HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
অযু ব্যতীত কুরআনুল কারীম স্পর্শ করার বিধান
লেখকঃ একদল বিজ্ঞ আলেম
৩
প্রথম ফাতওয়া:শাইখ আব্দুল্লাহ ইবন বায রহ.-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল: অযু ব্যতীত মুসহাফ স্পর্শ করা অথবা একস্থান থেকে অপর স্থানে নেওয়ার বিধান কী এবং অযু ব্যতীত কুরআন তিলাওয়াত করার বিধান কী?
তিনি উত্তরে বলেন, “জমহুর (অধিকাংশ) আহলে ইলমের নিকট অযু ব্যতীত মুসহাফ স্পর্শ করা জায়েয নয়। চার ইমামের ফাতওয়া এটাই। নবী সাল্লাল্লাহু ‘‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণ এ ফাতওয়া প্রদান করতেন। আমর ইবন হাযম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত একটি সহীহ হাদীসে এসেছে, যা গ্রহণ করতে কোনো সমস্যা নেই। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়ামানবাসীদের নিকট লিখে পাঠান:
«أَنْ لَا يَمَسَّ الْقُرْآنَ إِلَّا طَاهِرٌ» .
“পবিত্র সত্তা ব্যতীত কেউ কুরআন স্পর্শ করবে না”। [মুয়াত্তা, হাদীস নং ৫৩৪; আবূ দাঊদ ফিল মারাসিল, হাদীস নং ৯৩]
নদের বিচারে হাদীসটি জায়্যিদ। এ হাদীসের একাধিক সনদ রয়েছে, যার একটি অপরটি দ্বারা শক্তিশালী হয়। অতএব, ছোট-বড় উভয় প্রকার নাপাকী থেকে পবিত্রতা অর্জন ব্যতীত কোনো মুসলিমের পক্ষে মুসহাফ স্পর্শ করা বৈধ নয়। অনুরূপ এক জায়গা থেকে অপর জায়গায় স্থানান্তর করাও বৈধ নয় যদি স্থানান্তরকারী নাপাক হয়। তবে কোনো আড়ালের মাধ্যমে স্পর্শ বা স্থানান্তর করা বৈধ, যেমন গিলাফের উপর থেকে স্পর্শ করা, বা থলির ভেতর বহন করা ইত্যাদি। আড়াল ব্যতীত সরাসরি কুরআনুল কারীম স্পর্শ করা জমহুর আহলে ইলমের নিকট বৈধ নয়। হ্যাঁ, মুখস্থ তিলাওয়াত করা বৈধ; অনুরূপ শিক্ষার্থীর হাতে রাখা মুসহাফ থেকে মুয়াল্লিমের তিলাওয়াত করা বৈধ; তবে বড় নাপাকির কারণে নাপাক বা জুনুবি ব্যক্তির জন্য বৈধ নয়। নবী সাল্লাল্লাহু ‘‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত, জানাবত তথা গোসল ফরয ব্যতীত কোনো অবস্থা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কুরআন তিলাওয়াত থেকে বিরত রাখত না। ইমাম আহমদ রহ. একটি জায়্যিদ সনদে বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাথরুম থেকে এসে কুরআনুল কারীমের কিছু অংশ তিলাওয়াত করেন এবং বলেন,
«هَذَا لِمَنْ لَيْسَ بِجُنُبٍ، فَأَمَّا الْجُنُبُ فَلَا، وَلَا آيَةَ» .
“এ বিধান হচ্ছে তার জন্য যে জুনুবি নয়, কিন্তু যে জুনুবি তার জন্য তিলাওয়াত করা বৈধ নয়, এক আয়াতও নয়”। [আহমদ, হাদীস নং ৮৭৪] জুনুবি ব্যক্তি মুসহাফ দেখে কিংবা মুখস্থ কোনোভাবেই গোসল ব্যতীত কুরআন পড়বে না। আর ছোট নাপাকের কারণে নাপাক ব্যক্তি কুরআন মুখস্থ পড়বে, কিন্তু স্পর্শ করবে না।
এ মাসআলার সাথে আরেকটি মাসআলা সম্পৃক্ত; আর তা হচ্ছে হায়েয (ঋতুমতী) ও নিফাসের নারীদের কুরআনুল কারীম তিলাওয়াত করার বিধান। তাদের কুরআনুল কারীম তিলাওয়াত করার বৈধতার ব্যাপারে আহলে ইলম দ্বিমত পোষণ করেছেন। কেউ বলেছেন তাদের জন্য তিলাওয়াত করা বৈধ নয়, কারণ তারা জুনুবি ব্যক্তির ন্যায়। দ্বিতীয় অভিমত হচ্ছে তাদের জন্য মুখস্থ তিলাওয়াত করা বৈধ, তবে স্পর্শ করবে না এবং তারা জুনুবি ব্যক্তির মতো নয়। কারণ, হায়েস ও নিফাসের সময় অনেক লম্বা হয়, জুনুবি ব্যক্তির মতো স্বল্পকালীন নয়। দ্বিতীয়ত জুনুবি ব্যক্তি যখন ইচ্ছা গোসল করে কুরআন তিলাওয়াত করতে সক্ষম, কিন্তু হায়েয ও নিফাসের নারীদের পক্ষে এরূপ করা সম্ভব নয়। অতএব, তাদেরকে জুনুবি ব্যক্তির সাথে তুলনা করা সঠিক নয়। তাদের জন্য মুখস্থ কুরআন পড়া বৈধ, এটাই অধিক বিশুদ্ধ। কারণ, তাদের কুরআন তিলাওয়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়, এমন কোনো দলীল নেই, বরং তাদের কুরআন তিলাওয়াতকে বৈধতা প্রদানকারী অনেক দলীল রয়েছে। সহীহ বুখারী ও মুসলিমে রয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহাকে বলেন, হজের মৌসুমে যখন তার হায়েয হয়েছিল:
«افْعَلِي مَا يَفْعَلُ الْحَاجُّ، غَيْرَ أَنْ لَا تَطُوفِي بِالْبَيْتِ حَتَّى تَطْهُرِي» .
“হাজিরা যা করে তুমিও তাই কর, তবে পবিত্র হওয়ার আগ পর্যন্ত বায়তুল্লাহ তাওয়াফ কর না”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১২১১।] হাজী সাহেবগণ কুরআন তিলাওয়াত করেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কুরআন তিলাওয়াত থেকে নিষেধ করেন নি, এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, ঋতুমতী নারীর জন্য কুরআনুল কারীম তিলাওয়াত করা বৈধ। অনুরূপ নির্দেশ প্রদান করেছেন আসমা বিনতে উমাইসকে, যখন সে বিদায় হজের মিকাতে মুহাম্মাদ ইবন আবূ বকরকে প্রসব করেছিল। এ থেকে প্রমাণিত হয় হায়েয ও নিফাসের নারীর জন্য কুরআন তিলাওয়াত করা বৈধ, তবে স্পর্শ করা ব্যতীত। পক্ষান্তরে ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত হাদীস, যেখানে নবী সাল্লাল্লাহু ‘‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«لَا تَقْرَأْ الْحَائِضُ وَلَا الْجُنُبُ شَيْئًا مِنَ الْقُرْآنِ» .
“হায়েয ও জুনুবি ব্যক্তি কুরআনের কোনো অংশ তিলাওয়াত করবে না”। [তিরমিযী, হাদীস নং ১৩১] হাদীসটি দুর্বল। এ সনদে ইসমাঈল ইবন আইয়াশ রয়েছে, আহলে ইলমগণ হিজাযীদের থেকে তার বর্ণিত হাদীসকে দুর্বল বলেছেন। তারা বলেন, সে যখন শাম তথা তার দেশের লোকদের থেকে বর্ণনা করেন ঠিক আছে, কিন্তু যখন হিজাযীদের থেকে বর্ণনা করেন তখন দুর্বল। এ হাদীস তাদের থেকেই বর্ণিত, অতএব, হাদীসটি দুর্বল”। [দেখুন: মাজমু‘ ফতাওয়া ও মাকালাত মুতানাউওয়্যিআহ, ৪র্থ খণ্ড।]
তিনি উত্তরে বলেন, “জমহুর (অধিকাংশ) আহলে ইলমের নিকট অযু ব্যতীত মুসহাফ স্পর্শ করা জায়েয নয়। চার ইমামের ফাতওয়া এটাই। নবী সাল্লাল্লাহু ‘‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণ এ ফাতওয়া প্রদান করতেন। আমর ইবন হাযম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত একটি সহীহ হাদীসে এসেছে, যা গ্রহণ করতে কোনো সমস্যা নেই। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়ামানবাসীদের নিকট লিখে পাঠান:
«أَنْ لَا يَمَسَّ الْقُرْآنَ إِلَّا طَاهِرٌ» .
“পবিত্র সত্তা ব্যতীত কেউ কুরআন স্পর্শ করবে না”। [মুয়াত্তা, হাদীস নং ৫৩৪; আবূ দাঊদ ফিল মারাসিল, হাদীস নং ৯৩]
নদের বিচারে হাদীসটি জায়্যিদ। এ হাদীসের একাধিক সনদ রয়েছে, যার একটি অপরটি দ্বারা শক্তিশালী হয়। অতএব, ছোট-বড় উভয় প্রকার নাপাকী থেকে পবিত্রতা অর্জন ব্যতীত কোনো মুসলিমের পক্ষে মুসহাফ স্পর্শ করা বৈধ নয়। অনুরূপ এক জায়গা থেকে অপর জায়গায় স্থানান্তর করাও বৈধ নয় যদি স্থানান্তরকারী নাপাক হয়। তবে কোনো আড়ালের মাধ্যমে স্পর্শ বা স্থানান্তর করা বৈধ, যেমন গিলাফের উপর থেকে স্পর্শ করা, বা থলির ভেতর বহন করা ইত্যাদি। আড়াল ব্যতীত সরাসরি কুরআনুল কারীম স্পর্শ করা জমহুর আহলে ইলমের নিকট বৈধ নয়। হ্যাঁ, মুখস্থ তিলাওয়াত করা বৈধ; অনুরূপ শিক্ষার্থীর হাতে রাখা মুসহাফ থেকে মুয়াল্লিমের তিলাওয়াত করা বৈধ; তবে বড় নাপাকির কারণে নাপাক বা জুনুবি ব্যক্তির জন্য বৈধ নয়। নবী সাল্লাল্লাহু ‘‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত, জানাবত তথা গোসল ফরয ব্যতীত কোনো অবস্থা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কুরআন তিলাওয়াত থেকে বিরত রাখত না। ইমাম আহমদ রহ. একটি জায়্যিদ সনদে বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাথরুম থেকে এসে কুরআনুল কারীমের কিছু অংশ তিলাওয়াত করেন এবং বলেন,
«هَذَا لِمَنْ لَيْسَ بِجُنُبٍ، فَأَمَّا الْجُنُبُ فَلَا، وَلَا آيَةَ» .
“এ বিধান হচ্ছে তার জন্য যে জুনুবি নয়, কিন্তু যে জুনুবি তার জন্য তিলাওয়াত করা বৈধ নয়, এক আয়াতও নয়”। [আহমদ, হাদীস নং ৮৭৪] জুনুবি ব্যক্তি মুসহাফ দেখে কিংবা মুখস্থ কোনোভাবেই গোসল ব্যতীত কুরআন পড়বে না। আর ছোট নাপাকের কারণে নাপাক ব্যক্তি কুরআন মুখস্থ পড়বে, কিন্তু স্পর্শ করবে না।
এ মাসআলার সাথে আরেকটি মাসআলা সম্পৃক্ত; আর তা হচ্ছে হায়েয (ঋতুমতী) ও নিফাসের নারীদের কুরআনুল কারীম তিলাওয়াত করার বিধান। তাদের কুরআনুল কারীম তিলাওয়াত করার বৈধতার ব্যাপারে আহলে ইলম দ্বিমত পোষণ করেছেন। কেউ বলেছেন তাদের জন্য তিলাওয়াত করা বৈধ নয়, কারণ তারা জুনুবি ব্যক্তির ন্যায়। দ্বিতীয় অভিমত হচ্ছে তাদের জন্য মুখস্থ তিলাওয়াত করা বৈধ, তবে স্পর্শ করবে না এবং তারা জুনুবি ব্যক্তির মতো নয়। কারণ, হায়েস ও নিফাসের সময় অনেক লম্বা হয়, জুনুবি ব্যক্তির মতো স্বল্পকালীন নয়। দ্বিতীয়ত জুনুবি ব্যক্তি যখন ইচ্ছা গোসল করে কুরআন তিলাওয়াত করতে সক্ষম, কিন্তু হায়েয ও নিফাসের নারীদের পক্ষে এরূপ করা সম্ভব নয়। অতএব, তাদেরকে জুনুবি ব্যক্তির সাথে তুলনা করা সঠিক নয়। তাদের জন্য মুখস্থ কুরআন পড়া বৈধ, এটাই অধিক বিশুদ্ধ। কারণ, তাদের কুরআন তিলাওয়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়, এমন কোনো দলীল নেই, বরং তাদের কুরআন তিলাওয়াতকে বৈধতা প্রদানকারী অনেক দলীল রয়েছে। সহীহ বুখারী ও মুসলিমে রয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহাকে বলেন, হজের মৌসুমে যখন তার হায়েয হয়েছিল:
«افْعَلِي مَا يَفْعَلُ الْحَاجُّ، غَيْرَ أَنْ لَا تَطُوفِي بِالْبَيْتِ حَتَّى تَطْهُرِي» .
“হাজিরা যা করে তুমিও তাই কর, তবে পবিত্র হওয়ার আগ পর্যন্ত বায়তুল্লাহ তাওয়াফ কর না”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১২১১।] হাজী সাহেবগণ কুরআন তিলাওয়াত করেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কুরআন তিলাওয়াত থেকে নিষেধ করেন নি, এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, ঋতুমতী নারীর জন্য কুরআনুল কারীম তিলাওয়াত করা বৈধ। অনুরূপ নির্দেশ প্রদান করেছেন আসমা বিনতে উমাইসকে, যখন সে বিদায় হজের মিকাতে মুহাম্মাদ ইবন আবূ বকরকে প্রসব করেছিল। এ থেকে প্রমাণিত হয় হায়েয ও নিফাসের নারীর জন্য কুরআন তিলাওয়াত করা বৈধ, তবে স্পর্শ করা ব্যতীত। পক্ষান্তরে ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত হাদীস, যেখানে নবী সাল্লাল্লাহু ‘‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«لَا تَقْرَأْ الْحَائِضُ وَلَا الْجُنُبُ شَيْئًا مِنَ الْقُرْآنِ» .
“হায়েয ও জুনুবি ব্যক্তি কুরআনের কোনো অংশ তিলাওয়াত করবে না”। [তিরমিযী, হাদীস নং ১৩১] হাদীসটি দুর্বল। এ সনদে ইসমাঈল ইবন আইয়াশ রয়েছে, আহলে ইলমগণ হিজাযীদের থেকে তার বর্ণিত হাদীসকে দুর্বল বলেছেন। তারা বলেন, সে যখন শাম তথা তার দেশের লোকদের থেকে বর্ণনা করেন ঠিক আছে, কিন্তু যখন হিজাযীদের থেকে বর্ণনা করেন তখন দুর্বল। এ হাদীস তাদের থেকেই বর্ণিত, অতএব, হাদীসটি দুর্বল”। [দেখুন: মাজমু‘ ফতাওয়া ও মাকালাত মুতানাউওয়্যিআহ, ৪র্থ খণ্ড।]
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন