মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
সুফীদের যে সমস্ত ইসলাম বিরোধী আকীদাহ রয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্টি আকীদাহ (বিশ্বাস) হচ্ছে, عقيدة الحلول والاتحاد আকীদাতুল হুলুল ওয়াল ইত্তেহাদ।
সুফীদের কতিপয় লোক হুলুল তথা সৃষ্টির মধ্যে আল্লাহর অবতরণে বিশ্বাস করে। হুলুল-এর সংজ্ঞায় আলেমগণ বলেনঃ
أما الحلول فمعناه ( عند الصوفية ) أن الله يحل في بعض مخلوقاته ويتحد معهاكاعتقاد النصارى حلوله في المسيح عيسى ابن مريم واعتقاد بعض الناس حلوله في الحلاج وفي بعض مشايخ الصوفية
হুলুল এর তাৎপর্য হচ্ছে, আল্লাহ তাআলা তাঁর কতিপয় সৃষ্টির মধ্যে অবতরণ করেন এবং তার সাথে মিশে একাকার হয়ে যান। যেমন খৃষ্টানদের ধারণা যে, ঈসা ইবনে মারইয়ামের মাধ্যমে ¯^qs আল্লাহ অবতরণ করেছিলেন। সুফীদের কতিপয় লোকের বিশ্বাস হচ্ছে প্রখ্যাত সুফী সাধক মানসুর হাল্লাজ এবং অন্যান্য কতিপয় সুফী সাধকের মধ্যে আল্লাহ অবতরণ করেছেন। নাউযুবিল্লাহ। এটি যে একটি কুফরী বিশ্বাস তাতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
তারা আল্লাহ্কে যথার্থরূপে বুঝে নি। কিয়ামতের দিন গোটা পৃথিবী থাকবে তাঁর হাতের মুঠোতে এবং আসমানসমূহ ভাঁজ করা অবস্থায় থাকবে তাঁর ডান হাতে। তিনি পবিত্র। আর এরা যাকে শরীক করে, তা থেকে তিনি অনেক উর্ধ্বে। (সূরা যুমারঃ ৬)
মানসুর হাল্লাজকে তার যুগের খলীফা চারটি কারণে হত্যা করেনঃ
১) أنا الحق আনাল হক্ক বলার কারণে তথা রুবুবীয়াত ও উলুহীয়াতের দাবী করার কারণে।
২) ইসলামী শরীয়তে নিষিদ্ধ যাদু চর্চা করার কারণে।
৩) শরীয়তের ফরজ বিষয়সমূহ অস্বীকার করার কারণে। মানসুর হাল্লাজ থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি হজ্জ করতে চাইলে সে যদি তার বাড়িতে একটি ঘর নির্মাণ করে হজ্জের মৌসুমে তার তাওয়াফ করে তাতেই যথেষ্ট হবে।
৪) কারামেতা তথা বাতেনী সমপ্রদায়ের প্রতি আহবান জানানোর কারণে। কারামেতা সমপ্রদায় প্রকাশ্যে ইসলামের কথা বললেও তারা ছিল মূলতঃ গোপনে অগ্নিপূজক। এই সমপ্রদায় ৩১৯ হিজরী সালে কাবা ঘরে হামলা চালিয়ে হাজীদেরকে অকাতরে হত্যা করেছিল, যমযম কূপ ধ্বংস করে দিয়েছিল এবং হাজরে আসওয়াদ চুরি করে নিয়ে ছিল। ২০ বছর পর্যন্ত মুসলিমগণ হাজরে আসওয়াদ বিহীন কাবা ঘরের তাওয়াফ করেছে।
অপর পক্ষে সুফীদের আরেক দল ওয়াহদাতুল উজুদে বিশ্বাসী। ওয়াহ্দাতুল উজুদের এর তাৎপর্য হচ্ছে
وأما الاتحاد فمعناه ( عند الصوفية ) أن عين المخلوقات هو عين الله تعالى
সৃষ্টি এবং স্রষ্টা একই জিনিষ। অর্থাৎ সৃষ্টিজীব এবং আল্লাহ তাআলার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, উভয়ই এক ও অভিন্ন। ইবনে আরাবী এ মতেরই সমর্থক ছিল। তার মতে পৃথিবীতে যা আছে সবই মাবুদ। অর্থাৎ সবই সৃষ্টি এবং সবই মাবুদ। এ অর্থে কুকুর, শুকর, বানর এবং অন্যান্য নাপাক সৃষ্টিও মাবুদ হতে কোন বাঁধা নেই। সুতরাং তার মতে যারা মূতি পূজা করে তারা আল্লাহরই এবাদত করে। (নাউযুবিল্লাহ)
ইবনে আরাবীর মতেঃ
إن العارف المكمل هو من يرى عبادة الله والأوثان شيء واحد
অর্থাৎ পরিপূর্ণ মারেফত হাসিলকারীর দৃষ্টিতে আল্লাহর এবাদত ও মূর্তিপূজা একই জিনিস। ইবনে আরাবী তার কবিতায় বলেনঃ
العبد رب والرب عبد * يا ليت شعري من المكلف
إن قلت عبد فذلك حق * أو قلت رب فأنى يكلف
বান্দাই প্রভু আর প্রভুই বান্দা। আফসোস যদি আমি জানতাম, শরীয়তের বিধান কার উপর প্রয়োগ হবে। যদি বলি আমি তাঁর বান্দা তাহলে তো ঠিকই। আর যদি বলি আমিই রব তাহলে শরীয়ত মানার প্রয়োজনীয়তা কোথায়? উপরোক্ত কারণ এবং আরও অসংখ্য কারণে আলেমগণ ইবনে আরাবীকে গোমরাহ বলেছেন। সৃষ্টি এবং স্রষ্টা কখনই এক হতে পারে না। আল্লাহ ব্যতীত বাকী সকল বস্তু হচ্ছে সৃষ্টি। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
তিনি নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের আদি স্রষ্টা। কিরূপে আল্লাহ্র পুত্র হতে পারে, অথচ তার কোন সঙ্গিনী নেই? তিনি যাবতীয় কিছু সৃষ্টি করেছেন। তিনি সব বস্তু সম্পর্কে সুবিজ্ঞ। (সূরা আনআমঃ ১০১) কুরআন ও সহীহ হাদীছে দিবালোকের মত পরিস্কার করে বলা আছে যে, মহান আল্লাহ আরশের উপরে সমুন্নত, তার গুণাগুণ সৃষ্টি জীবের গুণাবলী থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের বিরাট সংখ্যক মুসলিম ওয়াহ্দাতুল উজুদে বিশ্বাসী। তাবলীগী নিসাব ফাযায়েলে আমাল বইয়ে গাঙ্গুহী তার মোরশেদ হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মক্কীর খেদমতে লিখিত এক চিঠিতে বলেনঃ -------অধিক লেখা বে-আদবী মনে করিতেছি। হে আল্লাহ! ক্ষমা কর, হজরতের আদেশেই এই সব লিখিলাম, মিথ্যাবাদী, কিছুই নই, শুধু তোমরাই ছায়া, আমি কিছুই নই, আমি যাহা কিছু সব তুমিই তুমি। (দেখুনঃ ফাযায়ে আমাল, দ্বিতীয় খন্ড, ১৮৫ পৃষ্ঠা) এই কথাটি যে একটি কুফরী কথা তাতে কোন সন্দেহ নেই। আসুন আমরা এই বাক্যটির ব্যাপারে আরব বিশ্বের আলেমদের মূল্যায়ন জানতে চেষ্টা করি। তাদের কাছে উপরের বাক্যটি এভাবে অনুবাদ করে পেশ করা হয়েছিল।
إن إطالة الكلام سوء الأدب , اللهم اغفر , فإنما كتبت كل هذه بأمر الشيخ أنا كذاب أنا لا شيء إنما أنا ظلك , أنا لا شيئ , وما أنا , هو أنت
অনুবাদটি শুনে তারা বলেছেনঃ شرك محض অর্থাৎ এটি শির্ক ছাড়া অন্য কিছু নয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/711/7
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।