HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
ঈদুল ফিতর ও যাকাতুল ফিতর এর সংক্ষিপ্ত বিধি বিধান
লেখকঃ গবেষণা বিভাগ, ‘দুরারুস সানিয়্যা ফাউণ্ডেশন’
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, সালাত ও সালাম আল্লাহর রাসূলের উপর, তাঁর পরিবার-পরিজন ও সকল সাহাবীর উপর।
তারপর,
আলেমগণ সবসময় শরীয়তের বিধানকে সহজ ও সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে নিয়ে আসার ব্যাপারে যথেষ্ট যত্নবান ছিলেন; যাতে তারা এর দ্বার উপকৃত হতে পারে। এর কিছু নমূনা হচ্ছে, দীর্ঘ কিতাবসমূহকে সংক্ষিপ্তকরণ, গ্রন্থসমূহে ছোট আকারে উপস্থাপন, এর দ্বারা যে এ সব গ্রন্থ থেকে উপকৃত হওয়া সহজ হয়, পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয় এবং সাধারণ ও বিশেষ সবার মধ্যে প্রসার লাভ করে।
তাই ‘মুআসসাসাতু আদ-দুরারুস সানিয়্যাহ’ তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চাইলো, যাতে করে শরীয়তের বিধানকে মানুষের দোর-গোড়ায় পৌঁছাতে পারে।
আর এ কারণে ‘ঈদুল ফিতর ও সাদাকাতুল ফিতর এর সংক্ষিপ্ত বিধি বিধান’ রচনা করেছে। এতে কোনো দলীল-প্রমাণ, আলেদের ভাষ্য কিংবা মাযহাবের মতামতের সৃদৃঢ়করণের কাজ করা হয় নি। শুধু মাসআলা ও বিধি-বিধান ও কারা তা বলেছে সেটাই নির্দেশ করা হয়েছে।
এটি এ বিষয়ে একটি বড় গ্রন্থের সংক্ষিপ্ত অংশ, যা অচিরেই ‘আদ-দুরারুস সানিয়্যাহ’ ওয়েবসাইটে আসবে ইনশাআল্লাহ। তখন পাঠকগণ মাযহাবের বিস্তারিত তথ্য, মুহাক্কিক আলেমদের ভাষ্য, প্রাধান্যপ্রাপ্ত মতের দলীল, ইত্যাদি দেখতে পাবে। যা অত্যন্ত স্পষ্ট জ্ঞান-গর্ভ, গবেষণা নীতি অনুযায়ী হবে।
আমরা আল্লাহ তা‘আলার কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমরা যা জেনেছি তা দ্বারা আমাদের উপকৃত করুন আর যা আমাদের উপকৃত করবে তা যেন তিনি আমাদের জানান।
ইলমী বিভাগ, মুআসসাসাতু আদ-দুরারুস সানিয়্যাহ
তারপর,
আলেমগণ সবসময় শরীয়তের বিধানকে সহজ ও সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে নিয়ে আসার ব্যাপারে যথেষ্ট যত্নবান ছিলেন; যাতে তারা এর দ্বার উপকৃত হতে পারে। এর কিছু নমূনা হচ্ছে, দীর্ঘ কিতাবসমূহকে সংক্ষিপ্তকরণ, গ্রন্থসমূহে ছোট আকারে উপস্থাপন, এর দ্বারা যে এ সব গ্রন্থ থেকে উপকৃত হওয়া সহজ হয়, পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয় এবং সাধারণ ও বিশেষ সবার মধ্যে প্রসার লাভ করে।
তাই ‘মুআসসাসাতু আদ-দুরারুস সানিয়্যাহ’ তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চাইলো, যাতে করে শরীয়তের বিধানকে মানুষের দোর-গোড়ায় পৌঁছাতে পারে।
আর এ কারণে ‘ঈদুল ফিতর ও সাদাকাতুল ফিতর এর সংক্ষিপ্ত বিধি বিধান’ রচনা করেছে। এতে কোনো দলীল-প্রমাণ, আলেদের ভাষ্য কিংবা মাযহাবের মতামতের সৃদৃঢ়করণের কাজ করা হয় নি। শুধু মাসআলা ও বিধি-বিধান ও কারা তা বলেছে সেটাই নির্দেশ করা হয়েছে।
এটি এ বিষয়ে একটি বড় গ্রন্থের সংক্ষিপ্ত অংশ, যা অচিরেই ‘আদ-দুরারুস সানিয়্যাহ’ ওয়েবসাইটে আসবে ইনশাআল্লাহ। তখন পাঠকগণ মাযহাবের বিস্তারিত তথ্য, মুহাক্কিক আলেমদের ভাষ্য, প্রাধান্যপ্রাপ্ত মতের দলীল, ইত্যাদি দেখতে পাবে। যা অত্যন্ত স্পষ্ট জ্ঞান-গর্ভ, গবেষণা নীতি অনুযায়ী হবে।
আমরা আল্লাহ তা‘আলার কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমরা যা জেনেছি তা দ্বারা আমাদের উপকৃত করুন আর যা আমাদের উপকৃত করবে তা যেন তিনি আমাদের জানান।
ইলমী বিভাগ, মুআসসাসাতু আদ-দুরারুস সানিয়্যাহ
১। "ঈদ" এর সংজ্ঞা
আরবীতে "ঈদ" শব্দের অর্থ হচ্ছে এমন সাধারণ সম্মেলন যা বারবার ফিরে আসে; চাই তা সপ্তাহ ঘুরে ফিরে আসুক, মাস ঘুরে আসুক কিংবা বৎসরে ঘুরে।
২। ঈদুল ফিতরের সময়কাল
সকল মুসলিমের ঐকমত্যে ঈদুল ফিতরের দিনটি হচ্ছে আরবী শাওয়াল মাসের প্রথম দিন। ইবনে হাযম রহ. এ ব্যাপারে ইজমা‘ (মুসলিমদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত) বর্ণনা করেছেন।
৩। দুই ঈদে রোযা পালনের বিধান :
দুই ঈদের দিনে রোযা রাখা সম্পূর্ণ হারাম। ইবনে হাযম, ইবনে কুদামা ও ইমাম নববী রহ. এ ব্যাপারে ইজমা‘ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৪। ঈদুল ফিতর প্রবর্তনে হিকমত :
মাসব্যাপী দীর্ঘ সিয়াম সাধনার পর মানুষের আনন্দ উৎসবের জন্য মহান আল্লাহ একটি দিবস নির্ধারণ করে দিয়েছেন; এ দিনটিতে সকল মুসলিম বিগত এক মাসের কষ্ট আর ক্লান্তিকে ভুলে গিয়ে সকল অন্যায় অপরাধ মার্জনা ও মহাপুরস্কার প্রাপ্তির সুসংবাদে আনন্দ ও কুশল বিনিময়ে মেতে উঠবে, বৈধ উপায়ে সুখোৎসব পালন করবে, আত্মীয় স্বজনের খোজখবর নেবে, গরিব মিসকীনকে দান খয়রাত করবে। এভাবে তারা আল্লাহ প্রদত্ত এই মহান নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে।
আরবীতে "ঈদ" শব্দের অর্থ হচ্ছে এমন সাধারণ সম্মেলন যা বারবার ফিরে আসে; চাই তা সপ্তাহ ঘুরে ফিরে আসুক, মাস ঘুরে আসুক কিংবা বৎসরে ঘুরে।
২। ঈদুল ফিতরের সময়কাল
সকল মুসলিমের ঐকমত্যে ঈদুল ফিতরের দিনটি হচ্ছে আরবী শাওয়াল মাসের প্রথম দিন। ইবনে হাযম রহ. এ ব্যাপারে ইজমা‘ (মুসলিমদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত) বর্ণনা করেছেন।
৩। দুই ঈদে রোযা পালনের বিধান :
দুই ঈদের দিনে রোযা রাখা সম্পূর্ণ হারাম। ইবনে হাযম, ইবনে কুদামা ও ইমাম নববী রহ. এ ব্যাপারে ইজমা‘ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৪। ঈদুল ফিতর প্রবর্তনে হিকমত :
মাসব্যাপী দীর্ঘ সিয়াম সাধনার পর মানুষের আনন্দ উৎসবের জন্য মহান আল্লাহ একটি দিবস নির্ধারণ করে দিয়েছেন; এ দিনটিতে সকল মুসলিম বিগত এক মাসের কষ্ট আর ক্লান্তিকে ভুলে গিয়ে সকল অন্যায় অপরাধ মার্জনা ও মহাপুরস্কার প্রাপ্তির সুসংবাদে আনন্দ ও কুশল বিনিময়ে মেতে উঠবে, বৈধ উপায়ে সুখোৎসব পালন করবে, আত্মীয় স্বজনের খোজখবর নেবে, গরিব মিসকীনকে দান খয়রাত করবে। এভাবে তারা আল্লাহ প্রদত্ত এই মহান নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে।
ঈদুল ফিতরের রাত্রি অর্থাৎ শাওয়াল মাসের চাঁদ দর্শন অথবা ৩০ রমযানের সূর্যাস্তের পর থেকেই তাকবীর উচ্চারণ শুরু হয়ে যাবে। এটাই শাফে‘ঈ ও হাম্বলী মাযহাবসিদ্ধ মত। ইমাম বগভী, ইবনে তাইমিয়া, ইবন বায এবং ইবন উসাইমিন-এর মতামতও তাই। আর ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটিও এ ফতোয়া দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উলামায়ে কেরামের মতবিরোধ পরিলক্ষিত হয়েছে:
১ম মত- ইমাম যখন ঈদের নামাযের জন্য উপস্থিত হবেন, তখনই তাকবীর উচ্চারণ বন্ধ করতে হবে। মালেকী, হাম্বলী ও শাফে‘ঈ মাযহাবে বর্ণিত একটি মতামতও এরকম। ইমাম বগভী ও ইবন উসাইমিন এ মতটিকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
২য় মত- ঈদের খুৎবা শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে তাকবীর উচ্চারণ শেষ হবে। এটাই হাম্বলী মাযহাবসিদ্ধ মত। কতিপয় শাফে‘ঈ, ইবনে তাইমিয়া ও ইবন বাযেরও এই অভিমত।
১ম মত- ইমাম যখন ঈদের নামাযের জন্য উপস্থিত হবেন, তখনই তাকবীর উচ্চারণ বন্ধ করতে হবে। মালেকী, হাম্বলী ও শাফে‘ঈ মাযহাবে বর্ণিত একটি মতামতও এরকম। ইমাম বগভী ও ইবন উসাইমিন এ মতটিকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
২য় মত- ঈদের খুৎবা শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে তাকবীর উচ্চারণ শেষ হবে। এটাই হাম্বলী মাযহাবসিদ্ধ মত। কতিপয় শাফে‘ঈ, ইবনে তাইমিয়া ও ইবন বাযেরও এই অভিমত।
ঈদের রাতে মাগরিব ও এশার নামাযের পরমুহূর্ত এবং ঈদের নামাযের পরবর্তী মুহূর্তের জন্য তাকবীর উচ্চারণ সীমাবদ্ধ নয়। এটাই হাম্বলী মাযহাবসিদ্ধ মত। অধিকাংশ শাফে‘ঈ মতাবলম্বীদের কাছে এটাই সঠিক ফতোয়া। ইমাম নববী, ইবনে তাইমিয়া ও ইবনে উসাইমিন রহ. এটাকেই গ্রহণ করেছেন।
এ ব্যাপারেও দুটি মতামত লক্ষ্য করা গেছে
১। প্রথম মত, উত্তম হচ্ছে নিম্নোক্ত শব্দগুলো পড়া -
الله أكبر الله أكبر ، لا إله إلا الله ، والله أكبر الله أكبر ، ولله الحمد
(আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা-- ইলা--হা ইল্লাল্লা--হু আল্লাহু আকবার ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ)
(আল্লাহ সর্ব মহান, আল্লাহ সর্ব মহান, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, আল্লাহ সর্ব মহান, আল্লাহ সর্ব মহান, আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা..)
"আল্লাহু আকবার" বাক্যটি দু'বার করে বলবে, যেমনটি হাম্বলী মাযহাবসিদ্ধ আমল। ইবনে তাইমিয়া রহ. এটাকেই গ্রহণ করেছেন। অথবা তিনবার করে বলবে। মোটকথা, সবগুলোই বৈধ ও উত্তমপন্থা। এটাই ইবন বায ও ইবন উসাইমিন রহ. এর অভিমত।
২। দ্বিতীয় মত, ঈদুল ফিতরের দিন তাকবীর উচ্চারণের জন্য সুনির্ধারিত কোনো শব্দ বর্ণিত নয়; বরং স্বাভাবিক পন্থায় আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা করতে থাকবে। আল্লাহ পাক বলেন- "... যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুণ আল্লাহ তালার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।" (সূরা বাকারা- ১৮৫)
ইমাম আহমদ ও মালেক রহ. এই মতটিকে গ্রহণ করেছেন।
১। প্রথম মত, উত্তম হচ্ছে নিম্নোক্ত শব্দগুলো পড়া -
الله أكبر الله أكبر ، لا إله إلا الله ، والله أكبر الله أكبر ، ولله الحمد
(আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা-- ইলা--হা ইল্লাল্লা--হু আল্লাহু আকবার ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ)
(আল্লাহ সর্ব মহান, আল্লাহ সর্ব মহান, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, আল্লাহ সর্ব মহান, আল্লাহ সর্ব মহান, আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা..)
"আল্লাহু আকবার" বাক্যটি দু'বার করে বলবে, যেমনটি হাম্বলী মাযহাবসিদ্ধ আমল। ইবনে তাইমিয়া রহ. এটাকেই গ্রহণ করেছেন। অথবা তিনবার করে বলবে। মোটকথা, সবগুলোই বৈধ ও উত্তমপন্থা। এটাই ইবন বায ও ইবন উসাইমিন রহ. এর অভিমত।
২। দ্বিতীয় মত, ঈদুল ফিতরের দিন তাকবীর উচ্চারণের জন্য সুনির্ধারিত কোনো শব্দ বর্ণিত নয়; বরং স্বাভাবিক পন্থায় আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা করতে থাকবে। আল্লাহ পাক বলেন- "... যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুণ আল্লাহ তালার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।" (সূরা বাকারা- ১৮৫)
ইমাম আহমদ ও মালেক রহ. এই মতটিকে গ্রহণ করেছেন।
১। জোরে ও আস্তে তাকবীর দেওয়ার বিধান:
পুরুষদের জন্য ঈদগাহের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হওয়ার পর থেকে স্বজোরে তাকবীর বলা সুন্নত। মালেকী, শাফে‘ঈ, হাম্বলী মাযহাবী অধিকাংশ উলামায়ে কেরামের এটাই অভিমত। এটি ইমাম আবু হানিফার একটি মত, মুহাম্মদ, আবু ইউসুফের মত এবং ইমাম তাহাবী রহ. তা পছন্দ করেছেন।
২। সম্মিলিত তাকবীর দেওয়ার বিধান:
সম্মিলিত তাকবীর উচ্চারণ বিদআত। মালেকীগণ সুস্পষ্টভাবে তা বর্ণনা করেছেন। আর এটি শাতেবী রহ. এর মত। ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির ফতোয়াও তাই। শাইখ ইবন বায, আলবানী ও ইবন উসাইমিন রহ. তাদের সাথে সহমত পোষণ করেছেন।
পুরুষদের জন্য ঈদগাহের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হওয়ার পর থেকে স্বজোরে তাকবীর বলা সুন্নত। মালেকী, শাফে‘ঈ, হাম্বলী মাযহাবী অধিকাংশ উলামায়ে কেরামের এটাই অভিমত। এটি ইমাম আবু হানিফার একটি মত, মুহাম্মদ, আবু ইউসুফের মত এবং ইমাম তাহাবী রহ. তা পছন্দ করেছেন।
২। সম্মিলিত তাকবীর দেওয়ার বিধান:
সম্মিলিত তাকবীর উচ্চারণ বিদআত। মালেকীগণ সুস্পষ্টভাবে তা বর্ণনা করেছেন। আর এটি শাতেবী রহ. এর মত। ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির ফতোয়াও তাই। শাইখ ইবন বায, আলবানী ও ইবন উসাইমিন রহ. তাদের সাথে সহমত পোষণ করেছেন।
ঈদের সালাতের মহা ফযিলত রয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো ঈদের নামায পরিত্যাগ করেননি; এমনকি মহিলা, একান্তে বাসকারিনী ও ঋতুস্রাবওয়ালী মহিলাদেরকেও ঈদের জামাতে শরীক হতে নির্দেশ দিয়েছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মৃত্যুর পর সাহাবায়ে কেরাম কখনোই এই সুন্নত ত্যাগ করেননি। এ থেকেই ঈদের নামাযের গুরুত্ব ও ফযিলতের বিষয়টি অনুমান করা যায়। তাছাড়া এতে আল্লাহ তা‘আলার প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপন করা হয়, আল্লাহর বিধি-বিধানকে প্রকাশ ও সম্মান করা হয় এবং কল্যাণ কাজে মুসলিমদের সম্মিলিত অংশগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদের জামাত ও খুৎবা পাঠের অন্যতম হিকমত হচ্ছে, কোনো সম্মেলন যেন আল্লাহর স্মরণ এবং দ্বীনের বিধি-বিধানের গুরুত্ব প্রকাশ ব্যতীত অনুষ্ঠিত না হয়। পাশাপাশি এর মাধ্যমে শরীয়তের মূল উদ্দেশ্যসমূহের একটি উদ্দেশ্য সাধিত হয়, আর তা হচ্ছে প্রত্যেক জাতির প্রয়োজন একটি মহড়া, যাতে তারা তাদের শৌর্যবীর্যের প্রদর্শনী ও সংখ্যার আধিক্য দেখাবে। এ কারণেই মুস্তাহাব হচ্ছে, আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা, পুরুষ-মহিলা একান্তবাসী মেয়ে ও ঋতুস্রাবওয়ালী মহিলা নির্বিশেষে সকলেই ঈদগাহে গমন করবে, যাওয়া ও আসার পথ ভিন্ন করবে; যাতে করে উভয় পথের লোকেরা মুসলিমদের ক্ষমতা দেখতে পায়।
ঈদের দিনটি যদি শুক্রবার হয়, তবে যে ব্যক্তি ঈদের নামায পড়ল, তার জন্য অনুমতি আছে জুমায় উপস্থিত না হয়ে যুহর আদায় করে নেয়া। কিন্তু ইমামের জন্য সে অনুমতি নেই। তবে যদি জুমা আদায়ের জন্য কোন মুসল্লি খুঁজে না পায়, তবে ইমাম যুহর আদায় করতে পারবে। এটা হাম্বলী মাযহাবের মত এবং একগুচ্ছ সালাফে সালেহীনের অভিমত। ইবনে তাইমিয়া, ইবনুল কায়্যিম, ইবন বায ও ইবন উসাইমিন রহ.দের অভিমতও তাই। আর ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটিও এ ফতোয়া দিয়েছেন। ইমাম শাওকানীও এ মত দিয়েছেন তবে তিনি জুমা থেকে ছাড় পাওয়ার বিষয়ে ইমাম ও অন্যান্যদের মধ্যে পার্থক্য করেন নি।
১ম মত: সুন্নত হল আল্লাহর যিকির করা। যেমনটি ইমাম শাফে‘ঈ এবং আহমদ রহ. এর মত। ইবনুল মুনযির এবং ইবনে তাইমিয়া রহ. এটিকে পছন্দ করেছেন।
২য় মত: এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো দোয়া বর্ণিত নেই; বরং নামাযী ব্যক্তি তাকবীরসমূহ অবিরাম বলে যাবে। এটাই হানাফী ও মালেকীদের মাযহাব। ইমাম নববী রহ. এক্ষেত্রে অধিকাংশ আলেমের প্রাধান্য বর্ণনা করেছেন। ইবনে হাযম, সান‘আনী এবং ইবন উসাইমিন এটিকেই গ্রহণ করেছেন।
২য় মত: এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো দোয়া বর্ণিত নেই; বরং নামাযী ব্যক্তি তাকবীরসমূহ অবিরাম বলে যাবে। এটাই হানাফী ও মালেকীদের মাযহাব। ইমাম নববী রহ. এক্ষেত্রে অধিকাংশ আলেমের প্রাধান্য বর্ণনা করেছেন। ইবনে হাযম, সান‘আনী এবং ইবন উসাইমিন এটিকেই গ্রহণ করেছেন।
ঈদের সালাতে স্বজোরে ক্বেরাত পড়া:
ঈদের সালাতে ইমাম স্বজোরে ক্বেরাত পড়বে। ইবনে কুদামা এবং ইমাম নববী রহ. এক্ষেত্রে ইজমা‘ বর্ণনা করেছেন।
ঈদের নামাযে সূরা ফাতেহার পর যে সকল সূরা পড়া সুন্নত:
সুন্নত হল, প্রথম ও দ্বিতীয় রাকাতে যথাক্রমে সূরা আ‘লা এবং সূরা গাশিয়া অথবা সূরা ক্বাফ এবং সূরা ক্বামার পাঠ করা।
ঈদের সালাতে ইমাম স্বজোরে ক্বেরাত পড়বে। ইবনে কুদামা এবং ইমাম নববী রহ. এক্ষেত্রে ইজমা‘ বর্ণনা করেছেন।
ঈদের নামাযে সূরা ফাতেহার পর যে সকল সূরা পড়া সুন্নত:
সুন্নত হল, প্রথম ও দ্বিতীয় রাকাতে যথাক্রমে সূরা আ‘লা এবং সূরা গাশিয়া অথবা সূরা ক্বাফ এবং সূরা ক্বামার পাঠ করা।
যদি কারো ঈদের নামায ছুটে যায়, তবে কিভাবে সে এর ক্বাযা আদায় করবে, এ ব্যাপারে দু’টি মত রয়েছে:
১ম মত: ঈদের নামাযের কোন ক্বাযা নেই। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। ইবনে তাইমিয়া ও ইবনে উসাইমিন রহ. এটাকেই গ্রহণ করেছেন।
২য় মত: হুবহু দুই রাকাত উল্লেখিত তাকবীরসমূহ সহ ক্বাযা করবে। এটি মালেকী, শাফে‘ঈ ও হাম্বলী মাযহাবের মত।
১ম মত: ঈদের নামাযের কোন ক্বাযা নেই। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। ইবনে তাইমিয়া ও ইবনে উসাইমিন রহ. এটাকেই গ্রহণ করেছেন।
২য় মত: হুবহু দুই রাকাত উল্লেখিত তাকবীরসমূহ সহ ক্বাযা করবে। এটি মালেকী, শাফে‘ঈ ও হাম্বলী মাযহাবের মত।
খুৎবা কি তাকবীর দিয়ে শুরু করবে? নাকি আল্লাহর প্রশংসা দিয়ে??
১ম মত: মুস্তাহাব হল তাকবীর দিয়ে খুৎবার সূচনা করা। আর এতে হানাফী, মালেকী, শাফে‘ঈ ও হাম্বলী চার মাযহাবের ঐকমত্য রয়েছে।
২য় মত: আল্লাহর প্রশংসা দিয়ে শুরু করা। ইবনে তাইমিয়া, ইবনুল কায়্যিম, ইবন বায রহ. এটাকেই গ্রহণ করেছেন; আর ইমাম শাওকানী এ মতের দিকে ঝুঁকেছেন।
১ম মত: মুস্তাহাব হল তাকবীর দিয়ে খুৎবার সূচনা করা। আর এতে হানাফী, মালেকী, শাফে‘ঈ ও হাম্বলী চার মাযহাবের ঐকমত্য রয়েছে।
২য় মত: আল্লাহর প্রশংসা দিয়ে শুরু করা। ইবনে তাইমিয়া, ইবনুল কায়্যিম, ইবন বায রহ. এটাকেই গ্রহণ করেছেন; আর ইমাম শাওকানী এ মতের দিকে ঝুঁকেছেন।
হানাফী, মালেকী, শাফে‘ঈ ও হাম্বলী চার মাযহাবের ঐকমত্য পোষণ করে বলেছেন যে, ঈদুল ফিতরের খুৎবায় আলোচ্য বিষয় হবে "যাকাতের ফিতরের বিধি-বিধান"।
আর ইমাম শাফে‘ঈ রহ. এক বর্ণনায় "যিকিরের তাৎপর্য", "তাকওয়ার অসিয়ত", "সৎকর্ম সম্পাদনে প্রতিযোগিতা" যেমন কুরআন তেলাওয়াত ইত্যাদি বিষয় সংশ্লিষ্টতা থাকার কথা উল্লেখ করেছেন। ইবন বায রহ. এর মতও তাই।
আর ইমাম শাফে‘ঈ রহ. এক বর্ণনায় "যিকিরের তাৎপর্য", "তাকওয়ার অসিয়ত", "সৎকর্ম সম্পাদনে প্রতিযোগিতা" যেমন কুরআন তেলাওয়াত ইত্যাদি বিষয় সংশ্লিষ্টতা থাকার কথা উল্লেখ করেছেন। ইবন বায রহ. এর মতও তাই।
৩৫
চতুর্থ অধ্যায় ঈদুল ফিতরের সুন্নতসমুহ
ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পূর্বে কিছু খাওয়া এবং সেটা বেজোড় সংখ্যক খেজুর হওয়া।সকল মাযহাবের ঐকমত্যে ঈদুল ফিতরের দিন নামাযের উদ্দেশ্যে ঘর ত্যাগ করার পূর্বে কিছু খেয়ে নেওয়া, বেজোড় সংখ্যা পরিমাণ খেজুর বক্ষন করা মুস্তাহাব। এ ব্যাপারে হানাফী, মালেকী, শাফে‘ঈ ও হাম্বলী চার মাযহাবের ঐকমত্য রয়েছে।
যাকাতের আভিধানিক অর্থ, বৃদ্ধি ও সংশোধন।
ফিতর এর আভিধানিক অর্থ, সাওম বা বিরত থাকার বিপরীত। যেমন বলা হয়, ‘রোযাদার ফিতর করেছে’ অর্থাৎ রোযা ভেঙ্গেছে।
পারিভাষিক অর্থে যাকাতুর ফিতর: একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ঈদের নামাযের পূর্বে দেশের মানুষের সাধারণ খাদ্যের এক সা‘ পরিমাণ অসহায়, দরিদ্র ও মিসকিনদেরকে দান করা।
ফিতর এর আভিধানিক অর্থ, সাওম বা বিরত থাকার বিপরীত। যেমন বলা হয়, ‘রোযাদার ফিতর করেছে’ অর্থাৎ রোযা ভেঙ্গেছে।
পারিভাষিক অর্থে যাকাতুর ফিতর: একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ঈদের নামাযের পূর্বে দেশের মানুষের সাধারণ খাদ্যের এক সা‘ পরিমাণ অসহায়, দরিদ্র ও মিসকিনদেরকে দান করা।
একজন মুসলিমের জন্য অন্যের পক্ষ থেকে যাকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব হবে নাকি প্রত্যেক মুসলিমের নিজের জন্য যাকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব— এ ব্যাপারে আলেমদের বিভিন্ন মতামত রয়েছে। কয়েকটি মত হলো:
১ম মত: প্রতিটি মুসলিমের উপর তার নিজের পক্ষ থেকে এবং পরিবার-পরিজন, স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি, দাসদাসীসহ যাদের ভরণপোষনের দায় তার উপর ন্যস্ত রয়েছে সকলের পক্ষ থেকে যাকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব (যদি তার এবং তাদের একদিন-একরাত্রির খোরাকের চেয়ে অতিরিক্ত যাকাতুল ফিতরের পরিমাণ সম্পদ থাকে)। শাফে‘ঈ, মালেকী, হাম্বলী মাযহাবসহ অধিকাংশ ফকিহের মতামত তাই।
২য় মত: শুধু নিজের পক্ষ থেকে আদায় করা ওয়াজিব। ইবনে হাযম এবং ইবনে উসাইমিন রহ. এই মতটিকেই প্রধান্য দিয়েছেন।
১ম মত: প্রতিটি মুসলিমের উপর তার নিজের পক্ষ থেকে এবং পরিবার-পরিজন, স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি, দাসদাসীসহ যাদের ভরণপোষনের দায় তার উপর ন্যস্ত রয়েছে সকলের পক্ষ থেকে যাকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব (যদি তার এবং তাদের একদিন-একরাত্রির খোরাকের চেয়ে অতিরিক্ত যাকাতুল ফিতরের পরিমাণ সম্পদ থাকে)। শাফে‘ঈ, মালেকী, হাম্বলী মাযহাবসহ অধিকাংশ ফকিহের মতামত তাই।
২য় মত: শুধু নিজের পক্ষ থেকে আদায় করা ওয়াজিব। ইবনে হাযম এবং ইবনে উসাইমিন রহ. এই মতটিকেই প্রধান্য দিয়েছেন।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন