HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন, তিনি আপনাকে ভালোবাসবেন
লেখকঃ সিরাজুল ইসলাম আলী আকবর
৩
শাব্দিক আলোচনা : إنَّ اللهَ تَعَالَى قَالَ হাদিসের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত এ ধরণের বাক্যরূপ প্রমাণ করে হাদিসটি ‘হাদিসে কুদসী’। হাদিসে কুদসী হল :—
هو ما أضيف إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم وأسنده إلى ربه عز وجل .
রাসূল স. যা নিজের সাথে সংশ্লিষ্ট করে বর্ণনা করেন, কিন্তু বরাত দেন আল্লাহ তাআলার কালাম হিসেবে।
مَنْ عَادَى لِيْ وَلِيًّا (যে আমার কোনো ওলি (বন্ধু)-এর সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করল) ভিন্ন বর্ণনায় এসেছে:—
من أهان لي وليّا فقد بارزني بالمحاربة
যে আমার কোনো প্রিয় বান্দাকে অপমাণিত করল সে আমার সঙ্গে লড়াইয়ের ঘোষণা দিল। [যাদুদ দায়িয়াহ : ১৫] ‘ওয়ালিয়্যুন’ শব্দটি ‘মুওয়ালাত’ থেকে উৎপন্ন, যার অর্থ নৈকট্য। ওলি কাকে বলে ?—
الولي : هو القريب من الله بعمل الطاعات والكف عن المعاصي
ওলি তাকেই বলে যে যথার্থ এবাদত বন্দেগি ও সর্বপ্রকার পাপাচার পরিহারে দৃঢ়তার স্বাক্ষর রেখে মহান আল্লাহ পাকের নৈকট্যে উপনীত হতে সক্ষম ও সফল হয়েছে। [প্রাগুক্ত : ১৫]
فَقَدْ آذَنْتُهُ بِالْحََرْبِ অর্থাৎ, যেহেতু আমার নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দাদের সাথে শত্রুতা পোষণ করে সেহেতু আমিও তার সঙ্গে যুদ্ধের ঘোষণা দিলাম।
وَمَا تَقَرَّبَ إلَيَّ عَبْدِي بِشَيْءٍ أَحَبَّ إِلَيَّ مِمَّا افْتَرَضْتُهُ عَلَيْهِ ‘আমার বন্ধুদের সাথে শত্রুতা প্রকারান্তরে আমার সাথে যুদ্ধ ঘোষণারই অনুরূপ’—এ আলোচনার অবতারণার পর আল্লাহ তাআলা তার বন্ধুদের গুণ বর্ণনা করেছেন, যাদের সাথে শত্রুতা নিষিদ্ধ, এবং যাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ আল্লাহর কাম্য। আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারাই, যারা নৈকট্যদানকারী বিষয়কে অবলম্বন করে, বলাবাহুল্য এর শীর্ষে অবস্থান করে শরিয়তের অবশ্য পালনীয় বিধান বা ফরজ সমূহ।
فَإذَا أحْبَبْتُهُ كُنْتُ سَمْعُهُ الّذِيْ يَسْمَعُ بِهِ، وَبَصَرُهُ الّذِي يُبْصِرُ بِهِ، وَيَدَهُ الَّتِيْ يُبْطِشُ بِهَا، وَرِجْلُهُ الَّتِيْ يَمْشِيْ بِهَا
বাক্যাংশের উদ্দেশ্য এই যে, প্রথমত: ফরজ, দ্বিতীয়ত: নফল-ইত্যাদির মাধ্যমে সে নিরত হবে আল্লাহ তাআলার নৈকট্যলাভের অধ্যবসায়, আল্লাহ তাকে আপন করে নিবেন, ঈমানের স্তর হতে তাকে উন্নীত করবেন এহসানের স্তরে। ফলে সে এমনভাবে আল্লাহ পাকের এবাদতে লিপ্ত হবে—যেন সে আল্লাহর দর্শন লাভ করছে, তার হৃদয় পূর্ণ হবে আল্লাহর মারেফাতে, তার মহববত ও মহত্ত্বে। তার আত্মা কম্পিত হবে আল্লাহর ভীতি ও মাহাত্ম্যে। তার হৃদয়কোন্দর বিগলিত হবে তার সংশ্লিষ্টতা ও তার প্রতি প্রবল ব্যগ্রতায়। এক সময় তার মনে হবে, অন্তরদৃষ্টি দ্বারা সে আল্লাহকে দর্শন করছে—তার কথন হবে আল্লাহর কথন, শ্রবণ হবে তারই শ্রবণ, দৃষ্টি হবে তারই দৃষ্টি।
وَلَئِنْ سَأَلَنِيْ لَأُعْطِيَنّهُ، وَلَئِنْ اسْتَعَاذَنِيْ لَأُعِيْذَنَّهُ . অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাকের সে-রূপ নৈকট্যশালী সৌভাগ্যবান বান্দার বিশিষ্ট মর্যাদা রয়েছে তাঁর সমীপে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সে যদি তাঁর সকাশে কিছু চায় তবে তিনি তাকে তা দিয়ে দেন। কোনো বিষয় থেকে আশ্রয় কামনা করলে তিনি তা থেকে তাকে আশ্রয় দেন। তাঁকে ডাকলে তিনি সাড়া দেন। অতএব আল্লাহ পাকের সকাশে তার এহেন সম্মান থাকায় সে الدَّعْوَةِ مُسْتَجَابُ (যার দোয়া কবুল করা হয়) বান্দায় পরিণত হয়।
هو ما أضيف إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم وأسنده إلى ربه عز وجل .
রাসূল স. যা নিজের সাথে সংশ্লিষ্ট করে বর্ণনা করেন, কিন্তু বরাত দেন আল্লাহ তাআলার কালাম হিসেবে।
مَنْ عَادَى لِيْ وَلِيًّا (যে আমার কোনো ওলি (বন্ধু)-এর সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করল) ভিন্ন বর্ণনায় এসেছে:—
من أهان لي وليّا فقد بارزني بالمحاربة
যে আমার কোনো প্রিয় বান্দাকে অপমাণিত করল সে আমার সঙ্গে লড়াইয়ের ঘোষণা দিল। [যাদুদ দায়িয়াহ : ১৫] ‘ওয়ালিয়্যুন’ শব্দটি ‘মুওয়ালাত’ থেকে উৎপন্ন, যার অর্থ নৈকট্য। ওলি কাকে বলে ?—
الولي : هو القريب من الله بعمل الطاعات والكف عن المعاصي
ওলি তাকেই বলে যে যথার্থ এবাদত বন্দেগি ও সর্বপ্রকার পাপাচার পরিহারে দৃঢ়তার স্বাক্ষর রেখে মহান আল্লাহ পাকের নৈকট্যে উপনীত হতে সক্ষম ও সফল হয়েছে। [প্রাগুক্ত : ১৫]
فَقَدْ آذَنْتُهُ بِالْحََرْبِ অর্থাৎ, যেহেতু আমার নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দাদের সাথে শত্রুতা পোষণ করে সেহেতু আমিও তার সঙ্গে যুদ্ধের ঘোষণা দিলাম।
وَمَا تَقَرَّبَ إلَيَّ عَبْدِي بِشَيْءٍ أَحَبَّ إِلَيَّ مِمَّا افْتَرَضْتُهُ عَلَيْهِ ‘আমার বন্ধুদের সাথে শত্রুতা প্রকারান্তরে আমার সাথে যুদ্ধ ঘোষণারই অনুরূপ’—এ আলোচনার অবতারণার পর আল্লাহ তাআলা তার বন্ধুদের গুণ বর্ণনা করেছেন, যাদের সাথে শত্রুতা নিষিদ্ধ, এবং যাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ আল্লাহর কাম্য। আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারাই, যারা নৈকট্যদানকারী বিষয়কে অবলম্বন করে, বলাবাহুল্য এর শীর্ষে অবস্থান করে শরিয়তের অবশ্য পালনীয় বিধান বা ফরজ সমূহ।
فَإذَا أحْبَبْتُهُ كُنْتُ سَمْعُهُ الّذِيْ يَسْمَعُ بِهِ، وَبَصَرُهُ الّذِي يُبْصِرُ بِهِ، وَيَدَهُ الَّتِيْ يُبْطِشُ بِهَا، وَرِجْلُهُ الَّتِيْ يَمْشِيْ بِهَا
বাক্যাংশের উদ্দেশ্য এই যে, প্রথমত: ফরজ, দ্বিতীয়ত: নফল-ইত্যাদির মাধ্যমে সে নিরত হবে আল্লাহ তাআলার নৈকট্যলাভের অধ্যবসায়, আল্লাহ তাকে আপন করে নিবেন, ঈমানের স্তর হতে তাকে উন্নীত করবেন এহসানের স্তরে। ফলে সে এমনভাবে আল্লাহ পাকের এবাদতে লিপ্ত হবে—যেন সে আল্লাহর দর্শন লাভ করছে, তার হৃদয় পূর্ণ হবে আল্লাহর মারেফাতে, তার মহববত ও মহত্ত্বে। তার আত্মা কম্পিত হবে আল্লাহর ভীতি ও মাহাত্ম্যে। তার হৃদয়কোন্দর বিগলিত হবে তার সংশ্লিষ্টতা ও তার প্রতি প্রবল ব্যগ্রতায়। এক সময় তার মনে হবে, অন্তরদৃষ্টি দ্বারা সে আল্লাহকে দর্শন করছে—তার কথন হবে আল্লাহর কথন, শ্রবণ হবে তারই শ্রবণ, দৃষ্টি হবে তারই দৃষ্টি।
وَلَئِنْ سَأَلَنِيْ لَأُعْطِيَنّهُ، وَلَئِنْ اسْتَعَاذَنِيْ لَأُعِيْذَنَّهُ . অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাকের সে-রূপ নৈকট্যশালী সৌভাগ্যবান বান্দার বিশিষ্ট মর্যাদা রয়েছে তাঁর সমীপে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সে যদি তাঁর সকাশে কিছু চায় তবে তিনি তাকে তা দিয়ে দেন। কোনো বিষয় থেকে আশ্রয় কামনা করলে তিনি তা থেকে তাকে আশ্রয় দেন। তাঁকে ডাকলে তিনি সাড়া দেন। অতএব আল্লাহ পাকের সকাশে তার এহেন সম্মান থাকায় সে الدَّعْوَةِ مُسْتَجَابُ (যার দোয়া কবুল করা হয়) বান্দায় পরিণত হয়।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন