hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হাদিস সম্ভার

১১. জানাযা অধ্যায়

جمع الحديث

/৩৩ পরিচ্ছেদঃ চাশ্‌তের নামাযের ফযীলত
এর ন্যূনতম, অধিকতম ও মধ্যম রাকআত সংখ্যার উল্লেখ তথা অব্যাহতভাবে এটি পড়ার প্রতি উৎসাহ দান

১৩৮২

সহিহ হাদিস

বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ

একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সাহাবাদের এক ব্যক্তির জানাযায় বের হয়ে কবর খুঁড়তে দেরী হচ্ছিল বলে সেখানে বসে গেলেন। তাঁর আশে-পাশে সকল সাহাবাগণও নিশ্চুপ, ধীর ও শান্তভাবে বসে গেলেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর হাতে একটি কাঠের টুকরা ছিল যার দ্বারা তিনি (চিন্তিত ব্যক্তিদের ন্যায়) মাটিতে দাগ কাটছিলেন। অতঃপর তিনি মাথা উঠালেন এবং বললেন, “তোমরা আল্লাহ্‌র নিকট কবরের আযাব হতে পানাহ্ চাও।” তিনি এ কথা দুই কি তিনবার বললেন। তারপর বললেন, মুমিন বান্দা যখন দুনিয়াকে ত্যাগ করতে এবং আখেরাতের দিকে অগ্রসর হতে থাকে, তখন তার নিকট আসমান হতে উজ্জ্বল চেহারাবিশিষ্ট একদল ফিরিশতা আসেন; যাদের চেহারা যেন সূর্যস্বরূপ। তাদের সাথে বেহেশ্তের কাফনসমূহের একটি কাফন (কাপড়) থাকে এবং জান্নাতের খোশবুসমূহের এক রকম খোশবু থাকে। তাঁরা তার নিকট হতে দৃষ্টি-সীমার দূরে বসেন। অতঃপর মালাকুল মউত তার নিকটে আসেন এবং তার মাথার নিকটে বসে বলেন ঃ ‘হে পবিত্র রূহ (আত্মা)! বের হয়ে এস আল্লাহর ক্ষমা ও সন্তোষের দিকে।’
তখন তার রূহ সেই রকম (সহজে) বের হয়ে আসে; যে রকম (সহজে) মশক হতে পানি বের হয়ে আসে। তখন মালাকুল মাওত তা গ্রহণ করেন এবং এক মুহূর্তের জন্যও নিজের হাতে রাখেন না বরং ঐ সকল অপেক্ষমাণ ফিরিশতা এসে তা গ্রহণ করেন এবং ঐ কাফন ও ঐ খোশবুতে রাখেন। তখন তা হতে পৃথিবীতে প্রাপ্ত সমস্ত খোশবু অপেক্ষা উত্তম মিশ্কের খোশবু বের হতে থাকে।
তা নিয়ে ফিরিশতাগণ উপরে উঠতে থাকেন এবং যখনই তাঁরা ফিরিশতাদের মধ্যে কোন ফিরিশতাদলের নিকট পৌঁছেন তাঁরা জিজ্ঞাসা করেন, ‘এই পবিত্র রূহ (আত্মা) কার?’ তখন তাঁরা দুনিয়াতে তাকে লোকেরা যে সকল উপাধি দ্বারা ভূষিত করত, সে সকলের মধ্যে উত্তম উপাধি দ্বারা ভূষিত ক’রে বলেন, ‘এটা অমুকের পুত্র অমুকের রূহ।’
যতক্ষণ তারা প্রথম আসমান পর্যন্ত পৌঁছেন (এইরূপ প্রশ্নোত্তর চলতে থাকে।) অতঃপর তাঁরা আসমানের দরজা খুলতে চান, আর অমনি তাঁদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হয়। তখন প্রত্যেক আসমানের সম্মানিত ফিরিশতাগণ তাঁদের পশ্চাদ্গামী হন তার উপরের আসমান পর্যন্ত। এভাবে তাঁরা সপ্তম আসমান পর্যন্ত পৌঁছেন। এ সময় আল্লাহ তা’আলা বলেন, “আমার বান্দার ঠিকানা ‘ইল্লিয়্যীন’-এ লিখ এবং তাকে (তার কবরে) জমিনে ফিরিয়ে নিয়ে যাও। কেননা, আমি তাদেরকে জমিন হতে সৃষ্টি করেছি এবং জমিনের দিকেই তাদেরকে প্রত্যাবর্তিত করব। অতঃপর জমিন হতে আমি তাদেরকে পুনরায় বের করব (হাশরের মাঠে।)” সুতরাং তার রূহ্ তার শরীরে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
অতঃপর তার নিকট দুইজন ফিরিশতা আসেন এবং তাকে উঠিয়ে বসান। তারপর তাঁরা তাকে জিজ্ঞাসা করে, ‘তোমার রব কে?’ তখন উত্তরে সে বলে, ‘আমার রব আল্লাহ।’ অতঃপর জিজ্ঞাসা করেন, ‘তোমার দ্বীন কী?’ তখন সে বলে, ‘আমার দ্বীন হল ইসলাম।’ আবার তাঁরা তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তোমাদের মাঝে যিনি প্রেরিত হয়েছিলেন তিনি কে?’ সে উত্তরে বলে, ‘তিনি হলেন আল্লাহর রসূল।’ পুনরায় তাঁরা তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তুমি তা কি ক’রে জানতে পারলে?’ সে বলে, ‘আমি আল্লাহর কিতাব পড়েছিলাম। অতঃপর তাঁর প্রতি ঈমান এনেছিলাম এবং তাঁকে সত্যবাদী বলে বিশ্বাস করেছিলাম।’ তখন আসমানের দিক হতে এক শব্দকারী শব্দ করেন, “আমার বান্দা সত্য বলেছে। সুতরাং তার জন্য জান্নাতের একটি বিছানা বিছিয়ে দাও এবং তাকে জান্নাতেরএকটি লেবাস পরিয়ে দাও। এ ছাড়া তার জন্য জান্নাতের দিকে একটি দরজা খুলে দাও!”
তখন তার প্রতি জান্নাতের সুখ-শান্তি ও জান্নাতের খোশবু আসতে থাকে এবং তার জন্য তার কবর দৃষ্টিসীমা বরাবর প্রশস্ত ক’রে দেওয়া হয়।
অতঃপর তার নিকট এক সুন্দর চেহারাবিশিষ্ট সুবেশী ও সুগন্ধিযুক্ত ব্যক্তি আসে এবং তাকে বলে, ‘তোমাকে সন্তুষ্ট করবে এমন জিনিসের সুসংবাদ গ্রহণ কর। এই দিবসেরই তোমাকে ওয়াদা দেওয়া হয়েছিল।’ তখন সে তাকে জিজ্ঞাসা করবে, ‘তুমি কে? তোমার চেহারা তো দেখবার মত চেহারা! তা যেন কল্যাণের বার্তা বহন করে।’ তখন সে বলে, ‘আমি তোমার নেক আমল; যা তুমি দুনিয়াতে করতে।’ তখন এ বলে, ‘হে আল্লাহ! তাড়াতাড়ি কিয়ামত কায়েম কর! যাতে আমি আমার পরিবার ও সম্পদের দিকে ফিরে যেতে পারি। (অর্থাৎ হুর, গিলমান ও বেহেশ্তী সম্পদ তাড়াতাড়ি পেতে পারি)।’
কিন্তু কাফের বান্দা, যখন সে দুনিয়া ত্যাগ করতে ও আখেরাতের দিকে অগ্রসর হতে থাকে, তখন তার নিকট আসমান হতে একদল কালো চেহারাবিশিষ্ট ফিরিশতা অবতীর্ণ হন। যাঁদের সাথে শক্ত চট থাকে। তাঁরা তার নিকট হতে দৃষ্টির সীমার দূরে বসেন। অতঃপর মালাকুল-মাওত আসেন এবং তার মাথার নিকটে বসেন। অতঃপর বলেন, ‘হে খবীস রূহ্ (আত্মা)! বের হয়ে আয় আল্লাহর রোষের দিকে।’
এ সময় রূহ্ ভয়ে তার শরীরে এদিক-সেদিক পালাতে থাকে। তখন মালাকুল মাওত তাকে এমনভাবে টেনে বের করেন, যেমন লোহার গরম শলাকা ভিজে পশম হতে টেনে বের করা হয়। (আর তাতে পশম লেগে থাকে।) তখন তিনি তা গ্রহণ করেন। কিন্তু যখন গ্রহণ করেন মুহূর্তকালের জন্যও নিজের হাতে রাখেন না। বরং তা অপেক্ষমাণ ফিরিশতাগণ তাড়াতাড়ি সেই আত্মাকে দুর্গন্ধময় চটে জড়িয়ে নেন। তখন তা হতে এমন দুর্গন্ধ বের হতে থাকে, যা পৃথিবীতে প্রাপ্ত সমস্ত গলিত শবদেহের দুর্গন্ধ অপেক্ষা বেশী। তা নিয়ে তাঁরা উঠতে থাকেন। কিন্তু যখনই তাঁরা তা নিয়ে ফিরিশতাদের কোন দলের নিকট পৌঁছেন তাঁরা জিজ্ঞাসা করেন, ‘এই খবীস রূহ্ কার?’ তখন তাঁরা তাকে দুনিয়াতে যে সকল মন্দ উপাধি দ্বারা ভূষিত করা হত তার মধ্যে সর্বাপেক্ষা মন্দ নামটি দ্বারা ভূষিত ক’রে বলেন, ‘অমুকের পুত্র অমুকের।’
এইভাবে তাকে প্রথম আসমান পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। অতঃপর তার জন্য আসমানের দরজা খুলে দিতে চাওয়া হয়; কিন্তু খুলে দেওয়া হয় না। এ সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সমর্থনে কুরআনের আয়াতটি পাঠ করলেন,

إِنَّ الَّذِيْنَ كَذَّبُوْا بِآيَاتِنَا وَاسْتَكْبَرُوْا عَنْهَا لاَ تُفَتَّحُ لَهُمْ أَبْوَابُ السَّمَآءِ وَلاَ يَدْخُلُوْنَ الْجَنَّةَ حَتَّى يَلِجَ الْجَمَلُ فِي سَمِّ الْخِيَاطِ وَكَذٰلِكَ نَجْزِي الْمُجْرِمِيْنَ

অর্থাৎ, অবশ্যই যারা আমার নিদর্শনাবলীকে মিথ্যা বলে এবং অহংকারে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাদের জন্য আকাশের দ্বার উন্মুক্ত করা হবে না এবং তারা জান্নাতের প্রবেশ করতে পারবে না; যতক্ষণ না সূচের ছিদ্রপথে উট প্রবেশ করে। এরূপে আমি অপরাধীদেরকে প্রতিফল দিয়ে থাকি। (আ’রাফ ঃ ৪০)
তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, “তার ঠিকানা ‘সিজ্জীন’-এ লিখ; জমিনের সর্বনিম্ন স্তরে। সুতরাং তার রূহকে জমিনে খুব জোরে নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সমর্থনে এই আয়াতটি পাঠ করলেন,

وَمَن يُّشْرِكْ بِاللهِ فَكَأَنَّمَا خَرَّ مِنَ السَّمَآءِ فَتَخْطَفُهُ الطَّيْرُ أَوْ تَهْوِي بِهِ الرِّيحُ فِي مَكَانٍ سَحِيقٍ

অর্থাৎ, যে আল্লাহর সাথে শরীক করেছে, সে যেন আকাশ হতে পড়েছে, অতঃপর পাখী তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেছে অথবা ঝঞ্চা তাকে বহু দূরে নিক্ষিপ্ত করেছে। (হাজ্জ ঃ ৩১)
সুতরাং তার রূহ্ তার দেহে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তখন তার নিকট দুইজন ফিরিশতা আসেন এবং তাকে উঠিয়ে বসান। অতঃপর তাঁরা তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তোমার পরওয়ারদেগার কে?’ সে বলে, ‘হায়, হায়, আমি তো জানি না।’ অতঃপর জিজ্ঞাসা করেন, ‘তোমার দ্বীন কী?’ সে বলে, ‘হায়, হায়, আমি তো জানি না।’ তারপর জিজ্ঞাসা করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যিনি প্রেরিত হয়েছিলেন, তিনি কে?’ সে বলে, ‘হায়, হায় আমি তাও তো জানি না।’
এ সময় আকাশের দিক হতে আকাশ বাণী হয় (এক ঘোষণাকারী ঘোষণা করেন), ‘সে মিথ্যা বলেছে। সুতরাং তার জন্য দোযখের বিছানা বিছিয়ে দাও এবং দোযখের দিকে একটি দরজা খুলে দাও।
সুতরাং তার দিকে দোযখের উত্তাপ ও লু আসতে থাকে এবং তার কবর তার প্রতি এত সংকুচিত হয়ে যায়; যাতে তার এক দিকের পাঁজরের হাড় অপর দিকে ঢুকে যায়। এ সময় তার নিকট একটা অতি কুৎসিত চেহারাবিশিষ্ট নোংরাবেশী দুর্গন্ধযুক্ত লোক আসে এবং বলে, ‘তোমাকে দুঃখিত করবে এমন জিনিসের দুঃসংবাদ গ্রহণ কর! এই দিবস সম্পর্কেই (দুনিয়াতে) তোমাকে ওয়াদা দেওয়া হত।’ তখন সে জিজ্ঞাসা করে, ‘তুমি কে? কি কুৎসিত তোমার চেহারা; যা মন্দ সংবাদ বহন করে!’ সে বলে, ‘আমি তোমার সেই বদ আমল; যা তুমি দুনিয়াতে করতে।’ তখন সে বলে, ‘আল্লাহ! কিয়ামত কায়েম করো না। (নচেৎ তখন আমার উপায় থাকবে না।) (আহমাদ ৪/২৮৭-২৮৮, আবুদাউদ ৪৭৫৩)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন