hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

বিপদে ধৈর্যধারণ দশটি উপদেশ

লেখকঃ সানাউল্লাহ বিন নজির আহমদ

৭. মুসিবতের বিনিময়ে উত্তম প্রতিদানের কথা স্মরণ
মোমিনের কর্তব্য বিপদের মুহূর্তে প্রতিদানের কথা স্মরণ করা। এতে মুসিবত সহনীয় হয়। কারণ কষ্টের পরিমাণ অনুযায়ী সওয়াব অর্জিত হয়। সুখের বিনিময়ে সুখ অর্জন করা যায় না- সাধনার ব্রিজ পার হতে হয়। প্রত্যেককেই পরবর্তী ফলের জন্য নগদ শ্রম দিতে হয়। ইহকালের কষ্টের সিঁড়ি পার হয়ে পরকালের স্বাদ আস্বাদান করতে হয়। এরশাদ হচ্ছে :

إن عظم الجزاء مع عظم البلاء . ( الترمذي : ২৩২০)

‘‘কষ্টের পরিমাণ অনুযায়ী প্রতিদান প্রদান করা হয়।’’ [তিরমিযী : ২৩২০]

একদা হজরত আবু বকর রা. ভীত-ত্রস্ত হালতে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেন, হে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআনের এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর কীভাবে অন্তরে স্বস্তি আসে?

لَيْسَ بِأَمَانِيِّكُمْ وَلَا أَمَانِيِّ أَهْلِ الْكِتَابِ مَنْ يَعْمَلْ سُوءًا يُجْزَ بِهِ وَلَا يَجِدْ لَهُ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَلِيًّا وَلَا نَصِيرًا ﴿النساء :১২৩﴾

‘‘না তোমাদের আশায় এবং না কিতাবীদের আশায় (কাজ হবে)। যে মন্দকাজ করবে তাকে তার প্রতিফল দেয়া হবে। আর সে তার জন্য আল্লাহ ছাড়া কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবে না।’’ [নিসা : ১২৩]

রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন :

غفرالله لك يا أبا بكر ! ألست تمرض؟ ألست تنصب؟ ألست تحزن؟ ألست تصيبك اللأواء؟

‘‘হে আবু বকর, আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করুন, তুমি কি অসুস্থ হও না? তুমি কি বিষণ্ণণ হও না? মুসিবত তোমাকে কি পিষ্ট করে না? উত্তর দিলেন, অবশ্যই। বললেন :

فهو ما تجزون به . ( المسند : من حديث أبي بكر : ৬৮)

‘‘এগুলোই তোমাদের অপরাধের কাফফারা-প্রায়শ্চিত্ত।’’ [আল মুসনাদ মিন হাদীসে আবি বকর : ৬৮]

আল্লাহ তাআলা ধৈর্যশীল বিপদগ্রস্তদের জন্য উত্তম প্রতিদান তৈরী করেছেন, বালা-মুসিবতগুলো গুনাহের কাফফারা ও উচ্চ মর্যাদার সোপান বানিয়েছেন। আরো রেখেছেন যথার্থ বিনিময় ও সন্তোষজনক ক্ষতিপূরণ।

জান্নাতের চেয়ে বড় প্রতিদান আর কি হতে পারে! এ জান্নাতেরই ওয়াদা করা হয়েছে ধৈর্য্যশীলদের জন্য। যেমন মৃগী রোগী মহিলার জন্য জান্নাতের ওয়াদা করা হয়েছে- ধৈর্য্যধারণের শর্তে। আতা বিন আবি রাবাহ বর্ণনা করেন, একদা ইবনে আববাস রা. আমাকে বলেন, আমি কি তোমাকে জান্নাতি মহিলা দেখাবো? আমি বললাম অবশ্যই। তিনি বললেন, এই কালো মহিলাটি জান্নাতি। ঘটনাটি এরূপ- একবার সে রসূল সা.-এর নিকট এসে বলে, হে আল্লাহর রসূল আমি মৃগী রোগী, রোগের দরুন ভূপাতিত হয়ে যাই, বিবস্ত্র হয়ে পরি। আমার জন্য দোয়া করুন। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন :

إن شئت صبرت ولك الجنة، وإن شئت دعوت الله أن يعافيك . ( البخاري : ৫২২০ ، ومسلم : ৪৬৭৩)

‘‘ইচ্ছে করলে ধৈর্যধারণ করতে পার, বিনিময়ে জান্নাত পাবে, আর বললে সুস্থ্যতার জন্য দোয়া করে দেই।’’ সে বলল, আমি ধৈর্যধারণ করব। তবে আমি বিবস্ত্র হয়ে যাই, আমার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন, যাতে বিবস্ত্র না হই। অতঃপর তিনি তার জন্য দোয়া করে দেন।’’ [বুখারী : ৫২২০ মুসলিম : ৪৬৭৩]

অনুরূপ জান্নাতের নিশ্চয়তা আছে দৃষ্টিহীন ব্যক্তির জন্য। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন :

إن الله قال : إذا ابتليت عبدي بحبيبتيه فصبر عوضته منهما الجنة . ( البخاري : ৫২২১)

‘‘আল্লাহ তাআলা বলেছেন : আমি যখন আমার বান্দাকে দুটি প্রিয় বস্ত্ত দ্বারা পরীক্ষা করি, আর সে ধৈর্যধারণ করে, বিনিময়ে আমি তাকে জান্নাত দান করি।’’ [বুখারী : ৫২২১]

আরো জান্নাতের ওয়াদা আছে, প্রিয় ব্যক্তির মৃত্যুতে ধৈর্য্যধারণকারীর জন্য। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন :

ما لعبدي المؤمن عندي جزاء إذا قبضت صفيه من أهل الدنيا ثم احتسبه إلا الجنة . ( البخاري : ৫৯৪৪)

‘‘আল্লাহ তাআলা বলেছেন, আমি যখন আমার মুমিন বান্দার অকৃত্রিম ভালোবাসার পাত্রকে দুনিয়া থেকে উঠিয়ে নেই। এবং তাতে সে ধৈর্য্যধারণ করে, ছওয়াবের আশা রাখে, আমার কাছে তার বিনিময় জান্নাত বৈ কি হতে পারে?’’ [বুখারী : ৫৯৪৪] অর্থাৎ নিশ্চিত জান্নাত।

সন্তান হারাদেরও আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতের সুসংবাদ প্রদান করেছেন। কারণ তিনি বান্দার প্রতি দয়ালু, তার শোক-দুঃখ জানেন। যেমন: রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন তিন সন্তান দাফনকারী মহিলাকে। তিনি তাকে বলেন- ‘‘তুমি জাহান্নামের আগুন প্রতিরোধকারী মজবুত ঢাল বেষ্টিত হয়ে গেছ।’’ ঘটনাটি নিম্নরূপ : সে একটি অসুস্থ বাচ্চা সাথে করে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসে, এবং বলে হে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করুন। ইতিপূর্বে আমি তিন জন সন্তান দাফন করেছি। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুনে নির্বাক : دفنت ثلاثة؟ ! ‘‘তিন জন দাফন করেছ!’’ সে বলল- হ্যাঁ। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন :

لقد احتظرت بحظار شديد من النار . ( مسلم : ৪৭৭০)

‘‘তুমি জাহান্নামের আগুন প্রতিরোধকারী মজবুত প্রাচীর ঘেরা সংরক্ষিত দুর্গে প্রবেশ করেছ।’’ [মুসলিম : ৪৭৭০]

অন্য হাদীসে আছে :

أيما مسلمين مضى لهما ثلاثة من أولادهما، لم يبلغوا حنثا كانوا لهما حصنا حصينا من النار .

‘‘সাবালকত্ব পাওয়ার আগে মৃত তিন সন্তান- তাদের মুসলিম পিতা-মাতার জন্য জাহান্নামের আগুন প্রতিরোধকারী মজবুত ঢালে পরিনত হবে।’’

আবুযর রা. বলেন, হে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার দু’জন মারা গেছে। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : واثنان، ‘‘দুজন মারা গেলেও।’’ উস্তাদুল কুররা আবুল মুনজির উবাই রা. বলেন : হে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার একজন মারা গেছে, তিনি বললেন :

وواحد، وذلك في الصدمة الأولى . ( المسند من حديث عبد الله مسعود : ৪৩১৪)

‘‘একজন মারা গেলেও। তবে মুসিবতের শুরুতেই ধৈর্য্যধারণ করতে হবে।’’ [মুসনাদ : ৪৩১৪] মাহমুদ বিন লাবিদ জাবির রা. থেকে বর্ণনা করেন : আমি রসূল সা.-কে বলতে শুনেছি :

من مات له ثلاثة من الولد فاحتسبهم دخل الجنة،

‘‘সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে, যার তিনজন সন্তান মারা যায় এবং সে তাদের পূণ্য জ্ঞান করে।’’

তিনি বলেন : আমরা জিজ্ঞাসা করলাম হে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যার দু’জন মারা যায়? বললেন :

واثنان . ( المسند من حديث جابر بن عبد الله : ১৪২৮৫)

‘‘দু’জন মারা গেলেও।’’ মাহমুদ বলেন : আমি জাবের রা.- কে বললাম, আমার মনে হয় আপনারা যদি একজনের কথা বলতেন, তাহলে তিনি একজনের ব্যাপারেও হাঁ বলতেন। তিনি সায় দিয়ে বলেন : আমিও তাই মনে করি।’’ [মুসনাদে আহমদ : ১৪২৮৫]

শোক সন্তপ্ত পিতা-মাতার জন্য আরেকটি হাদিস। আশা করি এর দ্বারা সান্ত্বনা লাভ হবে, দুঃখ ঘুচে যাবে। এরশাদ হচ্ছে :

إذا مات ولد العبد قال الله لملائكته : قبضتم ولد عبدي؟ فيقولون : نعم، فيقول : قبضتم ثمرة فؤاده؟ فيقولون : نعم، فيقول : ماذا قال عبدي؟ فيقولون : حمدك واسترجع، فيقول الله : ابنوا لعبدي بيتا في الجنة، وسموه بيت الحمد . ( الترمذي : ৯৪২)

‘‘যখন বান্দার কোন সন্তান মারা যায়, আল্লাহ তাআলা ফেরেস্তাদের বলেন : তোমরা আমার বান্দার সন্তান কেড়ে নিয়ে এসেছো? তারা বলে হ্যাঁ। তোমরা আমার বান্দার কলিজার টুকরো ছিনিয়ে এনেছো? তারা বলে হ্যাঁ। অতঃপর জিজ্ঞাসা করেন, আমার বান্দা কি বলেছে? তারা বলে, আপনার প্রসংশা করেছে এবং বলেছে আমরা আল্লাহ তাআলার জন্য এবং তার কাছেই প্রত্যাবর্তন করব। আল্লাহ তাআলা বলেন, আমার বান্দার জন্য একটি ঘর তৈরী কর এবং তার নাম দাও বায়তুল হামদ্ বা প্রশংসার ঘর বলে।’’ [তিরমিযী : ৯৪২]

উপরন্তু ওই অসম্পূর্ণ বাচ্চা, যা সৃষ্টির পূর্ণতা পাওয়ার আগেই মায়ের পেট থেকে ঝড়ে যায়, সেও তার মায়ের জান্নাতে যাওয়ার উসিলা হবে। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন :

والذي نفسي بيده إن السقط ليجر أمه بسرره إلى الجنة، إذا احتسبته . ( ابن ماجه :১৫৯৮)

‘‘ওই সত্তার শপথ, যার হাতে আমার জীবন, অসম্পূর্ণ বাচ্চাও তার মাকে আচঁল ধরে টেনে জান্নাতে নিয়ে যাবে। যদি সে তাকে পূণ্য জ্ঞান করে থাকে।’’ [ইবনে মাজাহ : ১৫৯৮]

বিশুদ্ধ হাদীসে এ ধরনের বিপদাপদকে গুনাহের কাফফার বলা হয়েছে। এরশাদ হচ্ছে :

ما من مسلم يصيبه أذى، شوكة فما فوقها إلا كفر الله بها سيئاته، كما تحط الشجرة ورقها . ( البخاري : ৫২১৫ ، ومسلم : ৪৬৬৩)

‘‘যে কোন মুসলমান কাঁটা বা তারচে’ সামান্য বস্ত্তর দ্বারা কষ্ট পায়, আল্লাহ তার বিনিময়ে প্রচুর গুনাহ ঝড়ান- যেমন বৃক্ষ বিশেষ মৌসুমে স্বীয় পত্র-পল্লব ঝড়িয়ে থাকে।’’ [বুখারী : ৫২১৫ মুসলিম : ৪৬৬৩]

আরেকটি বিশুদ্ধ হাদিসে এসেছে :

ما يصيب المسلم من نصب، ولا وصب، ولا هم، ولاحزن، ولا أذى، ولاغم , حتى الشوكة يشاكها إلا كفر الله بها من خطاياه . ( البخاري : ৫২১০)

‘‘মুসলমানদের কষ্ট-ক্লেশ, চিন্তা-হতাশা আর দুঃখ-বিষাদ দ্বারা আল্লাহ গুনাহ মাফ করেন। এমনকি শরীরে যে কাঁটা বিঁধে তার বিনিময়েও আল্লাহ গুনাহ মাফ করেন।’’ [বুখারী : ৫২১০]

আরো এরশাদ হচ্ছে :

ما يزال البلاء بالمؤمن والمؤمنة في نفسه وولده وماله، حتى يلقى الله وما عليه خطيئة . ( الترمذي : ২৩২৩)

‘‘মুমিন নর-নারীরা নিজের, সন্তানের বা সম্পদের মাধ্যমে সর্বদা বিপদগ্রস্ত থাকে। যতক্ষণ না সে আল্লাহর সাথে নিষ্পাপ সাক্ষাৎ করে।’’ [তিরমিযী : ২৩২৩]

মুসিবত মর্যাদার সোপান। কারণ ধৈর্য্যের মাধ্যমে অতটুকু সফলতা অর্জন করা যায়। যা আমল বা কাজের দ্বারা করা যায় না। মুসনাদে ইমাম আমহদে বর্ণিত আছে :

إذا سبقت للعبد من الله منزلة لم يبلغها بعمله ابتلاه الله في جسده أو في ماله أو في ولده، ثم صبره، حتى يبلغه المنزلة التي سبقت له منه . ( مسند : ২২৩৩৮)

‘‘আল্লাহ তাআলা যখন কোন বান্দার মর্যাদার স্থান পূর্বে নির্ধারণ করে দেন, আর সে আমল দ্বারা ওই স্থান লাভে ব্যর্থ হয়, তখন আল্লাহ তার শরীর, সম্পদ বা সন্তানের ওপর মুসিবত দেন এবং ধৈর্যের তওফিক দেন। এর দ্বারা সে নির্ধারিত মর্যাদার উপযুক্ত হয়ে।’’ [মুসনাদ : ২২৩৩৮]

একদা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবাদের জিজ্ঞাসা করেন :

ما تعدون الرقوب فيكم؟

‘‘তোমরা কাকে নিঃসন্তান মনে কর? তারা বলল : যার কোন সন্তান হয় না। তিনি বললেন :

ليس ذاك بالرقوب، ولكنه الرجل الذي لم يقدم من ولده شيئا . ( مسلم : ৪৭২২)

‘‘সে নয়। বরং সে, যার মৃত্যুর পূর্বে তার কোন সন্তানের মৃত্যু হল না।’’ [মুসলিম : ৪৭২২] অর্থাৎ পার্থিব জগতে সন্তানাদি আমাদের বার্ধক্যের সম্বল। যার সন্তান নেই সে যেন নিঃসন্তান। তদ্রুপ পর জগতের সম্বল মৃত সন্তান। যার সন্তান মারা যায়নি সে প্রকৃত- পরজগতের- নিঃসন্তান। এতে আমরা সন্তানহারা পিতা-মাতার প্রতিদান অনুমান করতে পারি। সন্তান বিয়োগের মুসিবত কল্যাণকর, এর বিনিময়ে অর্জিত হয় জান্নাত।

মুসিবতের পশ্চাতে আছে কল্যাণ, উত্তম বিনিময়। যার কোন প্রিয় বস্ত্ত হারায়, সে এর পরিবর্তে অধিক প্রিয় বস্ত্ত প্রাপ্ত হয়। অনেক সময় এক সন্তান মারা গেলে, তারচে’ ভাল দ্বিতীয় সন্তান প্রদান করা হয়। দুঃখের আড়ালে সুখ বিদ্যমান। উম্মে ছালামা বর্ণনা করেন, আমি রসূল সা.কে বলতে শুনেছি :

ما من مسلم تصيبه مصيبة فيقول ما أمره الله : إنا لله وإنا إليه راجعون، اللهم أجرني في مصيبتي، وأخلف لي خيرا منها، إلا أخلف الله له خيرا منها . ( مسلم : ১৫২৫)

‘‘যে কোন মুসলমান মুসিবত আক্রান্ত হয় এবং বলে- আমরা আল্লাহর জন্য এবং তার কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, তুমি আমার এ মুসিবতের প্রতিদান দাও এবং এর চে’ উত্তম জিনিস দান কর। আল্লাহ তাকে উত্তম জিনিস দান করেন।’’ তিনি বলেন : যখন আবু ছালামা মারা যায়, আমি ভাবলাম মুসলমানের ভেতর কে আছে যে, আবু ছালামা থেকে উত্তম? সর্বপ্রথম তার পরিবার রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট হিজরত করে আসে। তবুও বলার জন্য বললাম, আল্লাহ তাআলা আমাকে আবু সালামার পরিবর্তে রসূল সা.-কে প্রদান করেন। যিনি আবু সালামা থেকে উত্তম। [মুসলিম : ১৫২৫]

কতক সন্তানের মৃত্যুতে পিতা-মাতার নানাবিধ কল্যাণ নিহিত থাকে। হতে পারে তাকদির অনুযায়ী এ ছেলেটি বেঁচে থাকলে পিতা-মাতার কষ্টের কারণ হত। যেমন খিজির আলাইহিস সালাম এর ঘটনায় বর্ণিত বাচ্চার অবস্থা। অনেক সময় পিতা-মাতার ধৈর্যধারণ, মৃত সন্তানকে পূণ্য জ্ঞান করণ উত্তম প্রতিদানের কারণ হয়। যেমন উম্মে ছালামার ঘটনা। কখনো আগন্তুক শুভানুধ্যায়ীদের দোয়া লাভ হয়। যেমন তারা বলেন, ‘‘হে আল্লাহ! তুমি তাদের উত্তম বিনিময় দান কর। তাদের ক্ষতস্থান পূর্ণ কর। তার পরিবর্তে উত্তম বস্ত্ত দান কর।’’ যার ফলে তার জীবিত অন্যান্য ভাইরা সংশোধন ও অধিক তওফিক প্রাপ্ত হয়। পিতা-মাতা অধিক আনুগত্যশীল সুসন্তান প্রাপ্ত হয় ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন