HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সালাতের আহকাম ও পদ্ধতি

লেখকঃ গবেষণা পরিষদ, আল-মুনতাদা আল-ইসলামী

১২
সালাতের বিধানাবলী
আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে করীমে সালাতের আদেশ দিলেও এর পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন নি। তবে হাদীসে এর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ وَأَنزَلۡنَآ إِلَيۡكَ ٱلذِّكۡرَ لِتُبَيِّنَ لِلنَّاسِ مَا نُزِّلَ إِلَيۡهِمۡ ﴾ [ النحل : ٤٤ ]

“আর তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করেছি যাতে তুমি মানুষকে বুঝিয়ে দাও যা তাদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে।” [সূরা আন-নাহল, আয়াত: ৪৪]

আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«َصَلُّوا كَمَا رَأَيْتُمُونِي أُصَلِّي»

“তোমরা আমাকে যেভাবে সালাত আদায় করতে দেখেছো ঠিক সেভাবে সালাত আদায় করো।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং 631]

একজন মুসলিম যখন সালাতে দাঁড়ায় তখন তার অন্তরে এমন একটি অনুভূতি থাকা উচিৎ যে, সে এখন মহান আল্লহর সম্মুখে দণ্ডায়মান, তিনি তার চোখের ইশারা অন্তরের অন্তস্থলের বিরাজমান সব কিছুই জানেন। মনের চিন্তা চেতনা আকুতি-মিনতি সবই তার জ্ঞাত। যদি মানুষের মধ্যে এ ধরনের অনুভূতি জাগ্রত থাকে তবেই তার অন্তর সালাতে একমাত্র আল্লাহর দিকেই নিমগ্ন থাকবে। যেমনিভাবে তার দেহ-শরীর কিবলার দিকে থাকে অনুরূপভাবে তার মনও কিবলামুখী থাকবে। একজন সালাত আদায়কারীর কর্তব্য হল, যখনই সে সালাতে দাঁড়াবে, তাকে বিশ্বাস করতে হবে যে, সে এখন আল্লাহর সম্মুখে উপস্থিত, আর যখন সালাত আরম্ভ করে তখন বিশ্বাস করবে যে, এখন সে আল্লাহর সাথেই কথোপকথন করছে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلَاةِ، فَإِنَّهُ يُنَاجِي رَبَّهُ»

“যখন তোমাদের কেউ সালাতে দাঁড়ায় তখন সে আল্লাহর সাথেই নিভৃতে আলাপ করে।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৯০]

অতঃপর সালাতে যখন বলে, ‘আল্লাহু আকবর’ তখন সে বিশ্বাস করে যে আল্লাহই সর্বশ্রেষ্ঠ, তার ওপর আর কেউ শেষ্ঠ নেই।

আর জাগতিক সবকিছুই সালাত আদায়কারীর নিকট তুচ্ছ। কারণ, সে দুনিয়াকে পশ্চাতে ফেলে সালাতে নিমগ্ন হয়। তাকবীর বলার সাথে সাথে দুই হাত কাঁধ বরাবর উঠায়, ডান হাতকে বাম হাতের বাহুর ওপর রাখে, মাথাকে অবনত করে, উপরের দিকে চক্ষু উঠায় না এবং ডানে বামে তাকায় না। অতঃপর সে সালাত শুরুর দো‘আ পড়বে,

«سُبْحَانَكَ اللهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، تَبَارَكَ اسْمُكَ، وَتَعَالَى جَدُّكَ، وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ»

“সমস্ত মর্যাদা ও গৌরব আপনারই হে আল্লাহ! সমস্ত প্রশংসা কেবল আপনারই জন্য, আপনার নামেই সমস্ত বরকত ও কল্যাণ এবং আপনার মর্যাদা অতি উচ্চে। আর আপনি ব্যতীত সত্যিকার কোনো মা‘বুদ নেই।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৯৯]

এছাড়া ও আরো যেসব দো‘আ বিশুদ্ধ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত, তাও পাঠ করা যেতে পারে।

তারপর ( أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ ) ও ( بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ ) পড়বে।

তারপর সূরা আল-ফাতিহা পড়বে আর সূরা আল-ফাতিহার অর্থের মধ্যে গভীরভাবে চিন্তা করবে।

হাদীসে কুদসীতে বর্ণিত রয়েছে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আমি সালাতকে আমার ও বান্দার মাঝে দুই ভাগে ভাগ করেছি; অর্ধেক আমার জন্য, আর অর্ধেক আমার বান্দার। আর বান্দা আমার নিকট যা চায় তাই সে পায়। যখন সে বলে, ( ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ) ‘আলহামদু লিল্লাহি রব্বি ‘আলামীন’ তখন আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে’। আর যখন বলে ( ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ ) ‘আররাহমানির রাহীম’ তখন আল্লাহ বলেন, ‘আমার বান্দা আমার গুনগান করেছে’। আর যখন বলে ( مَٰلِكِ يَوۡمِ ٱلدِّينِ ) ‘মালিকি ইয়াও মিদ্দীন’ তখন আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আমার বান্দা আমার মাহত্ব ঘোষণা করেছে’। আর যখন বলে ( إِيَّاكَ نَعۡبُدُ وَإِيَّاكَ نَسۡتَعِينُ ) ‘ইয়্যাকানা‘বুদু ওয়াইয়্যাকানাসতাঈ‘ন’ তখন আল্লাহ তা‘আলা বলেন, এটি আমার এবং আমার বান্দার মাঝে সীমাবদ্ধ। আর বান্দা লাভ করে যা সে প্রার্থনা করে। আবার যখন সে বলে ٱهۡدِنَا ٱلصِّرَٰطَ ٱلۡمُسۡتَقِيمَ ...)) ‘ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম ...’ তখন আল্লাহ তা‘আলা বলেন, এ শুধু আমার বান্দার এবং সে লাভ করে যা সে প্রার্থনা করে।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫৮৯]

আর সূরা ফাতিহা শেষ করে সে آمِيْن )) বলবে অর্থাৎ, ‘হে আল্লাহ! আপনি আমার দো‘আ কবুল করুন’।

সূরা ফাতিহা শেষ করার পর কুরআনের যে কোনো অংশ থেকে সহজ কয়েকটি আয়াত তিলাওয়াত করবে। তারপর দু’হাত তুলে আল্লাহ আকবর বলে রুকু করবে। রুকুতে দু’হাত হাঁটুর ওপর রাখবে। আঙ্গুলগুলো খোলা থাকবে আর দুই বাহুকে দুই পার্শ্ব থেকে দূরে রাখবে। মাথা ও পিঠ সমান রাখবে, বাঁকা করবেনা। রুকুতে গিয়ে কমপক্ষে তিনবার ( سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيْمِ ) ‘সুবাহানা রব্বিয়াল আযীম’ বলবে এবং বেশি বেশি করে আল্লাহর মাহত্ব বর্ণনা করবে। যেমন সাজদায় গিয়ে বলবে,

«سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي»

“সুবহানাকা আল্লাহুম্মা রব্বানা ওয়া বিহামদিকা, আল্লাহুম্মাগফিরলী।” অর্থাৎ “হে আল্লাহ! আমাদের প্রভু তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি, তোমার প্রশংসা সহকারে, হে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা কর।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪২৯৩]

অতঃপর ‘আল্লাহু আকবর’ বলে মাথা উঁচু করবে এবং দু’হাত কাঁধ পর্যন্ত অথবা দু কানের লতী পর্যন্ত উঠাবে, ডান হাত বাম হাতের বাহুর ওপর রাখবে এবং বলবে, ( رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ ) অথবা ( رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ ) অথবা ( اللهم رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ ) উল্লিখিত দো‘আগুলো এক এক সময় এক একটি করে পড়া উত্তম। আর যদি সালাত আদায়কারী মুক্তাদি হয় তবে তাকে ( سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ) বলতে হবে না, বরং সে উঠার সময় শুধু উল্লিখিত দো‘আগুলো পড়বে। এছাড়া সে এ দো‘আও পড়তে পারে ( رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ )

তারপর সাজদায় যাওয়ার জন্য তাকবীর বলবে। সাজদায় যাওয়ার সময় দুই হাত উঠানোর কোনো প্রয়োজন নেই। সাজদায় যাওয়ার সময় হাত উঠানো বিশুদ্ধ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। প্রথমে দুই হাঁটু জমিনে রাখবে তারপর দুই হাত তারপর কপাল তারপর নাক। মোটকথা, সাতটি অঙ্গের ওপর সাজদা করবে কপাল নাক দুই ক্ববজি দুই হাঁটু দুই পায়ের আঙ্গুলি। আর বাহুদ্বয়কে খাড়া করে রাখবে, মাটির সাথে মেশাবে না এবং হাঁটুর ওপরেও রাখবে না, আর দুই বাহুকে দুই পার্শ্ব হতে এবং পেটকে দুই উরু হতে আলাদা রাখবে। পিঠ উঁচু করে রাখবে, বিছিয়ে দিবে না। সাজদারত অবস্থায় তিনবার বলবে, ( سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلَى ) এবং ( سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ )বলারও বিধান রয়েছে। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৫২]

আর সাজদায় বেশি বেশি করে আল্লাহর নিকট র্প্রাথনা করবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন,

«أَقْرَبُ مَا يَكُونُ الْعَبْدُ مِنْ رَبِّهِ، وَهُوَ سَاجِدٌ، فَأَكْثِرُوا الدُّعَاءَ»

“বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে নৈকট্য লাভ করে যখন সে সাজদারত থাকে। সুতরাং তোমরা সাজদারত অবস্থায় বেশি বেশি প্রার্থনা কর।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫৭৯]

কিন্তু মুক্তাদির জন্য দীর্ঘ দো‘আ করার অযুহাতে ইমামের চেয়ে বেশি দেরী করা; কোনো ক্রমেই তা ঠিক নয়। কারণ, ইমামের অনুকরণ করা ওয়াজিব ও অধিক গুরুত্বর্পূণ বিষয়। তারপর তাকবীর বলে সাজদা হতে উঠবে এবং দুই সাজদার মাঝে ‘মুফতারেশ’ বসবে।

এর নিয়ম হল, বাম পা বিছিয়ে দিবে আর ডান পা ডান পার্শ্বে খাড়া করে রাখবে। আর দুই হাতের মধ্যে ডান হাত ডান উরুর উপর অথবা হাঁটুর মাথায় এবং বাম হাত বাম উরুর উপর অথবা হাঁটুকে মুষ্টি করে আঁকড়ে ধরবে। ডান হাতের কনিষ্ট, অনামিকা ও মধ্যমা অঙ্গুলীগুলো মিলিয়ে রাখবে। তর্জণী খোলা রাখবে শুধু দো‘আর সময় নড়াচড়া করতে থাকবে। যেমন, رَبِّ اغْفِرْلِيْ বলার সময় উঠাবে এবং وَارْحَمْنِيْ বলার সময় উঠাবে। দুই সাজদার মাঝে বসা অবস্থায় এ দো‘আ পড়বে,

«اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي،   وَعَافِنِي   وَارَزُقْنِي وَاهْدِنِي، وَاجْبُرْنِيْ»

‘‘আল্লাহুম্মাগফির্লী ওয়ার্হামনী ওয়া আফিনী ওয়ারযুকনী ওয়াহদিনী ওয়াজবুরনী’’। অর্থাৎ ‘‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, দয়া করুন, নিরাপদে রাখুন, জীবিকা দান করুন, সরল পথ দেখান, শুদ্ধ করুন।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬৯৩]

প্রথম রাকাতে যা যা করেছে দ্বিতীয় রাকাতেও তাই করবে। তবে দ্বিতীয় রাকাতে دُعَاءُ الْاسْتِفْتَاحِ পড়তে হবে না। দ্বিতীয় রাকাত আদায় করা শেষ হলে তাশাহুদ পড়ার জন্য দুই সাজদার মাঝে যেভাবে দুই হাত ও পা রেখেছিল ঠিক একইভাবে হাত পা রেখে বসবে। তার পর তাশাহুদ পড়বে

«التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ»

“যাবতীয ইবাদত ও অর্চনা মৌখিক শারীরিক ও আর্থিক সমস্তই আল্লাহর জন্য হে নবী আপনার ওপর আল্লাহর শান্তি রহমত ও বরকত অবতীর্ণ হোক আমাদের ওপর এবং নেক বান্দাদের ওপর শান্তি অবতীর্ণ হোক আমি সাক্ষ্য দিচ্ছ যে আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোনো মাবুদ নেই এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসুল।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং 1202]

আর যদি সালাত তিন রাকাত অথবা চার রাকাত বিশিষ্ট হয় তা’হলে তাশাহুদ পড়ার পর তাকবীরে তাহরীমের সময় যেভাবে হাত ইঠায় সে ভাবে হাত উঠিয়ে দাঁড়িয়ে যাবে এবং বাকী সালাত আদায় করবে। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় রাকাতে শুধু সূরা আল-ফাতিহা পড়বে।

তারপর তিন রাকাত অথবা চার রাকাতের পর শেষ তাশাহুদের জন্য বসবে। এবং ‘তাওয়াররুক’ করে বসবে। অর্থাৎ ডান পা খাড়া করে রাখবে এবং বাম পা নলার নিচ দিয়ে বের করে দিবে এবং নিতম্বদ্বয় জমিনে বিছিয়ে দিবে। অতঃপর শেষ তাশাহুদ পড়বে এবং দুরূদ শরীফ পড়বে

«اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ، وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ، اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ، وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ»

“হে আল্লাহ তুমি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার বংশধরদের প্রতি রহমত নাযিল কর যেমনটি করেছিলে ইবরাহীম ‘আলাইহিস সালাম ও তার বংশধরদের প্রতি, নিশ্চয় তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীত। হে আল্লাহ তুমি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার বংশধরদের প্রতি বরকত নাযিল কর যেমনটি বরকত দিয়েছিলে ইবরাহীম ‘আলাইহিস সালাম ও তার বংশধরদের প্রতি, নিশ্চয় তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীত।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৩৭০]

এ দুরূদ শরীফকে শেষ তাশাহুদের সাথে যোগ করবে।

এছাড়াও যে কোনো দুরূদ, যা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত, পড়তে পারবে।

তারপর এ দো‘আটি পড়বে:

«اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا، وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ، وَارْحَمْنِي إِنَّكَ أَنْتَ الغَفُورُ الرَّحِيمُ»

“হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের ওপর অনেক বেশি যুলুম করেছি। আর আপনি ছাড়া কেউই আমার গুনাহসমূহ মাফ করতে পারে না। সুতরাং আপনি আপনার নিজ গুনে আমাকে মার্জনা করে দিন এবং আমার প্রতি রহম করুন। আপনিতো র্মাজনাকারী ও দয়ালু।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৮৫১]

এ দো‘আটিও পড়বে:

«اللهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ، وَمِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ، وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ»

“হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় চাচ্ছি জাহান্নাম থেকে, আশ্রয় চাচ্ছি কবরের আযাব থেকে, আশ্রয় চাচ্ছি জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেতে এবং মাসীহে দাজ্জালের ফিতনা থেকে।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫৮8]

এরপর দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যানের জন্য দো‘আ করবে।

যেমন, হাদীসে বর্ণিত:

«ثُمَّ يَدْعُو لِنَفْسِهِ بِمَا بَدَا لَهُ»

“তারপর তার নিজের কল্যাণের জন্য যে কোনো দো‘আ করবে।” [সুনান নাসাঈ, হাদীস নং 1310]

সালামের পূর্বে বেশি বেশি করে দো‘আ করা উচিত। বিশেষ করে পুর্বোক্ত হাদীসে উল্লিখিত চারটি বিষয়ে আল্লাহর নিকট বেশি করে প্রার্থনা করবে। তারপর হাদীসে উল্লিখিত অন্যান্য দো‘আ করতে পারে। অতঃপর «السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ» বলে ডানে ও বামে সালাম ফিরাবে।

উল্লিখিত র্কাযাবলী সুন্নাতানুসারে সম্পাদনের পর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো অন্তরকে হাজির রাখা এবং শয়তানের প্রবঞ্চনা, যা দ্বারা ছাওয়াব বিনষ্ট হয়, তা হতে অন্তরকে মুক্ত রাখা। কারণ, শয়তানের সাথে তার যুদ্ধ ততক্ষণ পর্যন্ত শেষ হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তার মৃত্যু হবে না। আল্লাহর নিকট আমরা আমাদের সুন্দর পরিণতি কামনা করি।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন