HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
মেহমানের মেহমানদারি
লেখকঃ জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের
৮
মেহমানের জন্য করণীয় আদাব:এক- কারো বাড়িতে মেহমান হলে খাওয়ার সময়কে বেছে নেবে না। কারণ, এতে মানুষের কষ্ট হয়। তারা তো তার জন্য খাবার পাক করে রেখে দেয় নি, তবে যদি আগের থেকে জানা থাকে তাবে তাতে কোনো অসুবিধা নেই। সুতরাং এমনভাবে মেহমান হবে, যাতে তারা তার জন্য রানা করে খাওয়ারের ব্যবস্থা করতে পারে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَدۡخُلُواْ بُيُوتَ ٱلنَّبِيِّ إِلَّآ أَن يُؤۡذَنَ لَكُمۡ إِلَىٰ طَعَامٍ غَيۡرَ نَٰظِرِينَ إِنَىٰهُ وَلَٰكِنۡ إِذَا دُعِيتُمۡ فَٱدۡخُلُواْ فَإِذَا طَعِمۡتُمۡ فَٱنتَشِرُواْ وَلَا مُسۡتَٔۡنِسِينَ لِحَدِيثٍۚ ٥٣﴾ [ الاحزاب : ٥٣ ]
“হে মুমিনগণ, তোমরা নবীর ঘরসমূহে প্রবেশ করো না; অবশ্য যদি তোমাদেরকে খাবারের অনুমতি দেওয়া হয় তাহলে (প্রবেশ কর) খাবারের প্রস্তুতির জন্য অপেক্ষা না করে। আর যখন তোমাদেরকে ডাকা হবে তখন তোমরা প্রবেশ কর এবং খাবার শেষ হলে চলে যাও আর কথাবার্তায় লিপ্ত হয়ো না”। [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৫৩]
দুই- কারো বাড়িতে মেহমান হলে, তাদের অবস্থার প্রতি সুক্ষ্ম দৃষ্টি রাখবে। তারা যদি কোনো কিছু খেতে বলে, তখন যদি সত্যিকার অর্থে খেতে বলছে নাকি লজ্জায় খেতে বলছে, তা বুঝার চেষ্টা করবে। যদি লজ্জায় বলে, তখন খাবে না বরং খাওয়া থেকে বিরত থাকবে।
তিন- নির্দিষ্ট কোনো খাদ্যের চাহিদা প্রকাশ করবে না। তারা যা ব্যবস্থা করবে, তাই খেয়ে আসবে। যদি দু’টি খাদ্যের যে কোনো একটি পছন্দ করতে বলে তখন যেটি সহজ সেটি গ্রহণ করবে। দাওয়াতে গিয়ে খাওয়াটাকেই বড় মনে করবে না। আল্লাহর রাসূলের সুন্নত পালন করার নিয়ত করবে।
চার- খাওয়ার জন্য কোনো খাওয়ার সামনে পেশ করলে, তাকে তুচ্ছ করবে না। সীমিত খাওয়ার গ্রহণ করবে অধিক পরিমাণে খাবে না।
পাঁচ- বাড়ি ওয়ালার নিকট কোনো কিছু চাইবে না। প্রয়োজন হলে কিবলা সম্পর্কে এবং পোশাবখানা ও পায়খানা সম্পর্কে জানতে চাইবে।
ছয়- ভালো জায়গায় বসার চেষ্টা করবে না, বরং বাড়ী ওয়ালা যেখানে বসতে বলে সেখানে বসে যাবে। তার ব্যবস্থার বাইবে যাবে না।
সাত- খুব বিনয় ও নম্র-ভদ্র হয়ে থাকবে। বাড়ীর লোকের অসুবিধা হয় এমন কোনো কাজ করবে না এবং তাকে বিপাকে ফেলবে না। কারণ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ধরনের কর্ম থেকে নিষেধ করেছেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,
«لا يحل لمسلم ، أن يقيم عند أخيه حتى يؤثمه ( أى يحرجه ) قالوا : يا رسول الله ! وكيف يؤثمه ؟ قال : يقيم عنده ولا شئ له يقربه به» .
“কোনো মুসলিম ভাইয়ের জন্য এটা হালাল নয় যে, সে তার অপর ভাইয়ের নিকট অবস্থান করবে এবং তাকে বিপাকে ফেলবে। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল, তাকে কীভাবে বিপাকে ফেলবে? তিনি বললেন, “তার নিকট অবস্থান করতে থাকবে অথচ তার ঘরে তাকে মেহমানদারি করার মত কিছুই নেই”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৩৫৩/৩]
আট- রান্না ঘর বা খাওয়ার যেখানে তৈরি করে, সেখানে গিয়ে ঘুর ঘুর করবে না। খাওয়ার দিক তাকাবে না এবং বাড়ির বেগানা মেয়েদের প্রতি দেখবে না। মাথাকে অবনত রাখবে এবং চোখের হেফাযত করবে।
নয়- যদি কোনো খারাপ কর্ম বা কু-সংস্কার পরিলক্ষিত হয়, সম্ভব হলে তা বিনয়ের সাথে সংশোধন করবে। অন্যথায় মুখে বলে চলে আসবে। বাড়াবাড়ি করবে না।
দশ- খাওয়ার পর বাড়ী ওয়ালার জন্য দো‘আ করবে। আমাদের মনীষীরা দো‘আ করতেন। তারা বলতেন,
«اللهم إن كان هذا الطعام حلالا فوسع على صاحبه وأجزه خيرا، وإن كان حراما أو شبهة فاغفر لى وله وارض عن أصحاب التبعات يوم القيامة برحمتك يا أرحم الراحمين» .
“হে আল্লাহ যদি এ খাদ্যগুলো হালাল হয়ে থাকে, তাহলে তার আরও প্রশস্ত করে দাও এবং তাকে তুমি উত্তম বিনিময় দান কর, আর যদি হারাম বা সন্দেহযুক্ত হয়, তাহলে তুমি আমাকে এবং তাকে ক্ষমা করে দাও। কিয়ামতের দিন তুমি অনুসারী সাথীদের প্রতি সন্তুষ্ট হও। আমরা তোমার নিকট তোমার রহমত কামনা করি। হে পরম দয়ালু মেহেরবান”।
এগার- যার বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেলে তার জন্য বিশেষ দো‘আ করবে এবং বলবে,
«أكل طعامك الأبرار وأفطر عندكم الصائمون وصلت عليكم الملائكة الاخيار ، وذكركم الله فيمن عنده» .
“তোমার খাবার নেককার বান্দারা খেয়েছে, তোমার নিকট সাওম পালনকারীগণ ইফতার করেছে, আল্লাহর পছন্দনীয় ফিরিশতারা তোমার জন্য রহমত কামনা করছে এবং আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কাছের ফিরিশতাদের মধ্যে তোমার আলোচনা করেছে”।
বার- কারো বাড়িতে প্রতিদিন মেহমান হবে না। অনেক দিন পর পর মেহমান হবে, তাতে মহব্বত বাড়বে। কারণ, আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«زر غبا تزدد حُبا»
“কিছু দিন পর পর দেখতে আস, তাতে মহব্বত বাড়বে”। [ইবন আবিদ দুনিয়া, হাদীস নং ১৫৬, ১০৪।]
তের- কারো বাড়িতে তিন দিনের বেশি অবস্থান করবে না।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«الضِّيَافَةُ ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ، فَمَا زَادَ فَهُوَ صَدَقَةٌ»
“মেহমানদারি তিন দিন। তিন দিনের বেশি মেহমানদারি করা সদকা”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৬৮৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২১৫; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৩৪৪৭।]
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَدۡخُلُواْ بُيُوتَ ٱلنَّبِيِّ إِلَّآ أَن يُؤۡذَنَ لَكُمۡ إِلَىٰ طَعَامٍ غَيۡرَ نَٰظِرِينَ إِنَىٰهُ وَلَٰكِنۡ إِذَا دُعِيتُمۡ فَٱدۡخُلُواْ فَإِذَا طَعِمۡتُمۡ فَٱنتَشِرُواْ وَلَا مُسۡتَٔۡنِسِينَ لِحَدِيثٍۚ ٥٣﴾ [ الاحزاب : ٥٣ ]
“হে মুমিনগণ, তোমরা নবীর ঘরসমূহে প্রবেশ করো না; অবশ্য যদি তোমাদেরকে খাবারের অনুমতি দেওয়া হয় তাহলে (প্রবেশ কর) খাবারের প্রস্তুতির জন্য অপেক্ষা না করে। আর যখন তোমাদেরকে ডাকা হবে তখন তোমরা প্রবেশ কর এবং খাবার শেষ হলে চলে যাও আর কথাবার্তায় লিপ্ত হয়ো না”। [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৫৩]
দুই- কারো বাড়িতে মেহমান হলে, তাদের অবস্থার প্রতি সুক্ষ্ম দৃষ্টি রাখবে। তারা যদি কোনো কিছু খেতে বলে, তখন যদি সত্যিকার অর্থে খেতে বলছে নাকি লজ্জায় খেতে বলছে, তা বুঝার চেষ্টা করবে। যদি লজ্জায় বলে, তখন খাবে না বরং খাওয়া থেকে বিরত থাকবে।
তিন- নির্দিষ্ট কোনো খাদ্যের চাহিদা প্রকাশ করবে না। তারা যা ব্যবস্থা করবে, তাই খেয়ে আসবে। যদি দু’টি খাদ্যের যে কোনো একটি পছন্দ করতে বলে তখন যেটি সহজ সেটি গ্রহণ করবে। দাওয়াতে গিয়ে খাওয়াটাকেই বড় মনে করবে না। আল্লাহর রাসূলের সুন্নত পালন করার নিয়ত করবে।
চার- খাওয়ার জন্য কোনো খাওয়ার সামনে পেশ করলে, তাকে তুচ্ছ করবে না। সীমিত খাওয়ার গ্রহণ করবে অধিক পরিমাণে খাবে না।
পাঁচ- বাড়ি ওয়ালার নিকট কোনো কিছু চাইবে না। প্রয়োজন হলে কিবলা সম্পর্কে এবং পোশাবখানা ও পায়খানা সম্পর্কে জানতে চাইবে।
ছয়- ভালো জায়গায় বসার চেষ্টা করবে না, বরং বাড়ী ওয়ালা যেখানে বসতে বলে সেখানে বসে যাবে। তার ব্যবস্থার বাইবে যাবে না।
সাত- খুব বিনয় ও নম্র-ভদ্র হয়ে থাকবে। বাড়ীর লোকের অসুবিধা হয় এমন কোনো কাজ করবে না এবং তাকে বিপাকে ফেলবে না। কারণ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ধরনের কর্ম থেকে নিষেধ করেছেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,
«لا يحل لمسلم ، أن يقيم عند أخيه حتى يؤثمه ( أى يحرجه ) قالوا : يا رسول الله ! وكيف يؤثمه ؟ قال : يقيم عنده ولا شئ له يقربه به» .
“কোনো মুসলিম ভাইয়ের জন্য এটা হালাল নয় যে, সে তার অপর ভাইয়ের নিকট অবস্থান করবে এবং তাকে বিপাকে ফেলবে। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল, তাকে কীভাবে বিপাকে ফেলবে? তিনি বললেন, “তার নিকট অবস্থান করতে থাকবে অথচ তার ঘরে তাকে মেহমানদারি করার মত কিছুই নেই”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৩৫৩/৩]
আট- রান্না ঘর বা খাওয়ার যেখানে তৈরি করে, সেখানে গিয়ে ঘুর ঘুর করবে না। খাওয়ার দিক তাকাবে না এবং বাড়ির বেগানা মেয়েদের প্রতি দেখবে না। মাথাকে অবনত রাখবে এবং চোখের হেফাযত করবে।
নয়- যদি কোনো খারাপ কর্ম বা কু-সংস্কার পরিলক্ষিত হয়, সম্ভব হলে তা বিনয়ের সাথে সংশোধন করবে। অন্যথায় মুখে বলে চলে আসবে। বাড়াবাড়ি করবে না।
দশ- খাওয়ার পর বাড়ী ওয়ালার জন্য দো‘আ করবে। আমাদের মনীষীরা দো‘আ করতেন। তারা বলতেন,
«اللهم إن كان هذا الطعام حلالا فوسع على صاحبه وأجزه خيرا، وإن كان حراما أو شبهة فاغفر لى وله وارض عن أصحاب التبعات يوم القيامة برحمتك يا أرحم الراحمين» .
“হে আল্লাহ যদি এ খাদ্যগুলো হালাল হয়ে থাকে, তাহলে তার আরও প্রশস্ত করে দাও এবং তাকে তুমি উত্তম বিনিময় দান কর, আর যদি হারাম বা সন্দেহযুক্ত হয়, তাহলে তুমি আমাকে এবং তাকে ক্ষমা করে দাও। কিয়ামতের দিন তুমি অনুসারী সাথীদের প্রতি সন্তুষ্ট হও। আমরা তোমার নিকট তোমার রহমত কামনা করি। হে পরম দয়ালু মেহেরবান”।
এগার- যার বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেলে তার জন্য বিশেষ দো‘আ করবে এবং বলবে,
«أكل طعامك الأبرار وأفطر عندكم الصائمون وصلت عليكم الملائكة الاخيار ، وذكركم الله فيمن عنده» .
“তোমার খাবার নেককার বান্দারা খেয়েছে, তোমার নিকট সাওম পালনকারীগণ ইফতার করেছে, আল্লাহর পছন্দনীয় ফিরিশতারা তোমার জন্য রহমত কামনা করছে এবং আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কাছের ফিরিশতাদের মধ্যে তোমার আলোচনা করেছে”।
বার- কারো বাড়িতে প্রতিদিন মেহমান হবে না। অনেক দিন পর পর মেহমান হবে, তাতে মহব্বত বাড়বে। কারণ, আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«زر غبا تزدد حُبا»
“কিছু দিন পর পর দেখতে আস, তাতে মহব্বত বাড়বে”। [ইবন আবিদ দুনিয়া, হাদীস নং ১৫৬, ১০৪।]
তের- কারো বাড়িতে তিন দিনের বেশি অবস্থান করবে না।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«الضِّيَافَةُ ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ، فَمَا زَادَ فَهُوَ صَدَقَةٌ»
“মেহমানদারি তিন দিন। তিন দিনের বেশি মেহমানদারি করা সদকা”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৬৮৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২১৫; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৩৪৪৭।]
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন