মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
দো‘আর ফযীলত : আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘মুসলমান যখন অন্য কোন মুসলমানের জন্য দো‘আ করে, যার মধ্যে কোনরূপ গোনাহ বা আত্মীয়তা ছিন্ন করার কথা থাকে না, আল্লাহ উক্ত দো‘আর বিনিময়ে তাকে তিনটির যেকোন একটি দান করে থাকেন : (১) তার দো‘আ দ্রুত কবুল করেন অথবা (২) তার প্রতিদান আখেরাতে প্রদান করার জন্য রেখে দেন অথবা (৩) তার থেকে অনুরূপ আরেকটি কষ্ট দূর করে দেন। একথা শুনে ছাহাবীগণ বললেন, তাহ’লে আমরা বেশী বেশী দো‘আ করব। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, আল্লাহ আরও বেশী দো‘আ কবুলকারী’।[1] অত্র হাদীছে বর্ণিত উপরোক্ত শর্তটির সাথে অন্যান্য ছহীহ হাদীছে বর্ণিত আরও তিনটি শর্ত রয়েছে। যথা : (১) দো‘আকারীর খাদ্য, পানীয় ও পোষাক পবিত্র হওয়া (অর্থাৎ হারাম না হওয়া) (২) দো‘আ কবুল হওয়ার জন্য ব্যস্ত না হওয়া (৩) উদাসীনভাবে দো‘আ না করা এবং দো‘আ কবুলের ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদী থাকা’।[2]
দো‘আ কবুলের স্থান ও সময় : আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব’।[3] এতে বুঝা যায় যে, যে কোন স্থানে যে কোন সময় যে কোন ভাষায় আল্লাহকে ডাকলে তিনি সাড়া দিবেন। তবে ছালাতের মধ্যে আরবী ব্যতীত অন্য ভাষায় দো‘আ করা যাবে না। দো‘আর জন্য হাদীছে বিশেষ কিছু স্থান ও সময়ের ব্যাপারে তাকীদ এসেছে, যেগুলি সংক্ষেপে বর্ণিত হ’ল :
(১) কুরআনী দো‘আ ব্যতিরেকে হাদীছে বর্ণিত দো‘আ সমূহের মাধ্যমে সিজদায় দো‘আ করা (২) শেষ বৈঠকে তাশাহ্হুদ ও সালামের মধ্যবর্তী সময়ে (৩) জুম‘আর দিনে ইমামের মিম্বরে বসা হ’তে সালাম ফিরানো পর্যন্ত সময়কালে (৪) রাত্রির নফল ছালাতে (৫) ছিয়াম অবস্থায় (৬) রামাযানের ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ বেজোড় রাত্রিগুলিতে (৭) ছাফা ও মারওয়া পাহাড়ে উঠে বায়তুল্লাহর দিকে মুখ করে দু’হাত উঠিয়ে (৮) হজ্জের সময় আরাফা ময়দানে দু’হাত উঠিয়ে (৯) মাশ‘আরুল হারাম অর্থাৎ মুযদালিফা মসজিদে অথবা বাইরে স্বীয় অবস্থান স্থলে ১০ই যিলহাজ্জ ফজরের ছালাতের পর হ’তে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত (১০) ১১, ১২ ও ১৩ই যিলহাজ্জ তারিখে মিনায় ১ম ও ২য় জামরায় কংকর নিক্ষেপের পর একটু দূরে সরে গিয়ে দু’হাত উঠিয়ে (১১) কা‘বাগৃহের ত্বাওয়াফের সময় রুকনে ইয়ামানী ও হাজারে আসওয়াদের মধ্যবর্তী স্থানে। (১২) ‘কারু পিছনে খালেছ মনে দো‘আ করলে, সে দো‘আ কবুল হয়। সেখানে একজন ফেরেশতা নিযুক্ত থাকেন। যখনই ঐ ব্যক্তি তার ভাইয়ের জন্য দো‘আ করে, তখনই উক্ত ফেরেশতা ‘আমীন’ বলেন এবং বলেন তোমার জন্যও অনুরূপ হৌক’।[4] এতদ্ব্যতীত অন্যান্য আরও কিছু স্থানে ও সময়ে।
আরাফা, মুযদালিফা ও অন্যান্য স্থানে পঠিতব্য দো‘আ সমূহ :
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, শ্রেষ্ঠ দো‘আ হ’ল আরাফার দো‘আ। আর আমি ও আমার পূর্বেকার নবীগণ শ্রেষ্ঠ যে দো‘আ করেছেন, তা হ’ল,
অর্থ: ‘আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁরই জন্য সকল রাজত্ব ও তাঁরই জন্য সকল প্রশংসা। তাঁর হাতেই রয়েছে সকল কল্যাণ। তিনিই বাঁচান ও তিনিই মারেন। তিনি সব কিছুর উপরে ক্ষমতাবান’। ত্বাবারাণীর বর্ণনায় দো‘আটি আরাফার দিন সন্ধ্যায় পড়ার কথা এসেছে।[5] অন্য বর্ণনায় এসেছে, যে ব্যক্তি মাগরিব ও ফজরের ছালাতের শেষে সালাম ফিরানোর পরপরই উক্ত দো‘আ দশবার পড়বে, সে ব্যক্তির জন্য প্রতি বারের বিনিময়ে ১০টি নেকী লেখা হবে, ১০টি গোনাহ মুছে দেওয়া হবে এবং তার মর্যাদার স্তর ১০টি করে উন্নীত করা হবে। এতদ্ব্যতীত এটি তার জন্য মন্দ কাজ হ’তে রক্ষাকবচ হবে ও বিতাড়িত শয়তান হ’তে সে নিরাপদ থাকবে এবং কোন পাপ তাকে স্পর্শ করবে না (অর্থাৎ তাকে ধ্বংস করতে পারবে না) শিরক ব্যতীত। অতঃপর সে ব্যক্তি হবে সকলের চাইতে উত্তম আমলকারী’।[6]
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ হ’তে, অক্ষমতা ও অলসতা হ’তে, ভীরুতা ও কৃপণতা হ’তে এবং ঋণের বোঝা ও মানুষের যবরদস্তি হ’তে’।[9]
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি আমার থেকে তোমার নে‘মত চলে যাওয়া হ’তে, তোমার দেওয়া সুস্থতার পরিবর্তন হ’তে, তোমার শাস্তির আকস্মিক আক্রমণ হ’তে এবং তোমার যাবতীয় অসন্তুষ্টি হ’তে।[11]
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সহায়তা দাও এবং আমার বিরুদ্ধে সহায়তা করো না। আমাকে সাহায্য কর এবং আমার বিরুদ্ধে সাহায্য করো না। আমাকে হেদায়াত দাও এবং আমার জন্য হেদায়াতকে সহজ করে দাও’।[12]
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল। তুমি ক্ষমা করতে ভালবাস। অতএব আমাকে ক্ষমা কর’। বিশেষ করে লায়লাতুল ক্বদরে এটা পড়ার জন্য ‘আয়েশা (রাঃ)-কে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) দো‘আটি শিক্ষা দিয়েছিলেন’।[15]
১১ - اَللَّهُمَّ إِنِّىْ أَسْأَلُكَ الْهُدَى وَالتُّقَى وَالْعَفَافَ وَالْغِنَى -
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট সুপথের নির্দেশনা, পরহেযগারিতা, চারিত্রিক পবিত্রতা এবং সচ্ছলতা প্রার্থনা করছি’।[16]
(১২) সাইয়িদুল ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দো‘আ :
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এই দো‘আ পাঠ করবে, দিবসে পাঠ করে রাতে মারা গেলে কিংবা রাতে পাঠ করে দিবসে মারা গেলে, সে জান্নাতী হবে’ (বুখারী)।-
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রতিপালক। তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ এবং আমি তোমার দাস। আমি তোমার নিকটে কৃত অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতির উপরে সাধ্যমত দৃঢ় আছি। আমি আমার কৃতকর্মগুলির অনিষ্টকারিতা হ’তে তোমার পানাহ চাচ্ছি। আমার উপরে তোমার অনুগ্রহ স্বীকার করছি এবং আমি আমার পাপসমূহ স্বীকার করছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা কর। কেননা তুমি ব্যতীত ক্ষমা করার কেউ নেই’।[17]
অর্থ: মহা পবিত্র আল্লাহ। যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ সবার চেয়ে বড়। নেই কোন উপাস্য আল্লাহ ব্যতীত; তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁরই জন্য সমস্ত রাজত্ব ও তাঁরই জন্য সমস্ত প্রশংসা। তিনি সকল বস্ত্তর উপরে ক্ষমতাশালী’। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, এই দো‘আ পাঠকারী নিরাশ হবে না’। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি প্রতি ফরয ছালাত শেষে এই দো‘আ পাঠ করবে, তার সমস্ত গোনাহ মাফ করা হবে। যদিও তা সাগরের ফেনা সমতুল্য হয়’।[18]
(১৪) উচ্চারণ: সুবহা-নাল্লা-হে ওয়া বিহামদিহী, সুবহানাল্লা-হিল ‘আযীম। অথবা সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০ বার করে ‘সুবহা-নাল্লা-হে ওয়া বেহামদিহী’ পড়বেন।
অর্থ: মহাপবিত্র আল্লাহ এবং সকল প্রশংসা তাঁর জন্য। মহাপবিত্র আল্লাহ, যিনি মহান’। এই দো‘আ পাঠের ফলে তার সকল গোনাহ ঝরে যাবে। যদিও তা সাগরের ফেনা সমতুল্য হয়’।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, কালেমা দু’টি উচ্চারণে খুবই হালকা, মীযানের পাল্লায় খুবই ভারী, কিন্তু আল্লাহর নিকটে খুবই প্রিয়’।[19] ইমাম বুখারী (রহঃ) এই দো‘আর হাদীছটি বর্ণনার মাধ্যমে ছহীহ বুখারী শেষ করেছেন।
অর্থ : আল্লাহ তিনি, যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্ব চরাচরের ধারক। কোনরূপ তন্দ্রা ও নিন্দ্রা তাঁকে স্পর্শ করে না। আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে সবকিছু তাঁরই মালিকানাধীন। তাঁর অনুমতি ব্যতীত এমন কে আছে যে তাঁর নিকটে সুফারিশ করতে পারে? তাদের সম্মুখে ও পিছনে যা কিছু আছে সবকিছুই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসমুদ্র হ’তে তারা কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না, কেবল যতটুকু তিনি দিতে ইচ্ছা করেন। তাঁর কুরসী সমগ্র আসমান ও যমীন পরিবেষ্টন করে আছে। আর এতদুভয়ের তত্ত্বাবধান তাঁকে মোটেই শ্রান্ত করে না। তিনি সর্বোচ্চ ও মহীয়ান’।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, প্রত্যেক ফরয ছালাত শেষে ‘আয়াতুল কুরসী’ পাঠকারীর জান্নাতে প্রবেশ করার জন্য আর কোন বাধা থাকে না মৃত্যু ব্যতীত’ (নাসাঈ)। শয়নকালে পাঠ করলে সকাল পর্যন্ত তার হেফাযতের জন্য একজন ফেরেশতা পাহারায় নিযুক্ত থাকে। যাতে শয়তান তার নিকটবর্তী হ’তে না পারে’।[20]
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! তুমি আমাকে হারাম ব্যতীত হালাল দ্বারা যথেষ্ট কর এবং তোমার অনুগ্রহ দ্বারা আমাকে অন্যদের থেকে মুখাপেক্ষীহীন কর’। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, এই দো‘আ পাঠের দ্বারা পাহাড় পরিমাণ ঋণ থাকলেও আল্লাহ তার ঋণমুক্তির ব্যবস্থা করে দেন’।[21]
অর্থ : হে চিরঞ্জীব! হে বিশ্ব চরাচরের ধারক! আমি তোমার রহমতের আশ্রয় প্রার্থনা করছি’। আনাস (রাঃ) বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর উপর কোন কাজ কঠিন হয়ে দেখা দিত, তখন তিনি এ দো‘আটি পড়তেন’।[22]
অর্থ: তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তুমি মহা পবিত্র। নিশ্চয়ই আমি সীমালংঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত’। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, মাছের পেটে ইউনুস এই দো‘আ পড়ে আল্লাহকে ডেকেছিলেন (এবং মুক্তি পেয়েছিলেন)। এক্ষণে যদি কোন মুসলিম কোন বিপদে পড়ে এ দো‘আ পাঠ করে, আল্লাহ তা কবুল করবেন’।[23]
অর্থ: ‘আমি আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্ব চরাচরের ধারক এবং আমি তাঁর দিকে ফিরে যাচ্ছি বা তওবা করছি’। এই দো‘আ পড়লে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন, যদিও সে জিহাদের ময়দান থেকে পলায়নকারী হয়।[24] রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, হে জনগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা কর। কেননা আমি তাঁর নিকট দৈনিক একশ’ বার করে তওবা করি’।[25]
(১৯) জান্নাত প্রার্থনা ও জাহান্নাম থেকে বাঁচার দো‘আ :
অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! তুমি আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও এবং জাহান্নাম থেকে পানাহ দাও’। এই দো‘আ পড়লে জান্নাত বলে, হে আল্লাহ! তুমি তাকে জান্নাতে দাও। অন্যদিকে জাহান্নাম বলে, হে আল্লাহ! তুমি তাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও![26]
زيارة المسجد النبوي r
মসজিদে নববীর যিয়ারত
এটি হজ্জ বা ওমরাহর কোন অংশ নয়। এটা না করলে হজ্জের নেকীর কোন ঘাটতি হয় না। তবে হজ্জের আগে বা পরে মসজিদে নববীর যিয়ারত এবং সেখানে ছালাত আদায়ের অশেষ নেকী হাছিলের উদ্দেশ্যে মদীনায় গমন করা যায়। শুধু মাত্র রাসূল (ছাঃ)-এর কবর যেয়ারতের উদ্দেশ্যে গমন করা জায়েয নয়। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেছেন,
‘তিনটি মসজিদ ব্যতীত (নেকীর উদ্দেশ্যে) সফর করা যাবে না; মাসজিদুল হারাম, মাসজিদুল আক্বছা ও আমার এই মসজিদ’।[27] মসজিদে নববীতে একবার ছালাত আদায় বায়তুল্লাহ ছাড়া অন্য মসজিদে এক হাযার ছালাতের চাইতে উত্তম।[28]
এখানে তাঁর মসজিদের কথা বলা হয়েছে, কবরের কথা নয়। সাধারণভাবে যেকোন সময়ে রাসূল (ছাঃ)-এর কবর যেয়ারত করা যাবে। কিন্তু কেবল উক্ত উদ্দেশ্যে ঘর হ’তে বের হওয়া এবং সফর করা নিষিদ্ধ। ‘যে ব্যক্তি আমার কবর যেয়ারত করবে, তার জন্য আমার শাফা‘আত ওয়াজিব হবে’ বা ‘আমি তার জন্য ক্বিয়ামতের দিন সাক্ষী হব’ ইত্যাদি মর্মে যে সমস্ত হাদীছ বলা হয়ে থাকে, তার সবগুলিই জাল ও বাজে ( كلها واهية )।[29]
² মসজিদে নববীতে প্রবেশ ও বের হওয়ার দো‘আ এবং মাসজিদুল হারামে প্রবেশ ও বের হওয়ার দো‘আ একই। অতএব সেখানে দেখে নিন।
মসজিদে নববীতে প্রবেশের পর দু’রাক‘আত ‘তাহিইয়াতুল মাসজিদ’ ছালাত আদায় করবেন। তবে জামা‘আত চলতে থাকলে কোনরূপ নফল বা সুন্নাত না পড়ে সরাসরি জামা‘আতে যোগ দিবেন। সময় পেলে ইচ্ছামত নফল ছালাত আদায় করা যাবে। এটা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর বাসগৃহ (বর্তমানে কবর) ও মিম্বরের মধ্যবর্তী ‘রওযা’র মধ্যে পড়াই উত্তম। এ স্থানটিকে হাদীছে ‘রওযাতুল জান্নাহ’ বা জান্নাতের বাগিচা বলা হয়েছে।[30] স্থানটি সবুজ রংয়ের খাম্বা দ্বারা বেষ্টিত।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কবর যেয়ারত :
‘রওযাতুল জান্নাহ’ থেকে একটু সামনে এগিয়ে বামে দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হয়ে প্রথমে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কবর বরাবর গিয়ে এভাবে সালাম দিবেন-
অর্থ: ‘হে ওমর! আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হউক এবং আল্লাহর রহমত ও বরকত সমূহ নাযিল হউক’!![31]
বাক্বী‘ গোরস্থান যিয়ারত : মসজিদে নববীর পূর্বদিকে ‘বাক্বী‘উল গারক্বাদ’ কবরস্থান যিয়ারত করা সুন্নাত। এখানে বহু ছাহাবী, তাবেঈ ও মুসলিম বিদ্বানমন্ডলীর কবর রয়েছে। তবে কবরের কোন চিহ্ন নেই এবং চিহ্ন তালাশ করাও উচিত নয়। এ সময় কবরবাসীদের উদ্দেশ্যে দু’হাত তুলে নিম্নোক্ত দো‘আ পড়বেন-
অর্থ: মুমিন ও মুসলিম কবরবাসীগণ! আপনাদের উপরে শান্তি বর্ষিত হৌক! আর আমরাও আল্লাহ চাহেন তো অবশ্যই আপনাদের সাথে মিলিত হ’তে যাচ্ছি। আমাদের ও আপনাদের জন্য আমরা আল্লাহর নিকটে কল্যাণ প্রার্থনা করছি’।[33]
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।