HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
মুসলিম জাতির বিপর্যয়ের কারণ
লেখকঃ জাকের উল্লাহ আবুল খায়ের
৪
দুই: বিভেদ ও বিশৃঙ্খলামুসলিমদের নিজেদের বিবাদ, বিশৃঙ্খলা, পরস্পরিক দ্বন্দ্ব ও মতানৈক্যের কারণে তাদের মধ্যে যে ঐক্য, সংহতি, সংঘবদ্ধতা ও সুসম্পর্ক থাকার প্রয়োজন ছিল, তা বর্তমানে অবশিষ্ট নাই; তাদের জাতীয় ঐক্য ও সংহতি ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়েছে, আত্ম-কলহে তারা জর্জরিত। সামান্য স্বার্থের কারণে তারা বিভিন্ন দল ও উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়ে, প্রত্যেকেই এক এক করে নেতা সেজে বসে এবং নামে-বেনামে অসংখ্য দল ও উপদল গড়ে তুলে। মুসলিমদের অবস্থা এতই করুণ যে, শুধুমাত্র পার্থিব স্বার্থের উপর ভিত্তি করেই তাদের মধ্যে গড়ে উঠে অসংখ্য জামাত, দল ও উপদল। আবার তারাও হীন স্বার্থ, পদ-পদবী ও পার্থিব বিষয়কে কেন্দ্র করে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। ফলে রাতারাতি চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়, তাদের দল ও ঐক্য। সংঘবদ্ধভাবে কাজ করে বহি:শত্রু মোকাবেলা করার মত কোন যোগ্যতা বর্তমানে তাদের মধ্যে অবশিষ্ট নেই। তারা একজন নেতার নেতৃত্বকে মেনে নিয়ে যে কাজ করবে, সে যোগ্যতা তাদের নাই বললেই চলে। এমনকি যখন কোন জাতীয় দুর্যোগ বা ফিতনা এসে তাদের গলা চেপে ধরে এবং বিপদ আসন্ন হয়ে পড়ে, তখন নিজেদের পারস্পরিক বিবাধ ভুলে গিয়ে একই প্লাটফর্মে এসে জাতীয় দুর্যোগ ও ফিতনা মোকাবেলা করার যে প্রয়োজন, তাও তাদের দ্বারা সম্ভব হয় না এবং তারা এক জায়গায় একত্র হয়ে সমস্বরে কোন ঘোষণা দিতে পারে না। ফলে তাদের অনৈক্য, দলাদলি, গ্রুপিং ইসলাম বিরোধীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। আর তারা তা কাজে লাগিয়ে তাদের মুল লক্ষ্যে -মুসলিমদের ধ্বংস করা- পৌছতে তেমন কোন কাজ করতে হয় না। তাদের অসমাপ্ত কাজ মুসলিমরাই অধিকাংশ করে রাখে। এভাবেই যুগে যুগে মুসলিমরা তাদের নিজেদের ভুলের কারণে দুশমনদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়। যতদিন পর্যন্ত তারা তাদের নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন না করবে ততদিন পর্যন্ত তাদের অবস্থার কোনই উন্নতি হবে না। আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে করীমে এরশাদ করেন
﴿ذَٰلِكَ بِأَنَّ ٱللَّهَ لَمۡ يَكُ مُغَيِّرٗا نِّعۡمَةً أَنۡعَمَهَا عَلَىٰ قَوۡمٍ حَتَّىٰ يُغَيِّرُواْ مَا بِأَنفُسِهِمۡ وَأَنَّ ٱللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٞ ٥٣﴾
তা এ জন্য যে, আল্লাহ কোন নিআমতের পরিবর্তনকারী নন, যা তিনি কোন কওমকে দিয়েছেন, যতক্ষণ না তারা পরিবর্তন করে তাদের নিজদের মধ্যে যা আছে। আর নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। [আনফাল: ৫৩]
তাদের অনৈক্য, বিবাধ ও ঝগড়া এতই তীব্র যে, এর কারণে তাদের শক্তি সামর্থ্য দুর্বল হয়ে পড়ে। আল্লাহ তা‘আলা মুসলিমদের দুর্বল হওয়া ও পরাজয় বরণ করার তিনটি কারণ উল্লেখ করেন:
১. মুসলিমদের পারস্পরিক মতানৈক্য ও ঝগড়া বিবাধ।
২. আমীরের নেতৃত্বের উপর বাড়াবাড়ি করা এবং তার নির্দেশ অমান্য করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَلَقَدۡ صَدَقَكُمُ ٱللَّهُ وَعۡدَهُۥٓ إِذۡ تَحُسُّونَهُم بِإِذۡنِهِۦۖ حَتَّىٰٓ إِذَا فَشِلۡتُمۡ وَتَنَٰزَعۡتُمۡ فِي ٱلۡأَمۡرِ وَعَصَيۡتُم مِّنۢ بَعۡدِ مَآ أَرَىٰكُم مَّا تُحِبُّونَۚ مِنكُم مَّن يُرِيدُ ٱلدُّنۡيَا وَمِنكُم مَّن يُرِيدُ ٱلۡأٓخِرَةَۚ ثُمَّ صَرَفَكُمۡ عَنۡهُمۡ لِيَبۡتَلِيَكُمۡۖ وَلَقَدۡ عَفَا عَنكُمۡۗ وَٱللَّهُ ذُو فَضۡلٍ عَلَى ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ١٥٢﴾
আর আল্লাহ তোমাদের কাছে তাঁর ওয়াদা সত্যে পরিণত করেন, যখন তোমরা তাদেরকে হত্যা করছিলে তাঁর নির্দেশে। অবশেষে যখন তোমরা দুর্বল হয়ে গেলে এবং নির্দেশ সম্পর্কে বিবাদ করলে আর তোমরা অবাধ্য হলে তোমরা যা ভালবাসতে তা তোমাদেরকে দেখানোর পর। তোমাদের মধ্যে কেউ দুনিয়া চায় আর কেউ চায় আখিরাত। তারপর আল্লাহ তোমাদেরকে তাদের থেকে ফিরিয়ে দিলেন যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন। আর অবশ্যই আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং আল্লাহ মুমিনদের উপর অনুগ্রহশীল। [আল-ইমরান:১৫২]
আয়াত দ্বারা এ কথা দিবালোকের মত স্পষ্ট হয়, আমীরের নেতৃত্ব মেনে নেয়ার মত মানসিকতা না থাকলে কখনোই মুসলিমরা সফল হতে পারবে না। আমীরের নেতৃত্ব মেনে নেয়ার কোন বিকল্প নাই। একদিকে আমীর নির্বাচনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্ক হতে হবে, অন্যদিকে যাকে আমীর নির্বাচন করা হয়, তার আনুগত্যে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। অন্যথায় তাদের পদে পদে লাঞ্ছিত হতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَأَطِيعُواْ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَلَا تَنَٰزَعُواْ فَتَفۡشَلُواْ وَتَذۡهَبَ رِيحُكُمۡۖ وَٱصۡبِرُوٓاْۚ إِنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلصَّٰبِرِينَ ٤٦﴾
আর তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর এবং পরস্পর ঝগড়া করো না, তাহলে তোমরা সাহসহারা হয়ে যাবে এবং তোমাদের শক্তি নিঃশেষ হয়ে যাবে। আর তোমরা ধৈর্য ধর, নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন। [আনফাল: ৪৬]
কিন্তু আজ মুসলিমদের অবস্থা এতই করুণ, মুসলিমদের প্রতিটি ঘরে ঘরে একজন একজন করে নেতা পাওয়া যায়। তারা নিজেই নিজের নেতৃত্বে কাজ করতে পছন্দ করে। কারো নেতৃত্ব মেনে নিয়ে কাজ করার মানসিকতা তাদের মধ্যে একেবারেই শূন্য। রাতারাতি তাদের মধ্যে দল উপদল ও নেতা গড়ে উঠে। আবার কিছুদিন অতিবাহিত হতে না হতে তারাও বিভক্ত হয়ে পড়ে এবং দল ভেঙ্গে যায়; তৈরি হয় আবার নতুন নতুন নেতা। এভাবেই তৈরি হয়েছে অসংখ্য অগণিত দল ও নেতা; নেতার অভাব নেই।
৩. দুনিয়ার ধন সম্পদের প্রতি অধিক লোভ করা। পার্থিব ধন-সম্পদের প্রতি তাদের লোভ-লালসা এতই প্রকট যে, দুনিয়ার সামান্য অর্থ-কড়ি তাদের নিকট ঈমানের তুলনায় অধিক শ্রেয়। ফলে দুনিয়ার সামান্য চাহিদা পূরণের জন্য তারা দ্বীনকে বিক্রি করতে কুণ্ঠাবোধ করে না।
﴿ذَٰلِكَ بِأَنَّ ٱللَّهَ لَمۡ يَكُ مُغَيِّرٗا نِّعۡمَةً أَنۡعَمَهَا عَلَىٰ قَوۡمٍ حَتَّىٰ يُغَيِّرُواْ مَا بِأَنفُسِهِمۡ وَأَنَّ ٱللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٞ ٥٣﴾
তা এ জন্য যে, আল্লাহ কোন নিআমতের পরিবর্তনকারী নন, যা তিনি কোন কওমকে দিয়েছেন, যতক্ষণ না তারা পরিবর্তন করে তাদের নিজদের মধ্যে যা আছে। আর নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। [আনফাল: ৫৩]
তাদের অনৈক্য, বিবাধ ও ঝগড়া এতই তীব্র যে, এর কারণে তাদের শক্তি সামর্থ্য দুর্বল হয়ে পড়ে। আল্লাহ তা‘আলা মুসলিমদের দুর্বল হওয়া ও পরাজয় বরণ করার তিনটি কারণ উল্লেখ করেন:
১. মুসলিমদের পারস্পরিক মতানৈক্য ও ঝগড়া বিবাধ।
২. আমীরের নেতৃত্বের উপর বাড়াবাড়ি করা এবং তার নির্দেশ অমান্য করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَلَقَدۡ صَدَقَكُمُ ٱللَّهُ وَعۡدَهُۥٓ إِذۡ تَحُسُّونَهُم بِإِذۡنِهِۦۖ حَتَّىٰٓ إِذَا فَشِلۡتُمۡ وَتَنَٰزَعۡتُمۡ فِي ٱلۡأَمۡرِ وَعَصَيۡتُم مِّنۢ بَعۡدِ مَآ أَرَىٰكُم مَّا تُحِبُّونَۚ مِنكُم مَّن يُرِيدُ ٱلدُّنۡيَا وَمِنكُم مَّن يُرِيدُ ٱلۡأٓخِرَةَۚ ثُمَّ صَرَفَكُمۡ عَنۡهُمۡ لِيَبۡتَلِيَكُمۡۖ وَلَقَدۡ عَفَا عَنكُمۡۗ وَٱللَّهُ ذُو فَضۡلٍ عَلَى ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ١٥٢﴾
আর আল্লাহ তোমাদের কাছে তাঁর ওয়াদা সত্যে পরিণত করেন, যখন তোমরা তাদেরকে হত্যা করছিলে তাঁর নির্দেশে। অবশেষে যখন তোমরা দুর্বল হয়ে গেলে এবং নির্দেশ সম্পর্কে বিবাদ করলে আর তোমরা অবাধ্য হলে তোমরা যা ভালবাসতে তা তোমাদেরকে দেখানোর পর। তোমাদের মধ্যে কেউ দুনিয়া চায় আর কেউ চায় আখিরাত। তারপর আল্লাহ তোমাদেরকে তাদের থেকে ফিরিয়ে দিলেন যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন। আর অবশ্যই আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং আল্লাহ মুমিনদের উপর অনুগ্রহশীল। [আল-ইমরান:১৫২]
আয়াত দ্বারা এ কথা দিবালোকের মত স্পষ্ট হয়, আমীরের নেতৃত্ব মেনে নেয়ার মত মানসিকতা না থাকলে কখনোই মুসলিমরা সফল হতে পারবে না। আমীরের নেতৃত্ব মেনে নেয়ার কোন বিকল্প নাই। একদিকে আমীর নির্বাচনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্ক হতে হবে, অন্যদিকে যাকে আমীর নির্বাচন করা হয়, তার আনুগত্যে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। অন্যথায় তাদের পদে পদে লাঞ্ছিত হতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَأَطِيعُواْ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَلَا تَنَٰزَعُواْ فَتَفۡشَلُواْ وَتَذۡهَبَ رِيحُكُمۡۖ وَٱصۡبِرُوٓاْۚ إِنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلصَّٰبِرِينَ ٤٦﴾
আর তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর এবং পরস্পর ঝগড়া করো না, তাহলে তোমরা সাহসহারা হয়ে যাবে এবং তোমাদের শক্তি নিঃশেষ হয়ে যাবে। আর তোমরা ধৈর্য ধর, নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন। [আনফাল: ৪৬]
কিন্তু আজ মুসলিমদের অবস্থা এতই করুণ, মুসলিমদের প্রতিটি ঘরে ঘরে একজন একজন করে নেতা পাওয়া যায়। তারা নিজেই নিজের নেতৃত্বে কাজ করতে পছন্দ করে। কারো নেতৃত্ব মেনে নিয়ে কাজ করার মানসিকতা তাদের মধ্যে একেবারেই শূন্য। রাতারাতি তাদের মধ্যে দল উপদল ও নেতা গড়ে উঠে। আবার কিছুদিন অতিবাহিত হতে না হতে তারাও বিভক্ত হয়ে পড়ে এবং দল ভেঙ্গে যায়; তৈরি হয় আবার নতুন নতুন নেতা। এভাবেই তৈরি হয়েছে অসংখ্য অগণিত দল ও নেতা; নেতার অভাব নেই।
৩. দুনিয়ার ধন সম্পদের প্রতি অধিক লোভ করা। পার্থিব ধন-সম্পদের প্রতি তাদের লোভ-লালসা এতই প্রকট যে, দুনিয়ার সামান্য অর্থ-কড়ি তাদের নিকট ঈমানের তুলনায় অধিক শ্রেয়। ফলে দুনিয়ার সামান্য চাহিদা পূরণের জন্য তারা দ্বীনকে বিক্রি করতে কুণ্ঠাবোধ করে না।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন