HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মিশকাতে জয়িফ হাদিস

. পবিত্রতা

جويف الحديث في مشكا

/ পরিচ্ছেদঃ ওযূর মাহাত্ম্য

৭৩

দুর্বল হাদিস

আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি ওযূ থাকা অবস্থায় ওযূ করবে, তার জন্য আল্লাহ্‌ দশটি নেকী রয়েছে লেখবেন।

তাহক্বীক্ব : যঈফ।
যঈফ তিরমিযী হা/৫৯ ও ৬১;যঈফ আবুদাঊদ হা/৬২।

৭৪

দুর্বল হাদিস

জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, জান্নাতের চাবি হল ছালাত। আর ছালাতের চাবি হল পবিত্রতা।

তাহক্বীক্ব : উক্ত হাদীসের প্রথমাংশ যঈফ। এর কারণ হল, উক্ত সনদে দুইজন যঈফ রাবী আছে। সুলায়মান বিন করম ও আবু ইয়াহইয়া আল–কাত্তাত। আর দ্বিতীয় অংশ সম্পর্কে পৃথক সনদে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। মূলতঃ জান্নাতের চাবী ‘লা ইলা–হা ইল্লাল্লাহু’।
আহমাদ হা/১৪৭০৩;তিরমিযী হা/৪; মিশকাত হা /২৯৪;বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা /২৪৭,২/৪৩।
ছহীহ বুখারী হা /৫৮২৭,২/৮৬৭ পৃঃ; ছহীহ মুসলিম হা/২৮৩, ১/৬৬ পৃঃ; মিশকাত হা/২৬;বুখারী

৭৫

দুর্বল হাদিস

শাবীব ইবনু আবু রাওহা থেকে বর্ণিতঃ

শাবীব ইবনু আবু রাওহা রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর ছাহাবীগনের এক ব্যক্তি হতে বর্ণনা করেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একদা ফজরের ছালাত আদায় করলেন এবং ‘সূরা রূম’ পড়লেন। কিন্তু তেলাওয়াতে কিছুটা গোলমাল হয়ে গেল। যখন তিনি ছালাত শেষ করলেন তখন বললেন, তাদের কি হয়েছে, যারা আমাদের সাথে ছালাত আদায় করে, অথচ উত্তমরূপে পবিত্রতা লাভ করে না? এরাই আমাদের কুরআন পাঠে গোলযোগ সৃষ্টি করে।

তাহক্বীক্ব : যঈফ। উক্ত হাদীছের সনদে আব্দুল মালেক বিন উমাইর নামে একজন যঈফ রাবী আছে।
তাহক্বীক্ব মিশকাত হা/২৯৫-এর টীকা দ্রঃ; যঈফ নাসাঈ হা/৯৪৭ ; যঈফুল জামে ‘ হা/৫০৩৪।

৭৬

দুর্বল হাদিস

বানী সুলাইম গোত্রের এক ব্যক্তি থেকে বর্ণিতঃ

একবার রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এই পাঁচটি কথা আমার হাতে অথবা তাঁর নিজের হাতে গুনে গুনে বললেন, ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা হল পাল্লার অর্ধেক আর ‘আলহামদুলিল্লাহ’ উহাকে পূর্ণ করে এবং ‘আল্লাহু আকবর’ আসমান ও যমীনের মাঝে যা আছে তাকে পূর্ণ করে। ছিয়াম হল ধৈর্যের অর্ধেক এবং পবিত্রতা হল ঈমানের অর্ধেক।

তাহক্বীক্ব : যঈফ।
যঈফ তিরমিযী হা/৩৫১৯।
/ পরিচ্ছেদঃ যে যে কারনে ওযু ওয়াজিব হয়

৮০

দুর্বল হাদিস

ইবনু ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ওমর (রাঃ) বলেন, চুম্বন স্পর্শের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং তোমরা চুম্বন দিয়ে ওযূ কর।

তাহক্বীক্ব : যঈফ।
দারেমী হা/৫২৬; মিশকাত হা/৩৩২; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩০৬, ২/৫৭।

৭৭

দুর্বল হাদিস

মু’আবিয়া ইবনু আবি সুফিয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, চক্ষুদয় হল গুহ্যদ্বারের ঢাকনা। সুতরাং চোখ যখন ঘুমায়, তখন ঢাকনা খুলে যায়।

তাহক্বীক্ব : যঈফ। উক্ত হাদীছের পরের হাদীছটি ছহীহ (মিশকাত হা/৩১৬)।
তাহক্বীক্ব দারেমী হা/৭২২।

৭৮

দুর্বল হাদিস

আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, নিশ্চয় ওযূ সেই ব্যক্তির উপর ওয়াজিব, যে কাত হয়ে ঘুমিয়েছে। কেননা যখন কেউ কাত হয়ে ঘুমায়, তখন তার শরীরের বন্ধনসমূহ খুলে যায়।

তাহক্বীক্ব : যঈফ।
তিরমিযী হা/৭৭; যঈফুল জামে' হা/২০৫১।

৮১

দুর্বল হাদিস

ওমর ইবনু আব্দুল আযীয তামীমুদ দারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, প্রত্যেক প্রবাহমান রক্তের কারণেই ওযূ করতে হবে।

তাহক্বীক্ব : যঈফ। ইমাম দারাকুৎনী (রহঃ) বলেন, ওমর ইবনু আব্দুল আযীয তামীমুদ্দারীর নিকট থেকে শুনেননি। আর ইয়াযীদ ইবনু খালেদ ও ইয়াযীদ ইবনু মুহাম্মাদ দু’জনই অপরিচিত রাবী।
দারাকুৎনী ১/১৫৭ পৃঃ; মিশকাত হা/৩৩৩, সিলসিলা যঈফাহ হা/৪৭০।

৭৯

দুর্বল হাদিস

আবু রাফে’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা তাকে একটা ছাগল হাদিয়া দেওয়া হল এবং তিনি পাতিলে রাখলেন। এমন সময় রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার নিকট উপস্থিত হলেন এবং বললেন, পাতিলে কি রাখা হয়েছে হে আবু রাফে’? তিনি বললেন, একটি ছাগল আমাদেরকে হাদিয়া দেওয়া হয়েছে। তা পাতিলে পাক করেছি। রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমাকে এর একটি বাজু দাও। (আবু রাফে’ বলেন,) আমি তাঁকে একটি বাজু দিলাম। অতঃপর তিনি বললেন, আমাকে আর একটি বাজু দাও। আমি তাঁকে আরো একটি বাজু দিলাম। অতঃপর তিনি বললেন, আমাকে আর একটি বাজু দাও তখন আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)! ছাগলের মাত্র দুটি বাজু হয়। এটা শুনে তিনি বললেন, তুমি যদি চুপ করে থাকতে তাহলে আমাকে বাজুর পর বাজু দিতে থাকতেন। অতঃপর তিনি পানি চাইলেন এবং কুলি করলেন। তারপর তাঁর অঙ্গুলীসমূহের মাথা ধুয়ে ফেললেন। অতঃপর সালাতের জন্য দাঁড়ালেন এবং সালাত আদায় করলেন। রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদের নিকট পুনরায় ফিরে আসলেন এবং তাদের নিকট ঠান্ডা গোশত পেলেন। তিনি তা খেলেন। অতঃপর মসজিদে প্রবেশ করলেন এবং সালাত আদায় করলেন, কিন্তু পানি স্পর্শ করলেন না।

তাহক্বীক্ব : যঈফ।
মুসনাদে আহমাদ হা/২৭২৩৯; মিশকাত হা/৩২৭; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩০২।
/ পরিচ্ছেদঃ পায়খানা-পেশাবের শিষ্টাচার

৮৬

দুর্বল হাদিস

আব্দুল্লাহ ইবনু সারজেস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন গর্তে পেশাব না করে।

তাহক্বীক্ব : যঈফ।
নাসাঈ হা/৩৪; মিশকাত হা/৩৫৪; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩২৭, ২/৬৫ পৃঃ।

৮২

দুর্বল হাদিস

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন পায়খানায় যেতেন, তখন তাঁর আংটিটি খুলে রাখতেন।

তাহক্বীক্ব : হাদীছটি মুনকার হিসেবে যঈফ।
আবুদাঊদ হা/১৯; তিরমিযী হা/১৭৪৬; নাসাঈ হা/৫২১৩; মিশকাত হা/৩৪৩; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩১৬, ২/৬২ পৃঃ।

৮৩

দুর্বল হাদিস

আবু মূসা আশ'আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদিন আমি নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম। অতঃপর তিনি যখন পেশাব করার ইচ্ছা করলেন, তখন একটি দেয়ালের গোড়ায় নরম জায়গায় গেলেন এবং পেশাব করলেন। অতঃপর বললেন, যখন তোমাদের কেউ পেশাব করতে ইচ্ছা করে, তখন যেন সে এরূপ স্থান সন্ধান করে যাতে শরীরে পেশাবের ছিটা না পড়ে।

তাহক্বীক্ব : যঈফ।
আবুদাঊদ হা/৩; মিশকাত হা/৩৪৫; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩১৮, ২/৬২ পৃঃ।

৮৫

দুর্বল হাদিস

আব্দুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন গোসলখানায় পেশাব না করে। অতঃপর সেখানে সে গোসল করবে অথবা ওযূ করবে, কারণ অধিকাংশ ধোঁকা সেখান থেকেই উৎপন্ন হয়।

তাহক্বীক্ব : উক্ত হাদীসের প্রথমাংশ সহীহ আর শেষের অংশটুকু যঈফ।
আবুদাঊদ হা/২৭; মিশকাত হা/৩৫৩; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩২৬, ২/৬৫ পৃঃ।

৮৭

দুর্বল হাদিস

ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একদা আমাকে দাঁড়িয়ে পেশাব করতে দেখলেন। তখন তিনি বললেন, হে ওমর! দাঁড়িয়ে পেশাব করো না। তারপর থেকে আমি আর দাঁড়িয়ে পেশাব করিনি।

তাহক্বীক্ব : যঈফ।
ইবনু মাজাহ হা/৩০৮; মিশকাত হা/৩৬৩; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩৩৬, ২/৬৭ পৃঃ।

৮৮

দুর্বল হাদিস

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আমার নিকট জিবরীল (আঃ) এসে বললেন, হে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)! যখন ওযূ করবেন, তখন পানি ছিটাবেন।

তাহক্বীক্ব : যঈফ ও মুনকার।
তিরমিযী হা/৫০; ইবনু মাজাহ হা/৪৬৩; মিশকাত হা/৩৬৭; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩৩৯, ২/৬৮

৮৪

দুর্বল হাদিস

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি চোখে সুরমা লাগায়, সে যেন বিজোড় সংখ্যায় লাগায়। যে এইরূপ করল সে ভাল কাজ করল, আর যে করল না সে মন্দ কাজ করল না। আর যে ব্যক্তি ইস্তিঞ্জা করে সেও যেন বিজোড় করে। যে তা করল সে ভাল করল, আর যে করল না সে মন্দ কাজ করল না। যে ব্যক্তি খানা খেল এবং খিলাল দ্বারা দাঁত হতে কিছু বের করল, সে যেন তা বাইরে ফেলে দেয় এবং যা জিহবা দ্বারা মথিত করে তা যেন গিলে ফেলে। যে এরূপ করল ভাল করল, আর যে এরূপ করল না সে মন্দ করল না এবং যে ব্যক্তি পায়খানায় যায়, সে যেন পর্দা করে, যদি সে পর্দা করতে বালির স্তূপ ব্যতীত কিছু না পায়, তাহলে স্তূপকে যেন পিঠ দিয়ে বসে। কারণ শয়তান মানুষের বসার স্থান নিয়ে খেলা করে। যে এরূপ করল ভাল করল, আর যে না করল মন্দ করল না।

তাহক্বীক্ব : যঈফ।
ইবনু মাজাহ হা/৩৪৯৮; আবুদাঊদ হা/৩৫; মিশকাত হা/৩৫২; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩২৫, ২/৬৪ পৃঃ।

৯০

দুর্বল হাদিস

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন পায়খানা হতে বের হতেন, তখন বলতেন, ‘সেই আল্লাহ্‌র যাবতীয় প্রশংসা, যিনি আমার নিকট হতে কষ্টদায়ক জিনিস দূর করলেন এবং আমাকে নিরাপদ করলেন।’

তাহক্বীক্ব : যঈফ। উক্ত বর্ণনার সনদে ইসমাঈল ইবনু মুসলিম নামে একজন রাবী আছে। সে মুহাদ্দিসগণের ঐকমত্যে যঈফ।
ইবনু মাজাহ হা/৩০১; মিশকাত হা/৩৭৪; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩৪৫, ২/৭০ পৃঃ।

৮৯

দুর্বল হাদিস

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পেশাব করলেন এবং ওমর তাঁর পিছনে পানির একটি পাত্র নিয়ে দাঁড়ালেন। তিনি বললেন, হে ওমর! এটা কী? ওমর (রাঃ) বলেন, পানি- যার দ্বারা আপনি ওযূ করবেন। রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমি এভাবে আদিষ্ট হয়নি যে, যখনই পেশাব করব তখনই ওযূ করবো। যদি আমি সর্বদা এরূপ করি, তাহলে এটা সুন্নত হয়ে যাবে।

তাহক্বীক্ব : যঈফ।
আবু দাউদ হা/৪২; ইবনু মাজাহ হা/৩২৭; মিশকাত হা/৩৬৮; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩৪০, ২/৬৯ পৃঃ।
/ পরিচ্ছেদঃ মিসওয়াক করা

৯২

খুবই দুর্বল

আবু উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যখনই জিবরীল (আঃ) আমার নিকট আসতেন, তখনই আমাকে মিসওয়াক করার জন্য বলতেন, যাতে আমার ভয় হতে লাগলো যে, আমি আমার মুখের সম্মুখ দিক ক্ষয় করে দিব।

তাহক্বীক্ব : নিতান্তই যঈফ।
আহমাদ হা/২২৩২৩; মিশকাত হা/৩৮৬; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩৫৬, ২/৭৫।

৯১

দুর্বল হাদিস

আবু আইয়ূব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, চারটি জিনিস নবীদের সুন্নাত। (ক) লজ্জা করা। (খ) সুগন্ধি ব্যবহার করা। (গ) মিসওয়াক করা ও (ঘ) বিবাহ করা।

তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি যঈফ। উক্ত বর্ণনায় কয়েকটি ত্রুটি রয়েছে। আইয়ূব ও মাকহূলের মাঝে রাবী বাদ পড়েছে। হাজ্জাজ বিন আরত্বাহ নামক রাবীর দোষ রয়েছে। এছাড়াও এর সনদে আবু শিমাল রয়েছে। তাকে আবু যুর’আহ ও ইবনু হাজার আসক্বালানী অপরিচিত বলেছেন।
তিরমিযী হা/১০৮০, ১/২০৬; মিশকাত হা/৩৮২; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩৫২, ২/৭৪ পৃঃ, ‘মিসওয়াক করা’ অনুচ্ছেদ; মুন্তাখাব হাদীস, পৃঃ ২৯৭।

৯৩

দুর্বল হাদিস

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, যে সালাত মিসওয়াক করে আদায় করা হয়, সেই সালাতে মিসওয়াক করা বিহীন সালাতের চেয়ে ৭০ গুণ বেশী নেকী হয়।

তাহক্বীক্ব : ইমাম বায়হাক্বী উক্ত বর্ণনা উল্লেখ করে বলেন, মু’আবিয়া ইবনু ইয়াহইয়া যুহরী থেকে বর্ণনা করেছেন। সে নির্ভরযোগ্য নয়। অন্য সূত্রে উরওয়া আয়েশা থেকে বর্ণনা করেছে। কিন্তু তারা উভয়েই যঈফ। অন্য সূত্রে উরওয়া আক্বেদী থেকে বর্ণনা করেছে, সে মিথ্যুক।
বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা হা/১৫৯, ১ম খণ্ড, পৃঃ ৬১-৬২; হাকেম হা/৫১৫; ইবনু খুযায়মাহ হা/১৩৭; মিশকাত হা/৩৮৯; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩৫৯, ২/৭৬ পৃঃ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন