HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
ইহরাম-এর শিক্ষা
লেখকঃ মীর মন্জুর মাহমূদ
২
ইহরাম-এর শিক্ষাবিশ্বমানবতার চিরন্তন মুক্তি ও শাশ্বত কল্যাণ নির্দেশনার নাম ইসলাম। পরম করুণাময়ের অপার অনুগ্রহধন্য রহমাতুল্লিল আলামীনের মাধ্যমে প্রাপ্ত মহাগ্রন্থ আল-কুরআন আমাদের জীবন ব্যবস্থা। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ [. ‘‘এটা আল্লাহর অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি তাকে তা দান করেন।’’ সূরা জুম‘আ/৬২:৪।], পরিপূর্ণ, কালোত্তীর্ণ ও সার্বজনীন জীবনব্যবস্থা। এককথায় অনন্য, অতুলনীয়। এর ব্যাপ্তি ও পরিসর মহাকালের সীমানাকে অতিক্রম করে মহান প্রভূর পরম সান্নিধ্যের সাথে যুক্ত হয়েছে। অনাগতকালের মানবতার জীবন সঞ্জীবনী সূধা হিসাবে এ বাণীকেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে। [. ‘‘এবং তাদের মধ্য হতে অন্যান্যদের জন্যও, (এ রাসূলকে পাঠানো হয়েছে) যারা এখনো তাদের সাথে মিলিত হয়নি।’’ সূরা জুম‘আ/৬২: ৩।] আর হাজ্জ হচ্ছে সে ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম একটি। আভিধানিক অর্থ সংকল্প করা, ইচ্ছা করা। হাজ্জের রয়েছে সুপ্রাচীন ইতিহাস। সামর্থবান মুসলিমদের জন্য জীবনে একবার হাজ্জ পালন করা ফরয বা অত্যাবশ্যক। এটি ঐতিহাসিক ও পূণ্যময় স্মৃতিবিজড়িত একটি ব্যতিক্রম ইবাদাত-মুসলিম উম্মাহর মহামিলনের মাধ্যম। এ মিলন মানুষে মানুষে, জাতিতে জাতিতে, এ মিলন পরম মাবুদের সাথে তাঁর একান্ত প্রিয় বিরহ বিধুর গোলামের। এ যেন বন্ধু ইবরাহীম-এর সেই অনন্ত আহ্বানের ফসল [. ‘‘এবং মানুষের নিকট হাজ্জের ঘোষণা করে দাও; তারা তোমার নিকট আসবে পদব্রজে ও সর্বপ্রকার ক্ষীণকায় উষ্ট্রের পিঠে, তারা আসবে দূরদূরান্তের পথ অতিক্রম করে।’’ সূরা হাজ্জ/২২:২৭।], যা প্রতিবছর সারা দুনিয়ার স্রষ্টাপাগল মানুষকে দুর্নিবার গতিতে টেনে নিয়ে একত্রিত করে, মিলনের স্বাদ জাগাতে। খরস্রোতা নদীর দস্যিপনা আর বেয়াড়া পথপরিক্রমা যেমন শেষ হয় মহাসাগরের বুকে আছড়ে পড়ার মধ্যদিয়ে, তেমনি রূপ-রস-গন্ধে ভরা এ পৃথিবীর জীবন পথপরিক্রমায় একেবারে ভুলে যাওয়া বেপথু মানুষগুলো তার প্রভুর সান্নিধ্যে সাজদাবনত হয়-‘‘লাববাইকা আল্লাহুম্মা লাববাইকা’’ ধ্বনি দিয়ে। কবির ভাষায়- ‘‘আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন, খুঁজি তারে আমি আপনা’’- মানব মনের পরম আকুতি জানাতে এবং প্রকৃত আপনজনের খোঁজেই যেন হাজ্জ যাত্রীগণ ছুটে যান সারা দুনিয়া থেকে আরবের উষর মরুতে। তাই হাজ্জকে বলা যায়, আর্থিক, শারীরিক ও আত্মিক ইবাদাত। মুসলিম উম্মাহর বার্ষিক মিলন তথা বিশ্বময় ভ্রাতৃত্ব ও ভালবাসা সৃষ্টির শর‘য়ী ব্যবস্থাপনা। এখানে আমাদের জাতীয় কবির একটি উক্তি প্রণিধানযোগ্য। তিনি যথার্থই বলেছেন, ‘‘আমরা সেই সে জাতি, সাম্য মৈত্রী এনেছি আমরা বিশ্বে করেছি জ্ঞাতি’’। ইসলামী শরী‘আতের এই গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত পালনের ফরযসমূহের অন্যতম একটি ইহরাম। [. হাজ্জের ফরয ৩ টি। যথা: ১.ইহরাম বাঁধা বা আনুষ্ঠানিক নিয়্যাত করা, ২. আরাফাতে অবস্থান (৯ জিলহাজ্জ তারিখে সূর্য ঢলে পড়ার পর থেকে ১০ জিলহাজ্জের ফযরের পূর্ব পর্যন্ত যে কোনো সময় মুহূর্তের জন্য হলেও ঊকূফ বা অবস্থান করা), ৩. তাওয়াফে যিয়ারাত (১০ জিলহাজ্জের ভোর থেকে ১২ জিলহাজ্জ পর্যন্ত যে কোনো দিন কা‘বা শরীফ তাওয়াফ করা)। এই তিনটি ফরযের কোনো একটি ছুটে গেলে হাজ্জ বাতিল হয়ে যাবে এবং পরবর্তী বছর তা কাযা আদায় করতে হবে। তবে কারও কারও মতে হাজ্জের আরও একটি রুকন রয়েছে আর তা হচ্ছে সাফা-মারওয়ার মাঝখানে সা‘ঈ করা। তাদের মতও শক্তিশালী। সুতরাং কেউ যেন তাওয়াফে যিয়ারাতের পরে এ সা‘ঈটি ভুলে না যাই। [সম্পাদক]] ইহরাম ব্যতিরেকে হাজ্জ পালন সম্ভব নয়।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন