HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মানুষের উপর জিনের আছর কারণ, প্রতিকার ও সুরক্ষার উপায়

লেখকঃ আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান

মানসিক রোগী আর জিনে ধরা রোগীর মধ্যে পার্থক্য
অনেক সময় আমরা এ সমস্যায় পড়ে যাই। ঠিক করতে পারি না রোগটা কি মানসিক না-কি পাগল, না কি জনিরে আছর থেকে রোগ দেখা দিয়েছে। অনেক সময় তাই আমরা মানসিক-রোগীকে জিনে-ধরা রোগী বলে থাকি। তেমনি জিনে-ধরা রোগীকে মানসিক রোগী বলে চালাতে চেষ্টা করি। বিশেষ করে ডাক্তার ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা কোনভাবেই জিনের আছরকে স্বীকার করতে চান না। তারা এ জাতীয় সকল রোগীকে মানসিক রোগী বলে সনাক্ত করে থাকেন।

পাগলামী-কে আরবীতে বলা হয় জুনুন। আর পাগল-কে বলা হয় মাজনূন। আরবীতে এ জুনুন ও মাজনূন শব্দ দুটো কিন্তু জিন শব্দ থেকেই এসেছে।

যেমন আল কুরআনে এসেছে :

إِنْ هُوَ إِلَّا رَجُلٌ بِهِ جِنَّةٌ فَتَرَبَّصُوا بِهِ حَتَّى حِينٍ

সে কেবল এমন এক লোক, যার মধ্যে পাগলামী রয়েছে। অতএব তোমরা তার সম্পর্কে কিছুকাল অপেক্ষা কর।

এ কথাটি নূহ আলাইহিস সালামের সম্প্রদায়ের লোকেরা তার সম্পর্কে বলেছিল। এ আয়াতে জিন্নাতুন শব্দের অর্থ হল পাগলামী।

কাজেই কাউকে পাগলামীর মত অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখলে সেটা যেমন জিনের আছরের কারণে হতে পারে, আবার তা মানসিক রোগের কারণেও হতে পারে। তবে এ বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু বিষয় নির্ধারণ করেছেন, যার মাধ্যমে মানসিক রোগী আর জিনে-ধরা রোগীর মধ্যে পার্থক্য করা যায়।

এগুলো হল:

এক. জিনে-ধরা রোগী কিছুক্ষণের জন্য বেহুশ হয়ে যায়। মানসিক রোগী বেহুশ হয়ে পড়ে না।

দুই. কখনো কখনো জিনে-ধরা রোগীর মুখ থেকে ফেনা বের হয়। দাতে খিল লেগে যায়। মানসিক রোগীর মুখ থেকে ফেনা বের হয় না।

তিন. জিনে ধরা রোগী প্রায়ই সপ্নে সাপ, কুকুর, বিচ্ছু, বানর, শিয়াল, ইঁদুর ইত্যাদি দেখে থাকে। কখনো কখনো সপ্নে দেখে সে অনেক উচু স্থান থেকে পড়ে যাচ্ছে।

চার. জিনে ধরা রোগীর সর্বদা ভীতু ভাব থাকে। সর্বদা তার ভয় লাগে। মানসিক রোগীর তেমন ভয় থাকে না।

পাঁচ. জিনে ধরা রোগী নামাজ পড়া, কুরআন তেলাওয়াত, আল্লাহর যিকির ইত্যাদি পছন্দ করে না। বরং এগুলো তার অস্থিরতা বাড়িয়ে দেয়।

ছয়. জিনে ধরা রোগী কখনো কখনো ভিন্ন ভাষা ও ভিন্ন ভঙ্গিতে কথা বলে।

সাত. জিনে ধরা রোগী অধিকাংশ সময় স্বাভাবিক থাকে। মাঝে মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ করে।

আট. জিনে-ধরা রোগী থেকে অনেক সময় আশ্চর্যজনক বিষয় প্রকাশ হয়ে থাকে। যেমন অল্প সময়ে সে বহু দূরে চলে যায়। গাছে উঠে সরু ডালে বসে থাকে ইত্যাদি।

নয়. জিনে ধরা রোগীর কাছে স্বামী, ঘর-সংসার, স্ত্রী-সন্তানদের ভাল লাগে না।

দশ. জিনে ধরা রোগীর উপর যখন জিন চড়াও হয় তখন ক্যামেরা দিয়ে তার ছবি তুললে ছবি ধোঁয়ার মত অস্পষ্ট হয়। স্পষ্ট হয় না। দেখা গেছে আশে পাশের সকলের ছবি স্পষ্টভাবে উঠেছে কিন্তু রোগীর ছবিটি ধোয়াচ্ছন্ন। এটা কারো কারো নিজস্ব অভিজ্ঞতা। মনে রাখতে হবে অভিজ্ঞতা সর্বদা এক রকম ফলাফল নাও দিতে পারে।

কিন্তু বড় সমস্যা হবে তখন, যখন রোগীটি নিজেকে জিনে ধরা বলে অভিনয় করে কিন্তু তাকে জিনেও আছর করেনি আর সে মানসিক রোগীও নয়। সে তার নিজস্ব একটি লক্ষ্য পূরণের জন্য জিনে ধরার অভিনয় করছে।

এ অবস্থায় অভিভাবকের করণীয় হল, তারা তাকে তার দাবী পুরণের আশ্বাস দেবে। তাহলে তার জিন ছেড়ে যাবে। পরে তার দাবীটি যৌক্তিক হলে পূরণ করা হবে আর অযৌক্তিক হলে পূরণ করা হবে না। এরপর যদি সে আবার জিনে ধরার অভিনয় করে তাহলে তাকে জিনে ধরা রোগী বলে আর বিশ্বাস করার দরকার নেই। অনেক সময় শারিরিক শাস্তির ভয় দেখালে এ ধরনের বাতিল জিন চলে যায়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন