HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআনে বর্ণিত আল্লাহর কিছু সৃষ্টি নিদর্শন

লেখকঃ আলী হাসান তৈয়ব

আল্লাহ তা‘আলার কতিপয় নিদর্শন
আল্লাহ তা‘আলার নিদর্শনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, আসমান ও যমীনের সৃষ্টি। সুতরাং যে ব্যক্তি আসমানের দিকে তাকাবে, আসমানের নিপুণ সৃষ্টি, আসমানের অপার সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য এবং এর অনুমেয় উচ্চতা ও বিশালতার প্রতি লক্ষ্য করবে, সে তার মধ্য দিয়ে আল্লাহ তা‘আলার অসীম শক্তি ও ক্ষমতাই দেখতে পাবে। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন:

أَأَنْتُمْ أَشَدُّ خَلْقًا أَمِ السَّمَاءُ بَنَاهَا . رَفَعَ سَمْكَهَا فَسَوَّاهَا

‘তোমাদেরকে সৃষ্টি করা অধিক কঠিন, না আসমান সৃষ্টি? তিনি তা বানিয়েছেন। তিনি তার ছাদকে উচ্চ করেছেন এবং তাকে সুসম্পন্ন করেছেন’। [. সূরা আন-নাযিয়াত, আয়াত : ২৭-২৮।]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন :

وَالسَّمَاءَ بَنَيْنَاهَا بِأَيْدٍ وَإِنَّا لَمُوسِعُونَ

‘আর আমি হাতসমূহ দ্বারা আকাশ নির্মাণ করেছি এবং নিশ্চয় আমি সম্প্রসারণকারী’। [. সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত : ৪৭।]

অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন :

ثُمَّ ارْجِعِ الْبَصَرَكَرَّتَيْنِ يَنْقَلِبْ إِلَيْكَ الْبَصَرُ خَاسِئًا وَهُوَ حَسِيرٌ

‘অতঃপর তুমি দৃষ্টি ফিরাও একের পর এক, সেই দৃষ্টি অবনমিত ও ক্লান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে’। [. সূরা মুলক, আয়াত : ৪।]

আর যে যমীন তথা ভূপৃষ্ঠের দিকে তাকাবে, সে দেখতে পাবে কীভাবে আল্লাহ তা`আলা একে সুগম করেছেন, এর মধ্যে আমাদের জন্য রাস্তা বানিয়েছেন, এর উপরিভাগে দৃঢ় পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, এতে বরকত দিয়েছেন, এতে সমভাবে খাদ্য নিরূপণ করে দিয়েছেন এবং বান্দাদের জন্য এসব আহরণ করা সহজ করে দিয়েছেন।

আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন :

وَجَعَلَ فِيهَا رَوَاسِيَ مِنْ فَوْقِهَا وَبَارَكَ فِيهَا وَقَدَّرَ فِيهَا أَقْوَاتَهَا فِي أَرْبَعَةِ أَيَّامٍ سَوَاءً لِلسَّائِلِينَ

‘আর তার উপরিভাগে তিনি দৃঢ় পর্বতমালা স্থাপন করেছেন এবং তাতে বরকত দিয়েছেন, আর তাতে চারদিনে প্রার্থীদের জন্য সমভাবে খাদ্য নিরূপণ করে দিয়েছেন’। [. সূরা ফুসসিলাত, আয়াত : ১০।]

বান্দারা যাতে রিযক অন্বেষণ করতে পারে তাই আল্লাহ তা‘আলা যমীনকে সমতল বানিয়েছেন। বান্দারা যমীনে চাষাবাদ করে, যমীন থেকে পানি বের করে তা পান করে তৃপ্ত হয়। আল্লাহ তা‘আলা যমীনকে স্থির করেছেন, তাঁর নির্দেশ ছাড়া তা নড়ে না বা কম্পিত হয় না। আল্লাহ তা‘আলা, তাই ইরশাদ করেন :

وَفِي الْأَرْضِ آَيَاتٌ لِلْمُوقِنِينَ

‘সুনিশ্চিত বিশ্বাসীদের জন্য যমীনে অনেক নিদর্শন রয়েছে’। [. সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত : ২০।]

আল্লাহ তা‘আলার আরেক নিদর্শন তাঁর গড়া আসমান-যমীনের অসংখ্য জীব। আসমানে অসংখ্য অগণিত ফেরেশতা রয়েছেন, যার সঠিক সংখ্যা একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা`আলাই জানেন। যমীনে আল্লাহ তা‘আলা যে কত জাতের ও কত প্রজাতির জীব সৃষ্টি করেছেন, তিনি ছাড়া তা কেউ জানে না। আর এগুলোর সংখ্যা যে কত তাও কল্পনার অতীত। এসব জীব আবার নানা প্রজাতির, নানা রঙের এবং নানা ধরনের। এর মধ্যে কিছু আছে যা আমাদের জন্য উপকারী। এর দ্বারা আল্লাহর নিয়ামতের পূর্ণতা উপলব্ধি করা যায়। আবার কিছু আছে মানুষের জন্য ক্ষতিকর, এর দ্বারা মানুষের নিজের জীবনের মূল্য এবং আল্লাহর সৃষ্টির সামনে তার দুর্বলতার অনুভূতি হাসিল হয়। এসব সৃষ্টির প্রত্যেকেই কিন্তু আল্লাহর প্রশংসা ও গুণাগুণ বর্ণনা করে। আল্লাহ জাল্লা শানুহু ইরশাদ করেন :

تُسَبِّحُ لَهُ السَّمَوَاتُ السَّبْعُ وَالْأَرْضُ وَمَنْ فِيهِنَّ وَإِنْ مِنْ شَيْءٍ إِلَّا يُسَبِّحُ بِحَمْدِهِ وَلَكِنْ لَا تَفْقَهُونَ تَسْبِيحَهُمْ إِنَّهُ كَانَ حَلِيمًا غَفُورًا .

‘সাত আসমান ও যমীন এবং এগুলোর মধ্যে যা কিছু আছে সব কিছু তাঁর তাসবীহ পাঠ করে এবং এমন কিছু নেই যা তাঁর প্রসংশায় তাসবীহ পাঠ করে না; কিন্তু তাদের তাসবীহ তোমরা বুঝ না। নিশ্চয় তিনি সহনশীল, ক্ষমাপরায়ণ’। [. সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত : ৪৪।]

পৃথিবীতে আমাদের দেখা না-দেখা এবং জানা –নাজানা যত প্রাণী আছে সকল প্রাণীর রিযকও আল্লাহ তা‘আলা দিয়ে থাকেন। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন :

وَمَا مِنْ دَابَّةٍ فِي الْأَرْضِ إِلَّا عَلَى اللَّهِ رِزْقُهَا وَيَعْلَمُ مُسْتَقَرَّهَا وَمُسْتَوْدَعَهَا كُلٌّ فِي كِتَابٍ مُبِينٍ

‘আর যমীনে বিচরণকারী প্রতিটি প্রাণীর রিযকের দায়িত্ব আল্লাহরই এবং তিনি জানেন তাদের আবাসস্থল ও সমাধিস্থল। সব কিছু আছে স্পষ্ট কিতাবে’। [. সূরা হূদ, আয়াত : ৬।]

আল্লাহ তা‘আলার নিদর্শনের মধ্যে আরও আছে দিন-রাতের সৃষ্টি। রাতকে আল্লাহ রাব্বুল ইয্যত সৃষ্টি করেছেন আমাদের প্রশান্তি লাভের জন্য। আমরা এতে নিদ্রা যাই এবং সারাদিনের ক্লান্তি দূর করি। আর দিনকে সৃষ্টি করেছেন জীবিকা অর্জনের জন্য। এ সময় মানুষ আপন জীবিকা অর্জনে ব্যস্ত থাকে। আল্লাহ তা`আলা ইরশাদ করেন :

فَالِقُ الْإِصْبَاحِ وَجَعَلَ اللَّيْلَ سَكَنًا وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ حُسْبَانًا ذَلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ

‘(তিনি) প্রভাত উদ্ভাসিতকারী। তিনি বানিয়েছেন রাতকে প্রশান্তি এবং সূর্য ও চন্দ্রকে সময় নিরূপক। এটা সর্বজ্ঞ পরাক্রমশালীর নির্ধারণ’। [. সূরা আনআম, আয়াত : ৯৬।]

আমাদের ভেবে দেখা উচিত আল্লাহ তা‘আলা যদি রাতের পর দিন না আনেন, তাহলে আমরা কি জীবিকা সংগ্রহ করতে পারব? যদি এমন হয় তাহলে পৃথিবীর কোনো সরকার, কোনো পরাশক্তি, আমেরিকা বা ইংল্যান্ডের মহাক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট কিংবা জাতি সংঘের মহাসচিবও কি পারবে আমাদের জন্য দিন এনে দিতে? দেখুন আল্লাহ তা`আলা কত সুন্দর করে আমাদের কে সেকথা বুঝিয়ে দিচ্ছেন :

قُلْ أَرَأَيْتُمْ إِنْ جَعَلَ اللَّهُ عَلَيْكُمُ اللَّيْلَ سَرْمَدًا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ مَنْ إِلَهٌ غَيْرُ اللَّهِ يَأْتِيكُمْ بِضِيَاءٍ أَفَلَا تَسْمَعُونَ .

‘বল, ‘তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি আল্লাহ রাতকে তোমাদের উপর কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী করে দেন, তবে তাঁর পরিবর্তে কোনো ইলাহ আছে কি যে তোমাদের আলো এনে দেবে? তবুও কি তোমরা শুনবে না?’। [. সূরা আল-কাসাস, আয়াত : ৭১।]

এই মহাবিশ্ব, এই মহা বিশ্বের সব কিছু একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই সৃষ্টি করেছেন। তার কোনো শরীক বা অংশীদার নেই। তাই একমাত্র তিনিই ইবাদতের উপযুক্ত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন