মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
দাম্পত্য জীবন তথা পরিবার সংরক্ষণ ও সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে সুন্দর জীবন যাপনে স্বামীর ভূমিকা:
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/516/7
সুস্থ বিবেক এবং পরিপক্ক চিন্তার দাবী হচ্ছে, কতিপয় অসহিষ্ণুতাকে গ্রহণ করা এবং অসুখকর বিষয় থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে রাখার ব্যাপারে মনকে তৈরী করে রাখা। কারণ, পুরুষ হল পরিবারের কর্তা, তার নিজের ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা নারীর চেয়ে অধিক হবে এটাই দাবি। কেননা, পুরুষ জানে যে, নারী তার সৃষ্টিগত ও স্বভাব-প্রকৃতির দিক থেকে দুর্বল; যখন তাকে প্রত্যেক বিষয়ে জবাবদিহির সম্মুখীন করা হবে, তখন সে সব বিষয়ে জবাব দিতে অক্ষম হয়ে পড়বে; আর তাকে সোজা করার ব্যাপারে পীড়াপীড়ি করার বিষয়টি তাকে ভেঙ্গে ফেলার দিকে নিয়ে যাবে, আর তার ভেঙ্গে যাওয়া মানে তাকে তালাক দেওয়া; নবী মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম, যিনি খেয়াল-খুশির অনুসরণ করে কোনো কথা বলেন না, (বরং যা বলেন আল্লাহর পক্ষ থেকেই বলেন) তিনি বলেন,
« استوصوا بالنساء فإن المرأة خلقت من ضلع وإن أعوج شيء في الضلع أعلاه , فإن ذهبت تقيمه كسرته , وإن تركته لم يزل أعوج فاستوصوا بالنساء » . ( رواه البخاري و مسلم ) .
“তোমরা নারীদের ব্যাপারে উত্তম উপদেশ গ্রহণ কর। কারণ, নারী জাতিকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে; আর পাঁজরের হাড়গুলোর মধ্যে উপরের হাড়টি অধিক বাঁকা; সুতরাং তুমি যদি তা সোজা করতে যাও, তাহলে তা ভেঙ্গে ফেলবে; আর যদি এমনি ছেড়ে দাও, তাহলে সব সময় তা বাঁকাই থেকে যাবে; কাজেই নারীদের সাথে কল্যাণমূলক কাজ করার উপদেশ গ্রহণ কর।” [বুখারী, আল-জামে‘উস সহীহ (৫১৮৬); মুসলিম, আস-সহীহ (১৪৬৮)] সুতরাং নারীর মধ্যে বক্রতার বিষয়টি মৌলিকভাবেই সৃষ্টিগত; অতএব, আবশ্যক হলো সহজসুলভ আচরণ করা এবং ধৈর্য ধারণ করা।
তাই পুরুষের উপর কর্তব্য হল, তার পরিবারের পক্ষ থেকে যে অসহিষ্ণু আচরণের প্রকাশ ঘটবে, সে ক্ষেত্রে তার সাথে দীর্ঘ বিতর্কে জড়িয়ে না পড়া; আর সে যেন তাদের মধ্যকার বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতির দিকসমূহ থেকে দৃষ্টি এড়িয়ে চলে এবং তার কর্তব্য হল তাদের মধ্যকার ভাল দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করা, আর এর মধ্যে সে অনেক ভালো কিছু পাবে।
অনুরূপ ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
« لاَ يَفْرَكْ مُؤْمِنٌ مُؤْمِنَةً ( أي : لا يبغض و لا يكره ) إِنْ كَرِهَ مِنْهَا خُلُقًا رَضِىَ مِنْهَا آخَرَ » . ( رواه مسلم ) .
“কোন মুমিন পুরুষ কোনো মুমিন নারীকে ঘৃণা ও অপছন্দ করবে না; যদি সে তার কোনো স্বভাবকে অপছন্দ করেও, তাহলে সে তার অপর একটি স্বভাবকে পছন্দ করবে।” [মুসলিম, আস-সহীহ (১৪৬৯);ফায়দা: হাফেয ইবনু হাজার র. যা বলেছেন, তার সারকথা হল: হাদীসের মধ্যে সহানুভূতির মাধ্যমে স্ত্রীকে পুনর্গঠনের ইঙ্গিত রয়েছে; সুতরাং সে তাতে অতিরঞ্জন করবে না, যাতে সংসার ভেঙ্গে যায়; আর সে তাকে একেবারে ছেড়ে দেবে না; যাতে সে তার বক্রতার উপরেই চলতে থাকবে। আর এর বিধিবদ্ধ নিয়ম হল: যখন স্ত্রী তার স্বভাবগত ত্রুটিটি বার বার পুনরাবৃত্তি ঘটাবে, আর তা তাকে সরাসরি অবাধ্যতাকে গ্রহণ করার দিকে অথবা আবশ্যকীয় বিষয় বর্জন করার দিকে নিয়ে যাবে; এমতাবস্থায় সে তাকে বক্রতার উপর ছেড়ে দেবে না। পক্ষান্তরে যখন তার বক্রতাটি কোনো বৈধ কর্মকাণ্ডের বিষয়ে হয়, তখন সে তাকে তার উপর ছেড়ে দেবে। - দেখুন: ফাতহুল বারী, ৯/২৫৪।] আর সে যেন এ ক্ষেত্রে অধিক পরিমাণে ধীর-স্থিরতা অবলম্বন করে; সে যদি তার অপছন্দনীয় কোনো কিছু দেখে, তাহলে এটাই শেষ কথা হিসেবে গ্রহণ না করে, কারণ সে জানে না কোথায় রয়েছে কল্যাণের মাধ্যম ও ভালোর উৎস।
“ ... আর তোমরা তাদের সাথে সৎভাবে জীবন যাপন করবে; তোমরা যদি তাদেরকে অপছন্দ কর, তবে এমন হতে পারে যে, আল্লাহ যাতে প্রভূত কল্যাণ রেখেছেন, তোমরা তাকেই অপছন্দ করছ।” - (সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১৯ )।
আর শান্তি কিভাবে হবে? আর প্রশান্তি ও হৃদ্যতা কোত্থেকে আসবে? যখন পরিবারের কর্তা কঠোর প্রকৃতির, দুর্ব্যবহারকারী ও সংকীর্ণমনা হন; যখন তাকে নির্বুদ্ধিতা পরাভূত করে; আর তাড়াহুড়া, সন্তুষ্টির ক্ষেত্রে ধীরতা ও রাগের ক্ষেত্রে দ্রুততার বিষয়টি তাকে অন্ধ করে তুলে; যখন সে প্রবেশ করে, তখন বেশি বেশি খোটা দেয়; আর যখন বের হয়, তখন সে কুধারণা করে? অথচ এটা জানা কথা যে, উত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জীবন-যাপন এবং সৌভাগ্যের উপায়-উপকরণসমূহ কেবল উদারতা এবং ভিত্তিহীন যাবতীয় ধ্যানধারণা ও সন্দেহ থেকে দূরে থাকার মধ্য দিয়েই অর্জিত হতে পারে। আর আত্মমর্যাদা বা ব্যক্তিত্বের অহংবোধ কখনও কখনও কিছু সংখ্যক মানুষকে কুধারণা পোষণ করার দিকে নিয়ে যায়... তাকে নিয়ে যায় বিভিন্ন কথাবার্তার অপব্যাখ্যা কিংবা বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মধ্যে সন্দেহ তৈরী করতে। আর তখন তা কোনো নির্ভরযোগ্য কারণ ছাড়াই ব্যক্তির জীবনকে বিস্বাদ করে দেয় এবং মনকে অস্থির করে তুলে। আল-কুরআনের ভাষায়:
“আর তাদেরকে উত্যক্ত করবে না সংকটে ফেলার জন্য।” - (সূরা আত-তালাক, আয়াত: ৬)। আর কিভাবে এ কাজটি একজন লোক তার স্ত্রী সম্পর্কে করতে পারে, অথচ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
« خيركم خيركم لأهله وأنا خيركم لأهلي » . ( رواه الترمذي و ابن ماجه ) .
“তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তিই উত্তম, তোমাদের মধ্যে যে তার স্ত্রীর নিকট উত্তম; আর আমি তোমাদের মধ্যে আমার স্ত্রীর নিকট উত্তম।” [হাদিসটি সহীহ; তা বর্ণনা করেছেন তিরমিযী (৩৮৯২); ইবনু মাজাহ (১৯৭৭); ইবনু হিব্বান, আস-সহীহ (১৩১২)]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/516/7
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।