hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

জাল জয়িফ হাদিস সিরিজ

. জাল জয়ীফ হাদিস সিরিজ (১-১০০) নং হাদিস

سلسلة الحديث الشريف المزيف

/ পরিচ্ছেদঃ ১ থেকে ১০০ নং হাদিস

৫৭

জাল হাদিস

বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ

আমার উম্মতের মধ্যে মতভেদ রহমত স্বরূপ।

হাদীসটির কোন ভিত্তি নেই।

মুহাদ্দিসগণ হাদীসটির সনদ বের করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। শেষে সুয়ূতী “জামে’উস সাগীর” গ্রন্থে বলেছেনঃ
সম্ভবত কোন হুফ্‌ফায-এর গ্রন্থে হাদীসটি উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু তা আমাদের নিকট পৌঁছেনি।
আমার নিকট এটি অসম্ভবমূলক কথা, কারণ একথা এটাই সাব্যস্ত করে যে, রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কিছু হাদীস উম্মাতের মধ্য হতে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কোন মুসলিমের এরূপ বিশ্বাস রাখা যুক্তিসঙ্গত নয়।
মানাবী সুবকীর উদ্ধৃতিতে বলেছেনঃ
হাদীসটি মুহাদ্দিসদের নিকট পরিচিত নয়। এটির কোন সহীহ, দুর্বল এমনকি জাল সনদ সম্পর্কেও অবহিত হতে পারিনি।
শাইখ জাকারিয়া আল-আনসারী “তাফসীর বায়যাবী” গ্রন্থের টীকাতে (কাফ ২/৯২) মানাবীর কথাটি সমর্থন করেছেন।
এছাড়া হাদীসটির অর্থও বিচক্ষণ আলেমদের নিকট অপছন্দনীয়। ইবনু হায্‌ম “আল-ইহকাম ফি উসূলিল আহকাম” গ্রন্থে (৫/৬৪) এটি কোন হাদীস নয় এ ইঙ্গিত দেয়ার পর বলেনঃ
এটি অত্যন্ত নিকৃষ্ট কথা। কারণ যদি মতভেদ রহমত স্বরূপ হত, তাহলে মতৈক্য অপছন্দনীয় হত। এটি এমন একটি কথা যা কোন মুসলিম ব্যক্তি বলেন না।
তিনি অন্য এক স্থানে বলেনঃ এটি বাতিল, মিথ্যারোপ।
এ বানোয়াট হাদীসের কুপ্রভাবে বহু মুসলমান চার মাযহাবের কঠিন মতভেদগুলোকে স্বীকৃতি দিয়ে থাকেন। কখনো কিতাবুল্লাহ ও সহীহ হাদীসের দিকে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করেননা। অথচ সেদিকে তাদের ইমামগণ প্রত্যাবর্তন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। বরং তাদের নিকট এ চার মাযহাব যেন একাধিক শরী’য়াতের ন্যায়।

আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ

أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ ٱلْقُرْءَانَ ۚ وَلَوْ كَانَ مِنْ عِندِ غَيْرِ ٱللَّـهِ لَوَجَدُوا۟ فِيهِ ٱخْتِلَـٰفًا كَثِيرًا

অর্থঃ “যদি (এ কুর’আন) আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নিকট হতে আসত, তাহলে তারা তাতে বহু মতভেদ পেত।” সূরা নিসাঃ ৮২
আয়াতটি স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে যে, মতভেদ আল্লাহ তা’আলার নিকট হতে নয়। অতএব কীভাবে এ মতভেদকে অনুসরণীয় শারী’য়াত বানিয়ে নেয়া সঠিক হয়? আর কীভাবেই তা নাযিলকৃত রহমত হতে পারে?

মোট কথা শারী’য়াতের মধ্যে মতভেদ নিন্দনীয়। ওয়াজিব হচ্ছে যতদূর সম্ভব তা থেকে মুক্ত হওয়া। কারণ এটি হচ্ছে উম্মাতের দুর্বলতার কারণসমূহের একটি। যেমনিভাবে আল্লাহপাক বলেছেনঃ

وَأَطِيعُوا۟ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَلَا تَنَـٰزَعُوا۟ فَتَفْشَلُوا۟ وَتَذْهَبَ رِيحُكُمْ ۖ وَٱصْبِرُوٓا۟ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلصَّـٰبِرِينَ

“আর আল্লাহ তা’আলার নির্দেশ মান্য কর এবং তাঁর রসূলের। তাছাড়া তোমরা পরস্পরে বিবাদে লিপ্ত হইও না। যদি তা কর, তবে তোমরা কাপুরুষ হয়ে পড়বে এবং তোমাদের প্রভাব চলে যাবে। আর তোমরা ধৈর্য্যধারণ কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা রয়েছেন ধৈর্য্যশীলদের সাথে।" (আনফালঃ ৪৬ )

অতএব মতভেদে সন্তুষ্ট থাকা এবং রহমত হিসেবে তার নামকরণ করা সম্পূর্ণ আয়াত বিরোধী কথা, যার অর্থ খুবই স্পষ্ট। অপরপক্ষে মতভেদের সমর্থনে সনদবিহীন (রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে যার কোন ভিত্তি নেই) এ জাল হাদীস ছাড়া আর কোন প্রমাণ নেই।

এখানে একটি প্রশ্ন আসতে পারে যে, সাহাবীগণ মতভেদ করেছেন, অথচ তারা লোকদের মধ্যেস র্বোত্তম। তাদেরকে কি উল্লেখিত এ নিন্দা সম্পৃক্ত করে না।

ইবনু হাযম তার উত্তরে বলেনঃ কক্ষনও নয়। তাদেরকে এ নিন্দা সম্পৃক্ত করবেনা। কারণ তাদের প্রত্যেকেই আল্লাহর পথ এবং হকের পক্ষকে গ্রহণ করার জন্য সচেষ্ট ছিলেন। তাদের মধ্য হতে যে ব্যক্তি ভুল করেছেন তিনি তাতেও সওয়াবের অধিকারী এবং একটি সওয়াব পাবেন। সুন্দর নিয়্যাত এবং উত্তম ইচ্ছা থাকার কারণে। তাদের উপর হতে তাদের ভুলের গুণাহ উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। কারণ তারা ইচ্ছাকৃতভাবে তা করেননি আর সত্যকে জানার গবেষণার ক্ষেত্রে তারা অলসতাও করেননি। ফলে তাদের মধ্যে যিনি সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছেন, তিনি দু’টি সওয়াবের অধিকারী। এমন ধারা প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির জন্য ক্বিয়ামত দিবস পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে ধর্মীয় ঐসকল বিষয়ের ক্ষেত্রে যেগুলোর সমাধান লুকায়িত, যা আমাদের নিকট এখনও পৌঁছেনি।

উল্লেখিত নিন্দা ও ভীতি ঐ ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য যে আল্লাহর রজ্জুর সম্পর্কে (কুর’আনকে) এবং নাবীর হাদীসকে প্রত্যাখ্যান করে, তার নিকট স্পষ্টভাবে দলীল প্রতীয় মান হওয়ার পরেও। বরং কুর’আন ও হাদীসকে পরিত্যাগ করার মানসে অন্য ব্যক্তির সাথে সে সম্পর্ক স্থাপন করেছে ইচ্ছাকৃতভাবে মতভেদের অন্ধঅনুসরণ করে, গোঁড়ামী ও অজ্ঞতার দিকে আহ্বানকারী হিসেবে। সে এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তার দাবীর সমর্থনে কুর’আন ও হাদীসের যে কথাটি মিলে সেটি গ্রহণ করে আর যেটি তার বিপরীতে যায় সেটি পরিত্যাগ করে। এরাই হচ্ছে নিন্দনীয় মতভেদকারী।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন