HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
বিশ্ব মা দিবস শরয়ী দৃষ্টিভঙ্গি
লেখকঃ আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান
২
বিশ্ব মা দিবস : শরয়ী দৃষ্টিভঙ্গিআন্তর্জাতিকভাবে আমাদের দেশে ও দেশের বাহিরে অনেক দিবস পালন করা হয়ে থাকে। যেমন বিশ্ব নারী দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস, বিশ্ব আবহাওয়া দিবস, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, মে দিবস, শিশু দিবস, তামাকমুক্ত দিবস, জাতিসংঘ দিবস, পরিবেশ দিবস ইত্যাদি নানা রকম দিবস। এত দিবস যে ইদানীং পালিত হয় যার সঠিক পরিসংখ্যান কারো কাছে আছে বলে আমার মনে হয় না।
যে দিবসগুলো আন্তর্জাতিকভাবে উদযাপন করা হয়, তাকে আমরা তিন ভাগে ভাগ করতে পারি।
এক.
এমন কিছু বিষয়কে কেন্দ্র করে দিবস পালন করা, যেগুলোর সাথে কোন ধর্ম বা জাতির সাংস্কৃতিক সম্পর্ক নেই। মানুষকে এ সকল বিষয়ে সচেতন করার জন্যেই দিবসগুলো উদযাপনের প্রচলন করা হয়েছে। যেমন বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস, মাদক বিরোধী দিবস, জলবায়ু দিবস ইত্যাদি।
দুই.
এমন কতগুলো দিবস আছে, যেগুলোর উৎপত্তি হয়েছে কোন ধর্ম বা জাতির সংস্কৃতি বা বিশ্বাস থেকে, কিন্তু পরে এগুলোকে আন্তর্জাতিক রূপ দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। যেমন বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, মা দিবস, নববর্ষ ইত্যাদি।
তিন.
আবার এমন কতগুলো দিবস আছে, যেগুলো কোন ঐতিহাসিক বা রাজনৈতিক ঘটনার স্মরণে পালিত হয়ে থাকে। যেমন মে দিবস, হিরোশিমা দিবস ইত্যাদি।
প্রথম প্রকারের দিবস সার্বজনীনভাবে পালিত হতে পারে, ইসলামের দৃষ্টিতে এতে কোন আপত্তি নেই। কারণ, এতে মানব কল্যাণের বিষয় জড়িত। মানুষকে অকল্যাণ ও অনিষ্টতা থেকে সাবধান করাও কল্যাণ, উন্নতির দিকে আহবান করার ক্ষেত্রে ইসলামের চেয়ে অন্য কোন ধর্ম বা মতবাদের ভূমিকা বেশি আছে?
তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রকারের দিবস পালন সম্পর্কে অবশ্যই ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি স্বতন্ত্র।
দ্বিতীয় প্রকার দিবস পালন সম্পর্কে কথা হলো : যে ধর্মে এটা প্রচলন হয়েছে, যে জাতি এটা প্রচলন করেছে, তারা এটা পালন করলে ইসলামের বলার কি আছে? ইসলাম তো তাদের ধর্ম পালনের অধিকার দিয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো যদি এটা অন্যদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়, কিংবা ইসলামের স্কুলে নাম লিখিয়ে, আবার যদি অন্য স্কুলে ক্লাস করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে সেটা অবশ্যই সমস্যা সৃষ্টি করার কথা।
এটা যদি মুসলমানগণ পুণ্য কাজ বলে উদযাপন করেন, তাহলে দুটো অন্যায় : -
প্রথমত: নব আবিষ্কার বা বিদআত।
দ্বিতীয়ত: কাফেরদের অনুসরণ।
আর যদি পুণ্য মনে না করে এমনিতেই করে বা সামাজিক দায়বদ্ধতার খাতিরে করে, তাহলে কাফেরদের আনুগত্য করার, তাদের সাথে সাদৃশ্যতা অবলম্বনের অপরাধে অপরাধী হবে।
থেকে গেল তৃতীয় প্রকারের কথা। ঐতিহাসিক বা রাজনৈতিক কোন ঘটনার স্মরণে কোন দিবস পালন করা একটি অনর্থক কাজ। এতে মানুষের মূল্যবান সময় নষ্ট করা হয়, অর্থের অপচয় হয়, অন্য জাতি, ধর্ম বা সম্প্রদায়ের প্রতি ঘৃণার চর্চা করা হয়। নিজেদের অহংকার করতে শেখায়। তাই এ সকল কারণে ইসলাম এটাকে অনুমোদন করতে পারে না। ইসলামী সংস্কৃতিতে দিবস পালনের কোন অনুমোদন নেই।
যে দিবসগুলো আন্তর্জাতিকভাবে উদযাপন করা হয়, তাকে আমরা তিন ভাগে ভাগ করতে পারি।
এক.
এমন কিছু বিষয়কে কেন্দ্র করে দিবস পালন করা, যেগুলোর সাথে কোন ধর্ম বা জাতির সাংস্কৃতিক সম্পর্ক নেই। মানুষকে এ সকল বিষয়ে সচেতন করার জন্যেই দিবসগুলো উদযাপনের প্রচলন করা হয়েছে। যেমন বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস, মাদক বিরোধী দিবস, জলবায়ু দিবস ইত্যাদি।
দুই.
এমন কতগুলো দিবস আছে, যেগুলোর উৎপত্তি হয়েছে কোন ধর্ম বা জাতির সংস্কৃতি বা বিশ্বাস থেকে, কিন্তু পরে এগুলোকে আন্তর্জাতিক রূপ দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। যেমন বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, মা দিবস, নববর্ষ ইত্যাদি।
তিন.
আবার এমন কতগুলো দিবস আছে, যেগুলো কোন ঐতিহাসিক বা রাজনৈতিক ঘটনার স্মরণে পালিত হয়ে থাকে। যেমন মে দিবস, হিরোশিমা দিবস ইত্যাদি।
প্রথম প্রকারের দিবস সার্বজনীনভাবে পালিত হতে পারে, ইসলামের দৃষ্টিতে এতে কোন আপত্তি নেই। কারণ, এতে মানব কল্যাণের বিষয় জড়িত। মানুষকে অকল্যাণ ও অনিষ্টতা থেকে সাবধান করাও কল্যাণ, উন্নতির দিকে আহবান করার ক্ষেত্রে ইসলামের চেয়ে অন্য কোন ধর্ম বা মতবাদের ভূমিকা বেশি আছে?
তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রকারের দিবস পালন সম্পর্কে অবশ্যই ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি স্বতন্ত্র।
দ্বিতীয় প্রকার দিবস পালন সম্পর্কে কথা হলো : যে ধর্মে এটা প্রচলন হয়েছে, যে জাতি এটা প্রচলন করেছে, তারা এটা পালন করলে ইসলামের বলার কি আছে? ইসলাম তো তাদের ধর্ম পালনের অধিকার দিয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো যদি এটা অন্যদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়, কিংবা ইসলামের স্কুলে নাম লিখিয়ে, আবার যদি অন্য স্কুলে ক্লাস করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে সেটা অবশ্যই সমস্যা সৃষ্টি করার কথা।
এটা যদি মুসলমানগণ পুণ্য কাজ বলে উদযাপন করেন, তাহলে দুটো অন্যায় : -
প্রথমত: নব আবিষ্কার বা বিদআত।
দ্বিতীয়ত: কাফেরদের অনুসরণ।
আর যদি পুণ্য মনে না করে এমনিতেই করে বা সামাজিক দায়বদ্ধতার খাতিরে করে, তাহলে কাফেরদের আনুগত্য করার, তাদের সাথে সাদৃশ্যতা অবলম্বনের অপরাধে অপরাধী হবে।
থেকে গেল তৃতীয় প্রকারের কথা। ঐতিহাসিক বা রাজনৈতিক কোন ঘটনার স্মরণে কোন দিবস পালন করা একটি অনর্থক কাজ। এতে মানুষের মূল্যবান সময় নষ্ট করা হয়, অর্থের অপচয় হয়, অন্য জাতি, ধর্ম বা সম্প্রদায়ের প্রতি ঘৃণার চর্চা করা হয়। নিজেদের অহংকার করতে শেখায়। তাই এ সকল কারণে ইসলাম এটাকে অনুমোদন করতে পারে না। ইসলামী সংস্কৃতিতে দিবস পালনের কোন অনুমোদন নেই।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন