নয়।’’ [শারহুল উমদাহ]

তদ্রুপ অনুদান গ্রহণ করা জরুরি নয় ঐ ব্যক্তির জন্য যে, সালাতে সতর ঢাকতে সক্ষম নয়। যদিও সতর ঢাকা সালাতের শর্ত।

রাউদুল মুরবি’ গ্রন্থে আছে : যদি কেউ তাকে আচ্ছাদন ধার দেয়, তবে তা কবুল করা জরুরি। কারণ, সে চাওয়ার ন্যায় ঘৃণ্য কাজ করা ছাড়াই লজ্জাস্থান ঢাকার কাপড় পেয়ে গেছে। এটা অনুদান গ্রহণের বিপরীত। তবে তার নিজ ইচ্ছায় কারো থেকে ধার চাওয়া জরুরি নয়।’’ [শারহুল উমদাহ]

পূর্বের আলোচনার উপর ভিত্তি করে ইবনে তাইমিয়াহ রহ. বলেন :

سؤال الخلق في الأصل محرم، لكنه أبيح للضرورة، وتركه توكلا على الله-تعالى- أفضل . الفتاوى 1/181

‘‘ মাখলুকের নিকট চাওয়া ও প্রার্থনা করা মূলত: হারাম। বিশেষ প্রয়োজনে তা বৈধ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা করে তা পরিহার করা উত্তম।’’ [মাজমাউল ফাতাওয়া]

এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি মূলনীতি যে মাখলুকের নিকট চাওয়া হারাম। তবে যেহেতু কিছু প্রয়োজন আছে যা পরস্পর চাওয়া-পাওয়া ছাড়া পূর্ণ হয় না, তাই এটা আল্লাহ বৈধ রেখেছেন। যাতে আপোশ সহযোগিতা, মহববত ও দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধি পায়। তবে এ শর্তে যে, সীমা-লঙ্ঘন করা যাবে না এবং এটাকে অভ্যাসে পরিণত করা যাবে না। অর্থাৎ ভাল-মন্দ, প্রয়োজন-অপ্রয়োজন বিবেচনা ব্যতিরেকে প্রত্যেক জিনিস প্রার্থনা করা যাবে না। আর যখন বাধ্য হয়ে প্রার্থনা করবে, তখন জরুরি হবে সে অনুপাতে প্রতিদান দেয়া। বরং তার চেয়ে উত্তম প্রতিদান দিতে চেষ্টা করা। যদি অক্ষমতার কারণে প্রতিদান দিতে সক্ষম না হয়, তবে তার জন্য দু‘আ করা।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন :

من صنع إليكم معروفا فكافئوه، فإن لم تجدوا ما تكافئونه به فادعوا له، حتى تروا أنكم قد كافأتموه . رواه أبوداود في الزكاة، باب : عطية من سأل الله .

‘‘যে তোমাকে কোন উপকার করল, তাকে তার প্রতিদান প্রদান কর। যদি তুমি তাকে বিনিময় দিতে অপারগ হও, তবে তার জন্য খুব দু‘আ কর, যতক্ষণ না তোমার মন বলবে, তুমি তার ঋণ শোধ করে দিয়েছ।’’ [আবুদাউদ]

দুঃখ জনক ভাবে অবহেলিত, স্পর্শকাতর ও নাজাতের অত্র বিষয়টি সম্পর্কে এ উপস্থাপনার পর আমাদের সামনে আর কোন অজুহাত বাকি রইল নাযার দোহাই দিয়ে আমরা এ শিক্ষা পরিত্যাগ করব কিংবা অন্য কোন পথ অবলম্বন করব।

অতএব আমরা আমাদেরকে এবং আমাদের সন্তানদের এ শিক্ষা ও নীতির উপর লালন করব। অন্য সবাইকে এর জন্য আহবান করব। অর্থাৎ আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করব, মাখলুক তথা সৃষ্টি জীবের নিকট প্রার্থনা পরিহার করব।

আমার বিশ্বাস : আমরা যদি পঠন-পাঠন, দাওয়াত ও অন্তঃকরণ ইত্যাদির মাধ্যমে এ শিক্ষা গ্রহণ করি। প্রত্যেক সুযোগ ও প্রতি জলসায় এর আলোচনা করি, যেমনটি ছিল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পবিত্র অভ্যাস, তবে আমরা লক্ষ্য করব যে, এ পার্থিব জগতের অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। ছোট সমস্যা কিংবা বড় , ছোট গুনাহ কিংবা বড় গুনাহ, সগিরা কিংবা কবিরা কিংবা শিরক সহ সব সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি নিঃশেষ হবে আমাদের বিচ্যুতিসমূহ ও নিরসন হবে ভ্রান্তিগুলোর। আমাদের জীবনের প্রতিটি অধ্যায় সুন্দর ও মসৃণ হবে। যেমন সুন্দর ছিল সাহবায়ে কেরাম ও নেককার লোকদের জীবন। সুতরাং আমাদের প্রয়োজন প্রতিটি ক্ষেত্রে, প্রত্যেক মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ এ মূলনীতিটি প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন করা।

সমাপ্ত

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন