মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ষষ্ঠ সম্বল: দা‘য়ীর অন্তর বিরোধীদের প্রতি উদার হতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/453/8
বিশেষ করে যখন জানা যাবে যে, তার বিরোধীদের উদ্দেশ্য ভালো এবং সে যদি দলিল প্রমাণ প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যেই বিরোধীতা করে তবে এসব ক্ষেত্রে নমনীয় হতে হবে। এ সব বিতর্ক যেন ঝগড়া ফাসাদের পর্যায়ে না পৌঁছে সে খেয়াল রাখতে হবে। তবে হ্যাঁ, ব্যক্তি যদি সত্যে স্পষ্ট হওয়ার পরেও বাতিলের উপর দৃঢ় থেকে শুধুই বিরোধিতা ও অস্বীকার করার উদ্দেশ্যে বিতর্ক করে তবে তার আচরণ অনুযায়ী তাঁর সাথে সে ধরনের আচরণ করতে হবে, যাতে মানুষ তার থেকে ভেগে যায় এবং সতর্ক হতে পারে। কেননা তার শত্রুতা প্রকাশ পক্ষান্তরে সত্যকেই প্রকাশ।
এখানে কিছু প্রাসঙ্গিক মাস’য়ালা আছে। তাহলো বাস্তবিক পক্ষে আল্লাহ তা‘আলা বান্দাহদের উপর প্রশস্ত করেছেন অর্থাৎ যেসব মাস’য়ালা উসুল নয়, সেগুলোর ব্যাপারে বিরোধীকে কাফির বলা যাবে না। এটা আল্লাহ বান্দাহর উপর প্রশস্ত করেছেন। এখানে ভুলকে তিনি অনেক প্রশস্ত করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“কোন বিচারক ইজতিহাদে সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে তার জন্য রয়েছে দু’টি পুরস্কার। আর যদি কোন বিচারক ইজতিহাদে ভুল করেন তার জন্যও রয়েছে একটি পুরস্কার”। [বুখারী, হাদীস নং ৭৩৫২, মুসলিম, হাদীস নং ১৭১৬।]
সুতরাং মুজতাহিদ সর্বাবস্থায় পুরস্কার পাবে। সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে দুটি পুরস্কার আর ভুল হলে একটি পুরস্কার পাবে। আপনি যেমন চান না যে, মানুষ যেন আপনার বিরোধিতা না করুক, তেমনিভাবে আপনার বিরোধীরাও চায় কেউ যেন তার বিরোধিতা না করে। আপনি যেমন চান মানুষ আপনার কথা মেনে চলুক, তেমনিভাবে আপনার বিরোধীরাও চায় যে, তাদের কথা মানুষ মেনে চলুক। বিরোধের সময় আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক বর্ণিত ফয়সালাই একমাত্র ভরসা। আল্লাহ বলেছেন,
“আর যে কোন বিষয়েই তোমরা মতবিরোধ কর, তার ফয়সালা আল্লাহর কাছে; তিনিই আল্লাহ, আমার রব; তাঁরই উপর আমি তাওয়াক্কুল করেছি এবং আমি তাঁরই অভিমুখী হই”। [সূরা : আশ্-শূরা: ১০]
“হে মুমিনগণ, তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর ও আনুগত্য কর রাসূলের এবং তোমাদের মধ্য থেকে কর্তৃত্বের অধিকারীদের। অতঃপর কোন বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যার্পণ করাও- যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর”। [সূরা : আন্-নিসা: ৫৯]
সুতরাং সব বিরোধীদের উপর আবশ্যক হলো মতবিরোধের সময় কুরআন ও সুন্নাহের দিকে প্রত্যাবর্তন করা। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কথার উপর কোন মানুষের কথা গ্রহণযোগ্য নয়। সত্য যখন প্রকাশিত হয়ে যায় তখন বিরোধীদের কথা দেয়ালের ওপারে ছুঁড়ে ফেলতে হবে, বিরোধী ব্যক্তিরা দ্বীন ও জ্ঞানে যত বড়ই হোক না কেন। কেননা মানুষ ভুল করতেই পারে। কিন্তু আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কথায় ভুলের কোন সম্ভাবনাই নাই।
আমাকে খুবই ব্যাথিত করে যখন দেখি অনেকে খুব আন্তরিকতার সাথে সত্য অনুসন্ধান ও সত্য পথে পৌঁছতে চেষ্টা করে। এতদসত্ত্বেও তাদেরকে বিচ্ছিন্ন ও নানা দলে বিভক্ত দেখি। তাদের প্রত্যেকের রয়েছে নির্দিষ্ট নাম ও বৈশিষ্ট্য। প্রকৃতপক্ষে এটা ভুল। আল্লাহর দ্বীন একটি, ইসলামী উম্মাহ একটি। আল্লাহ বলেছেন,
“নিশ্চয় যারা তাদের দীনকে বিচ্ছিন্ন করেছে এবং দল-উপদলে বিভক্ত হয়েছে, তাদের কোন ব্যাপারে তোমার দায়িত্ব নেই। তাদের বিষয়টি তো আল্লাহর নিকট। অতঃপর তারা যা করত, তিনি তাদেরকে সে বিষয়ে অবগত করবেন”। [সূরা : আল-আন‘আম: ১৫৯]
“তিনি তোমাদের জন্য দীন বিধিবদ্ধ করে দিয়েছেন; যে বিষয়ে তিনি নূহকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, আর আমি তোমার কাছে যে ওহী পাঠিয়েছি এবং ইবরাহীম, মূসা ও ঈসাকে যে নির্দেশ দিয়েছিলাম তা হল, তোমরা দীন কায়েম করবে এবং এতে বিচ্ছিন্ন হবে না। তুমি মুশরিকদেরকে যেদিকে আহবান করছ তা তাদের কাছে কঠিন মনে হয়; আল্লাহ যাকে চান তার দিকে নিয়ে আসেন। আর যে তাঁর অভিমুখী হয় তাকে তিনি হিদায়াত দান করেন”। [সূরা : আশ্-শূরা: ১৩]
এটা যেহেতু আল্লাহর বিধান, তাই আমাদেরকে এ বিধান মেনে চলা ফরয। আমাদেরকে এক কাতারে সমবেত হতে হবে। সংশোধনের উদ্দেশ্যে আমরা পরস্পরে পর্যালোচনা করব। নিছক সমালোচনা ও প্রতিশোধের উদ্দেশ্যে আমরা সমালোচনা করব না। কেননা যে ব্যক্তি নিজের মতের বিজয় ও অন্যের রায়কে তুচ্ছ করার বা সংস্কারের নিয়াত না করে নিছক সমালোচনার উদ্দেশ্যে বিতর্ক করে সে অধিকাংশ সময়ই আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সন্তুষ্টির পথ থেকে দূরে সরে যায়। সুতরাং এসব ক্ষেত্রে আমাদের উচিত এক উম্মত হওয়া। আমি একথা বলছি না যে, কেউ ভুল করে না। সকলেই ভুল ও সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এসব ভুলের সংস্কার করাই মূল উদ্দেশ্যে। কারো অনুপস্থিতিতে তার সমালোচনা করে ভুলের সংশোধন করা যায় না, বরং এতে তার সম্মানহানি করা হয়। সংশোধনের পথ হলো তার সাথে একত্রিত হয়ে আলোচনা করা। আলোচনার পরে যদি প্রকাশ পায় যে, লোকটি তার ভুলের উপর বাড়াবাড়ি করছে এবং সে বাতিলের উপর আছে তখন সে নিজের ও সত্যের কাছে ওজর পেশ করবে। তবে তার উপর ফরয হলো ভুলকে প্রকাশ করা ও মানুষকে এ সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করা। এভাবে ভুল সংশোধন হবে। অন্যদিকে বিভেদ ও দলাদলি কারো উপকারে আসবে না, বরং ইসলাম ও মুসলমানের শত্রুদের কাজে আসবে।
আমরা আল্লাহ তা‘আলার কাছে এ প্রার্থনা করছি তিনি যেন আমাদের অন্তরকে তাঁর আনুগত্যের উপর একত্রিত করেন, তিনি যেন আমাদেরকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিধান মত ফয়সালা করার তাওফিক দান করেন। আমাদের নিয়াতকে বিশুদ্ধ করেন এবং তাঁর শরি‘য়াতের অস্পষ্ট বিষয়গুলো তিনি যেন আমাদের নিকট স্পষ্ট করে দেন। নিশ্চয় তিনি দানশীল ও মহানুভব।
والحمد لله رب العالمين وصلى وسلم على نبينا محمد وعلى آله وصحبه أجمعين .
সব প্রশংসা মহান আল্লাহর, সালাত ও সালাম আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তাঁর পরিবারবর্গ ও সব সাহাবীদের উপর বর্ষিত হোক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/453/8
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।