মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
একজন চিন্তিত স্বরে প্রশ্ন করলো, আমি তাওবা করতে চাই কিন্তু আমার উপর কি এটা ওয়াজিব যে, আমি গিয়ে স্বীকার করবো যা কিছু পাপ করেছি এবং আমার তাওবার কি এটা শর্ত যে, আমি বিচারকের সামনে গিয়ে কোর্টে দাঁড়িয়ে সব কিছু স্বীকার করবো, আমার উপর শাস্তি বিধান কার্যকর করতে বলবো?
আমি বলবো যে ইতিপূর্বে মায়েয ও জনৈকা মহিলা এবং সেই ব্যক্তির ঘটনা যে এক মহিলাকে বাগানের ভিতর একাকী পেয়ে চুমু খেয়েছিল এর অর্থই বা কি?
হে মুসলিম ভাই! আপনার উদ্দেশ্যে বলছি, আল্লাহর সাথে কোন রকম মাধ্যম ছাড়াই বান্দার যোগাযোগ এই একত্ববাদী ইসলামের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য যা আল্লাহ পছন্দ করেন। তিনি বলেন:
(আরবি)
‘‘এবং যখন আপনাকে আমার বান্দারা আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে, (তখন বলবেন) আমি তাদের খুবই নিকটে রয়েছি, প্রার্থনাকারীর প্রার্থনায় সাড়া দেই যখন সে আমাকে ডাকে।’’ (সূরা আল বাকারা: ১৮৬)
আমরা যখন বিশ্বাস করি যে, তাওবা হলো একমাত্র আল্লাহর জন্য তখন স্বীকারোক্তিও একমাত্র আল্লাহর নিকট করতে হবে। ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দু’আতে বলা হয়েছে, ‘‘আমি আপনার দেয়া আমার উপর নেয়ামতের স্বীকার করছি এবং আমার গুনাহেরও স্বীকারোক্তি দিচ্ছি।’’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! আপনার নিকট আমার অপরাধ স্বীকার করছি। আল্লাহর জন্যই সমস্ত প্রশংসা যে, আমরা খৃষ্টানদের মত নই, পাদ্রী ও স্বীকারোক্তির চেয়ার এবং ক্ষমার দলীল ... (তারাই ক্ষমা করে দিবে) ইত্যাদি যত সব হাস্যকর বিষয়। বরং মহান আল্লাহ্ বলেন:
(আরবি)
‘‘তারা কি জানেনা যে, আল্লাহই একমাত্র তার বান্দাদের তাওবা কবুল করেন।’’ (সূরা আত্তাওবা: ১০৪)
কোন রকমের মাধ্যম ছাড়াই। আমি তাওবা করতে চাই - 54
আমি তাওবা করতে চাই - 54
শাস্তির বিধান কায়েম করার ব্যাপারটি হলো, যদি বিষয়টি বিচারক অথবা কাজীর নিকট পর্যন্ত না পৌছে তাহলে জরুরী নয় যে কেউ এসে স্বীকারোক্তি দিবে। যার দোষ আল্লাহ গোপন রেখেছেন সে যেন নিজের দোষ গোপন রাখে। তার জন্য যথেষ্ট হবে সে তার রবের নিকট তাওবা করবে। মহান আল্লাহ বান্দাদের দোষত্রুটি গোপন করতে ভালবাসেন। তবে সেই সব সাহাবী যেমন মায়েয এবং মহিলা সাহাবী যারা ব্যভিচার করেছিলেন এবং যে ব্যক্তি বাগানে জনৈকা মহিলাকে চুমু খেয়েছিলেন, এবং তারা আপন আপন কর্মের কথা নিজ নিজ ইচ্ছায় প্রকাশ করেছিলেন অথচ তা তাদের উপর ওয়াজিব ছিলনা। এটা হয়েছিল তাদের নিজেদেরকে পবিত্র করার প্রবল ইচ্ছার কারণে। এর প্রমাণ হলো, যখন মায়েয এবং মহিলাটি প্রথমে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট আসেন তখন তিনি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। তেমনিভাবে হযরত উমর ফারুক রাযিয়াল্লাহু আনহুর বক্তব্য সেই ব্যক্তির ব্যাপারে যে বাগানের ভিতর জনৈক মহিলাকে চুমু খায়, আল্লাহ এর দোষ গোপন করে রেখেছেন, যদি সে নিজের দোষ নিজে ঢেকে রাখত তাহলে কতই না ভাল হতো, আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুপ করে থেকে এটাকে সমর্থন করেন। এর উপর ভিত্তি করে বলা যায় যে, কোর্টে গিয়ে লিপিবদ্ধ করে নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় সরকারীভাবে স্বীকারোক্তি দেয়ার প্রয়োজন নেই, যখন আল্লাহ তার বান্দার দোষ ত্রুটিকে গোপন রেখেছেন। তেমনিভাবে মসজিদের ইমামের নিকট গিয়ে হদ কায়েম করার জন্য নিবেদন করাও জরুরী নয় এবং বন্ধু বান্ধবের সহযোগিতা নেয়ারও প্রয়োজন নেই যেমন ঘরের মধ্যে তাকে বেত্রাঘাত করবে, যেমনটি অনেকের মনেই এসব চিন্তার উদয় হয়ে থাকে।
এ থেকেই বুঝা যায় কতিপয় জাহেল লোকের জঘন্যতম অবস্থানের কথা যা তাওবাকারীদের সাথে ঘটিয়েছে, এর সার-সংক্ষেপ হলো নিম্নোক্ত ঘটনা:
এক গুনাহগার মসজিদের জনৈক জাহেল ইমামের নিকট গিয়ে স্বীকার করে যে, সে এসব পাপ করেছে এবং তার নিকট এর সমাধান চায়। তখন তাকে সে ইমাম বলে, অবশ্যই প্রথমে তোমাকে কোর্টে যেতে হবে এবং শরীয়ত মোতাবেক স্বীকারোক্তি প্রদান করতে হবে। এরপর তোমার উপর হদ কায়েম করা হবে, তারপর তোমার অন্যান্য বিষয়ে দৃষ্টি দেয়া হবে। যখন এই বেচারা দেখলো যে এসব কাজ করতে সে সক্ষম নয় তখন তাওবা থেকে ফিরে গেল এবং পূর্বের অবস্থায় চলে গেল। আমি এ সুযোগে একটি কথা বলতে চাই, হে মুসলমান ভাইয়েরা! দ্বীনের বিধান সম্পর্কে অবগত হওয়া আমাদের উপর পবিত্র আমানত এবং এটি তার সঠিক মূল উৎস থেকে গ্রহণ করাটাও পবিত্র আমানত। আল্লাহ বলেন:
(আরবি)
‘‘তোমরা বিজ্ঞলোকদেরকে জিজ্ঞেস করো, যদি তোমরা না জান।’’ (সূরা আন্নহল: ৪৩) তিনি আরো বলেন:
(আরবি)
‘‘তিনি অতীব দয়ালু সুতরাং এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস কর।’’ (সূরা আল-ফুরকান: ৫৯)
প্রত্যেক ওয়ায়েজই ফাতওয়া দেয়ার জন্য উপযুক্ত নয় এবং প্রত্যেক ইমাম মুয়াজ্জিনই মানুষকে শারীয়তের হুকুম আহকাম বলে দেয়ার যোগ্যতা রাখে না এবং প্রত্যেক গল্পকার বা সাহিত্যিকই ফাত্ওয়া সংগ্রহ করে দেয়ার যোগ্যতা রাখেনা। একজন মুসলমান অবশ্যই জিজ্ঞাসিত হবে যে, সে কার নিকট থেকে ফাতওয়া গ্রহণ করেছে এবং এটি একটি তাআববুদী (শরয়ী) বিষয়।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উম্মতের জন্য পথভ্রষ্ট আলেম ওলামার ব্যাপারে আশংকা করেছেন। একজন সালাফ বলেন, এই ইলম হচ্ছে দ্বীনের অন্তর্গত, সুতরাং তোমরা লক্ষ্য করবে যে, কার নিকট থেকে তোমাদের এই দ্বীন গ্রহণ করছ। অতএব হে আল্লাহর বান্দারা! এই দুস্কর পথের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করুন এবং জ্ঞানবানদের কাছে পথের দিশা সন্ধান করুন সেসব বিষয়ে যা আপনার নিকট অস্পষ্ট থেকে যায়। আল্লাহই আমাদের সর্বাত্মক সাহায্যকারী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/175/14
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।