HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
অযু ব্যতীত কুরআনুল কারীম স্পর্শ করার বিধান
লেখকঃ একদল বিজ্ঞ আলেম
৫
তৃতীয় ফাতওয়া:শাইখ উসাইমীন রহ. একসময় বলতেন অযু ব্যতীত কুরআনুল কারীম স্পর্শ করা বৈধ, কিন্তু পরবর্তীতে তিনি এ ফাতওয়া থেকে প্রত্যাবর্তন করেন। অতঃপর তিনি বলেন, অযু ব্যতীত কুরআনুল কারীম স্পর্শ করা বৈধ নয়, কারণ একটি হাদীসে আছে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহ ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«أَنْ لَا يَمَسَّ الْقُرْآنَ إِلَّا طَاهِرٌ» .
“পবিত্র ব্যক্তি ব্যতীত কেউ কুরআন স্পর্শ করবে না”। [মুয়াত্তা, হাদীস নং ৫৩৪; আবূ দাঊদ ফিল মারাসিল, হাদীস নং ৯৩] এ হাদীস যদিও মুরসাল, কিন্তু উম্মত তাকে ব্যাপকভাবে গ্রহণ করার কারণে সহীহ পরিণত হয়েছে। আর হাদীসে বিদ্যমান طاهرٌ শব্দ দ্বারা উদ্দেশ্য পবিত্র ব্যক্তি, যার অযু রয়েছে। হাদীসের অর্থ এই নয় যে, মুমিন ব্যতীত কেউ কুরআন স্পর্শ করবে না, কারণ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো মুমিন ব্যক্তিকে طاهرٌ সম্বোধন করেন নি। অতএব, তাহির দ্বারা উদ্দেশ্য অযু সম্পন্ন ব্যক্তি; তার আরেকটি প্রমাণ হচ্ছে অযুর আয়াত, যেখানে আল্লাহ তা‘আলা অযু, গোসল ও তায়াম্মুমের কথা উল্লেখ করেছেন, যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿مَا يُرِيدُ ٱللَّهُ لِيَجۡعَلَ عَلَيۡكُم مِّنۡ حَرَجٖ وَلَٰكِن يُرِيدُ لِيُطَهِّرَكُمۡ ٦﴾ [ المائدة : ٦ ]
“আল্লাহ তোমাদের ওপর কঠিন করতে চান না, তবে তিনি তোমাদেরকে পবিত্র করতে চান” সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৬]
অতএব, কোনো ব্যক্তির জন্য বৈধ নয় অযু ব্যতীত কুরআনুল কারীম স্পর্শ করা, তবে রোমাল, হাত মোজা অথবা মিসওয়াক দ্বারা যদি কুরআনুল কারীমের পৃষ্ঠা উল্টায় তার অনুমিত রয়েছে”। এটাই শাইখের সর্বশেষ ফাতওয়া:
قال في " الشرح الممتع " : فالذي تَقَرَّرَ عندي أخيراً : أنَّه لا يجوز مَسُّ المصْحَفِ إلا بِوُضُوء .
শাইখ, ‘আশ-শারহুল মুমতি’ গ্রন্থে বলেন, “সর্বশেষ আমার নিকট প্রমাণিত হয়েছে যে, অযু ব্যতীত কুরআনুল কারীম স্পর্শ করা বৈধ নয়”।
সমাপ্ত
«أَنْ لَا يَمَسَّ الْقُرْآنَ إِلَّا طَاهِرٌ» .
“পবিত্র ব্যক্তি ব্যতীত কেউ কুরআন স্পর্শ করবে না”। [মুয়াত্তা, হাদীস নং ৫৩৪; আবূ দাঊদ ফিল মারাসিল, হাদীস নং ৯৩] এ হাদীস যদিও মুরসাল, কিন্তু উম্মত তাকে ব্যাপকভাবে গ্রহণ করার কারণে সহীহ পরিণত হয়েছে। আর হাদীসে বিদ্যমান طاهرٌ শব্দ দ্বারা উদ্দেশ্য পবিত্র ব্যক্তি, যার অযু রয়েছে। হাদীসের অর্থ এই নয় যে, মুমিন ব্যতীত কেউ কুরআন স্পর্শ করবে না, কারণ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো মুমিন ব্যক্তিকে طاهرٌ সম্বোধন করেন নি। অতএব, তাহির দ্বারা উদ্দেশ্য অযু সম্পন্ন ব্যক্তি; তার আরেকটি প্রমাণ হচ্ছে অযুর আয়াত, যেখানে আল্লাহ তা‘আলা অযু, গোসল ও তায়াম্মুমের কথা উল্লেখ করেছেন, যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿مَا يُرِيدُ ٱللَّهُ لِيَجۡعَلَ عَلَيۡكُم مِّنۡ حَرَجٖ وَلَٰكِن يُرِيدُ لِيُطَهِّرَكُمۡ ٦﴾ [ المائدة : ٦ ]
“আল্লাহ তোমাদের ওপর কঠিন করতে চান না, তবে তিনি তোমাদেরকে পবিত্র করতে চান” সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৬]
অতএব, কোনো ব্যক্তির জন্য বৈধ নয় অযু ব্যতীত কুরআনুল কারীম স্পর্শ করা, তবে রোমাল, হাত মোজা অথবা মিসওয়াক দ্বারা যদি কুরআনুল কারীমের পৃষ্ঠা উল্টায় তার অনুমিত রয়েছে”। এটাই শাইখের সর্বশেষ ফাতওয়া:
قال في " الشرح الممتع " : فالذي تَقَرَّرَ عندي أخيراً : أنَّه لا يجوز مَسُّ المصْحَفِ إلا بِوُضُوء .
শাইখ, ‘আশ-শারহুল মুমতি’ গ্রন্থে বলেন, “সর্বশেষ আমার নিকট প্রমাণিত হয়েছে যে, অযু ব্যতীত কুরআনুল কারীম স্পর্শ করা বৈধ নয়”।
সমাপ্ত
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন