HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
হালাল উপার্জন
লেখকঃ সানাউল্লাহ নজির আহমদ
১২
তাকদীরে সন্তুষ্ট থাকার কিছু পদ্ধতি:এক. নিচের লোকের প্রতি দৃষ্টি দেয়া : ইমাম মুসলিম প্রমুখগণ বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
" انظروا إلى مَنْ أَسْفَلَ منكم، ولا تنظروا إلى مَن هو فوقكم؛ فهو أجدر ألَّا تَزْدَرُوا نعمة الله "
তোমাদের নিচে যারা রয়েছে, তাদের দিকে তোমরা দৃষ্টি প্রদান কর। তোমাদের উপররের লোকের দিকে তাকিয়ে না, তাহলে তোমরা আল্লাহর নিআমতের অকৃতজ্ঞ হবে না। ইমাম নববী বলেন : ইবনে জারির প্রমুখগণ বলেছেন : এ হাদিসে সব ধরনের কল্যানের কথা রয়েছে, কারণ মানুষ যখন দুনিয়ার দিক থেকে তার উপরে তাকায়, তখন সে তার ন্যায় নিআমত প্রত্যাশা করে। আর তার নিকট রক্ষিত আল্লাহর নিআমত সে অবহেলার দৃষ্টিতে দেখে, আরো অধিক কামনা করে তার সমকক্ষ বা নিকটবর্তী হওয়ার জন্য, এটাই মানুষের সাবাভিক প্রকৃতি। আর যদি দুনিয়াবী বিষয়ে তার নিচের দিকে তাকায়, তখন তার সামনে আল্লাহর নিআমত বিকশিত হবে, ফলে সে আল্লাহর শোকর আদায় করবে, বিনয়ী হবে ও কল্যাণমূলক কাজে আত্মনিয়োগ করবে।
দুই. অন্তর থেকে এ ধারণা দূরীভূত করা যে, সচ্ছলতা সম্মানের প্রতিক আর অসচ্ছলতা অসম্মানের প্রতিক। আল্লাহ তাআলা এ ধারণা কণ্ডণ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন :
(আরবি)
আর মানুষ তো এমন যে, যখন তার রব তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর তাকে সম্মান দান করেন এবং অনুগ্রহ প্রদান করেন, তখন সে বলে, আমার রব আমাকে সম্মানিত করেছেন। আর যখন তিনি তাকে পরীক্ষা করেন এবং তার উপর তার রিয্ককে সঙ্কুচিত করে দেন, তখন সে বলে, আমার রব আমাকে অপমানিত করেছেনহ।
তিন. এ বিশ্বাস রাখা যে, আল্লাহ মানুষের কল্যানের দিকে লক্ষ্য রেখেই কম দেয় বা বেশী দেয়। তিনি বলেন :
(আরবি)
আর আল্লাহ যদি তার বান্দাদের জন্য রিয্ক প্রশস্ত করে দিতেন, তাহলে তারা যমীনে অবশ্যই বিদ্রোহ করত। কিন্তু তিনি নির্দিষ্ট পরিমাণে যা ইচ্ছা নাযিল করেন। নিশ্চয় তিনি তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে পূর্ণ অবগত, সম্যক দ্রষ্টা। সূরা শুরা : (২৭)
চার. এ জগতে যদি মানুষ রিযক ও সামর্থের ব্যাপারে সমান হয়ে যেত, তাহেল এ পার্থিব জগত অচল হয়ে যেত, অনেক কর্মই বিনষ্ট হতো। এ দিকেই ইশারা করে আল্লাহ বলছেন :
(আরবি)
তারা কি তোমার রবের রহমত ভাগ-বণ্টন করে? আমিই দুনিয়ার জীবনে তাদের মধ্যে তাদের জীবিকা বণ্টন করে দেই এবং তাদের একজনকে অপর জনের উপর মর্যাদায় উন্নীত করি যাতে একে অপরকে অধিনস্থ হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। আর তারা যা সঞ্চয় করে তোমার রবের রহমত তা অপো উৎকৃষ্ট। সূরা জুখরুফ : (৩২)
পাঁচ. আমরা যখন এসব অনুধাবন করতে পারলাম, এখন মুসলিমদের জানা উচিত, রিযক আল্লাহর তাকদির, তার ইচ্ছা ও ইলমের উপর নির্ভরশীল, অতএব আল্লাহর বণ্টনে সন্তুষ্ট থাকা এবং তার তাকওয়া অবলম্বন করা, যেমন তিনি বলেছেন :
(আরবি)
যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য উত্তরণের পথ তৈরী করে দেন। এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিযক দিবেন যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। সূরা তালাক : (২-৩)
মুদ্দাকথা : সচ্ছলতা অসচ্ছলতা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার জন্য একটি পরীক্ষা। এর মাধ্যমে তিনি কৃতজ্ঞ ও অকৃতজ্ঞ, সত্যবাদী ও মিথ্যাবাদী যাচাই করেন। ধনী ব্যক্তির উচিত তার উপর আল্লাহর নিআমতের শোকর আদায় করা এবং আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী দান-সদকা করা। আর ফকীর ব্যক্তির উচিত দৈর্য ধরা ও আল্লাহর প্রশংসা করা।
সমাপ্ত
" انظروا إلى مَنْ أَسْفَلَ منكم، ولا تنظروا إلى مَن هو فوقكم؛ فهو أجدر ألَّا تَزْدَرُوا نعمة الله "
তোমাদের নিচে যারা রয়েছে, তাদের দিকে তোমরা দৃষ্টি প্রদান কর। তোমাদের উপররের লোকের দিকে তাকিয়ে না, তাহলে তোমরা আল্লাহর নিআমতের অকৃতজ্ঞ হবে না। ইমাম নববী বলেন : ইবনে জারির প্রমুখগণ বলেছেন : এ হাদিসে সব ধরনের কল্যানের কথা রয়েছে, কারণ মানুষ যখন দুনিয়ার দিক থেকে তার উপরে তাকায়, তখন সে তার ন্যায় নিআমত প্রত্যাশা করে। আর তার নিকট রক্ষিত আল্লাহর নিআমত সে অবহেলার দৃষ্টিতে দেখে, আরো অধিক কামনা করে তার সমকক্ষ বা নিকটবর্তী হওয়ার জন্য, এটাই মানুষের সাবাভিক প্রকৃতি। আর যদি দুনিয়াবী বিষয়ে তার নিচের দিকে তাকায়, তখন তার সামনে আল্লাহর নিআমত বিকশিত হবে, ফলে সে আল্লাহর শোকর আদায় করবে, বিনয়ী হবে ও কল্যাণমূলক কাজে আত্মনিয়োগ করবে।
দুই. অন্তর থেকে এ ধারণা দূরীভূত করা যে, সচ্ছলতা সম্মানের প্রতিক আর অসচ্ছলতা অসম্মানের প্রতিক। আল্লাহ তাআলা এ ধারণা কণ্ডণ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন :
(আরবি)
আর মানুষ তো এমন যে, যখন তার রব তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর তাকে সম্মান দান করেন এবং অনুগ্রহ প্রদান করেন, তখন সে বলে, আমার রব আমাকে সম্মানিত করেছেন। আর যখন তিনি তাকে পরীক্ষা করেন এবং তার উপর তার রিয্ককে সঙ্কুচিত করে দেন, তখন সে বলে, আমার রব আমাকে অপমানিত করেছেনহ।
তিন. এ বিশ্বাস রাখা যে, আল্লাহ মানুষের কল্যানের দিকে লক্ষ্য রেখেই কম দেয় বা বেশী দেয়। তিনি বলেন :
(আরবি)
আর আল্লাহ যদি তার বান্দাদের জন্য রিয্ক প্রশস্ত করে দিতেন, তাহলে তারা যমীনে অবশ্যই বিদ্রোহ করত। কিন্তু তিনি নির্দিষ্ট পরিমাণে যা ইচ্ছা নাযিল করেন। নিশ্চয় তিনি তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে পূর্ণ অবগত, সম্যক দ্রষ্টা। সূরা শুরা : (২৭)
চার. এ জগতে যদি মানুষ রিযক ও সামর্থের ব্যাপারে সমান হয়ে যেত, তাহেল এ পার্থিব জগত অচল হয়ে যেত, অনেক কর্মই বিনষ্ট হতো। এ দিকেই ইশারা করে আল্লাহ বলছেন :
(আরবি)
তারা কি তোমার রবের রহমত ভাগ-বণ্টন করে? আমিই দুনিয়ার জীবনে তাদের মধ্যে তাদের জীবিকা বণ্টন করে দেই এবং তাদের একজনকে অপর জনের উপর মর্যাদায় উন্নীত করি যাতে একে অপরকে অধিনস্থ হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। আর তারা যা সঞ্চয় করে তোমার রবের রহমত তা অপো উৎকৃষ্ট। সূরা জুখরুফ : (৩২)
পাঁচ. আমরা যখন এসব অনুধাবন করতে পারলাম, এখন মুসলিমদের জানা উচিত, রিযক আল্লাহর তাকদির, তার ইচ্ছা ও ইলমের উপর নির্ভরশীল, অতএব আল্লাহর বণ্টনে সন্তুষ্ট থাকা এবং তার তাকওয়া অবলম্বন করা, যেমন তিনি বলেছেন :
(আরবি)
যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য উত্তরণের পথ তৈরী করে দেন। এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিযক দিবেন যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। সূরা তালাক : (২-৩)
মুদ্দাকথা : সচ্ছলতা অসচ্ছলতা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার জন্য একটি পরীক্ষা। এর মাধ্যমে তিনি কৃতজ্ঞ ও অকৃতজ্ঞ, সত্যবাদী ও মিথ্যাবাদী যাচাই করেন। ধনী ব্যক্তির উচিত তার উপর আল্লাহর নিআমতের শোকর আদায় করা এবং আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী দান-সদকা করা। আর ফকীর ব্যক্তির উচিত দৈর্য ধরা ও আল্লাহর প্রশংসা করা।
সমাপ্ত
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন