HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন, তিনি আপনাকে ভালোবাসবেন
লেখকঃ সিরাজুল ইসলাম আলী আকবর
২
আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন, তিনি আপনাকে ভালোবাসবেন عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ- قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمّ : إنَّ اللهَ تَعَالَى قَالَ : مَنْ عَادَى لِيْ وَلِيًّا فَقَدْ آذَنْتُهُ بِالْحََرْبِ، وَمَا تَقَرَّبَ إلَيَّ عَبْدِي بِشَيْءٍ أَحَبَّ إِلَيَّ مِمَّا افْتَرَضْتُهُ عَلَيْهِ، وَلَا يَزَالُ عَبْدِي يَتَقَرَّبُ إلَيَّ بِالنَّوَافِلِ حَتّى أُحِبَّهُ، فَإذَا أحْبَبْتُهُ كُنْتُ سَمْعُهُ الّذِيْ يَسْمَعُ بِهِ، وَبَصَرُهُ الّذِي يُبْصِرُ بِهِ، وَيَدَهُ الَّتِيْ يُبْطِشُ بِهَا، وَرِجْلُهُ الَّتِيْ يَمْشِيْ بِهَا، وَلَئِنْ سَأَلَنِيْ لَأُعْطِيَنّهُ، وَلَئِنْ اسْتَعَاذَنِيْ لَأُعِيْذَنَّهُ . ( رَوَاهُ البُخَارِيْ )
আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন : আল্লাহ তাআলা বলেন—যে ব্যক্তি আমার কোনো বন্ধুর সঙ্গে কোনো প্রকার শত্রুতা পোষণ করে, আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দেই। আমার বান্দা যে এবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আমার সান্নিধ্য লাভ করে সে সবের মাঝে তার প্রতি আরোপিত ফরজ কাজই আমার নিকট অধিকতর প্রিয় এবং আমার বান্দা নফল কার্যাবলীর মাধ্যমে অব্যাহত ভাবে আমার নৈকট্য অর্জন করতে থাকে, এক সময় সে আমার ভালোবাসা লাভে সক্ষম হয়। আর যখন আমি তাকে ভালোবাসি তখন আমি হয়ে যাই তার কর্ণ, যার মাধ্যমে সে শ্রবণ করে। এবং হয়ে যাই তার চক্ষু, যার মাধ্যমে সে দর্শন করে, এবং তার হস্ত, যার দ্বারা সে হস্তগত করে, এবং তার চরণ হয়ে যাই যা দিয়ে বিচরণ করে। সে যদি আমার কাছে কিছু চায় আমি তাকে অবশ্যই তা প্রদান করি। যদি আমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করে তবে আমি তাকে অবশ্যই আশ্রয় দান করি। [বোখারি-৬৫০২]
হাদিস বর্ণনাকারী : হাদিসটি বর্ণনাকারী আবু হুরাইরা রা., তিনি ছিলেন হাদিস কণ্ঠস্থকারী সাহাবিদের অন্যতম শীর্ষস্থানীয়। তার ও তার পিতার নাম বিষয়ে বিজ্ঞ উলামা মহলে রয়েছে মতদ্বৈধতা। তবে প্রসিদ্ধ মতানুসারে তার এবং তার পিতার নাম হলো আব্দুর রহমান, ইবনে ছখর, আদ দাওসী। তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন খায়বার যুদ্ধের বছরে, সপ্তম হিজরির প্রারম্ভে। ইমাম জাহাবী বলেন :—
حمل عن النبي صلى الله عليه وسلم علما طيبا كثيرا مباركا فيه، لم يلحق فى كثرته .
রাসূলুল্লাহ সা. হতে তিনি প্রভূত, বরকতময় জ্ঞান বহন করেন। এ ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অতুলনীয়। [আল-ইসাবা] রাসূলুল্লাহ সা.-এর নিরবচ্ছিন্ন সংস্রবের বরকতে পবিত্র হাদিসের বর্ণনায় তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠ রাবী। যে কারণে তার বর্ণিত হাদিসের সংখ্যা পাঁচ হাজার তিন শত চুয়াত্তর (৫,৩৭৪)-এ পৌঁছেছে। ইমাম বোখারি রহ. আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণনা করেন যে—তিনি বলেছেন :—
إنكم تقولون : إن أبا هريرة يكثر الحديث عن رسول الله صلى الله عليه وسلم، وتقولون : ما بال المهاجرين والأنصار لا يحدثون عن رسول الله- صلى الله عليه وسلم- بمثل حديث أبي هريرة ؟ وإن إخوتي من المهاجرين كان يشغلهم الصفق بالأسواق، وكنت ألزم رسول الله صلى الله عليه وسلم على ملء بطني، فأشهد إذا غابوا، وأحفظ إذا نسوا، وكان يشغل إخوتي من الأنصار عمل أموالهم، وكنت امرأ مسكينا من مساكين الصفة، أعي حين ينسون .
‘তোমরা পরস্পর বলাবলি কর যে, আবু হুরাইরা রাসূল সা. হতে অসংখ্য হাদিস বর্ণনা করেন এবং তোমাদের পারস্পরিক মন্তব্য হচ্ছে যে, মুহাজির ও আনসারগণ আবু হুরাইরার মত হাদিস বর্ণনায় অংশ নেন না কেন ? আমার মুহাজির ভাইরা বাজারে ব্যবসায় নিয়োজিত থাকত। আর আমি উদরপূর্তির চিন্তা বাদ দিয়ে রাসূলের সঙ্গ যাপনেই বেশি গুরুত্ব প্রদান করতাম। যখন তারা চলে যেত, তখন আমি উপস্থিত থাকতাম, আর তারা বিস্মৃত হলে আমি ব্যাপৃত হতাম কণ্ঠস্থ করণে। আমার আনসার ভাইদের ব্যস্ত রাখত সহায়-সম্পত্তির ব্যস্ততা। আমি ছিলাম সুফ্ফার অসহায় কপর্দকশূন্য একজন। তারা বিস্মৃত হলে আমি মনে রাখতাম।’ [আল-ইসাবা]
একদিন রাসূল স. হাদিস বর্ণনা করতে গিয়ে বললেন :—
إنه لن يبسط أحد ثوبه حتى أقضي جميع مقالتي هذه ثم يجمع إليه ثوبه إلا وعى ما أقول . فبسطت نمرة علي ّ، حتى إذا قضى رسول الله صلى الله عليه وسلم مقالته جمعتها إلى صدري، فما نسيت من مقالة رسول الله صلى الله عليه وسلم تلك من شيء .
‘আমি যতক্ষণ না আমার যাবতীয় কথা শেষ করছি ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ যদি তার কাপড় বিছিয়ে রেখে দেয় এবং কথা শেষ হলে তা নিজের দিকে টেনে এনে জড়িয়ে ধরে, তাহলে আমার উপস্থাপিত সব কথাই তার মনে থাকবে।’—তৎক্ষণাৎ আমি আমার সাদা-কালো দাগযুক্ত পশমি চাদর পেতে দিলাম এবং যখন তিনি যাবতীয় কথা বলে শেষ করলেন, তখনি আমি আমার পাতা চাদরটি টেনে নিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরলাম। তাই, রাসূলের বলা সেই কথাগুলোর কিছুই আমি ভুলিনি। [বোখারি : ১৯০৬]
সাতান্ন হিজরিতে তিনি পরলোক গমন করেন।
আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন : আল্লাহ তাআলা বলেন—যে ব্যক্তি আমার কোনো বন্ধুর সঙ্গে কোনো প্রকার শত্রুতা পোষণ করে, আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দেই। আমার বান্দা যে এবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আমার সান্নিধ্য লাভ করে সে সবের মাঝে তার প্রতি আরোপিত ফরজ কাজই আমার নিকট অধিকতর প্রিয় এবং আমার বান্দা নফল কার্যাবলীর মাধ্যমে অব্যাহত ভাবে আমার নৈকট্য অর্জন করতে থাকে, এক সময় সে আমার ভালোবাসা লাভে সক্ষম হয়। আর যখন আমি তাকে ভালোবাসি তখন আমি হয়ে যাই তার কর্ণ, যার মাধ্যমে সে শ্রবণ করে। এবং হয়ে যাই তার চক্ষু, যার মাধ্যমে সে দর্শন করে, এবং তার হস্ত, যার দ্বারা সে হস্তগত করে, এবং তার চরণ হয়ে যাই যা দিয়ে বিচরণ করে। সে যদি আমার কাছে কিছু চায় আমি তাকে অবশ্যই তা প্রদান করি। যদি আমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করে তবে আমি তাকে অবশ্যই আশ্রয় দান করি। [বোখারি-৬৫০২]
হাদিস বর্ণনাকারী : হাদিসটি বর্ণনাকারী আবু হুরাইরা রা., তিনি ছিলেন হাদিস কণ্ঠস্থকারী সাহাবিদের অন্যতম শীর্ষস্থানীয়। তার ও তার পিতার নাম বিষয়ে বিজ্ঞ উলামা মহলে রয়েছে মতদ্বৈধতা। তবে প্রসিদ্ধ মতানুসারে তার এবং তার পিতার নাম হলো আব্দুর রহমান, ইবনে ছখর, আদ দাওসী। তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন খায়বার যুদ্ধের বছরে, সপ্তম হিজরির প্রারম্ভে। ইমাম জাহাবী বলেন :—
حمل عن النبي صلى الله عليه وسلم علما طيبا كثيرا مباركا فيه، لم يلحق فى كثرته .
রাসূলুল্লাহ সা. হতে তিনি প্রভূত, বরকতময় জ্ঞান বহন করেন। এ ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অতুলনীয়। [আল-ইসাবা] রাসূলুল্লাহ সা.-এর নিরবচ্ছিন্ন সংস্রবের বরকতে পবিত্র হাদিসের বর্ণনায় তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠ রাবী। যে কারণে তার বর্ণিত হাদিসের সংখ্যা পাঁচ হাজার তিন শত চুয়াত্তর (৫,৩৭৪)-এ পৌঁছেছে। ইমাম বোখারি রহ. আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণনা করেন যে—তিনি বলেছেন :—
إنكم تقولون : إن أبا هريرة يكثر الحديث عن رسول الله صلى الله عليه وسلم، وتقولون : ما بال المهاجرين والأنصار لا يحدثون عن رسول الله- صلى الله عليه وسلم- بمثل حديث أبي هريرة ؟ وإن إخوتي من المهاجرين كان يشغلهم الصفق بالأسواق، وكنت ألزم رسول الله صلى الله عليه وسلم على ملء بطني، فأشهد إذا غابوا، وأحفظ إذا نسوا، وكان يشغل إخوتي من الأنصار عمل أموالهم، وكنت امرأ مسكينا من مساكين الصفة، أعي حين ينسون .
‘তোমরা পরস্পর বলাবলি কর যে, আবু হুরাইরা রাসূল সা. হতে অসংখ্য হাদিস বর্ণনা করেন এবং তোমাদের পারস্পরিক মন্তব্য হচ্ছে যে, মুহাজির ও আনসারগণ আবু হুরাইরার মত হাদিস বর্ণনায় অংশ নেন না কেন ? আমার মুহাজির ভাইরা বাজারে ব্যবসায় নিয়োজিত থাকত। আর আমি উদরপূর্তির চিন্তা বাদ দিয়ে রাসূলের সঙ্গ যাপনেই বেশি গুরুত্ব প্রদান করতাম। যখন তারা চলে যেত, তখন আমি উপস্থিত থাকতাম, আর তারা বিস্মৃত হলে আমি ব্যাপৃত হতাম কণ্ঠস্থ করণে। আমার আনসার ভাইদের ব্যস্ত রাখত সহায়-সম্পত্তির ব্যস্ততা। আমি ছিলাম সুফ্ফার অসহায় কপর্দকশূন্য একজন। তারা বিস্মৃত হলে আমি মনে রাখতাম।’ [আল-ইসাবা]
একদিন রাসূল স. হাদিস বর্ণনা করতে গিয়ে বললেন :—
إنه لن يبسط أحد ثوبه حتى أقضي جميع مقالتي هذه ثم يجمع إليه ثوبه إلا وعى ما أقول . فبسطت نمرة علي ّ، حتى إذا قضى رسول الله صلى الله عليه وسلم مقالته جمعتها إلى صدري، فما نسيت من مقالة رسول الله صلى الله عليه وسلم تلك من شيء .
‘আমি যতক্ষণ না আমার যাবতীয় কথা শেষ করছি ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ যদি তার কাপড় বিছিয়ে রেখে দেয় এবং কথা শেষ হলে তা নিজের দিকে টেনে এনে জড়িয়ে ধরে, তাহলে আমার উপস্থাপিত সব কথাই তার মনে থাকবে।’—তৎক্ষণাৎ আমি আমার সাদা-কালো দাগযুক্ত পশমি চাদর পেতে দিলাম এবং যখন তিনি যাবতীয় কথা বলে শেষ করলেন, তখনি আমি আমার পাতা চাদরটি টেনে নিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরলাম। তাই, রাসূলের বলা সেই কথাগুলোর কিছুই আমি ভুলিনি। [বোখারি : ১৯০৬]
সাতান্ন হিজরিতে তিনি পরলোক গমন করেন।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন