‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমাদের কেউ হায়য অবস্থায় থাকলে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাথে মিশামিশি করতে চাইলে তাকে প্রবল হায়যে ইযার পরার নির্দেশ দিতেন। তারপর তার সাথে মিশামিশি করতেন। তিনি [‘আয়িশাহ (রাঃ)] বলেনঃ তোমাদের মধ্যে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মত কাম-প্রবৃত্তি দমন করার শক্তি রাখে কে?
(বুখারী পর্ব ৬ : /৫ হাঃ ৩০২, মুসলিম ৩/১, হাঃ ২৯৩)

মায়মূনাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলাল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কোন স্ত্রীর সাথে হায়য অবস্থায় মিশামিশি করতে চাইলে তাকে ইযার পরতে বলতেন। শায়বনী(রহ.) হতে সুফিয়ান (রহ.) এ বর্ণনা করেছেন।
(বুখারী পর্ব ৬ : /৫ হাঃ ৩০৩, মুসলিম ৩/১, হাঃ ২৯৪)

উম্মু সালামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে একই চাদরের নীচে শুয়ে ছিলাম। হঠাৎ আমার হায়য দেখা দিলে আমি চুপি চুপি বেরিয়ে গিয়ে হায়যের কাপড় পরে নিলাম। তিনি বললেনঃ তোমার কি নিফাস দেখা দিয়েছে? আমি বললাম, ‘হাঁ’। তখন তিনি আমাকে ডাকলেন। আমি তাঁর সঙ্গে চাদরের ভেতর শুয়ে পড়লাম।
(বুখারী পর্ব ৬ : /২২ হাঃ ২৯৮, মুসলিম ৩/২, হাঃ ২৯৬)

উম্মু সালামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ ........ আমি ও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই পাত্র হতে পানি নিয়ে জানাবাতের গোসল করতাম।
(বুখারী পর্ব ৬ : /২১ হাঃ ৩২২, মুসলিম ৩/২, হাঃ ২৯৬)

নবী সহধর্মিণী ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাসজিদে থাকাবস্থায় আমার দিকে মাথা বাড়িয়ে দিতেন আর আমি তা আঁচড়িয়ে দিতাম এবং তিনি যখন ই‘তিকাফে থাকতেন তখন (প্রাকৃতিক) প্রয়োজন ব্যতীত ঘরে প্রবেশ করতেন না।
(বুখারী পর্ব ৩০ : /৩ হাঃ ২৪৮, মুসলিম ৩/৯ হাঃ ৩১৬)

‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার হায়য অবস্থায় আমার সাথে মিশামিশি করতেন। আর তিনি ই‘তিকাফরত অবস্থায় মাসজিদ হতে তাঁর মাথা বের করে দিতেন, আমি ঋতুবতী অবস্থায় তা ধুয়ে দিতাম।
(বুখারী পর্ব ৩৩ : /৪ হাঃ ৩০১, মুসলিম ৩/ হাঃ ৩১৬)

‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার কোলে হেলান দিয়ে কুরআন তিলাওয়াত করতেন। আর তখন আমি ঋতুবতী ছিলাম।
(বুখারী পর্ব ৬ : /৩ হাঃ ২৯৭, মুসলিম ৩/৩, হাঃ ৩০১)

মুহাম্মদ ইব্‌নুল হানফিয়্যাহ (রহ.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ ‘আলী (রাঃ) বলেছেন, আমার অধিক পরিমাণে মযী বের হতো। কিন্তু আমি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে লজ্জাবোধ করছিলাম। তাই আমি মিকদাদ ইব্‌নু আসওয়াদ (রাঃ)-কে অনুরোধ করলাম, তিনি যেন আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট জিজ্ঞেস করেন। তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বলেনঃ এতে শুধু উযূ করতে হয়। (বুখারী পর্ব ৪ : /৩৪ হাঃ ১৭৮, মুসলিম ৩/৪ হাঃ ৩০৩)

---

‘আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমার অধিক পরিমাণে মযী বের হতো। কিন্তু আমি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে লজ্জাবোধ করছিলাম। তাই আমি মিকদাদ ইব্‌নু আসওয়াদ (রাঃ)-কে অনুরোধ করলাম, তিনি যেন আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট জিজ্ঞেস করেন। তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বলেনঃ এতে শুধু উযূ করতে হয়।
(বুখারী পর্ব ৪ : /৩৪ হাঃ ১৭৮, মুসলিম ৩/৪ হাঃ ৩০৩)