hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

উম্মতের ওপর সাহাবীগণের অধিকারসমূহ

লেখকঃ ড. সালিহ ইবন আব্দুল আযীয ইবন উসমান সিন্দী

তৃতীয় অধিকার: কুরআন ও সুন্নায় তাদের যে ক্রমানুসারে মর্যাদার কথা উল্লেখ রয়েছে সে হিসেবে তাদের পারস্পরিক মর্যাদা প্রদান করা ও তাতে বিশ্বাস রাখা।
কেননা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের মতে, সাহাবীগণ সাধারণ মর্যাদার ক্ষেত্রে সকলেই সমান, তবে মর্যাদার স্তরের বিবেচনায় তারা বিভিন্ন স্তরের। তাদের কিছু সংখ্যক অন্যদের চেয়ে বেশি মর্যাদাবান, তবে এতে কাউকে অমর্যাদা করা যাবে না।

সাধারণভাবে সর্বোত্তম সাহাবী হলেন জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত দশজন সাহাবী। আর তারা হলেন, চার খোলাফায়ে রাশেদীন; তথা আবু বকর, উমার, উসমান ও আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম এবং অবশিষ্ট ছয়জন সাহাবী। তাদের সমষ্টি ইবন আবু দাউদ তার ‘হায়িইয়্যাহ’ তে এভাবে উল্লেখ করেছেন,

سعيد وسعدٌ وابن عوف وطلحة وعامرٌ فهر والزبير الممدح

অর্থাৎ সা‘ঈদ, সা‘দ, ইবন ‘আউফ, তালহা, ফিহরের ‘আমের ও প্রশংসিত যুবায়ের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম। [মানযুমাতু ইবন আবু দাউদ ‘আল-হায়িইয়্যাহ’ মা‘আ শরহিহা ‘আত-তুহফাতুস সানিয়্যাহ’ পৃষ্ঠা ৯।]

জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত উক্ত দশজনের মধ্যে চার খলীফার মর্যাদা সবার উপরে। তারা চারজন আবার খিলাফতের ধারাবাহিকতা অনুসারে একে অন্যের চেয়ে মর্যাদাবান। [এ ব্যাপারটি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের কাছে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত মতামত। দেখুন, মাজমু‘উল ফাতাওয়া, ৩/১৬২; আল-ইসতী‘আব, ৩/১১১৭-১১১৮।]

কবি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সকল সাহাবী ও তাঁর পরিবারের মর্যাদা ও সুন্দর গুণাবলী ধারণ করো ও প্রচার করো। অন্তরের গভীরে তা স্থাপন করো, সমস্ত সম্মান ও মর্যাদার ক্ষেত্রে আবু বকর ও উমারকে অগ্রাধিকার দাও, তাদের পরে উসমান অতঃপর যুদ্ধের ময়দানে বীর সেনানী আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু। [কাসীদাতু আবু মারওয়ান আব্দুল মালিক ইবন ইদরীস আল-জাযায়েরী ফিল আদাবি ওয়াস-সুন্নাহ, পৃষ্ঠা ৫৭, পংক্তি নং ১১৬-১১৮।]

নিঃসন্দেহে ইসলামে আবু বকর ও উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমার মর্যাদা সবার উর্ধ্বে। এ উম্মতের নবীর পরে তাদের মর্যাদা; বরং সমস্ত নবীদের পরে সৃষ্টিকুলের মধ্যে তারা সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। তাদের দুজনের মধ্যে আবু বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু আবার শ্রেষ্ঠত্বে অগ্রগামী।

আহলে বাইতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইমাম আবু জা‘ফর আল-বাকির রহ. এর বাণীটি এখানে প্রণিধান যোগ্য। তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আবু বকর ও উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমার মর্যাদা জানে না সে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাত সম্পর্কে অজ্ঞ।’ [আল-হুজ্জাতু ফি বায়ানিল মুহাজ্জাহ এবং শরহু ‘আকীদাতু আহলিস সুন্নাহ, ২/৩৫০।]

শা‘বী রহ. বলেছেন, ‘আবু বকর ও উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমাকে ভালোবাসা ও তাদের মর্যাদা জানা সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত।’ [আল-হুজ্জাতু ফি বায়ানিল মুহাজ্জাহ এবং শরহু ‘আকীদাতু আহলিস সুন্নাহ, ২/৩৩৭।]

আবু বকর ও উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমার পরে জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবীগণের মর্যাদা, অতঃপর উহুদের যুদ্ধে অংশগ্রগণকারীগণ, অতঃপর বাই‘আতে রিদওয়ানে অংশগ্রহণকারী সাহাবীগণের মর্যাদা।

এ ধারাবাহিকতা কতিপয় আলেম উল্লেখ করেছেন। যেমন, ইবন কাসীর রহ. [আল-বা‘ইসিল-হাসীস, পৃষ্ঠা ১৮৩।], ইবনুস সালাহ [মুকাদ্দামাতু ইবনিস সালাহ, ১/২৬৪-২৬৫।] ও নাওয়াওয়ী রহ. [আত-তাকরীব ওয়াত-তাইসীর লিমা‘রিফিতি সুন্নাতিল বাশীরিন নাযীর, পৃষ্ঠা ৯৩।]।

কতিপয় আলেম বাই‘আতে রিদওয়ানে অংশগ্রহণকারী সাহাবীগণকে উহুদ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের উপর প্রধান্য দিয়েছেন। [যেমন, সাফারীনী রহ. তার ‘লাওয়ামি‘উল আনওয়ারিল বাহিয়্যাহ’ ২/৩৭১-৩৭২ তে উল্লেখ করেছেন।] আবার কেউ কেউ উহুদ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের পরের স্তরে রেখেছেন আহযাবের যুদ্ধে অটলভাবে অংশগ্রহণকারীদেরকে, অতঃপর বাই‘আতে রিদওয়ানের সাহাবীগণকে। [যেমন, হিকামী রহ. তার ‘মা‘আরিজুল কাবূল’ ২/৩৭১-৩৭২ এ উল্লেখ করেছেন।] আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত।

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত (সামষ্টিকভাবে) আনসারগণের ওপরে মর্যাদায় মুহাজিরগণকে অগ্রাধিকার দেন। [লাওয়ামি‘উল আনওয়ারিল বাহিয়্যাহ, ২/৩৭২।] এমনিভাবে যারা আগে ইসলাম গ্রহণ করেছেন তাদেরকে যারা পরে ইসলাম গ্রহণ করেছেন তাদের ওপরে অগ্রাধিকার দেন।

মহিলা সাহাবীগণের মধ্যে তিনজন সর্বোত্তম। তারা হলেন, খাদিজা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা, ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা ও ‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা।

শাইখুল ইসলাম আবুল আব্বাস ইবন তাইমিয়্যাহ রহ. বলেছেন, ‘এ উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম নারী হচ্ছেন, খাদিজা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা, ‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা ও ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা। তাদের একজনের ওপর আরেক জনের অগ্রাধিকারের ব্যাপারে আলেমদের মধ্যে মতানৈক্য ও বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে।’ [মাজমু‘উল ফাতাওয়া, ২/৪৮১।]

এখানে একট বিষয় উল্লেখ করা জরুরী যে, জমহুর আলেমদের ঐকমত্যে, সমস্ত সাহাবীরা তাদের পরে আগত সব লোকদের চেয়ে উত্তম। [দেখুন, ফাতহুল বারী, ৭/৭।] এ ব্যাপারে কীভাবে মতানৈক্য বা সন্দেহ পোষণ করা সম্ভব! তারা তো এমন সৌভাগ্যবান যারা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাক্ষাৎ লাভে ধন্য হয়েছেন, তারা তো এমনই মর্যাদাবান ছিলেন যাদের সমকক্ষ কেউ হবেন না, যদিও সে উহুদ পাহাড় সমান স্বর্ণ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে, তবুও তাদের একমুদ বা অর্ধমুদ-এর সমপরিমাণ সাওয়াবের কাছে পৌঁছুতে পারবে না। তদুপরি যদি তাদের সালাত, জিহাদ ও অন্যান্য আমলসমূহ হিসেব করা হয় তবে তাদের মর্যাদা কোন স্তরে গিয়ে ঠেকবে?

তাদের এ মর্যাদার ব্যাপারে কীভাবে কেউ মতানৈক্য করবে? তারা তো এমন লোক যাদের সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿أُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلرَّٰشِدُونَ٧﴾ [ الحجرات : ٧ ]

“তারাই তো সত্য পথপ্রাপ্ত।” [সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত: ৭]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেছেন,

﴿وَكُلّٗا وَعَدَ ٱللَّهُ ٱلۡحُسۡنَىٰ١٠﴾ [ الحديد : ١٠ ]

“আর আল্লাহ তাদের প্রত্যেকের জন্যই কল্যাণের ওয়াদা করেছেন।” [সূরা আল-হাদীদ, আয়াত: ১০]

তাদের মর্যাদার ব্যাপারে কীভাবে সন্দেহ পোষণ করা যায় যাদের সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«خَيْرُ النَّاسِ قَرْنِي» .

“আমার যুগের লোকেরাই হচ্ছে সর্বোত্তম লোক।” [সহীহ বুখারী, কিতাব: সাহাবীদের মর্যাদা, বাব: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবী ও তাদের সহচরদের (তাবেয়ী) মর্যাদা, যারা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহচর্য লাভ করেছেন বা মুসলিমদের মধ্যে যারা তাঁকে দেখেছেন তারাই তাঁর সাহাবীদের অন্তর্ভুক্ত, ৩/৬, হাদীস নং ৩৬৫১; সহীহ মুসলিম, কিতাব: সাহাবীদের মর্যাদা, বাব: সাহাবী ও যারা তাদের পরবর্তীতে ও যারা তাদের পরবর্তীতে আসবেন তাদের মর্যাদা, ৪/১৯৬৩, হাদীস নং ২৫৩৩। হাদীসটি আব্দুল্লাহ ইবন মাস‘উদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত।]

মু‘আফি ইবন ‘ইমরান রহ. কে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘উমার ইবন আব্দুল আযীয ও মু‘আবিয়া ইবন আবু সুফইয়ান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর মধ্যে মর্যাদার পার্থক্য কেমন? (অর্থাৎ কার মর্যাদা বেশি?) তিনি এ প্রশ্নের কারণে অত্যন্ত রাগান্বিত হলেন। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণের সাথে কাউকে তুলনা করা যাবে না। আর মু‘আবিয়া রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবী, তাঁর শশুরদিকের আত্মীয়, অহী লিখক এবং আল্লাহর অহীর আমীন তথা আমানতদার।’ [দেখুন, তারিখু মাদীনাতি দিমাশ্ক, ৯/২০৮।]

ইমাম আহমাদ রহ. কে জিজ্ঞেস করা হলো, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণের সাথে কাউকে কী তুলনা করা যাবে? তিনি বললেন, মা‘আযাল্লাহ (আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি)। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, মু‘আবিয়া রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কী উমার ইবন আব্দুল আযীয রহ. থেকে উত্তম? তিনি বললেন, অবশ্যই, অবশ্যই তিনি উত্তম; কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«خَيْرُ النَّاسِ قَرْنِي» .

“আমার যুগের লোকেরাই হচ্ছে সর্বোত্তম লোক।” [সহীহ বুখারী, কিতাব: সাহাবীদের মর্যাদা, বাব: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবী ও তাদের সহচরদের (তাবেঈ) মর্যাদা, যারা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহচর্য লাভ করেছেন বা মুসলিমদের মধ্যে যারা তাঁকে দেখেছেন তারাই তাঁর সাহাবীদের অন্তর্ভুক্ত, ৩/৬, হাদীস নং ৩৬৫১; সহীহ মুসলিম, কিতাব: সাহাবীদের মর্যাদা, বাব: সাহাবী ও যারা তাদের পরবর্তীতে ও যারা তাদের পরবর্তীতে আসবেন তাদের মর্যাদা, ৪/১৯৬৩, হাদীস নং ২৫৩৩। হাদীসটি আব্দুল্লাহ ইবন মাস‘উদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত।] [দেখুন, খাল্লাল, আস-সুন্নাহ ২/৪৩৫।]

ইমাম আহমাদ রহ. আরও বলেছেন, ‘অতএব, তাদের মধ্যে যারা ক্ষণিকের জন্য হলেও রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সান্নিধ্য পেয়েছেন তারাও তাদের পরবর্তী যুগের লোকদের চেয়ে উত্তম; যারা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেন নি; যদিও তারা সব ধরণের আমল করে আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করে (মারা যায়)।’ [শরহু উসূলি ই‘তিকাদি আহলিস সুন্নাহ, লালকা’য়ী, ১/১৬০।]

প্রশ্ন: কেউ যদি এ প্রশ্ন করেন যে, তাহলে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিম্নোক্ত বাণীর কী ব্যাখ্যা হবে? তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«فَإِنَّ مِنْ وَرَائِكُمْ أَيَّامًا الصَّبْرُ فِيهِنَّ مِثْلُ قَبْضٍ عَلَى الْجَمْرِ، لِلْعَامِلِ فِيهِنَّ مِثْلُ أَجْرِ خَمْسِينَ رَجُلًا يَعْمَلُونَ مِثْلَ عَمَلِهِ . قِيلَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ أَجْرُ خَمْسِينَ مِنْهُمْ؟ قَالَ خمسين منكم» .

“তোমাদের পরবর্তীতে এমন যুগ আসবে যে যুগে (দীনের উপর) ধৈর্য ধরে থাকা জ্বলন্ত অঙ্গার হাতে রাখার মত যন্ত্রণাদায়ক হবে। ঐ যুগে যে দীনের উপর আমল করবে তার প্রতিদান হবে তার মতো আমলকারী পঞ্চাশ লোকের অনুরূপ। একজন জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! তাদের পঞ্চাশ জনের মতো সাওয়াব হবে? তিনি বললেন: না, তোমাদের পঞ্চাশ জনের সমান তার সাওয়াব হবে।” [তিরমিযী, কিতাব: তাফসীরুল কুরআন, বাব: সূরা আল-মায়েদা, ৫/২৫৭, হাদীস নং ৩০৫৮, তিনি হাদীসটিকে হাসান গরীব বলেছেন। আবু দাউদ, কিতাব: আল-মালাহিম, বাব: আল-আমরু ওয়ান নাহী, ৪/৩৩২, হাদীস নং ৪৩৪১; ইবন মাজাহ, পৃষ্ঠা ১৩৩১, হাদীস নং ৪০১৪; আলবানী রহ. হাদীসটি তার সিলসিলা আস-সাহিহাতে ১/৮৯২-৮৯৩, হাদীস নং ৪৯৪, এটিকে সহীহ বলেছেন। জ্ঞাতব্য, এ হাদীসটির পুরো অংশকে আলবানী রহ. সহীহ বলেন নি; বরং তিনি বলেছেন, হাদীসটি দ‘ঈফ, তবে এর কিছু অংশ সহীহ। দেখুন মিশকাত, হাদীস নং ৫১৪৪; সহীহ আবু দাউদ, সংক্ষিপ্ত সনদে, হাদীস নং ১৮৪৪-২৩৭৫; সিলসিলা আস-সাহীহা, হাদীস নং ৫৯৪; দ‘ঈফুল জামে‘ আস-সাগীর, হাদীস নং ২৩৪৪।- অনুবাদক।]

জবাব: এ হাদীসে নির্দিষ্ট একটি ব্যাপারে মর্যাদার কথা বলা হয়েছে, সাধারণ মর্যাদার কথা বলা হয় নি। আর তা হলো, সে সময়ে ধৈর্য ধারণ করলে পঞ্চাশ জন সাহাবীগণের ধৈর্য ধারণের প্রতিদান পাবে। তাহলে এখানে একটি নির্দিষ্ট আমলের মর্যাদার কথা বলা হয়েছে, সব কাজের মর্যাদা নয়। ইবন হাজার রহ. বলেছেন, ‘উপরোক্ত হাদীস “তোমাদের পঞ্চাশ জনের আমলের সমান তার সাওয়াব হবে।” এর ব্যাখ্যায় বলা যায়, হাদীসটি সাহাবী নয় এমন লোকদেরকে সাহাবীগণের উপর মর্যাদা দেওয়া বুঝায় না। কেননা শুধু প্রতিদান বেশি হওয়া সাধারণভাবে অধিক মর্যাদাবান হওয়া প্রমাণ করে না। তাছাড়া যে আমলের ব্যাপারে তুলনা করে প্রতিদানের কথা বলা হয় সেটি শুধু সে আমলের সাদৃশ প্রতিদানই পাওয়া যায়। অন্যদিকে সাহাবীরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দর্শন লাভে যে অতিরিক্ত মর্যাদার অধিকারী হয়েছেন তাতে কেউ তাদের সমকক্ষ হবেন না।’ [ফাতহুল বারী, ৭/৭।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন