HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
কুরআনে বর্ণিত আল্লাহর কিছু সৃষ্টি নিদর্শন
লেখকঃ আলী হাসান তৈয়ব
৫
ডারউইনের থিওরি একটি ভ্রান্ত মতবাদবর্তমান যুগে তথাকথিত কিছু শিক্ষিত লোক ডারউইনের বিবর্তনবাদ থিওরিতে বিশ্বাস করে। মানুষ নাকি প্রথমে বানর ছিল। তারপর ক্রমবিবর্তনের ধারায় সেখান থেকে তারা মানুষে রূপান্তরিত হয়েছে। এটি চরম মিথ্যাচার ও বাস্তবতার ওপর মিথ্যার প্রলেপ ছাড়া আর কিছুই নয়। বিবর্তনবাদ এমন একটি মতবাদ, যা আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। মানুষের অভিজ্ঞতা বা পর্যবেক্ষণ কিছুই এ চিন্তার সত্যায়ন করে না। এমন বাতুলতাপূর্ণ চিন্তায় প্রভাবিত হয়ে কেউ ঈমানহারা হবেন না। এ মতবাদকে খণ্ডন করে বিজ্ঞানী ও আলেমগণ অনেক বই লিখেছেন। সেগুলো পড়লেই আমরা বুঝতে পারব বিষয়টি কতটা অসার ও হাস্যকর।
আল্লাহর যেসব নিয়ামতের জন্য আমাদের শুকরিয়া করা উচিত, তার মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য হলো, এসব সৃষ্টিকে আমাদের অনুগত করে দেয়া। তিনি হাজার হাজার মাখলূকাত আমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন এবং সেগুলোকে আমাদের অনুগত বানিয়েছেন। তাই আমাদের অবশ্যই আল্লাহ তা`আলার শুকরিয়া জানানো উচিত।
অতএব আমাদের উচিত আল্লাহ তা`আলাকে ভয় করা। তিনি আমাদের হিদায়েত দিয়েছেন, আমরা যা জানতাম না তা শিখিয়েছেন, আমাদের দুনিয়া-আখিরাতে যা কল্যাণকর তার জ্ঞান ও শিক্ষা আমাদের দিয়েছেন। আর যা আমরা অনুধাবন করতে সক্ষম নই, যাতে আমাদের মঙ্গল নেই, তা আমাদের কাছ থেকে গোপন রেখেছেন। তাই আমাদের উচিত আল্লাহ তা`আলার শুকরিয়া আদায় করা। তাঁর নির্দশ মতো জীবন যাপন করা।
তিনি আমাদের জানিয়েছেন কীভাবে এই বিশ্বজাহান সৃষ্টি হয়েছে। এ জ্ঞান তিনি দিয়েছেন তাঁর নবী-রাসূলদের মাধ্যমে। সুতরাং আসমান-যমীনের সৃষ্টি সংক্রান্ত যে কথাই আমরা শুনি না কেন, যাচাই করে দেখতে হবে তা নবী-রাসূলদের কথার সঙ্গে মেলে কি না। যদি মেলে, তাহলে তা গ্রহণ করা যাবে; যদি না মেলে তাহলে তা প্রত্যাখ্যান করতে হবে। আর যদি এ সম্পর্কে নবী-রাসূলগণের বক্তব্য না জানা যায়, তাহলে যতদিন বিষয়টি সত্য না মিথ্যা তা নিশ্চিত হব, ততদিন এ ব্যাপারে নীরব থাকাই হবে প্রজ্ঞা ও সুবুদ্ধির পরিচায়ক।
আল্লাহ তা`আলা আমাদের জানিয়েছে যে, তিনি আসমান-যমীন ও এতদুভয়ের মাঝখানের সবকিছু ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টির কাজ শুরু করে দুই দিনে তিনি যমীন সৃষ্টি করেছেন, তার ওপর পেরেক স্বরূপ পাহাড়-পর্বত স্থাপন করেছেন। এরপর আর দুই দিনে তাতে খাদ্য সন্নিবেশিত করেছেন। এই হলো চারদিন। অতঃপর তিনি আসমানের দিকে মনোনিবেশ করেন। এটি তখন ছিল ধোঁয়ার মত। তারপর তিনি দুই দিনে সাত আসমান সৃষ্টি করেন। এই মোট ছয় দিনে আল্লাহ তা`আলা আসমান-যমীন সৃষ্টি করেন। আল্লাহ তা`আলা বলেন :
إِنَّ رَبَّكُمُ اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ يُغْشِي اللَّيْلَ النَّهَارَ يَطْلُبُهُ حَثِيثًا وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ وَالنُّجُومَ مُسَخَّرَاتٍ بِأَمْرِهِ أَلَا لَهُ الْخَلْقُ وَالْأَمْرُ تَبَارَكَ اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ .
‘নিশ্চয় তোমাদের রব আসমানসমূহ ও যমীন ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর আরশে উঠেছেন। তিনি রাত দ্বারা দিনকে ঢেকে দেন। প্রত্যেকটি একে অপরকে দ্রুত অনুসরণ করে। আর (সৃষ্টি করেছেন) সূর্য, চাঁদ ও তারকারাজি, যা তাঁর নির্দেশে নিয়োজিত। জেনে রাখ, সৃষ্টি ও নির্দেশ তাঁরই। আল্লাহ মহান, যিনি সকল সৃষ্টির রব’। [. সূরা আ‘রাফ, আয়াত : ৫৪।]
অন্যত্র আল্লাহ তা`আলা বলেন :
إِنَّ رَبَّكُمُ اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ يُدَبِّرُ الْأَمْرَ مَا مِنْ شَفِيعٍ إِلَّا مِنْ بَعْدِ إِذْنِهِ ذَلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ فَاعْبُدُوهُ أَفَلَا تَذَكَّرُونَ .
‘নিশ্চয় তোমাদের রব আল্লাহ। যিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে, তারপর আরশে উঠেছেন। তিনি সব বিষয় পরিচালনা করেন। তাঁর অনুমতি ছাড়া সুপারিশ করার কেউ নেই। তিনিই আল্লাহ, তোমাদের রব। সুতরাং তোমরা তাঁর ইবাদত কর। তারপরও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না?’। [. সূরা ইউনুস, আয়াত : ৩।]
আসমান-যমীনের সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে এ দুয়ের মধ্যস্থিত সবকিছুই আল্লাহ তা`আলা সৃষ্টি করেছেন। যমীন থেকে পানি ও চারণভূমি বের করেছেন এবং তাতে এমনভাবে খাদ্য লুকিয়ে রেখেছেন, যা সব যুগের এবং সব স্থানের উপযোগী। যাতে খাদ্যগুলো প্রত্যেক যুগে নানা রকমের হয়, সব সময় খাদ্য কোথাও না কোথাও থাকে এবং এই খাদ্যের প্রয়োজনে মানুষে মানুষে সম্পর্ক ও যোগাযোগ গড়ে ওঠে। একইভাবে তিনি আসমানে চাঁদ, সূর্য ও তারকারাজি স্থাপন করে তাকে সুসজ্জিত করেছেন। এর দ্বারা মানুষ সমুদ্রে ও স্থলে পথ খুঁজে পায়। আল্লাহ তা`আলা বলেন :
أَلَمْ تَرَوْا كَيْفَ خَلَقَ اللَّهُ سَبْعَ سَمَوَاتٍ طِبَاقًا . وَجَعَلَ الْقَمَرَ فِيهِنَّ نُورًا وَجَعَلَ الشَّمْسَ سِرَاجًا . وَاللَّهُ أَنْبَتَكُمْ مِنَ الْأَرْضِ نَبَاتًا .
‘তোমরা কি লক্ষ্য কর না যে, কীভাবে আল্লাহ স্তরে স্তরে সপ্তাকাশ সৃষ্টি করেছেন? আর এগুলোর মধ্যে চাঁদ সৃষ্টি করেছেন আলো এবং সূর্যকে সৃষ্টি করেছেন প্রদীপরূপে। আর আল্লাহ তোমাদেরকে উদগত করেছেন মাটি থেকে’। [. সূরা নূহ, আয়াত : ১৫-১৭।]
আল্লাহর যেসব নিয়ামতের জন্য আমাদের শুকরিয়া করা উচিত, তার মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য হলো, এসব সৃষ্টিকে আমাদের অনুগত করে দেয়া। তিনি হাজার হাজার মাখলূকাত আমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন এবং সেগুলোকে আমাদের অনুগত বানিয়েছেন। তাই আমাদের অবশ্যই আল্লাহ তা`আলার শুকরিয়া জানানো উচিত।
অতএব আমাদের উচিত আল্লাহ তা`আলাকে ভয় করা। তিনি আমাদের হিদায়েত দিয়েছেন, আমরা যা জানতাম না তা শিখিয়েছেন, আমাদের দুনিয়া-আখিরাতে যা কল্যাণকর তার জ্ঞান ও শিক্ষা আমাদের দিয়েছেন। আর যা আমরা অনুধাবন করতে সক্ষম নই, যাতে আমাদের মঙ্গল নেই, তা আমাদের কাছ থেকে গোপন রেখেছেন। তাই আমাদের উচিত আল্লাহ তা`আলার শুকরিয়া আদায় করা। তাঁর নির্দশ মতো জীবন যাপন করা।
তিনি আমাদের জানিয়েছেন কীভাবে এই বিশ্বজাহান সৃষ্টি হয়েছে। এ জ্ঞান তিনি দিয়েছেন তাঁর নবী-রাসূলদের মাধ্যমে। সুতরাং আসমান-যমীনের সৃষ্টি সংক্রান্ত যে কথাই আমরা শুনি না কেন, যাচাই করে দেখতে হবে তা নবী-রাসূলদের কথার সঙ্গে মেলে কি না। যদি মেলে, তাহলে তা গ্রহণ করা যাবে; যদি না মেলে তাহলে তা প্রত্যাখ্যান করতে হবে। আর যদি এ সম্পর্কে নবী-রাসূলগণের বক্তব্য না জানা যায়, তাহলে যতদিন বিষয়টি সত্য না মিথ্যা তা নিশ্চিত হব, ততদিন এ ব্যাপারে নীরব থাকাই হবে প্রজ্ঞা ও সুবুদ্ধির পরিচায়ক।
আল্লাহ তা`আলা আমাদের জানিয়েছে যে, তিনি আসমান-যমীন ও এতদুভয়ের মাঝখানের সবকিছু ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টির কাজ শুরু করে দুই দিনে তিনি যমীন সৃষ্টি করেছেন, তার ওপর পেরেক স্বরূপ পাহাড়-পর্বত স্থাপন করেছেন। এরপর আর দুই দিনে তাতে খাদ্য সন্নিবেশিত করেছেন। এই হলো চারদিন। অতঃপর তিনি আসমানের দিকে মনোনিবেশ করেন। এটি তখন ছিল ধোঁয়ার মত। তারপর তিনি দুই দিনে সাত আসমান সৃষ্টি করেন। এই মোট ছয় দিনে আল্লাহ তা`আলা আসমান-যমীন সৃষ্টি করেন। আল্লাহ তা`আলা বলেন :
إِنَّ رَبَّكُمُ اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ يُغْشِي اللَّيْلَ النَّهَارَ يَطْلُبُهُ حَثِيثًا وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ وَالنُّجُومَ مُسَخَّرَاتٍ بِأَمْرِهِ أَلَا لَهُ الْخَلْقُ وَالْأَمْرُ تَبَارَكَ اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ .
‘নিশ্চয় তোমাদের রব আসমানসমূহ ও যমীন ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর আরশে উঠেছেন। তিনি রাত দ্বারা দিনকে ঢেকে দেন। প্রত্যেকটি একে অপরকে দ্রুত অনুসরণ করে। আর (সৃষ্টি করেছেন) সূর্য, চাঁদ ও তারকারাজি, যা তাঁর নির্দেশে নিয়োজিত। জেনে রাখ, সৃষ্টি ও নির্দেশ তাঁরই। আল্লাহ মহান, যিনি সকল সৃষ্টির রব’। [. সূরা আ‘রাফ, আয়াত : ৫৪।]
অন্যত্র আল্লাহ তা`আলা বলেন :
إِنَّ رَبَّكُمُ اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ يُدَبِّرُ الْأَمْرَ مَا مِنْ شَفِيعٍ إِلَّا مِنْ بَعْدِ إِذْنِهِ ذَلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ فَاعْبُدُوهُ أَفَلَا تَذَكَّرُونَ .
‘নিশ্চয় তোমাদের রব আল্লাহ। যিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে, তারপর আরশে উঠেছেন। তিনি সব বিষয় পরিচালনা করেন। তাঁর অনুমতি ছাড়া সুপারিশ করার কেউ নেই। তিনিই আল্লাহ, তোমাদের রব। সুতরাং তোমরা তাঁর ইবাদত কর। তারপরও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না?’। [. সূরা ইউনুস, আয়াত : ৩।]
আসমান-যমীনের সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে এ দুয়ের মধ্যস্থিত সবকিছুই আল্লাহ তা`আলা সৃষ্টি করেছেন। যমীন থেকে পানি ও চারণভূমি বের করেছেন এবং তাতে এমনভাবে খাদ্য লুকিয়ে রেখেছেন, যা সব যুগের এবং সব স্থানের উপযোগী। যাতে খাদ্যগুলো প্রত্যেক যুগে নানা রকমের হয়, সব সময় খাদ্য কোথাও না কোথাও থাকে এবং এই খাদ্যের প্রয়োজনে মানুষে মানুষে সম্পর্ক ও যোগাযোগ গড়ে ওঠে। একইভাবে তিনি আসমানে চাঁদ, সূর্য ও তারকারাজি স্থাপন করে তাকে সুসজ্জিত করেছেন। এর দ্বারা মানুষ সমুদ্রে ও স্থলে পথ খুঁজে পায়। আল্লাহ তা`আলা বলেন :
أَلَمْ تَرَوْا كَيْفَ خَلَقَ اللَّهُ سَبْعَ سَمَوَاتٍ طِبَاقًا . وَجَعَلَ الْقَمَرَ فِيهِنَّ نُورًا وَجَعَلَ الشَّمْسَ سِرَاجًا . وَاللَّهُ أَنْبَتَكُمْ مِنَ الْأَرْضِ نَبَاتًا .
‘তোমরা কি লক্ষ্য কর না যে, কীভাবে আল্লাহ স্তরে স্তরে সপ্তাকাশ সৃষ্টি করেছেন? আর এগুলোর মধ্যে চাঁদ সৃষ্টি করেছেন আলো এবং সূর্যকে সৃষ্টি করেছেন প্রদীপরূপে। আর আল্লাহ তোমাদেরকে উদগত করেছেন মাটি থেকে’। [. সূরা নূহ, আয়াত : ১৫-১৭।]
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন