HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
কতিপয় প্রশ্ন যা শী‘আ যুবকদের সত্যের দিকে ধাবিত করেছে
লেখকঃ সুলাইমান ইবন সালেহ আল-খারাশি
৪
ভূমিকাসকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি বলেছেন:
﴿وَأَنَّ هَٰذَا صِرَٰطِي مُسۡتَقِيمٗا فَٱتَّبِعُوهُۖ وَلَا تَتَّبِعُواْ ٱلسُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِكُمۡ عَن سَبِيلِهِ﴾ [ الانعام : ١٥٣ ]
“আর এটি তো আমার সোজা পথ। সুতরাং তোমরা তার অনুসরণ কর এবং অন্যান্য পথ অনসরণ করো না, তাহলে তা তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে”। [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১৫৩]
দুরূদ ও সালাম সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর, যিনি বলেছেন:
«إن بني إسرائيل افترقوا على إحدى وسبعين ملة، وتفترق أمتي على ثلاث وسبعين ملة؛ كلها في النار إلا واحدة»، فقيل : يا رسول الله، ما الواحدة؟ قال : «ما أنا عليه اليوم وأصحابي» .
“বনি ইসরাইলরা একাত্তুর দলে বিভক্ত হয়েছে, আর আমার উম্মত হবে তিয়াত্তুর দলে বিভক্ত, সব ক’টি দল জাহান্নামী একটি ব্যতীত”, জিজ্ঞাসা করা হলো: হে আল্লাহর রাসূল, একটি কোনটি? তিনি বললেন: “আজকে আমি ও আমার সাহাবীগণ যে দলে আছি সেটিই”। [সহীহ তিরমিযী, লিল আলবানী, হাদীস নং ২১২৯। এ হাদীসের অর্থ ও সনদ জানার জন্য আরো দেখুন সালিম হিলালির রচনা “দারউল ইরতিয়াব আন হাদীসে মা-আনা আলাইহি ওয়াল আসহাব”]
অতঃপর,
আল্লাহ তা‘আলা (তাঁর সর্বব্যাপী পার্থিব ইচ্ছা ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী) চেয়েছেন যে, মুসলিমগণ বিভিন্ন দল-উপদল এবং গ্রুপ ও মাযহাবে বিভক্ত হবে। ইখতিলাফ ও মতবিরোধের সময় কুরআন ও সুন্নাহ’র দিকে প্রত্যাবর্তন করার আল্লাহর নির্দেশ উপেক্ষা করে তারা একে অপরের সাথে শত্রুতা করবে, ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবে একে অপরের বিরুদ্ধে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ أَطِيعُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُواْ ٱلرَّسُولَ وَأُوْلِي ٱلۡأَمۡرِ مِنكُمۡۖ فَإِن تَنَٰزَعۡتُمۡ فِي شَيۡءٖ فَرُدُّوهُ إِلَى ٱللَّهِ وَٱلرَّسُولِ إِن كُنتُمۡ تُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِۚ ذَٰلِكَ خَيۡرٞ وَأَحۡسَنُ تَأۡوِيلًا ٥٩﴾ [ النساء : ٥٩ ]
“অতঃপর কোনো বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যাবর্তন করাও, যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৫৯]
তাই মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেক হিতাকাঙক্ষী, তার ঐক্য, একতা ও সংঘবদ্ধতা প্রত্যাশী প্রত্যেকের দায়িত্ব হলো সত্য, ইনসাফ ও ন্যায়ের ওপর মুসলিম জাতির ঐক্যবদ্ধতা সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে যথাসাধ্য চেষ্টা করা এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে তার যে আকীদা, শরী‘আত ও আদর্শ ছিল তার ওপরই তাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করা। যার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ তা‘আলা:
﴿وَٱعۡتَصِمُواْ بِحَبۡلِ ٱللَّهِ جَمِيعٗا وَلَا تَفَرَّقُواْۚ﴾ [ ال عمران : ١٠٣ ]
“আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে ধারণ কর এবং বিভক্ত হয়ো না”। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১০৩]
এ গুরু-দায়িত্বের প্রধান কাজ হলো, বিচ্যুত বিভিন্ন দল-উপদলের লোকদেরকে কুরআন ও সুন্নাহ’র দিকে আহ্বান করা, তাদের ভ্রান্তি ও সীমালঙ্ঘন স্পষ্ট করা, যা তাদের হিদায়াতের পথে বড় বাঁধা এবং মুসলিম জামা‘আতকে আঁকড়ে ধরার জন্য অনুপ্রাণিত করা।
আর এ ভাবনা থেকেই বারো ইমামী শী‘আদের প্রতি বিভিন্ন প্রশ্ন এবং অকাট্য যুক্তির অবতারণা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, হয়তো আমার এ সংকলন তাদের যুবকদের চিন্তা ও বিবেচনার জগতকে আন্দোলিত করবে, তাদের মধ্যে যারা বিবেকবান তাদেরকে সত্যের দিকে ধাবিত করবে। কারণ, তারা যখন এসব দ্বৈতনীতি, বৈপরিত্ব ও প্রশ্নের ব্যাপারে চিন্তা করবে, তখন তাদের কুরআন ও সুন্নাহ’র দিকে প্রত্যাবর্তন ব্যতীত কোনো পথ থাকবে না, যদি তারা এ থেকে নিষ্কৃতি পেতে চায়, পরিহার করতে চায় এসব স্ববিরোধী বক্তব্য।আমাকে সত্যিকারভাবেই অভিভূত করেছে যে, শী‘আ মতবাদ ত্যাগ করে হক তথা ইসলাম গ্রহণকারী এক ভাই [তিনি হচ্ছেন, সম্মানিত ভাই, আবু খালীফা আল-কুদাইবী, বাহরাইন থেকে। তিনি রিয়াদস্থ তাঁর ঘরে আমাকে সাক্ষাৎকার দিয়ে ধন্য করেছেন।], তার হিদায়াত লাভ করার ঘটনা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে এক কিতাব রচনা করেছেন, যার নামকরণ করেছেন:
«ربحتُ الصحابة .. ولم أخسر آل البيت» !
“আমি সাহাবীদের লাভ করেছি, কিন্তু আহলে বাইতকেও হারাই নি!”
আল্লাহ তাকে দীনের ওপর দৃঢ় রাখুন, সত্যিই সে নামকরণের ব্যাপারে আল্লাহর তাওফীকপ্রাপ্ত হয়েছে। কারণ সত্যিকার মুসলিম আহলে বাইত ও সাহাবীদের মহব্বতের মধ্যে কোনো বিরোধ বা দ্বন্দ্ব দেখে না, আল্লাহ তাদের সকলের ওপর সন্তুষ্ট হোন।
তার কিতাবের এ নামকরণের কারণ সম্পর্কে সে আমাকে স্মরণ করিয়ে দেয় খিষ্টান থেকে ইসলাম গ্রহণকারী সে ভাইয়ের কথা, যিনি একটি কিতাব লেখেছেন অনুরূপ নাম দিয়ে:
«ربحتُ محمداً .. ولم أخسر عيسى» عليهما السلام .
“আমি মুহাম্মাদকে লাভ করেছি, কিন্তু ঈসাকেও হারাই নি” তাদের উভয়ের ওপর সালাম।
জ্ঞাতব্য যে, আমি এসব প্রশ্ন ও দ্বন্দ্বের অধিকাংশই সংগ্রহ করেছি বিভিন্ন ওয়েব সাইট থেকে, বিশেষ করে ( منتدى الدفاع عن السنة ) “মুনতাদা দিফা‘ ‘আনিস-সুন্নাহ”। এর সাথে আরো যোগ করেছি সেসব দ্বন্দ্ব ও দ্বৈতনীতি, যা অবগত হয়েছি আমি বিভিন্ন কিতাব থেকে, যেখানে শী‘আদের নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। অতঃপর সবগুলোকে সাজিয়েছি এবং এক ভলিউমও এক কিতাবে জমা করেছি। আমার কাজ শুধু জমা করা ও সাজানো। আল্লাহর নিকট দোয়া করছি, তিনি যেন এর দ্বারা শী‘আ যুবকদের হিদায়াত দান করেন। এ কিতাব দ্বারা তাদের কল্যাণের দ্বার উম্মুক্ত করেন। সবশেষে তাদের প্রতি আমার আহ্বান ‘সত্যের দিকে ফিরে আসা, ভ্রান্তিতে অটল থাকার চাইতে উত্তম’। তারা যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত আঁকড়ে ধরে, তার ওপর সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ও তাকে সাহায্য করে, তাহলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস অনেক আহলে সুন্নাহ থেকে তাদের প্রতিদান অনেক বেড়ে যাবে, যারা তাদের দীন থেকে বিমুখ, প্রবৃত্তি নিয়ে ব্যস্ত অথবা দীনের ব্যাপারে সন্দেহে নিমজ্জিত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿مَن كَفَرَ فَعَلَيۡهِ كُفۡرُهُۥۖ وَمَنۡ عَمِلَ صَٰلِحٗا فَلِأَنفُسِهِمۡ يَمۡهَدُونَ ٤٤﴾ [ الروم : ٤٤ ]
“যে কুফুরী করে তার কুফুরীর পরিণাম তার ওপরই। আর যারা সৎকর্ম করে তারা তাদের নিজেদের জন্য শয্যা রচনা করে”। [সূরা আর-রূম, আয়াত: ৪৪]
আল্লাহ ভালো জানেন। দুরূদ ও সালাম আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর।
আবু মুস‘আব
Alkarashi1@hotmail.com
﴿وَأَنَّ هَٰذَا صِرَٰطِي مُسۡتَقِيمٗا فَٱتَّبِعُوهُۖ وَلَا تَتَّبِعُواْ ٱلسُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِكُمۡ عَن سَبِيلِهِ﴾ [ الانعام : ١٥٣ ]
“আর এটি তো আমার সোজা পথ। সুতরাং তোমরা তার অনুসরণ কর এবং অন্যান্য পথ অনসরণ করো না, তাহলে তা তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে”। [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১৫৩]
দুরূদ ও সালাম সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর, যিনি বলেছেন:
«إن بني إسرائيل افترقوا على إحدى وسبعين ملة، وتفترق أمتي على ثلاث وسبعين ملة؛ كلها في النار إلا واحدة»، فقيل : يا رسول الله، ما الواحدة؟ قال : «ما أنا عليه اليوم وأصحابي» .
“বনি ইসরাইলরা একাত্তুর দলে বিভক্ত হয়েছে, আর আমার উম্মত হবে তিয়াত্তুর দলে বিভক্ত, সব ক’টি দল জাহান্নামী একটি ব্যতীত”, জিজ্ঞাসা করা হলো: হে আল্লাহর রাসূল, একটি কোনটি? তিনি বললেন: “আজকে আমি ও আমার সাহাবীগণ যে দলে আছি সেটিই”। [সহীহ তিরমিযী, লিল আলবানী, হাদীস নং ২১২৯। এ হাদীসের অর্থ ও সনদ জানার জন্য আরো দেখুন সালিম হিলালির রচনা “দারউল ইরতিয়াব আন হাদীসে মা-আনা আলাইহি ওয়াল আসহাব”]
অতঃপর,
আল্লাহ তা‘আলা (তাঁর সর্বব্যাপী পার্থিব ইচ্ছা ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী) চেয়েছেন যে, মুসলিমগণ বিভিন্ন দল-উপদল এবং গ্রুপ ও মাযহাবে বিভক্ত হবে। ইখতিলাফ ও মতবিরোধের সময় কুরআন ও সুন্নাহ’র দিকে প্রত্যাবর্তন করার আল্লাহর নির্দেশ উপেক্ষা করে তারা একে অপরের সাথে শত্রুতা করবে, ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবে একে অপরের বিরুদ্ধে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ أَطِيعُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُواْ ٱلرَّسُولَ وَأُوْلِي ٱلۡأَمۡرِ مِنكُمۡۖ فَإِن تَنَٰزَعۡتُمۡ فِي شَيۡءٖ فَرُدُّوهُ إِلَى ٱللَّهِ وَٱلرَّسُولِ إِن كُنتُمۡ تُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِۚ ذَٰلِكَ خَيۡرٞ وَأَحۡسَنُ تَأۡوِيلًا ٥٩﴾ [ النساء : ٥٩ ]
“অতঃপর কোনো বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যাবর্তন করাও, যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৫৯]
তাই মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেক হিতাকাঙক্ষী, তার ঐক্য, একতা ও সংঘবদ্ধতা প্রত্যাশী প্রত্যেকের দায়িত্ব হলো সত্য, ইনসাফ ও ন্যায়ের ওপর মুসলিম জাতির ঐক্যবদ্ধতা সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে যথাসাধ্য চেষ্টা করা এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে তার যে আকীদা, শরী‘আত ও আদর্শ ছিল তার ওপরই তাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করা। যার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ তা‘আলা:
﴿وَٱعۡتَصِمُواْ بِحَبۡلِ ٱللَّهِ جَمِيعٗا وَلَا تَفَرَّقُواْۚ﴾ [ ال عمران : ١٠٣ ]
“আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে ধারণ কর এবং বিভক্ত হয়ো না”। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১০৩]
এ গুরু-দায়িত্বের প্রধান কাজ হলো, বিচ্যুত বিভিন্ন দল-উপদলের লোকদেরকে কুরআন ও সুন্নাহ’র দিকে আহ্বান করা, তাদের ভ্রান্তি ও সীমালঙ্ঘন স্পষ্ট করা, যা তাদের হিদায়াতের পথে বড় বাঁধা এবং মুসলিম জামা‘আতকে আঁকড়ে ধরার জন্য অনুপ্রাণিত করা।
আর এ ভাবনা থেকেই বারো ইমামী শী‘আদের প্রতি বিভিন্ন প্রশ্ন এবং অকাট্য যুক্তির অবতারণা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, হয়তো আমার এ সংকলন তাদের যুবকদের চিন্তা ও বিবেচনার জগতকে আন্দোলিত করবে, তাদের মধ্যে যারা বিবেকবান তাদেরকে সত্যের দিকে ধাবিত করবে। কারণ, তারা যখন এসব দ্বৈতনীতি, বৈপরিত্ব ও প্রশ্নের ব্যাপারে চিন্তা করবে, তখন তাদের কুরআন ও সুন্নাহ’র দিকে প্রত্যাবর্তন ব্যতীত কোনো পথ থাকবে না, যদি তারা এ থেকে নিষ্কৃতি পেতে চায়, পরিহার করতে চায় এসব স্ববিরোধী বক্তব্য।আমাকে সত্যিকারভাবেই অভিভূত করেছে যে, শী‘আ মতবাদ ত্যাগ করে হক তথা ইসলাম গ্রহণকারী এক ভাই [তিনি হচ্ছেন, সম্মানিত ভাই, আবু খালীফা আল-কুদাইবী, বাহরাইন থেকে। তিনি রিয়াদস্থ তাঁর ঘরে আমাকে সাক্ষাৎকার দিয়ে ধন্য করেছেন।], তার হিদায়াত লাভ করার ঘটনা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে এক কিতাব রচনা করেছেন, যার নামকরণ করেছেন:
«ربحتُ الصحابة .. ولم أخسر آل البيت» !
“আমি সাহাবীদের লাভ করেছি, কিন্তু আহলে বাইতকেও হারাই নি!”
আল্লাহ তাকে দীনের ওপর দৃঢ় রাখুন, সত্যিই সে নামকরণের ব্যাপারে আল্লাহর তাওফীকপ্রাপ্ত হয়েছে। কারণ সত্যিকার মুসলিম আহলে বাইত ও সাহাবীদের মহব্বতের মধ্যে কোনো বিরোধ বা দ্বন্দ্ব দেখে না, আল্লাহ তাদের সকলের ওপর সন্তুষ্ট হোন।
তার কিতাবের এ নামকরণের কারণ সম্পর্কে সে আমাকে স্মরণ করিয়ে দেয় খিষ্টান থেকে ইসলাম গ্রহণকারী সে ভাইয়ের কথা, যিনি একটি কিতাব লেখেছেন অনুরূপ নাম দিয়ে:
«ربحتُ محمداً .. ولم أخسر عيسى» عليهما السلام .
“আমি মুহাম্মাদকে লাভ করেছি, কিন্তু ঈসাকেও হারাই নি” তাদের উভয়ের ওপর সালাম।
জ্ঞাতব্য যে, আমি এসব প্রশ্ন ও দ্বন্দ্বের অধিকাংশই সংগ্রহ করেছি বিভিন্ন ওয়েব সাইট থেকে, বিশেষ করে ( منتدى الدفاع عن السنة ) “মুনতাদা দিফা‘ ‘আনিস-সুন্নাহ”। এর সাথে আরো যোগ করেছি সেসব দ্বন্দ্ব ও দ্বৈতনীতি, যা অবগত হয়েছি আমি বিভিন্ন কিতাব থেকে, যেখানে শী‘আদের নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। অতঃপর সবগুলোকে সাজিয়েছি এবং এক ভলিউমও এক কিতাবে জমা করেছি। আমার কাজ শুধু জমা করা ও সাজানো। আল্লাহর নিকট দোয়া করছি, তিনি যেন এর দ্বারা শী‘আ যুবকদের হিদায়াত দান করেন। এ কিতাব দ্বারা তাদের কল্যাণের দ্বার উম্মুক্ত করেন। সবশেষে তাদের প্রতি আমার আহ্বান ‘সত্যের দিকে ফিরে আসা, ভ্রান্তিতে অটল থাকার চাইতে উত্তম’। তারা যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত আঁকড়ে ধরে, তার ওপর সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ও তাকে সাহায্য করে, তাহলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস অনেক আহলে সুন্নাহ থেকে তাদের প্রতিদান অনেক বেড়ে যাবে, যারা তাদের দীন থেকে বিমুখ, প্রবৃত্তি নিয়ে ব্যস্ত অথবা দীনের ব্যাপারে সন্দেহে নিমজ্জিত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿مَن كَفَرَ فَعَلَيۡهِ كُفۡرُهُۥۖ وَمَنۡ عَمِلَ صَٰلِحٗا فَلِأَنفُسِهِمۡ يَمۡهَدُونَ ٤٤﴾ [ الروم : ٤٤ ]
“যে কুফুরী করে তার কুফুরীর পরিণাম তার ওপরই। আর যারা সৎকর্ম করে তারা তাদের নিজেদের জন্য শয্যা রচনা করে”। [সূরা আর-রূম, আয়াত: ৪৪]
আল্লাহ ভালো জানেন। দুরূদ ও সালাম আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর।
আবু মুস‘আব
Alkarashi1@hotmail.com
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন