HADITH.One
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
রমজানের দুর্বল হাদিস
১. রমযান বিষয়ে জাল ও দুর্বল হাদিসসমূহ
حديث ضعيف في رمضان
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
এ হাদিস মুনকার।
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
হাদিসটি দুর্বল
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
হাদিসটি দুর্বল।
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
হাদিসটি দুর্বল।
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
এ হাদিসের সনদে দু’টি দোষ বা সমস্যা রয়েছে, হাদিস বিশারদগণের নিকট যার পরিভাষিক নাম হচ্ছে ইল্লত, অর্থাৎ হাদিসে দু’টি ইল্লত রয়েছে: প্রথম ইল্লতঃ এ হাদিসের একজন বর্ণনাকারী হচ্ছেন যায়েদা ইব্ন আবির রাকাদ, তার সম্পর্কে হাদিস বিশারদগণের মূল্যায়ন দেখুন: আবু হাতেম বলেছেন: যায়েদা ইব্ন আবির রাকাদ যিয়াদ ইব্ন নুমাইরি থেকে মারফূ সনদে মুনকার হাদিস বর্ণনা করে, জানি না এ সমস্যা তার থেকে না তার উস্তাদ যিয়াদ থেকে। সে যিয়াদ ব্যতীত অন্য কারো থেকে হাদিস বর্ণনা করেছে কিনা তাও জানি না, যার সূত্র ধরে তার হাদিস যাচাই করব। বুখারি বলেছেন: তার হাদিস মুনকার। আবু দাউদ বলেছেন: তার হাদিস সম্পর্কে কিছু জানি না। নাসাঈ বলেছেন: তাকে চিনি না। যাহাবি “দেওয়ানে দুয়াফাতে” বলেছেন: সে কোন দলিল নয়।
ইব্ন হাজার বলেছেন: তার হাদিস মুনকার।
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
হাদিসটি দুর্বল।
মাসআলা: যদি কোন সওম পালনকারী রমযানের দিনে শরয়ী কোন কারণ ছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে সহবাস ব্যতীত সওম ভঙ্গ করে, যেমন পানাহার, অথবা ধুমপান, অথবা যৌনাঙ্গ ব্যতীত স্ত্রীর সাথে মেলা-মেশার কারণে বীর্য বের হল, অথবা স্ত্রীকে উপভোগ করার সময় বীর্য বের হল ইত্যাদি। তার উপর কাযা ওয়াজিব। ইমাম আহমদ ও ইমাম শাফীর এক ফতোয়া অনুযায়ী তাকে এক সওমের পরিবর্তে একটি সওম কাযা করতে হবে। কারণ ওযর থাকা সত্বেও আল্লাহ তা‘আলা অসুস্থ ও মুসাফির ব্যক্তির উপর কাযা ওয়াজিব করেছেন, তাই ওযরহীন এর উপর অবশ্যই কাযা ওয়াজিব হবে। অবশিষ্ট দিন তাকে পানাহার থেকে বিরত থাকতে হবে, যেহেতু সে কারণ ছাড়া সওম ভঙ্গ করেছে। তার উপর কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে না। ইমাম আবু হানিফা, মালেক ও ইমাম শাফীর এক ফতোয়া মোতাবেক তার উপর কাযাসহ কাফ্ফারা ওয়াযিব হবে। তবে কেউ যদি দিনের শুরু থেকে সওম না রাখে তার উপর কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে না। সওমের কাফ্ফারা সূরা মুজাদালায় বর্ণিত জিহারের কাফ্ফারার অনুরূপ। অর্থাৎ একটি গোলাম আযাদ করা, অথবা লাগাতার ষাটটি সওম পালন করা, অথবা ষাটজন মিসকিনকে খাদ্য প্রদান করা। (দেখুন: সূরা মুজাদালা:৩-৪)
ইমাম আবু দাউদ: (২৩৯৬), তিরমিযি: (৭২৩), ইব্ন মাজাহ: (১৬৭২), ইব্ন খুযাইমাহ: (৩/২৩৮), হাদিস নং: (১৯৮৮), আহমদ: (২/৩৭৬) প্রমুখগণ সাওরি ও শুবা থেকে, তারা উভয়ে হাবিব ইব্ন আবি সাবেত থেকে, সে উমারা ইব্ন উমাইর থেকে, সে আবুল মিতওয়াস থেকে, সে তার পিতা থেকে, সে আবু হুরায়রা থেকে মুত্তাসিল সনদে উল্লেখ করেছেন।
তিরমিযি বলেন: এ সনদ ব্যতীত অন্য কোনভাবে আবু হুরায়রার হাদিস জানতে পারেনি, আমি মুহাম্মদ (অর্থাৎ বুখারী) কে বলতে শুনেছি: আবুল মিতওয়াসের নাম ইয়াজিদ ইব্ন মিতওয়াস, এ হাদিস ব্যতীত তার সনদে বর্ণিত অন্য কোন হাদিস সম্পর্কে জানি না।
ইব্ন খুযাইমাহ তার সহিহ: (৩/২৩৮), গ্রন্থে হাদিস নং: (১৯৮৮)-তে বলেন: যদি হাদিসটি সহিহ হয়, তবুও আমি ইব্ন মিতওয়াস ও তার পিতার পরিচয় জানি না।
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
ত্বাবারানি “আওসাত” ও “কাবির” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, এ হাদিসের সনদে ওলিদ ইবনুল ওলিদ আল-কালানাসি বিদ্যমান, সে দুর্বল।
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
হাদিসটি দুর্বল।
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
শায়খ আলবানি “ইরওয়াউল গালিল”: (৯০৭) গ্রন্থে হাদিসটি দুর্বল বলেছেন।
সাম্মাক ইব্ন হারব সূত্রে বর্ণিত ইকরিমার হাদিসে ইজতেরাব রয়েছে, কখনো সে ইত্তেসাল সনদে বর্ণনা করে, কখনো মুরসাল সনদে।
যারা মুরসাল বর্ণনাকে গ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে ইমাম তিরমিযি অন্যতম, তিনি বলেন: ইব্ন আব্বাসের হাদিসে ইখতিলাফ রয়েছে, সুফইয়ান সাওরি প্রমুখগণ সাম্মাক সূত্রে ইকরিমা থেকে, সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুরসাল সনদে বর্ণনা করেছেন। সাম্মাকের অধিকাংশ ছাত্র সাম্মাকের সনদে ইকরিমা থেকে, সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুরসাল বর্ণনা করেন।
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
হাদিসটি দুর্বল।
২. আনাস থেকে ত্বাবারানি ফিল কাবির: (৭১৬), শাজারি তার আমালি গ্রন্থে: (২/১১১) এবং ইব্ন আদি: (৩/১২১০) বর্ণনা করেছেন। এ সনদে তিনটি ইল্লত: সায়িদ ইব্ন বাশীর আযদি দুর্বল। ওলিদ ইব্ন মুসলিম ‘আনআনা’ দ্বারা বর্ণনা করেছে, এবং হাদিসটি মওকুফ।
৩. জাবের থেকেও ইব্ন আদি বর্ণনা করেছেন: (৩/১০৭৫), এ সনদে চারটি ইল্লত: আব্দুল ওয়াহহাব বালখি, সে হাদিসের ক্ষেত্রে পরিত্যক্ত, বরং আবি হাতেম তাকে মিথ্যুক বলেছেন। ওলিদ ইব্ন মুসলিমের ‘আনাআনা’। শামিদের থেকে বর্ণনার ক্ষেত্রে জুহাইর ইব্ন মুহাম্মদ তামিমির দুর্বলতা, আর এটা সে শামিদের থেকেই। সনদের বৈপরিত্ব। দেখুন: যাখিরাতুল হুফ্ফাজ: (৩৪৩৭), আসনাল মাতালেব: (৮৩৬), তাবইদুস সাহিফা: (২৮),
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
হাদিসটি বায়হাকি তার “সুনান”: (৪/২২), গ্রন্থে আব্দুর রাজ্জাক সূত্রে বর্ণনা করেন।
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
ত্বাবারানি দু’টি সনদে এ হাদিসটি বর্ণনা করেছেন, তার একটি সনদে রয়েছে সুলাইমান ইব্ন আহমদ আল-ওয়াসেতি, আর অপরটি আছে খালেদ ইব্ন আব্দুর রহমান আল-মাখজুমি, তারা উভয়ে দুর্বল। দেখুন: “ইতহাফুস সাদাতুল মুত্তাকিন” (৮/১১৯), ইব্ন রজব হাদিসটি দুর্বল বলেছেন।
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
তিরমিযি: (৭০০), আহমদ: (২/৩২৯), তিরমিযি বলেছেনঃ এ হাদিস হাসান, গরিব।
বিশেষ জ্ঞাতব্য:
বিভিন্ন সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত দ্রুত ইফতার করা সুন্নত, তাতে রয়েছে উম্মতের কল্যাণ। অতএব আমাদের উচিত এসব দুর্বল হাদিসের দিকে না তাকিয়ে সহিহ হাদিস গ্রহণ করা, যেমন:
عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : لَا يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا الْفِطْرَ . أخرجه البخاري (1957) ، ومسلم (1098) .
সাহাল ইব্ন সাদ বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “লোকেরা যত দিন পর্যন্ত দ্রুত ইফতার করবে, তারা কল্যাণের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।” বুখারি: (১৯৫৭), মুসলিম: (১০৯৮)
ইমাম আহমদ বলেন: তার হাদিস খুব মুনকার। ইমাম ইয়াহ ইব্ন মায়িন বলেন: তার হাদিস দুর্বল। ইমাম আবু জুরআহ বলেন: সে মুনকার হাদিস বর্ণনা করে। ইমাম আবু হাতেম ও নাসায়ি বলেছেন: সে নির্ভরযোগ্য নয়। ইমাম আবু দাউদ বলেছেন: তার হাদিসগুলো মুনকার। ইমাম মুসলিম অন্যদের সাথে তার হাদিস বর্ণনা করেছেন, এককভাবে তার কোন হাদিস বর্ণনা করেননি।
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
আবু দাউদ: (২৩৭৭), বুখারি ফিত তারিখিল কাবির: (৭/৩৯৮) আবু দাউদ বলেছেন: আমাকে ইয়াহ ইব্ন মায়িন বলেছেন: এটা মুনকার হাদিস, অথাৎ সুরমার হাদিস।
ইমাম তিরমিযি সুরমা বিষয়ে বলেন: এ অধ্যায়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কোন হাদিস প্রমাণিত নয়।
আরেকটি হাদিস:
لا تكتحل بالنهار وأنت صائم .
“সওম অবস্থায় দিনে সুরমা ব্যবহার কর না”। আবুদাউদ (২৩৭৭), ইব্ন মায়িন বলেছেন, এটা মুনকার হাদিস।
সওম অবস্থায় সুরমা ব্যবহার প্রসঙ্গে একাধিক হাদিস:
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ : جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ : اشْتَكَتْ عَيْنِي أَفَأَكْتَحِلُ وَأَنَا صَائِمٌ ؟ قَالَ : نَعَمْ .
আনাস ইব্ন মালেক বলেন: “এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলে: আমার চোখে সমস্যা আমি সওম অবস্থায় সুরমা লাগাতে পারব? তিনি বললেন: হ্যাঁ”। তিরমিযি: (৭২৬), তিনি বলেন: আনাসের হাদিসের সনদ শক্তিশালী নয়, এ অধ্যায়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বিশুদ্ধ কোন বর্ণনা নেই, আবু আতেকাকে দুর্বল বলা হয়। আবু আতেকার মূল নাম হচ্ছে তারিফ ইব্ন সালমান, তাকে সালমান ইব্ন তারিফও বলা হয়।
আবু হাতেম বলেছেন: সে হাদিস ভুলে যায়। বুখারি বলেছেন: তার হাদিস মুনকার।
সুরমা সংক্রান্ত আরেকটি হাদিস:
عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَكْتَحِلُ وَهُوَ صَائِمٌ .
মুহাম্মদ ইব্ন উবাইদুল্লাহ নিজ পিতা থেকে, সে তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন: “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওম অবস্থায় সুরমা ব্যবহার করতেন”। ইব্ন খুযাইমা: (২০০৮), হাদিসটি এভাবে বর্ণনা করেছেন:
نزل رسول الله صلى الله عليه وسلم خيبر ، ونزلت معه ، فدعاني بكحل إثمد ، فاكتحل في رمضان وهو صائم إثمد غير ممسك .
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বারে অবতরণ করেন, আমিও তার সাথে অবতরণ করি। তিনি আমাকে ইসমিদের সুরমা আনতে বললেন, অতঃপর তিনি সওম অবস্থায় সুরমা ব্যবহার করলেন। এ ইসমিদ শরীরের সাথ আঠার ন্যায় লেগে থাকা ইসমিদ নয়।
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
ইব্ন মাজাহ (১৬৯০), এর সনদে উসামা বিন যায়েদ আদাভি রয়েছে সে দুর্বল। তবে হাদিসের অর্থ সঠিক।
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
হাদিসটি ইমাম সুয়ূতি “জামে সাগির”: (৯২৯৩) গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। তিনি বায়হাকির বরাতে উল্লেখ করে, বর্ণনাকারী আব্দুল্লাহ ইব্ন আবু আওফার কারণে হাদিসটি দুর্বল বলেন। জায়নুদ্দিন ইরাকি, বায়হাকি ও সুয়ূতি প্রমুখগণ হাদিসটি দুর্বল বলেছেন। দেখুন: “আল-ফিরদাউস”: (৪/২৪৮), “ইতহাফুস সাদাত”: (৪/৩২২)
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
ইস্পাহানি ও আবু মুসা মাদিনি হাদিসটি উল্লেখ করেছেন। ইমাম মালেক তার “মুয়াত্তা” (১/৩২১) গ্রন্থে হাদিসটি বালাগানি বলে উল্লেখ করেছেন, এটা মূলত ইবনুল মুসাইয়্যিব এর বাণী। ইব্ন খুযাইমাহ: (২১৯৫), ইব্নুল মাদিনি বলেছেন এর সনদে বিদ্যমান উকবা ইব্ন আবিল হাসনা অপরিচিত, সে দুর্বল।
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
হাদিসটি বাতিল, এ সনদে হাফস ইব্ন ওয়াকেদ রয়েছে। ইব্ন আদি বলেছেন: এ হাদিসটি আমাদের দেখা সব চেয়ে বেশী মুনকার। আরো কয়েকটি সনদে এ হাদিস বর্ণনা করা হয়েছে, তার প্রত্যেকটি দুর্বল।
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
হাদিস: “রমযানের পর সওম পালনকারী পালায়নের পর ফিরে আসা ব্যক্তির ন্যায়।” দেখুন: “কানজুল উম্মাল”: (২৪১৪২) মূলত, এটি কোন সহীহ সনদে বর্ণিত হয়নি।
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
হাদিসটি উল্লেখ করেছেন সুয়ূতি “জামেউস সাগির”: (৪৩১২) গ্রন্থে, “আওসাত” গ্রন্থে তিনি ত্বাবারানির বরাতে উল্লেখ করেছন। হাদিসটি আরো উল্লেখ করেছেন বায়হাকি “শু’আবুল ঈমান” গ্রন্থে। এ হাদিসের সনদে হিলাল ইব্ন আব্দুর রহমান বিদ্যমান সে দুর্বল।
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
হাদিসটি বর্ণনা করেছেন হাকেম ও ইব্ন মাজাহ, এ হাদিসের সনদে জামআহ ইব্ন সালেহ ও সালমা ইব্ন হিরাম বিদ্যমান, তারা উভয়ে দুর্বল, তাই হাদিসও দুর্বল।
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
বায়হাকি, তিনি হাদিসটি দুর্বল বলেছেন [তাবরানি ফিল কাবির, দিয়া ফিল মুখতারাহ] হায়সামি বলেছেন: এ হাদিসের সনদে আব্দুল্লাহ ইব্ন কাসির বিদ্যমান, সে দুর্বল। ইমাম যাহাবী তার মিজানুল ই‘তিদাল গ্রন্থে বলেছেন: এর সনদ অন্ধকার।
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
বায়হাকি ফি শু’আবুল ঈমান (৩/৩৩৭), তিনি আলির কথা হিসেবে এটা বর্ণনা করেছেন। সুয়ূতি দুররুল মানসুর (৮/৫৮২) একে দুর্বল বলেছেন। কানজুল উম্মাল: (৮/৪১০)
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
আহমদ (২/৩০৫), তিরমিযি: (৩৬৬৮), ইব্ন খুযাইমাহ: (১৯০১), ইব্ন মাজাহ: (১৭৫২), এ হাদিসের সনদে বিদ্যমান ইসহাক ইব্ন উবাইদুল্লাহ মাদানি অপরিচিত। ইবনুল কাইয়্যেম হাদিসটি “যাদুল মায়াদ” গ্রন্থে দুর্বল বলেছেন। ইমাম তিরমিযিও হাদিসটি দুর্বল বলেছেন। হাদিসটি দুর্বল।
জ্ঞাতব্য: আলেমদের বিশুদ্ধ অভিমত অনুযায়ী দুর্বল হাদিসের উপর আমল করা যাবে না, না ফাযায়েলে, না আহকামে, না অন্য কোন বিষয়ে। আমরা শুধু তারই অনুসরণ করব, যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত। দুর্বল হাদিস নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সম্পৃক্ত করা বৈধ নয়, তবে মানুষদের জানানো জন্য ও দুর্বলতা প্রকাশ করার উদ্দেশ্য হলে তা বর্ণনা করা যাবে। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমার উপর যে এমন কথা বলল, যা আমি বলেনি, সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নাম বানিয়ে নেয়”।
আল্লাহ ভাল জানেন।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।