HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বিবিধ প্রশ্ন-উত্তর

লেখকঃ শাইখ মুহাম্মদ ইবন সালেহ আল-‘উসাইমীন

স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বিবিধ প্রশ্ন-উত্তর
নিশ্চয়ই সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য; আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি এবং তাঁর নিকট তাওবা করি; আর আমাদের নফসের জন্য ক্ষতিকর এমন সকল খারাপি এবং আমাদের সকল প্রকার মন্দ আমল থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই। আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল।

অতঃপর

আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাদের জন্য লেনদেনের ব্যাপারে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সুস্পষ্ট পরিপূর্ণ নিয়ম-পদ্ধতি বিধিবদ্ধ করে দিয়েছেন, অন্য কোন ব্যবস্থা বা পদ্ধতিই তার সমকক্ষ হবে না; আর লেনদেনের ক্ষেত্রে যদি তা সুদের সাথে সম্পৃক্ত হয়, তাহলে তা হবে যুলুম এবং ন্যায় ও সঠিক পথ থেকে দূরে সরে যাওয়ার অন্তর্ভুক্ত; যে সুদ থেকে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কিতাবের মধ্যে এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভাষায় সতর্ক করে দিয়েছেন; আর সকল মুসলিম তা হারাম হওয়ার ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।

আল্লাহ তা‘আলা তাঁর যেই কিতাবটি মানবজাতির প্রতি অবতীর্ণ করেছেন যাতে তারা তাকে তাদের মধ্যকার বিরোধ মীমাংসার ব্যাপারে ফায়সালাকারীরূপে গ্রহণ করে, সেই কিতাবটির মধ্যে বলেছেন:

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَذَرُواْ مَا بَقِيَ مِنَ ٱلرِّبَوٰٓاْ إِن كُنتُم مُّؤۡمِنِينَ ٢٧٨ فَإِن لَّمۡ تَفۡعَلُواْ فَأۡذَنُواْ بِحَرۡبٖ مِّنَ ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦۖ وَإِن تُبۡتُمۡ فَلَكُمۡ رُءُوسُ أَمۡوَٰلِكُمۡ لَا تَظۡلِمُونَ وَلَا تُظۡلَمُونَ ٢٧٩ ﴾ [ البقرة : ٢٧٨، ٢٧٩ ] “হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং সুদের যা বকেয়া আছে তা ছেড়ে দাও যদি তোমরা মুমিন হও। অতঃপর যদি তোমরা না কর, তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা নাও। আর যদি তোমরা তাওবা কর, তবে তোমাদের মূলধন তোমাদেরই; তোমরা যুলুম করবে না এবং তোমাদের উপরও যুলুম করা হবে না।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৭৮ - ২৭৯] তিনি আরও বলেন:

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَأۡكُلُواْ ٱلرِّبَوٰٓاْ أَضۡعَٰفٗا مُّضَٰعَفَةٗۖ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ لَعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ ١٣٠ وَٱتَّقُواْ ٱلنَّارَ ٱلَّتِيٓ أُعِدَّتۡ لِلۡكَٰفِرِينَ ١٣١ وَأَطِيعُواْ ٱللَّهَ وَٱلرَّسُولَ لَعَلَّكُمۡ تُرۡحَمُونَ ١٣٢ ﴾ [ ال عمران : ١٣٠، ١٣٢ ]

“হে মুমিনগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ খেয়ো না এবং আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। আর তোমরা সে আগুন থেকে বেঁচে থাক, যা কাফেরদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আর তোমরা আল্লাহর ও রাসূলের আনুগত্য কর, যাতে তোমরা কৃপা লাভ করতে পার।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৩০ - ১৩২] আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:

﴿ ٱلَّذِينَ يَأۡكُلُونَ ٱلرِّبَوٰاْ لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ ٱلَّذِي يَتَخَبَّطُهُ ٱلشَّيۡطَٰنُ مِنَ ٱلۡمَسِّۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمۡ قَالُوٓاْ إِنَّمَا ٱلۡبَيۡعُ مِثۡلُ ٱلرِّبَوٰاْۗ وَأَحَلَّ ٱللَّهُ ٱلۡبَيۡعَ وَحَرَّمَ ٱلرِّبَوٰاْۚ فَمَن جَآءَهُۥ مَوۡعِظَةٞ مِّن رَّبِّهِۦ فَٱنتَهَىٰ فَلَهُۥ مَا سَلَفَ وَأَمۡرُهُۥٓ إِلَى ٱللَّهِۖ وَمَنۡ عَادَ فَأُوْلَٰٓئِكَ أَصۡحَٰبُ ٱلنَّارِۖ هُمۡ فِيهَا خَٰلِدُونَ ٢٧٥ يَمۡحَقُ ٱللَّهُ ٱلرِّبَوٰاْ وَيُرۡبِي ٱلصَّدَقَٰتِۗ وَٱللَّهُ لَا يُحِبُّ كُلَّ كَفَّارٍ أَثِيمٍ ٢٧٦ ﴾ [ البقرة : ٢٧٥، ٢٧٦ ]

“যারা সুদ খায় তারা তার ন্যায় দাঁড়াবে, যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে। এটা এ জন্য যে, তারা বলে, ‘ক্রয়-বিক্রয় তো সূদেরই মত’। অথচ আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল ও সুদকে হারাম করেছেন। অতএব, যার নিকট তার রব-এর পক্ষ হতে উপদেশ আসার পর সে বিরত হল, তাহলে অতীতে যা হয়েছে তা তারই; এবং তার ব্যাপার আল্লাহর ইখতিয়ারে। আর যারা পুনরায় আরম্ভ করবে তারাই আগুনের অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে। আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দানকে বর্ধিত করেন। আর আল্লাহ অধিক কুফরকারী কোন পাপী ব্যক্তিকে ভালবাসেন না।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৭৫ - ২৭৬]

আর সহীহ মুসলিমের মধ্যে হাদিস বর্ণিত আছে, জাবির রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন:

« لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم آكِلَ الرِّبَا , وَمُوكِلَهُ , وَكَاتِبَهُ , وَشَاهِدَيْهِ , وَقَالَ : هُمْ سَوَاءٌ » . ( رواه مسلم ) .

“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুদ গ্রহিতা, সুদ দাতা, সুদের লেখক এবং সুদের সাক্ষীদ্বয়ের উপর অভিশাপ দিয়েছেন এবং তিনি বলেছেন: তারা সকলেই সমান (অপরাধী)।” [সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: বাগান বর্গাচাষ বা পানি সিঞ্চন ( كتاب المساقاة ), পরিচ্ছেদ: সুদ গ্রহিতা ও দাতার উপর অভিশাপ প্রসঙ্গে ( باب لَعْنِ آكِلِ الرِّبَا وَمُؤْكِلِهِ ), হাদিস নং- ৪১৭৭] আর ‘লানত’ (অভিশাপ) মানে: আল্লাহর রহমত থেকে বিতাড়িত করা ও দূরে সরিয়ে রাখা; আল্লাহ তা‘আলা জিন ও মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের মধ্যে বিবেক-বুদ্ধি ও বোধশক্তি দিয়েছেন; আর তিনি তাদের মাঝে পাঠিয়েছেন রাসূলগণকে এবং তাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছেন ভয়-ভীতি, যাতে তারা তাঁর দাসত্ব করতে পারে এবং তাদের প্রবৃত্তির দাবিকে উপেক্ষা করে তাঁর ও তাঁর রাসূলের আদেশ-নির্দেশকে প্রাধান্য দিয়ে নিজেদেরকে তাঁর আনুগত্যের অধীন করে নেয়; কারণ, এটাই হল আল্লাহ ‘ইবাদত তথা দাসত্বের বাস্তব চিত্র এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার প্রতি ঈমানের দাবি; যেমনটি আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:

﴿ وَمَا كَانَ لِمُؤۡمِنٖ وَلَا مُؤۡمِنَةٍ إِذَا قَضَى ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥٓ أَمۡرًا أَن يَكُونَ لَهُمُ ٱلۡخِيَرَةُ مِنۡ أَمۡرِهِمۡۗ وَمَن يَعۡصِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ فَقَدۡ ضَلَّ ضَلَٰلٗا مُّبِينٗا ٣٦ ﴾ [ الاحزاب : ٣٦ ]

“আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোন বিষয়ের ফয়সালা দিলে কোন মুমিন পুরুষ কিংবা মুমিন নারীর জন্য সে বিষয়ে তাদের কোন (ভিন্ন সিদ্ধান্তের) ইখতিয়ার সংগত নয়। আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করল, সে স্পষ্টভাবে পথভ্রষ্ট হলো।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৩৬]

সুতরাং যে বিষয়ে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, সে বিষয়ে কোনো সত্যিকার মুমিনের জন্য মানা না মানার ইখতিয়ার বা স্বাধীনতা নেই এবং তার সামনে তা সন্তুষ্ট চিত্তে পরিপূর্ণভাবে মেনে নেয়া ছাড়া ভিন্ন কোন পথও নেই, চাই তা তার প্রবৃত্তির চাহিদা মাফিক হউক, অথবা তা তার প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে যাক; এর ব্যতিক্রম হলে সে মুমিন নয়; যেমনটি আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:

﴿ فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤۡمِنُونَ حَتَّىٰ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيۡنَهُمۡ ثُمَّ لَا يَجِدُواْ فِيٓ أَنفُسِهِمۡ حَرَجٗا مِّمَّا قَضَيۡتَ وَيُسَلِّمُواْ تَسۡلِيمٗا ٦٥ ﴾ [ النساء : ٦٥ ]

“কিন্তু না, আপনার রবের শপথ! তারা মুমিন হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা নিজেদের বিবাদ-বিসম্বাদের বিচার ভার আপনার উপর অর্পণ না করে; অতঃপর আপনার মীমাংসা সম্পর্কে তাদের মনে কোন দ্বিধা না থাকে এবং সর্বান্তকরণে তা মেনে নেয়।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৬৫]

যখন এ বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেল, তখন জেনে রাখুন যে, আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশসমূহ দুই ভাগে বিভক্ত:

এক প্রকার নির্দেশ, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার সাথে সম্পর্ক ও আচার-আচরণ সংশ্লিষ্ট, যেমন: পবিত্রতা অর্জন করা, সালাত, সাওম ও হাজ্জ; আর এগুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলার ‘ইবাদত হওয়ার ব্যাপারে কেউ সন্দেহ প্রকাশ করে না; আর অপর প্রকার নির্দেশটি সৃষ্টির সাথে সম্পর্ক ও আচার-আচরণ সংশ্লিষ্ট; আর তা হল তাদের মধ্যকার প্রচলিত ক্রয়, বিক্রয়, ইজারা, বন্ধক ইত্যাদি ধরনের লেনদেনসমূহ। আর যেমনিভাবে প্রথম প্রকারের ক্ষেত্রে আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশসমূহ বাস্তবায়ন করা এবং তাঁর শরী‘য়তকে যথাযথরূপে গ্রহণ করা প্রত্যেকের জন্য একটি আবশ্যকীয় সর্বজনবিদিত বিষয়; ঠিক অনুরূপভাবে দ্বিতীয় প্রকারের ক্ষেত্রেও তাঁর নির্দেশসমূহ বাস্তবায়ন করা এবং তাঁর শরী‘য়তকে যথাযথরূপে গ্রহণ করা একটি আবশ্যকীয় (ফরয) বিষয়; কারণ, প্রত্যেকটিই আল্লাহ তা‘আলার বান্দাগণের প্রতি তাঁর হুকুম বা নির্দেশ; সুতরাং এ ক্ষেত্রে এবং ঐ ক্ষেত্রে— সকল ক্ষেত্রেই আল্লাহ তা‘আলার হুকুম বাস্তবায়ন ও তাঁর শরী‘য়তকে যথাযথরূপে গ্রহণ করা প্রত্যেক মুমিনের উপর আবশ্যক।

অতঃপর...,

এগুলো হচ্ছে স্বর্ণ [স্বর্ণ ক্রয় ও বিক্রয়ের ব্যাপারে যা বলা হবে, তা রৌপ্য ক্রয় ও বিক্রয়ের ব্যাপারেও প্রযোজ্য হবে।] বিক্রয়, ক্রয় ও ব্যবহারের বিষয়ে আমাদের শাইখ মুহাম্মদ ইবন সালেহ আল-‘উসাইমীনের নিকট করা কিছু প্রশ্ন, তিনি এগুলোর জওয়াব দিয়েছেন আল্লাহ তা‘আলার নিকট এ প্রত্যাশা যে, যে ব্যক্তি তা পাঠ করে অথবা তা শ্রবণ করে, তিনি যেন তাকে উপকৃত করেন এবং যিনি তা লেখেন অথবা মুদ্রণ করেন অথবা প্রকাশ করেন অথবা তার সাথে সংশ্লিষ্ট কোন কাজ করেন, তিনি যেন তাকে বড় ধরনের পুরস্কার ও সাওয়াব দান করেন; আর তিনিই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং উত্তম অভিভাবক।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন