১
কিতাবের নাম/ লেখক/ অনুবাদক/ সম্পাদক
২
ভূমিকা
৩
প্রশ্ন-১ : মাননীয় শায়েখ! আমরা একটি ছোট পুস্তিকায় একটি হাদীছ পাঠ করেছি। যেখানে বলা হয়েছে, خُذْ مِنَ الْقُرْآنِ مَا شِئْتَ لِمَا شِئْتَ ‘তুমি কুরআন থেকে নাও যা তুমি চাও, যেজন্য চাও’। এ হাদীছটা কি ছহীহ? আমাদেরকে বুঝিয়ে বলুন! আল্লাহ আপনাকে উত্তম পুরস্কারে ভূষিত করুন!
৪
প্রশ্ন-২ : জনাব! আহলে কুরআন (অর্থাৎ যারা কেবল কুরআন মানার দাবী করে, হাদীছ মানে না) যুক্তি দেয় যে, আল্লাহ বলেছেন, وَكُلَّ شَىْءٍ فَصَّلْنَاهُ تَفْصِيْلاً ‘প্রত্যেক বিষয় আমরা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছি’ (ইসরা ১৭/১২)। তিনি আরও বলেন, وَمَا فَرَّطْنَا فِى الْكِتَابِ مِنْ شَيْئٍ ‘আমরা এই কিতাবে কোন কিছুই লিখতে ছাড়িনি’ (আন‘আম ৬/৩৮)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, إِنَّ هذا القرآنَ طَرفُه بيد اللهِ وطرفُه بِأَيدِيْكم، فَتَمَسَّكُوْا بِهِ، فَإِنَّكُمْ لَنْ تَضِلُّوا وَلَنْ تَهْلِكُوْا بَعْدَهُ أَبَدًا- আঁকড়ে ধর। কেননা তোমরা এরপরে আর পথভ্রষ্ট হবে না এবং কখনোই ধ্বংস হবে না’।[1] আপনার পর্যালোচনা কামনা করছি।
৫
প্রশ্ন-৩ : অনেকে বলেন, হাদীছ যখন কুরআনের কোন আয়াতের বিরোধী হবে, তখন সে হাদীছ অগ্রাহ্য হবে, যতই তা বিশুদ্ধ হৌক না কেন। যেমন একটি হাদীছে এসেছে, إنَّ الْمَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ ‘পরিবারবর্গের ক্রন্দনে কবরে মাইয়েতের উপরে আযাব হয়’।[1] হাদীছটির প্রতিবাদে হযরত আয়েশা (রাঃ) কুরআনের আয়াত পেশ করেছেন, وَلاَ تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى ‘একের বোঝা অন্যে বইবে না’।[2] এক্ষণে এর জওয়াবে কি বলা যাবে?
৬
প্রশ্ন-৪ : যখন পবিত্র কুরআনের ক্যাসেট চালু থাকে, তখন যদি সেখানে উপস্থিত কোন লোক অন্য কথায় মশগুল থাকার কারণে কুরআন শোনার প্রতি মনোযোগ না দেয়, তাহ’লে এই না শোনার হুকুম কি? যিনি শুনছেন না তিনি গোনাহগার হবেন, না যিনি ক্যাসেট চালু রেখেছেন তিনি দায়ী হবেন?
৭
প্রশ্ন-৫ : আল্লাহ পাক নিজের সম্পর্কে বলেছেন, وَمَكَرُوْا وَمَكَرَ اللهُ وَاللهُ خَيْرُ الْمَاكِرِيْنَ- ‘তারা কৌশল করে, আল্লাহও কৌশল করেন। বস্ত্ততঃ আল্লাহ শ্রেষ্ঠ কৌশলকারী’- এ আয়াতের প্রকাশ্য বক্তব্য দেখে অনেকে এর মূল অর্থ বুঝতে সক্ষম হয় না। আর আমরা যেহেতু কোনরূপ তাবীলের প্রয়োজন বোধ করি না। অতএব কিভাবে আল্লাহ خَيْرُ الْمَاكِرِيْنَ হ’লেন?
৮
প্রশ্ন-৬ : নিম্নের দু’টি আয়াতের মধ্যে আমরা কিভাবে সামঞ্জস্য বিধান করতে পারি? যেমন আল্লাহ বলেন, وَمَن يَّبْتَغِ غَيْرَ الإِسْلاَمِ دِيناً فَلَن يُّقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ- ‘যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য দ্বীন তালাশ করে, কখনোই তা কবুল করা হবে না’... (আলে ইমরান ৩/৮৫)। এবং অন্যত্র আল্লাহ বলেন, إِنَّ الَّذِيْنَ آمَنُواْ وَالَّذِيْنَ هَادُواْ وَالصَّابِؤُوْنَ وَالنَّصَارَى مَنْ آمَنَ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وعَمِلَ صَالِحاً فَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُوْنَ- ‘নিশ্চয়ই মুসলমান, ইহুদী, ছাবেঈ ও নাছারাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের উপরে বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তান্বিত হবে না’ (মায়েদাহ ৫/৬৯)।
৯
প্রশ্ন-৭ : আল্লাহ বলেন, وَجَعَلْنَا عَلَى قُلُوْبِهِمْ أَكِنَّةً أَن يَّفْقَهُوْهُ وَفِيْ آذَانِهِمْ وَقْراً ‘আমরা তাদের অন্তরের উপর আবরণ টেনে দিয়েছি যাতে ওরা কুরআন বুঝতে না পারে এবং ওদের কানে বধিরতা এঁটে দিয়েছি’... (আন‘আম ৬/২৫; কাহ্ফ ১৮/৫৭)। অনেকে এ আয়াতের মধ্যে জাবরিয়া মতবাদের গন্ধ পান। এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি?
১০
প্রশ্ন-৮ : কুরআনে চুম্বন দেওয়ার হুকুম কি?
১১
প্রশ্ন-৯ : আমাদের উপরে কুরআনুল কারীমের তাফসীর কিভাবে করা ওয়াজিব?