HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
আমরা কি উদযাপন করব
লেখকঃ মদীনাস্থ সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধকারী সরকারী সংস্থার অফিস থেকে প্রকাশিত
২
ভূমিকাবিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
নিশ্চয় সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য; আমরা তার প্রশংসা করি, তার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি আর আমাদের অন্তরের যাবতীয় কদর্যতা ও মন্দ কাজ থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। আল্লাহ যাকে পথপ্রদর্শন করেন তাকে পথভ্রষ্ট করবে এমন কেউ নেই আর তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার কোনো পথপ্রদর্শনকারী নেই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই আর মুহাম্মাদ তার বান্দা ও রাসূল; আল্লাহ তার উপর এবং তার পরিবার-পরিজন ও সঙ্গী-সাথী সকলের উপর সালাত ও অগণিত সালাম পেশ করুন।
অতঃপর...
একজন মুমিনের জন্য সবচেয়ে জরুরি যে বিশ্বাস রয়েছে তন্মধ্যে হলো, আল্লাহ আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রেরণের মাধ্যমে আমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করেছেন, তাকে পাঠানোর মাধ্যমেই তার নিয়ামতকে সম্পূর্ণ করেছেন আর মুস্তাফা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পর কোনো ব্যক্তিকে তাঁর দ্বীনে বাড়ানো বা কমানোর কোনো সুযোগ দেন নি।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ ٱلۡيَوۡمَ أَكۡمَلۡتُ لَكُمۡ دِينَكُمۡ وَأَتۡمَمۡتُ عَلَيۡكُمۡ نِعۡمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ ٱلۡإِسۡلَٰمَ دِينٗاۚ ﴾ [ المائدة : ٣ ]
“আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার নেয়ামত সম্পূর্ণ করলাম, আর তোমাদের জন্য ইসলামকে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।” [মায়েদা: ৩]
রাসূলুল্লাহ আলাইহিস সালাতু ওয়াসসালাম বলেন,
«قَدْ تَرَكْتُكُمْ عَلَى الْبَيْضَاءِ لَيْلُهَا كَنَهَارِهَا، لَا يَزِيغُ عَنْهَا بَعْدِي إِلَّا هَالِكٌ»
“আমি তোমাদেরকে এমন একটি সুস্পষ্ট পথের উপর রেখে গেলাম যার রাত্রি দিনের মত; এর থেকে ধ্বংসে পতিত ব্যক্তি বাদে কেউ বিচ্যুত হবে না।” [ইবনে মাজাহ] (হাদীসটি সহীহ)
সুতরাং, আল্লাহ তা‘আলা তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বচনে যা প্রবর্তন করেছেন তার মাঝে নিজেকে এবং নিজের ইবাদতকে সীমাবদ্ধ করা প্রত্যেক নাজাতপ্রার্থী ও তা অন্বেষণকারী মুমিনের জন্য অপরিহার্য ও প্রয়োজনীয়; আর নিজের এবং অন্য কোনো মানুষের জন্য আল্লাহ যার অনুমতি দেন নি তা যেন সে আল্লাহর দ্বীনে প্রবর্তন না করে এবং নিজের বিবেক ও প্রবৃত্তি দ্বারা কিছু অনুমোদন না করে।
কেননা, সত্য অন্বেষণকারী এবং রাসূলের সুন্নতপ্রেমিক ব্যক্তি আল্লাহ যে পদ্ধতিতে অনুমতি দিয়েছেন তা ব্যতীত অন্য কোনো পদ্ধতির কোনো অনুষ্ঠান উদযাপন কিংবা ইবাদত করবে না করতে পারে না; বিশেষত সেটা যদি ইবাদত ও সওয়াব লাভের আশায় হয়।
আর এর থেকেই আমরা আলেমদের বাণী “ইবাদতের মূল হচ্ছে সঠিকভাবে আল্লাহ ও তার রাসূল থেকে আগত বর্ণনার অনুসরণ” এই কথাটি বুঝতে পারি। কারণ এতে বিবেকের দ্বারা প্রণয়ন, অনুমোদন কিংবা খারাপ মনের করার কোনো সুযোগ নেই; আপনি যদি এর সপক্ষে প্রমাণের খোঁজ করেন তাহলে তা এতই বেশি ব্যাপক পাবেন যে তা কোনো সংখ্যায় সীমাবদ্ধ করা সম্ভব নয়। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আল্লাহর বাণী,
﴿ وَمَا ٱخۡتَلَفۡتُمۡ فِيهِ مِن شَيۡءٖ فَحُكۡمُهُۥٓ إِلَى ٱللَّهِۚ ﴾ [ الشورا : ١٠ ]
“আর তোমরা যে বিষয়েই মতভেদ কর না কেন— তার ফয়সালা তো আল্লাহরই কাছে।” [শূরা: ১০]
অনুরূপ আল্লাহ তা‘আলার বাণী,
﴿ قُلۡ إِن كُنتُمۡ تُحِبُّونَ ٱللَّهَ فَٱتَّبِعُونِي يُحۡبِبۡكُمُ ٱللَّهُ وَيَغۡفِرۡ لَكُمۡ ذُنُوبَكُمۡۚ ﴾ [ ال عمران : ٣١ ]
“বলুন, ‘তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবাস তবে আমাকে অনুসরণ কর, আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করবেন।” [আলে ইমরান: ৩১]
আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী,
«مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ فِيهِ، فَهُوَ رَدٌّ»
“যে আমাদের এই দ্বীনে এমন কিছু তৈরি করল যা এতে (কুরআনে ও হাদীসে এবং এতদুভয় থেকে নির্গত হুকুমে) নেই তা অবশ্যই প্রত্যাখ্যাত।” [বুখারী ও মুসলিম]
তাছাড়া মুহাম্মাদ আলাইহিস সালাতু ওয়াসসালামের বাণী,
«وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ، فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ»
“আর তোমরা দ্বীনে নতুন সৃষ্ট কিছু হতে বেঁচে থাকো; কেননা প্রতিটি নবসৃষ্ট বিষয়ই বিদ‘আত আর প্রতিটি বিদ‘আতই পথভ্রষ্টতা।”[আবু দাউদ ও ইবন মাজাহ] (সহীহ)
আপনি শরীয়তের এই বক্তব্যে একটু থেমে লক্ষ্য করলে বুঝবেন যে এটি প্রবৃত্তির কথা নয়, এটা অবতীর্ণ অহী। «كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ» আপনার জানা যে, كُلّ এই শব্দটি দ্বারা ব্যাপকতা বুঝায়, যা সকল প্রকার বিদ‘আতকে কোনো রকম বাদ দেওয়া ছাড়াই অন্তর্ভুক্ত করে।
ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “তোমরা অনুসরণ কর, কিন্তু নতুন কিছু সৃষ্টি করো না; কেননা তোমরা যথেষ্ট পেয়েছ।”
আমার মুমিন ভাই...
এতক্ষণ যে আলোচনা হলো সেটা যদি আপনার কাছে স্থির হয় এবং আপনি এই বিশ্বাসে সত্যিকারের বিশ্বাসী হন তাহলে আপনি আপনার প্রতিটি কথা ও কাজের ইবাদতকে এই মাপকাঠিতে ফেলে দেখেন তো, এটা কী শরীয়ত মোতাবেক নাকি নতুন সৃষ্টি করা হয়েছে? এটা কী সুন্নত নাকি বিদ‘আত? আর এর একটা উদাহরণ পরীক্ষা করি সেটা হলো, মুস্তাফা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিন উদযাপন করা; যিনি আমাদের প্রিয়, আমাদের আদর্শ, আর আমাদেরকে যিনি আল্লাহর সহজ-সরল পথে চলায় নেতৃত্ব দেন, যিনি শেষ নবী এবং রাসূলদের নেতা, যিনি সম্মানিতদের নেতা, যিনি বিশ্ববাসীর জন্য ইমাম এবং রহমতস্বরূপ প্রেরিত।
আর এই ব্যাপারটা আমরা ন্যায়নিষ্ঠভাবে এবং যাবতীয় প্রবৃত্তি ও পূর্বনির্ধারিত ব্যক্তিগত মতামত থেকে মুক্ত থেকে আলোচনা করব, পাশাপাশি এটিকে আমরা শরয়ী দাঁড়িপাল্লায় মেপে দেখব আর আল্লাহ তা‘আলার কিতাব ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতের সামনে উপস্থাপন করব যিনি বলেছেন:
«إِنَّ أَحْسَنَ الحَدِيثِ كِتَابُ اللَّهِ، وَخَيْرَ الْهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَشَرَّ الْأُمُورِ مُحْدَثَاتُهَا، وكُلُّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ»
“নিশ্চয় সর্বোত্তম বাণী আল্লাহর কিতাব; সর্বোত্তম পন্থা হলো মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পন্থা। সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হলো দ্বীনে নতুন সৃষ্ট বিষয়; আর প্রতিটি নবসৃষ্ট বিষয়ই বিদ‘আত এবং প্রতিটি বিদ‘আতই পথভ্রষ্টতা।” আর যিনি স্বীয় বাণী দ্বারা সর্বোত্তম ও সবচেয়ে পরিশুদ্ধ মানুষদের পন্থা অবলম্বন করতে বলেন,
«خَيْرُ النَّاسِ قَرْنِي، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ»
“সর্বোত্তম মানুষ হলো আমার যুগের মানুষেরা, এরপর (ভালো হলো) এদের অনুগামী, এরপর (ভালো হলো) এদের অনুগামী” [বুখারী ও মুসলিম]
আর আল্লাহর কাছেই আমাদের প্রত্যাশা, তিনি যেন আমাদেরকে সঠিক পথকে সঠিক পথ হিসেবে প্রদর্শন করে তা অনুসরণ করার সুযোগ দেন এবং ভুল পথকে ভুল হিসেবে প্রদর্শন করে তা থেকে বিরত থাকার সুযোগ প্রদান করেন।
নিশ্চয় সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য; আমরা তার প্রশংসা করি, তার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি আর আমাদের অন্তরের যাবতীয় কদর্যতা ও মন্দ কাজ থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। আল্লাহ যাকে পথপ্রদর্শন করেন তাকে পথভ্রষ্ট করবে এমন কেউ নেই আর তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার কোনো পথপ্রদর্শনকারী নেই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই আর মুহাম্মাদ তার বান্দা ও রাসূল; আল্লাহ তার উপর এবং তার পরিবার-পরিজন ও সঙ্গী-সাথী সকলের উপর সালাত ও অগণিত সালাম পেশ করুন।
অতঃপর...
একজন মুমিনের জন্য সবচেয়ে জরুরি যে বিশ্বাস রয়েছে তন্মধ্যে হলো, আল্লাহ আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রেরণের মাধ্যমে আমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করেছেন, তাকে পাঠানোর মাধ্যমেই তার নিয়ামতকে সম্পূর্ণ করেছেন আর মুস্তাফা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পর কোনো ব্যক্তিকে তাঁর দ্বীনে বাড়ানো বা কমানোর কোনো সুযোগ দেন নি।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ ٱلۡيَوۡمَ أَكۡمَلۡتُ لَكُمۡ دِينَكُمۡ وَأَتۡمَمۡتُ عَلَيۡكُمۡ نِعۡمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ ٱلۡإِسۡلَٰمَ دِينٗاۚ ﴾ [ المائدة : ٣ ]
“আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার নেয়ামত সম্পূর্ণ করলাম, আর তোমাদের জন্য ইসলামকে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।” [মায়েদা: ৩]
রাসূলুল্লাহ আলাইহিস সালাতু ওয়াসসালাম বলেন,
«قَدْ تَرَكْتُكُمْ عَلَى الْبَيْضَاءِ لَيْلُهَا كَنَهَارِهَا، لَا يَزِيغُ عَنْهَا بَعْدِي إِلَّا هَالِكٌ»
“আমি তোমাদেরকে এমন একটি সুস্পষ্ট পথের উপর রেখে গেলাম যার রাত্রি দিনের মত; এর থেকে ধ্বংসে পতিত ব্যক্তি বাদে কেউ বিচ্যুত হবে না।” [ইবনে মাজাহ] (হাদীসটি সহীহ)
সুতরাং, আল্লাহ তা‘আলা তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বচনে যা প্রবর্তন করেছেন তার মাঝে নিজেকে এবং নিজের ইবাদতকে সীমাবদ্ধ করা প্রত্যেক নাজাতপ্রার্থী ও তা অন্বেষণকারী মুমিনের জন্য অপরিহার্য ও প্রয়োজনীয়; আর নিজের এবং অন্য কোনো মানুষের জন্য আল্লাহ যার অনুমতি দেন নি তা যেন সে আল্লাহর দ্বীনে প্রবর্তন না করে এবং নিজের বিবেক ও প্রবৃত্তি দ্বারা কিছু অনুমোদন না করে।
কেননা, সত্য অন্বেষণকারী এবং রাসূলের সুন্নতপ্রেমিক ব্যক্তি আল্লাহ যে পদ্ধতিতে অনুমতি দিয়েছেন তা ব্যতীত অন্য কোনো পদ্ধতির কোনো অনুষ্ঠান উদযাপন কিংবা ইবাদত করবে না করতে পারে না; বিশেষত সেটা যদি ইবাদত ও সওয়াব লাভের আশায় হয়।
আর এর থেকেই আমরা আলেমদের বাণী “ইবাদতের মূল হচ্ছে সঠিকভাবে আল্লাহ ও তার রাসূল থেকে আগত বর্ণনার অনুসরণ” এই কথাটি বুঝতে পারি। কারণ এতে বিবেকের দ্বারা প্রণয়ন, অনুমোদন কিংবা খারাপ মনের করার কোনো সুযোগ নেই; আপনি যদি এর সপক্ষে প্রমাণের খোঁজ করেন তাহলে তা এতই বেশি ব্যাপক পাবেন যে তা কোনো সংখ্যায় সীমাবদ্ধ করা সম্ভব নয়। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আল্লাহর বাণী,
﴿ وَمَا ٱخۡتَلَفۡتُمۡ فِيهِ مِن شَيۡءٖ فَحُكۡمُهُۥٓ إِلَى ٱللَّهِۚ ﴾ [ الشورا : ١٠ ]
“আর তোমরা যে বিষয়েই মতভেদ কর না কেন— তার ফয়সালা তো আল্লাহরই কাছে।” [শূরা: ১০]
অনুরূপ আল্লাহ তা‘আলার বাণী,
﴿ قُلۡ إِن كُنتُمۡ تُحِبُّونَ ٱللَّهَ فَٱتَّبِعُونِي يُحۡبِبۡكُمُ ٱللَّهُ وَيَغۡفِرۡ لَكُمۡ ذُنُوبَكُمۡۚ ﴾ [ ال عمران : ٣١ ]
“বলুন, ‘তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবাস তবে আমাকে অনুসরণ কর, আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করবেন।” [আলে ইমরান: ৩১]
আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী,
«مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ فِيهِ، فَهُوَ رَدٌّ»
“যে আমাদের এই দ্বীনে এমন কিছু তৈরি করল যা এতে (কুরআনে ও হাদীসে এবং এতদুভয় থেকে নির্গত হুকুমে) নেই তা অবশ্যই প্রত্যাখ্যাত।” [বুখারী ও মুসলিম]
তাছাড়া মুহাম্মাদ আলাইহিস সালাতু ওয়াসসালামের বাণী,
«وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ، فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ»
“আর তোমরা দ্বীনে নতুন সৃষ্ট কিছু হতে বেঁচে থাকো; কেননা প্রতিটি নবসৃষ্ট বিষয়ই বিদ‘আত আর প্রতিটি বিদ‘আতই পথভ্রষ্টতা।”[আবু দাউদ ও ইবন মাজাহ] (সহীহ)
আপনি শরীয়তের এই বক্তব্যে একটু থেমে লক্ষ্য করলে বুঝবেন যে এটি প্রবৃত্তির কথা নয়, এটা অবতীর্ণ অহী। «كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ» আপনার জানা যে, كُلّ এই শব্দটি দ্বারা ব্যাপকতা বুঝায়, যা সকল প্রকার বিদ‘আতকে কোনো রকম বাদ দেওয়া ছাড়াই অন্তর্ভুক্ত করে।
ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “তোমরা অনুসরণ কর, কিন্তু নতুন কিছু সৃষ্টি করো না; কেননা তোমরা যথেষ্ট পেয়েছ।”
আমার মুমিন ভাই...
এতক্ষণ যে আলোচনা হলো সেটা যদি আপনার কাছে স্থির হয় এবং আপনি এই বিশ্বাসে সত্যিকারের বিশ্বাসী হন তাহলে আপনি আপনার প্রতিটি কথা ও কাজের ইবাদতকে এই মাপকাঠিতে ফেলে দেখেন তো, এটা কী শরীয়ত মোতাবেক নাকি নতুন সৃষ্টি করা হয়েছে? এটা কী সুন্নত নাকি বিদ‘আত? আর এর একটা উদাহরণ পরীক্ষা করি সেটা হলো, মুস্তাফা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিন উদযাপন করা; যিনি আমাদের প্রিয়, আমাদের আদর্শ, আর আমাদেরকে যিনি আল্লাহর সহজ-সরল পথে চলায় নেতৃত্ব দেন, যিনি শেষ নবী এবং রাসূলদের নেতা, যিনি সম্মানিতদের নেতা, যিনি বিশ্ববাসীর জন্য ইমাম এবং রহমতস্বরূপ প্রেরিত।
আর এই ব্যাপারটা আমরা ন্যায়নিষ্ঠভাবে এবং যাবতীয় প্রবৃত্তি ও পূর্বনির্ধারিত ব্যক্তিগত মতামত থেকে মুক্ত থেকে আলোচনা করব, পাশাপাশি এটিকে আমরা শরয়ী দাঁড়িপাল্লায় মেপে দেখব আর আল্লাহ তা‘আলার কিতাব ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতের সামনে উপস্থাপন করব যিনি বলেছেন:
«إِنَّ أَحْسَنَ الحَدِيثِ كِتَابُ اللَّهِ، وَخَيْرَ الْهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَشَرَّ الْأُمُورِ مُحْدَثَاتُهَا، وكُلُّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ»
“নিশ্চয় সর্বোত্তম বাণী আল্লাহর কিতাব; সর্বোত্তম পন্থা হলো মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পন্থা। সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হলো দ্বীনে নতুন সৃষ্ট বিষয়; আর প্রতিটি নবসৃষ্ট বিষয়ই বিদ‘আত এবং প্রতিটি বিদ‘আতই পথভ্রষ্টতা।” আর যিনি স্বীয় বাণী দ্বারা সর্বোত্তম ও সবচেয়ে পরিশুদ্ধ মানুষদের পন্থা অবলম্বন করতে বলেন,
«خَيْرُ النَّاسِ قَرْنِي، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ»
“সর্বোত্তম মানুষ হলো আমার যুগের মানুষেরা, এরপর (ভালো হলো) এদের অনুগামী, এরপর (ভালো হলো) এদের অনুগামী” [বুখারী ও মুসলিম]
আর আল্লাহর কাছেই আমাদের প্রত্যাশা, তিনি যেন আমাদেরকে সঠিক পথকে সঠিক পথ হিসেবে প্রদর্শন করে তা অনুসরণ করার সুযোগ দেন এবং ভুল পথকে ভুল হিসেবে প্রদর্শন করে তা থেকে বিরত থাকার সুযোগ প্রদান করেন।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন