HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
শরঈ পর্দা বলতে কী বুঝায়
লেখকঃ আলী হাসান তৈয়ব
২
শরঈ পর্দা বলতে কী বুঝায়?ইতোপূর্বে আমি বিভিন্ন লেখায় পর্দার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছি। আলহামদুলিল্লাহ পর্দাকে অত্যাবশ্যক জ্ঞানে আমাদের কন্যা-জায়া-জননীরা পর্দা করেনও বটে। এখন ভাবনার বিষয় হলো, অধিকাংশ মা-বোন যে পর্দা রক্ষা করেন কিংবা যে পোশাকে নিজেকে পর্দাশীল ভাবেন তা কি শরীয়তের কাম্য পদ্ধতিতেই হয়? তারা যে পর্দা করেন তার কতটা শরীয়তের রূপরেখা মেনে করা হয়? বক্ষমাণ নিবন্ধে আমরা সে বিষয়টিই আলোচনার বিনীত প্রয়াস পাব ইনশাআল্লাহ।
প্রিয় মুসলিম বোন, এ সংক্ষিপ্ত আলোচনায় আমরা আপনার জন্য সে বিষয়টিই তুলে ধরতে চেয়েছি যা আপনাকে কল্যাণের পথ দেখাবে। যা হবে আপনার জীবন চলার পথে এক অতি দরকারি আলোকবর্তিকা। সে বোনদের জন্য যারা কি-না শরঈ পর্দা রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। যারা আল্লাহর হুকুম বা বিধানকে আল্লাহরই নির্দেশিত উপায়ে পালনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সবার আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলি, যারা গতানুগতিক পর্দা করেন, যা মূলত রব কর্তৃক নির্ধারিত একটি ফরযের অপভ্রংশ বা বিকৃতির নামান্তর তাদেরও বিনীতভাবে বলব, কুরআন ও সুন্নাহর আলোক বিধৌত আলোচনা পড়ে আপনিও খানিক নিজেকে মূল্যায়ন করুন। নিজের পর্দা ও পোশাক নিয়ে একটু পর্যালোচনা কিংবা আত্মসমালোচনা করুন। আখেরে তা আপনারই মঙ্গল বয়ে আনবে। যেমন ইহকালে তেমনি পরকালে।
হে ইসলামের কন্যারা, যেনতেনভাবে আসলে পর্দা হয় না। বিস্ময়কর শোনালেও সত্য, হিজাব পরেও আপনি বেপর্দা নারীদের মধ্যে শামিল হতে পারেন :
একেবারে সরু তথা আঁটশাট পোশাক পরে।
প্যান্টের সঙ্গে বুটিকের কাজ করা আকর্ষণীয় স্কার্ফ মাথায় জড়িয়ে।
ডিজাইন করা লেহেঙ্গার সঙ্গে পাতলা ফিনফিনে স্কার্ফ মাথায় জড়িয়ে।
আপনার উন্মুক্ত বাহুদ্বয় এবং অনাবৃত পদযুগলের কারণে।
আপনার অলংকার শোভিত নিমন্ত্রণমূলক পদবিক্ষেপের পরিণামে।
মোহনীয় দৃষ্টি, সুরেলা কণ্ঠ এবং কাঁচভাঙ্গা হাসি দিয়ে।
আপনার সুরভিত ঘ্রাণ, সুউচ্চ হিল এবং অনুরণিত শব্দ দিয়ে।
চেহারায় সৌন্দর্য ও মনোমুগ্ধকর বর্ণের সুদীপ্ত আভা ছড়িয়ে।
কারণ, হিজাব কোনো প্রতীক নয়। ফ্যাশনের উপকরণ কিংবা সৌন্দর্য বর্ধনের সামগ্রীও নয়। এ এক অবশ্য পালনীয় বিধান। আল্লাহ এ হিজাব ফরয করেছেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মতের প্রতিটি প্রাপ্ত বয়স্ক নারীর ওপর। এর প্রবর্তক আমরা কেউ নই; খোদ পুরুষ-নারীর স্রষ্টা মাবুদ আল্লাহ। অতএব এ বিষয়ে আমরা ভিন্ন মত দিতে পারি না। পারি না নতুন কিছু আবিষ্কার করতে। পারি না এর কোনো বিকল্প উদ্ভাবন করতে। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন,
﴿ وَمَا كَانَ لِمُؤۡمِنٖ وَلَا مُؤۡمِنَةٍ إِذَا قَضَى ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥٓ أَمۡرًا أَن يَكُونَ لَهُمُ ٱلۡخِيَرَةُ مِنۡ أَمۡرِهِمۡۗ وَمَن يَعۡصِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ فَقَدۡ ضَلَّ ضَلَٰلٗا مُّبِينٗا ٣٦ ﴾ [ الاحزاب : ٣٦ ]
‘আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোনো নির্দেশ দিলে কোনো মুমিন পুরুষ ও নারীর জন্য নিজদের ব্যাপারে অন্য কিছু এখতিয়ার করার অধিকার থাকে না; আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করল সে স্পষ্টই পথভ্রষ্ট হবে’। {সূরা আল-আহযাব, আয়াত : ৩৬}
সত্যি বলতে হিজাব বা পর্দা ফরয হওয়া সম্পর্কে এত বেশি আয়াত ও হাদীস উল্লেখিত হয়েছে এবং এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা ও রূপরেখা সম্পর্কে এত বাণী ও বক্তব্য বিদ্যমান যে এ নিয়ে নতুন করে কিছু ভাবা ও প্রচারের যৌক্তিকতা নেই।
প্রিয় মুসলিম বোন, এ সংক্ষিপ্ত আলোচনায় আমরা আপনার জন্য সে বিষয়টিই তুলে ধরতে চেয়েছি যা আপনাকে কল্যাণের পথ দেখাবে। যা হবে আপনার জীবন চলার পথে এক অতি দরকারি আলোকবর্তিকা। সে বোনদের জন্য যারা কি-না শরঈ পর্দা রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। যারা আল্লাহর হুকুম বা বিধানকে আল্লাহরই নির্দেশিত উপায়ে পালনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সবার আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলি, যারা গতানুগতিক পর্দা করেন, যা মূলত রব কর্তৃক নির্ধারিত একটি ফরযের অপভ্রংশ বা বিকৃতির নামান্তর তাদেরও বিনীতভাবে বলব, কুরআন ও সুন্নাহর আলোক বিধৌত আলোচনা পড়ে আপনিও খানিক নিজেকে মূল্যায়ন করুন। নিজের পর্দা ও পোশাক নিয়ে একটু পর্যালোচনা কিংবা আত্মসমালোচনা করুন। আখেরে তা আপনারই মঙ্গল বয়ে আনবে। যেমন ইহকালে তেমনি পরকালে।
হে ইসলামের কন্যারা, যেনতেনভাবে আসলে পর্দা হয় না। বিস্ময়কর শোনালেও সত্য, হিজাব পরেও আপনি বেপর্দা নারীদের মধ্যে শামিল হতে পারেন :
একেবারে সরু তথা আঁটশাট পোশাক পরে।
প্যান্টের সঙ্গে বুটিকের কাজ করা আকর্ষণীয় স্কার্ফ মাথায় জড়িয়ে।
ডিজাইন করা লেহেঙ্গার সঙ্গে পাতলা ফিনফিনে স্কার্ফ মাথায় জড়িয়ে।
আপনার উন্মুক্ত বাহুদ্বয় এবং অনাবৃত পদযুগলের কারণে।
আপনার অলংকার শোভিত নিমন্ত্রণমূলক পদবিক্ষেপের পরিণামে।
মোহনীয় দৃষ্টি, সুরেলা কণ্ঠ এবং কাঁচভাঙ্গা হাসি দিয়ে।
আপনার সুরভিত ঘ্রাণ, সুউচ্চ হিল এবং অনুরণিত শব্দ দিয়ে।
চেহারায় সৌন্দর্য ও মনোমুগ্ধকর বর্ণের সুদীপ্ত আভা ছড়িয়ে।
কারণ, হিজাব কোনো প্রতীক নয়। ফ্যাশনের উপকরণ কিংবা সৌন্দর্য বর্ধনের সামগ্রীও নয়। এ এক অবশ্য পালনীয় বিধান। আল্লাহ এ হিজাব ফরয করেছেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মতের প্রতিটি প্রাপ্ত বয়স্ক নারীর ওপর। এর প্রবর্তক আমরা কেউ নই; খোদ পুরুষ-নারীর স্রষ্টা মাবুদ আল্লাহ। অতএব এ বিষয়ে আমরা ভিন্ন মত দিতে পারি না। পারি না নতুন কিছু আবিষ্কার করতে। পারি না এর কোনো বিকল্প উদ্ভাবন করতে। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন,
﴿ وَمَا كَانَ لِمُؤۡمِنٖ وَلَا مُؤۡمِنَةٍ إِذَا قَضَى ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥٓ أَمۡرًا أَن يَكُونَ لَهُمُ ٱلۡخِيَرَةُ مِنۡ أَمۡرِهِمۡۗ وَمَن يَعۡصِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ فَقَدۡ ضَلَّ ضَلَٰلٗا مُّبِينٗا ٣٦ ﴾ [ الاحزاب : ٣٦ ]
‘আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোনো নির্দেশ দিলে কোনো মুমিন পুরুষ ও নারীর জন্য নিজদের ব্যাপারে অন্য কিছু এখতিয়ার করার অধিকার থাকে না; আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করল সে স্পষ্টই পথভ্রষ্ট হবে’। {সূরা আল-আহযাব, আয়াত : ৩৬}
সত্যি বলতে হিজাব বা পর্দা ফরয হওয়া সম্পর্কে এত বেশি আয়াত ও হাদীস উল্লেখিত হয়েছে এবং এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা ও রূপরেখা সম্পর্কে এত বাণী ও বক্তব্য বিদ্যমান যে এ নিয়ে নতুন করে কিছু ভাবা ও প্রচারের যৌক্তিকতা নেই।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন