HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সহিহ ফাযায়েলে আমল

. ফাযায়িলে কালেমা

صحيح فضايل امل

/ পরিচ্ছেদঃ ইসলাম গ্রহণ ও ঈমান আনার ফাযীলাত

১৪

সহিহ হাদিস

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেন : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই এবং আমি আল্লাহ্‌র রাসূল। যে কোন বান্দা সন্দেহাতীতভাবে এই বাক্য দু’টির ওপর ঈমান আনবে, সে আল্লাহ্‌র সাথে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করবে যে, সে জান্নাত থেকে বঞ্চিত হবে না।
হাদীস সহীহ : সহীহ মুসলিম হা/১৪৮- তাহক্বীক্ব শু’আইব আরনাউত্ব ও অন্যান্য মুহাদ্দিসগণ : হাদীস সহীহ : তাহক্বীক্ব শায়খ আহমাদ শাকির : এর সানাদ সহীহ।

১৫

সহিহ হাদিস

‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃ) বলেছেন: হে খাত্তাবের পূত্র ! যাও, লোকদের মাঝে ঘোষণা করে দাও যে, কেবলমাত্র ঈমানদার লোকেরাই জান্নাতে প্রবেশ করবে। ‘উমার (রাঃ) বলেন, অতঃপর আমি বের হলাম এবং ঘোষণা করলাম : শুনে রাখো, ঈমানদার ছাড়া কেউই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। [১]
[১] হাদীস সহীহ ; সহীহ মুসলিম হা/৩২৩, তাহক্বীক্ব আলবানী : হাদীস সহীহ।

১৬

হাসান লিগাইরিহি

‘উক্ববাহ্ ইবনু আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, উমার (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)- কে বলতে শুনেছি : যে ব্যক্তি আল্লাহ্ এবং পরকালের প্রতি ঈমান রেখে মারা যাবে, তাকে বলা হবে, তুমি জান্নাতের আটটি দরজার মধ্যকার যে দরজা দিয়ে ইচ্ছে প্রবেশ করো।” (আহমাদ হা/৯৭- শায়খ শু’আইব আরনাউত্ব বলেন : হাদীসটি হাসান লিগাইরিহি। এর শাওয়াদিহ বর্ণনা রয়েছে)

১৭

সহিহ হাদিস

সুফিয়ান ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে ইসলামের এমন একটি কথা বলে দিন যা আপনার পরে বা আপনি ছাড়া অন্য কাউকে আমি জিজ্ঞেস করবো না। তিনি (সাঃ) বললেন : তুমি বলো : আমি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনলাম। অতঃপর এরই উপর প্রতিষ্ঠিত থাকো।” (সহীহ মুসলিম হা/১৬৮)

২০

সহিহ হাদিস

মাঈয (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃ)- কে জিজ্ঞেস করা হলো, সকল আমলের মধ্যে সর্বোত্তম ‘আমল কোনটি? তিনি (সাঃ) বললেন : আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান আনা, যিনি একক। এরপর আল্লাহ্‌র পথে জিহাদ করা, অতঃপর কবুল হাজ্জ। এ ‘আমলগুলো ও অন্যান্য আমলের মধ্যে ফাযীলাতের দিক দিয়ে এই পরিমাণ ব্যবধান রয়েছে যে পরিমাণ ব্যবধান রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যকার দূরত্বের মাঝে।” [১]
[১] হাদীস সহীহ : আহমাদ হা/১৯০১০, শু’আইব আরনাউত্ব বলেন : হাদীস সহীহ।

১৮

সহিহ হাদিস

‘উবাদাহ ইবনুস সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন : যে ব্যক্তি বলে : “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি একক এবং মুহাম্মাদ (সাঃ) তাঁর বান্দা ও রাসূল, আর নিশ্চয়ই ঈসা (আঃ) আল্লাহর বান্দা, তাঁর বান্দীর (মারইয়ামের) পুত্র ও তাঁর সেই কালেমা যা তিনি মারইয়ামকে পৌঁছিয়েছেন এবং তাঁর পক্ষ হতে প্রেরিত একটি রূহ মাত্র, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য” - তাকে জান্নাতের আটটি দরজার যেটি দিয়ে প্রবেশ করতে চাইবে, প্রবেশ করাবেন।
হাদীস সহীহ : সহীহুল বুখারী হা/৩১৮০

অন্য বর্ণনায় রয়েছে : “তার ‘আমল যা-ই হোক না কেন আল্লাহ্ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।” (সহীহুল বুখারী হা/৩১৮০, সহীহ মুসলিম হা/১৫০)

২১

সহিহ হাদিস

‘উবাদাহ ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন: যে ব্যক্তি এ সাক্ষ্য দেয় যে, “আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই এবং মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর রাসূল” আল্লাহ্ তার উপর জাহান্নামের আগুন হারাম করে দেন। [১]
[১] হাদীস সহীহ্ : সহীহ্ মুসলিম হা/১৫১শির্‌ক

১৯

সহিহ হাদিস

আবূ বুরদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন : তিন ব্যক্তির জন্য দ্বিগুণ সাওয়াব রয়েছে। এক, ঐ ব্যক্তি যে আহলে কিতাবের অন্তর্ভূক্ত নিজের নাবীর (আ) উপর ঈমান এনেছে আবার মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর উপরও ঈমান এনেছে। দুই, ঐ ক্রীদাস যে মহান আল্লাহর হক আদায় করার পাশাপাশি স্বীয় মুনিবের হকও আদায় করে। তিন, ঐ ব্যক্তি যার কোন ক্রীতদাসী রয়েছে। আর সে তাকে উত্তম আদব শিখিয়েছে এবং উত্তমরূপে ইলম শিক্ষা দিয়েছে, অতঃপর তাকে আযাদ করে বিয়ে করেছে, তার জন্য দ্বিগুণ সাওয়াব রয়েছে।
হাদীস সহীহ্ : সহীহুল বুখারী হা/৯৫- হাদীসের শব্দাবলী তার, সহীহ মুসলিম হা/৪০৪, আহমাদ হা/১৯৫৩২- তাহক্বীক্ব শু’আইব আরনাউত্ব : সানাদ বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ। আহমাদ শাকির বলেন : সানাদ সহীহ।

২২

হাসান হাদিস

বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ

“নাবী (সাঃ) বলেন: যে কোন বান্দা এ সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহ্‌র রাসূল, আল্লাহ্ তাকে জাহান্নামের আগুনের জন্য হারাম করে দেন। তখন মু’আয (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি লোকদেরকে এ সুসংবাদ জানিয়ে দিব না? তিনি (সাঃ) বললেন, তাহলে তারা এর উপরই ভরসা করে থাকবে (‘আমল ছেড়ে দেবে)। অতঃপর মু’আয (রাঃ) স্বীয় মৃত্যুর সময় (ইলম গোপন করার গুনাহের ভয়ে) এ হাদীস বর্ণনা করেন।”
তিরমিযী হা/৩৩৮৩, ইবনু মাজাহ্ হা/৩৮০০, শায়খ আলবানী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।

২৩

সহিহ লিগাইরিহি

আবূ ‘আমরাহ আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি আল্লাহর রাসূল। আর আমি আল্লাহর নিকট সাক্ষ্য দিচ্ছি- যে কোন বান্দা এ (কালেমা) দু’টির প্রতি ঈমান রেখে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে, এ দুটো অবশ্যই তার জন্য ক্বিয়ামাতের দিন জাহান্নামের আগুন থেকে আড়াল হবে। [১]
[১] সহীহ লিগাইরিহি : ইবনু হিব্বান হা/২২১- হাদীসের শব্দাবলী তার- তাহক্বীক্ব আলবানী : সহীহ লিগাইরিহি।

২৪

সহিহ হাদিস

মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃ) বলেছেন : যে কোন ব্যক্তি এই অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে যে, সে খাঁটি অন্তরে এই সাক্ষ্য দেয় যে, “আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল”- আল্লাহ তাকে অবশ্যই ক্ষমা করে দিবেন। [১]
[১] হাদীস সহীহ : আহমাদ হা/২১৯৯৮- আলবানী : হাসান সহীহ্

২৫

সহিহ হাদিস

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন : “যে ব্যক্তি এমন অবস্থায় দুনিয়া থেকে বিদায় নিলো যে, সে আল্লাহর প্রতি আন্তরিক ও মুখলেস ছিল, যিনি অদ্বিতীয়, যার কোন শরীক নেই, এবং সলাত ক্বায়িম করেছে, যাকাত দিয়েছে। সে তো এরূপ অবস্থায় বিদায় নিলো যে, আল্লাহ তার প্রতি সন্তষ্ট। এটাই হলো আল্লাহর দ্বীন, যা নিয়ে রাসূলগণ আগমন করেছিলেন এবং তাদের রবের পক্ষ হতে প্রচার করেছেন।
মুস্তাদরাক হাকিম হা/৩২৩৫। ইমাম হাকিম বলেন : এই হাদীসের সানাদ সহীহ। ইমাম যাহাবী তার সাথে একমত পোষণ করেছেন

২৬

সহিহ হাদিস

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা কিছু সংখ্যক মুশরিক লোক যারা মুশরিক অবস্থায় ব্যাপকহারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে এবং যেনা-বাভিচারে লিপ্ত হয়েছে তারা মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর নিকট এসে বললো : আপনি যা বলেন এবং যে দিকে আহ্বান করেন তা খুবই উত্তম। তবে আমাদেরকে বলুন, অতীত জীবনে আমরা যে সমস্ত মন্দ কাজ করেছি তা মুছে যাবে কিনা? (তাহলে আমরা ইসলাম গ্রহণ করবো)। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হলো : “যে সমস্ত লোক আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কাউকে ইলাহ্ মানেনা, আল্লাহর হারাম করা কোন প্রাণকে অকারণে হত্যা করে না এবং যেনা করে না। যারা ঐসব কাজে লিপ্ত হবে তারা নিজেদের পাপের প্রতিফল পাবে”- (সূরাহ্ আল-ফুরক্বান : ৬৮)। আরো অবতীর্ণ হলো : “হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের ওপর বাড়াবাড়ি করেছো, তারা আল্লাহর রহমাত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন, তিনি তো ক্ষমাশীল”- (সূরাহ্ আয-যুমার : ৫৩)
হাদীস সহীহ : সহীহ মুসলিম হা/ ৩৩৭-হাদীসের শব্দাবলী তার।

২৭

সহিহ হাদিস

‘আমার ইবনু ‘আবাসাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা অত্যন্ত বৃদ্ধ একটি লোক তার লাঠির উপর ভর করে নাবী (সাঃ)-এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! (কাফির অবস্থায়) আমি বহু ওয়াদা ভঙ্গ করেছি এবং অসংখ্য পাপ কাজ করেছি, সুতরাং আমার ক্ষমার ব্যবস্থা আছে কি? তিনি (সাঃ) জবাবে বললেন : তুমি কি এ সাক্ষ্য দাও না যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই? লোকটি বললো, হ্যাঁ, আর আমি এ সাক্ষ্যও দেই যে, আপনি আল্লাহর রাসূল। নাবী (সাঃ) বললেন : তাহলে তো তোমার সমস্ত ওয়াদা ভঙ্গ ও গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে।
আহমাদ হা/১৯৪৩২, তাহক্বীক্ব শু’আইব : হাদীসটি সহীহ এর শাওয়াহিদ দ্বারা। এছাড়া আরো বহু শাহেদ বর্ণনা রয়েছে)

২৮

সহিহ হাদিস

ইবনু শিমাসাহ আল-মাহরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) যখন মৃত্যু শয্যায় ছিলেন, আমরা তাঁর কাছে উপস্থিত হলাম। তিনি দীর্ঘক্ষণ ধরে কাঁদলেন এবং দেয়ালের দিকে মুখ ফিরিয়ে ভাবছিলেন। তার ছেলে বলতে লাগলো, হে আব্বা, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) কি আপনাকে এই সুসংবাদ দেননি? রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) কি আপনাকে এরূপ সুসংবাদ দেননি? বর্ণনাকারী বলেন, তখন তিনি মুখ ফিরিয়ে বললেন, অবশ্যই আমরা যা কিছু পুঁজি সঞ্চয় করেছি তন্মধ্যে “আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই এবং মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর রাসূল”- সবচেয়ে উত্তম সঞ্চয়। আমি আমার জীবনে তিনটি পর্যায় অতিক্রম করে এসেছি। (প্রথম পর্যায়) আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর প্রতি আমার চেয়ে অধিক বিদ্বেষ পোষণ করতে আর কাউকে দেখিনি। তখন আমার ইচ্ছা ছিল যে, যদি আমি সুযোগ পাই তাহলে তাঁকে হত্যা করে মনের ঝাল মেটাব। (দ্বিতীয় পর্যায় হলো) অতঃপর যখন আল্লাহ্ আমার অন্তরে ইসলামের প্রেরণা ঢেলে দিলেন, আমি নাবী (সাঃ)-এর কাছে এসে বললাম, আপনার ডান হাত প্রসারিত করুন। আমি আপনার কাছে বাই’আত করবো। তিনি তাঁর ডান হাত প্রসারিত করলে আমি আমার হাতখানা টেনে নিলাম। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে ‘আমর! তোমরা কি হয়েছে? আমি বললাম, আমি কিছু শর্ত করতে চাই। তিনি বললেন : তুমি কি শর্ত করতে চাও। আমি বললাম, আমি এই শর্ত করতে চাই যে, আমাকে ক্ষমা করা হোক। তিনি বললেন : হে ‘আমর! তুমি জান না ইসলাম পূর্বেকার সমস্ত অপরাধ ধ্বংস করে দেয়? অনুরূপভাবে হিজরাত ও হাজ্জের দ্বারাও পূর্বের সমস্ত অপরাধ ধ্বংস হয়ে যায়? তখন থেকে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর চেয়ে অন্য কোন ব্যক্তি আমার কাছে অধিক প্রিয় ছিলো না। তার ব্যক্তিত্ব ও মর্যাদার এমনি এক প্রভাব ছিলো যে, আমি কখনো তাঁর চেহারার দিকে তাকিয়ে স্থির থাকতে পারতাম না। যদি কেউ আমাকে তাঁর দৈহিক সৌষ্ঠবের বর্ণনা করার জন্য অনুরোধ করতো তাও আমার দ্বারা সম্বব হতো না। যদি এ অবস্থায় আমার মৃত্যু হতো তাহলে আমি আশা করতে পারতাম যে, আমি জান্নাতবাসীদের অন্তর্ভূক্ত। (তৃতীয় পর্যায় হলো) অতঃপর আমার ওপর বিভিন্ন কাজের দায়িত্ব ন্যাস্ত হলো। আমি অবগত নই যে, এগুলোর মধ্যে আমার অবস্থা কেমন?। [১]
[১] হাদীস সহীহ : সহীহ্ মুসলিম হা/৩৩৬
/ পরিচ্ছেদঃ ইসলাম গ্রহণে অতীতের সৎ ‘আমল নষ্ট হয় না

২৯

সহিহ হাদিস

হাকিম ইবনু হিযাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, যে আল্লাহর রাসূল! আমাকে বলুন, জাহিলী যুগে ভাল কাজ মনে করে আমি যে দান-খয়রাত করেছি, দাস মুক্ত করেছি বা আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করেছি, তার জন্য কোন প্রতিদান পাওয়া যাবে কি? তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বললেন : তুমি অতীত জীবনে যে সব সাওয়াবের কাজ করেছো তা সহকারেই তুমি মুসলিম হয়েছো। [১]
[১] হাদীস সহীহ : সহীহ্ মুসলিম হা/৩৩৯
/ পরিচ্ছেদঃ ইসলাম গ্রহণ নিরাপত্তার বিধান দেয়

৩১

সহিহ হাদিস

হাকিম ইবনু হিযাম থেকে বর্ণিতঃ

“আল্লাহর শপথ! আমি জাহিলী যুগে যেসব নেক কাজ করেছি তা কখনো পরিত্যাগ করবো না, বরং ইসলামের মধ্যেও অনুরূপ করবো।” (সহীহ মুসলিম হা/৩৪০)

৩০

সহিহ হাদিস

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলছেন : আমি মানুষের সাথে ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধ করার জন্য প্রেরিত হয়েছি যতক্ষণ না তারা এ সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই এবং মুহামাদ আল্লাহর রাসূল, সলাত ক্বায়িম করবে এবং যাকাত দিবে। তারা যদি এটা করে তাহলে আমার পক্ষ থেকে তাদের রক্ত ও সম্পদের নিরাপত্তার ঘোষণা রইল। তবে ইসলামের হাক্ব ব্যতীত। তাদের হিসাব্ আল্লাহর উপর। [১]
[১] হাদীস সহীহ : সহীহুল বুখারী হা/২৪, সহীহ মুসলিম হা/১৩৫

৩২

সহিহ হাদিস

হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ্ থেকে বর্ণিতঃ

“হাকিম হিযাম জাহিলী যুগে একশো দাস মুক্ত করেছেন এবং সওয়ারীর জন্য একশো উট দান করেছিলেন। অতঃপর মুসলিম হওয়ার পরও পুনরায় একশো দাস মুক্ত করেছেন এবং আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য একশো উট দান করেছেন। অতঃপর নাবী (সাঃ)-এর নিকট আসলেন।” হাদীসের বাকী অংশ পূর্বের হাদীসের অনুরূপ। (সহীহ মুসলিম হা/১৪১)
/ পরিচ্ছেদঃ নাবী (সাঃ)- কে না দেখে ঈমান আনার ফাযীলাত

৩৪

হাসান লিগাইরিহি

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন : “যে ব্যক্তি আমাকে দেখেছে এবং আমার প্রতি ঈমান এনেছে তার জন্য একবার সুসংবাদ। আর যে ব্যক্তি আমাকে দেখে নাই, তথাপি আমার প্রতি ঈমান এনেছে তার জন্য সাত বার (বারবার) মোবারকবাদ।”
আহমাদ হা/১২৫৭৮- তাহক্বীক্ব শু’আইব আরনাউত্ব : সানাদ দুর্বল, তবে হাদীসটি হাসান লিগাইরিহি। এছাড়া আবূ ইয়ালা হা/৩৩৯১। হাদীসটির শাওয়াহিদ বর্ণনা আছে। তন্মধ্যে আবূ সাঈদ খুদরী হতে এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আহমাদ হা/১১৬৭৩

৩৫

হাসান লিগাইরিহি

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন : আমার আকাঙ্খা হয়, যদি আমার ভাইদের সাথে অমার সাক্ষ্য হতো! তখন নাবী (সাঃ)-এর সাহাবীগণ বলেন : আমরা কি আপনার ভাই নই? তিনি (সাঃ) বললেন : “তোমরা তো আমার সাহাবী। আমার ভাই হলো তারা, যারা আমাকে না দেখে আমার উপর ঈমান আনবে।”
আহমাদ হা/১২৫৭৯, আবূ ইয়ালা হা/৩৩৯০, ত্বাবারানী আওসাত হা/৫৪৯০। শু’আইব আরনাউত্ব বলেন : সানাদ দুর্বল, তবে হাদীসটি হাসান লিগাইরিহি। এর শাহেদ হাদীস রয়েছে।

৩৬

সহিহ হাদিস

বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ

একদা কিছু লোক “আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-এর সামনে মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর সাহাবীদের ঈমান সম্পর্কে আলোচনা করলো তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেন, যারা রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)- কে দেখেছেন তাদের সামনে তাঁর সত্যতা একেবারেই সুস্পষ্ট ছিল। সেই সত্তার শপথ যিনি ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই। সবচেয়ে উত্তম ঈমান হলো ঐ ব্যক্তির যে না দেখে ঈমান এনেছে। অতঃপর এর প্রমাণে তিনি এ আয়াত পড়লেন : “আলিফ, লাম-মীম, এটা এমন কিতাব যাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। মুত্তাকীনদের জন্য হিদায়াত স্বরূপ, যারা গায়েবের প্রতি ঈমান রাখে।”
মুস্তাদরাক হাকিম হা/২৯৮৮। ইমাম হাকিম বলেন : এই হাদীস বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ। ইমাম যাহাবী তার সাথে একমত পোষণ করেছেন

৩৩

হাসান হাদিস

আবূ ‘আবদুল রহমান জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা আমরা রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর নিকট বসা ছিলাম। এমন সময় দুইজন আরোহীকে আসতে দেখা গেলো। রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) তাদেরকে দেখে বললেন, এদেরকে কিন্দা ও মাযহিজ গোত্রের মনে হচ্ছে। অতঃপর তারা রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলো, তখন তাদের সাথে মাযহিজ গোত্রের কিছু লোকও ছিল।
বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর দুই আগুন্তুকের মধ্যকার একজন বাই’আত গ্রহণের জন্য রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর নিকটবর্তী হলো। যখন তিনি তাঁর (সাঃ) হাত নিজের হাতে নিলেন তখন বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! যে ব্যক্তি আপনার সাথে সাক্ষ্যৎ করলো এবং আপনার উপর ঈমান আনলো, আপনাকে সত্য বলে মানলো এবং আপনার অনুসরণ করলো সে কি পাবে? তিনি (সাঃ) বললেন : তার জন্য সুসংবাদ (মোবারকবাদ)। অতঃপর লোকটি তাঁর হাতের উপর হাত বুলিয়ে বাই’আত গ্রহণ করে চলে গেলো।
অতঃপর দ্বিতীয় ব্যক্তি অগ্রসর হলো। সেও বাই’আত গ্রহণের জন্য রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর হাত নিজের হাতে রেখে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! যে ব্যক্তি আপনাকে না দেখে আপনার উপর ঈমান আনলো, আপনাকে সত্য বলে মানলো এবং আপনার অনুসরণ করলো সে কি পাবে? তিনি (সাঃ) বললেন : তার জন্য সুসংবাদ, তার জন্য সুসংবাদ, তার জন্য সুসংবাদ। অতঃপর এ লোকটিও তাঁর হাতের উপর নিজের হাত বুলিয়ে বাই’আত গ্রহণ করে চলে গেলো। [১]
[১] সানাদ হাসান :আহমাদ হা/ ১৭৩৮৮- হাদীসের শব্দাবলী তার- তাহক্বীক্ব শু’আইব আরনাউত্ব : সানাদ হাসান।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন