hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী

. কিতাবুল ইলম

مختصر صحيح البخاري

/৩৪ পরিচ্ছেদঃ ঈমান, ইসলাম ও ইহসান সম্পর্কে জিবরীলের প্রশ্ন

১০২

সহিহ হাদিস
عَنْ أُتِيِّ بنِ كَعْبٍ رَضِي اللَّه عنه ، عَنِ النَّبِيِّ (ﷺ) : قَامَ مُوسَى النَّبِيُّ (ﷺ) خَطِيبًا فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ فَسُئِلَ : أَيُّ النَّاسِ أَعْلَمُ ؟ فَقَالَ: أَنَا أَعْلَمُ، فَعَتَبَ اللهُ عَلَيْهِ، إِذْ لَمْ يَرُدَّ العِلْمَ إِلَى اللهِ، فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ : إِنَّ عَبْدًا مِنْ عِبَادِي بِمَجْمَعِ الْبَحْرَيْنِ، هُوَ أَعْلَمُ مِنْكَ. قَالَ: يَا رَبِّ، وَكَيْفَ بِهِ؟ فَقِيلَ لَهُ : أَحْمِلْ حُونًا فِي مِكْتَلٍ، فَإِذَا فَقَدْتَهُ فَهُوَ ثَمَّ ، فَانْطَلَقَ وَانْطَلَقَ بِفَتَاهُ يُوشَعَ بُنِ نُونٍ، وَحَمَلَا حُونًا فِي مِكْتَلٍ، حَتَّى كَانَا عِنْدَ الصَّخْرَةِ وَضَعَا رُؤْسَهُمَا وَنَامَا، فَانْسَلَّ الْحُوتُ مِنَ الْمِكْتَلِ فَاتَّخَذَ سَبِيلَهُ فِي الْبَحْرِ سَرَبًا، وَكَانَ لِمُوسَى وَفَتَاهُ عَجَبًا، فَانْطَلَقَا بَقِيَّةَ لَيْلَتِهِمَا وَيَوْمَهُمَا ، فَلَمَّا أَصْبَحَ قَالَ مُوسَى لِفَتاهُ: آتِنَا غَدَاءَنَا، لَقَدْ لَقِينَا مِنْ سَفَرِنَا هَذَا نَصَبا . وَلَمْ يَجِدْ مُوسَى مَسَّا مِنَ النَّصَبِ حَتَّى جَاوَزَ المَكَانَ الَّذِي أُمِرَ بِهِ، فَقَالَ لَهُ فَتَاهُ: أَرَأَيْتَ إِذْ أَوَيْنَا إِلَى الصَّخْرَةِ؟ فَإِنِّي نَسِيتُ الْحُوتَ، قَالَ مُوسَى : ذَلِكَ مَا كُنَّا نَبْغِي فَارْتَدَّا عَلَى آثَارِهِمَا قَصَصًا، فَلَمَّا انْتَهَيَا إِلَى الصَّخْرَةِ، إِذَا رَجُلٌ مُسَجِّى بِثَوْبٍ، أَوْ قَالَ تَسَجَّى بِثَوْبِهِ، فَسَلَّمَ مُوسَى، فَقَالَ الْخَضِرُ : وَأَنَّى بِأَرْضِكَ السَّلَامُ؟ فَقَالَ : أَنَا مُوسَى، فَقَالَ : مُوسَى بَنِي إِسْرَائِيلَ؟ قَالَ : نَعَمْ، قَالَ : هَلْ أَتَّبِعُكَ عَلَى أَنْ تُعَلِّمَنِي مِمَّا عُلِّمْتَ رُشْدًا؟ قَالَ : إِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيعَ مَعِي صَبْرًا، يَا مُوسَى، إِنِّي عَلَى عِلم مِنْ عِلم اللَّهِ عَلَّمَنِيهِ لاَ تَعْلَمُهُ أَنْتَ ، وَأَنْتَ عَلَى عِلْمٍ عَلَّمَكَهُ الله لَا أَعْلَمُهُ قَالَ: سَتَجِدُنِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ صَابِرًا، وَلاَ أَعْصِي لَكَ أَمْرًا فَانْطَلَقَا يَمْشِيَانِ عَلَى سَاحِلِ الْبَحْرِ، لَيْسَ لَهُمَا سَفِينَةٌ ، فَمَرَّتْ بِهِمَا سَفِينَةٌ، فَكَلَّمُوهُمْ أَنْ يَحْمِلُوهُمَا، فَعُرِفَ الْخَضِرُ، فَحَمَلُوهُمَا بِغَيْرِ نَوْلٍ، فَجَاءَ عُصْفُورٌ، فَوَقَعَ عَلَى حَرْفِ السَّفِينَةِ، فَنَقَرَ نَفْرَةٌ أَوْ نَقْرَتَيْنِ فِي الْبَحْرِ، فَقَالَ الْخَضِرُ : يَا مُوسَى مَا نَقَصَ عِلْمِي وَعِلْمُكَ مِنْ عِلْمٍ اللَّهِ إِلَّا كَنَقْرَةِ هذَا العُصْفُورِ فِي الْبَحْرِ، فَعَمَدَ الْخَضِرُ إِلَى لَوْحٍ مِنْ أَلْوَاحِ السَّفِينَةِ فَنَزَعَهُ، فَقَالَ مُوسَى : قَوْمٌ حَمَلُونَا بِغَيْرِ نَوْلٍ، عَمَدْتَ إِلَى سَفِينَتِهِمْ فَخَرَقْتَهَا لِتُغْرِقَ أَهْلَهَا؟ قَالَ : أَلَمْ أَقُلْ إِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيعَ مَعِي صَبْرًا ؟ قَالَ : لَا تُؤَاخِذْنِي بِمَا نَسِيتُ وَلَا تُرْهِقْنِي مِنْ أَمْرِي عُسْرًا - فَكَانَتِ الأُولَى مِنْ مُوسَى نِسْيانًا فَانْطَلَقَا . فَإِذَا غُلامٌ يَلْعَبُ مَعَ الْغِلْمَانِ، فَأَخَذَ الْخَضِرُ برَأْسِهِ مِنْ أَعْلاهُ فَاقْتَلَعَ رَأْسَهُ بِيَدِهِ، فَقَالَ مُوسَى : أَقَتَلْتَ نَفْسًا زَكِيةٌ بِغَيْرِ نَفْسٍ؟ قال : أَلَمْ أَقُلْ لَكَ إِنَّكَ لَنْ سْتَطِيعَ مَعِيَ صَبْرًا؟ - فَانْطَلَقَا ، فَانْطَلَقَا ، حَتَّى إِذَا أَتَيَا أَهْلَ قَرْيَةٍ أَسْتَطْعَمَا أَهْلَهَا، فَأَبَوْا أَنْ يُضَيِّفُوهُمَا، فَوَجَدَا فِيهَا جِدَارًا يُرِيدُ أَنْ يَنْقَضَ ، قَالَ الْخَضِرُ بِيَدِهِ فَأَقَامَهُ، فَقَالَ مُوسَى : لَوْ شِئْتَ لاَ تَّخَذْتَ عَلَيْهِ أَجْرًا ، قَالَ : هَذَا فِرَاقُ بَيْنِي وَبَيْنكَ). قَالَ النَّبِيُّ (ﷺ) : (يَرْحَمُ اللَّهُ مُوسَى، لَوَدِدْنَا لَوْ صَبَرَ حَتَّى يُقَصَّ عَلَيْنَا مِنْ أَمْرهِمَا.

উবাই ইবনে কা'ব থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ একদা মূসা (আঃ) বনী ইসরাঈলের এক সভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হলঃ বর্তমানে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে অধিক জ্ঞানী কে? (মূসা (আঃ) এর জানা মতে তাঁর চেয়ে অধিক জ্ঞানী ব্যক্তি আর কেউ ছিলনা) তাই তিনি বললেনঃ আমিই বর্তমানে সকলের চেয়ে অধিক জ্ঞানী। আল্লাহ তাআলা তাঁর এই কথাকে অপছল করলেন। কারণ তিনি এ কথা বলেন নি যে, আল্লাহই ভাল জানেন কে অধিক জ্ঞানী। আল্লাহ বললেনঃ হে মূসা! দুই সাগরের মিলনস্থলে অবস্থানকারী আমার এক বান্দা তোমার চেয়ে অধিক জ্ঞানী। মূসা বললেনঃ হে আমার প্রতিপালক! কিভাবে আমি তাঁর কাছে যেতে পারবো? আল্লাহ্ তাআলা বললেনঃ থলের মধ্যে একটি মাছ নিয়ে ভ্রমণ শুরু কর। যেখানে পৌঁছে মাছটি হারিয়ে যাবে সেখানে তাঁর সন্ধান পাবে। আল্লাহর কথা অনুযায়ী মূসা (আঃ) থলের ভিতর একটি (ভাজা) মাছ নিয়ে বের হলেন। সাথে ছিল তাঁর খাদেম ইউসা ইবনে নূন। পথিমধ্যে একটি পাথরের উপর মাথা রেখে তারা ঘুমিয়ে পড়লেন। হঠাৎ মাছটি লাফিয়ে উঠল এবং থলের ভিতর থেকে বের হয়ে সমুদ্রে চলে গেল। মাছটি সমুদ্রের যে পথ দিয়ে চলে গেল আল্লাহ তাআলা সে পথে পানির স্রোত বন্ধ করে দিলেন। ফলে সেখানে পানির মধ্যে একটি সুড়ঙ্গের মত হয়ে গেল।

(ইউশা ইবনে নূন এই আশ্চর্যজনক ঘটনা দেখছিলেন। মূসা (আঃ) তখন ঘুমন্ত ছিলেন। জাগ্রত হলে ইউশা ইবনে নূন এই ঘটনা মূসাকে বলতে ভুলে গেলেন) তাঁরা সেখান থেকে পুনরায় রওয়ানা হলেন। পূর্ণ একদিন একরাত সফর করার পর সকাল বেলা মূসা (আঃ) তাঁর সঙ্গীকে বললেনঃ আমাদের নাস্তা আন। এই সফরে যথেষ্ট ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। যে স্থানে যাওয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে সে স্থান অতিক্রম করার পূর্বে মূসা (আঃ) ক্লান্তি বোধ করেন নি। (নাস্তা চাওয়ার পর ইউশা ইবনে নূন মাছের ঘটনা স্বরণ করলেন) তিনি বললেনঃ আমরা যে পাথরের উপর মাথা রেখে ঘুমিয়েছিলাম, সেখানে মাছটি আশ্চর্যজনকভাবে সমুদ্রে চলে গেছে। আর আমি আপনাকে এই সংবাদটি দিতে ভুলে গিয়েছি। শয়তানই আমাকে আপনাকে বলতে ভুলিয়ে দিয়েছে। মাছটি চলে যাওয়ার পথে একটি ছিদ্র ছিল এবং মুসা (আঃ) এবং ইউসা ইবনে নূনের জন্য ছিল এটি একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা।

তখন মূসা (আঃ) বললেনঃ সে স্থানটিই তো আমাদের লক্ষ্য ছিল। তখন তাঁরা ফিরে চললেন এবং স্থানটি পাওয়ার জন্যে পূর্বের পথ ধরেই অগ্রসর হতে লাগলেন। প্রস্তর খণ্ডের নিকট পৌঁছে দেখলেন, একজন লোক আপাদমস্তক চাদরে আবৃত হয়ে শুয়ে আছেন। মূসা (আঃ) তাঁকে সালাম দিলেন। খিযির (আঃ) সালামের উত্তর দিলেন এবং বললেনঃ এই জনমানবহীন প্রান্তরে সালাম কোথা থেকে এল? মূসা (আঃ) বললেনঃ আমি মূসা। খিযির প্রশ্ন করলেনঃ বনী ইসরাঈলের মূসা? তিনি জবাব দিলেনঃ হ্যাঁ, আমি বনী ইসরাঈলের মূসা। আল্লাহ্ আপনাকে যেই জ্ঞান শিখিয়েছেন, তা থেকে কিছু শেখার জন্য আমি আপনার কাছে এসেছি।

খিযির (আঃ) বললেনঃ হে মূসা! আল্লাহ তাআলা আমাকে এমন জ্ঞান দিয়েছেন, যা আপনার কাছে নেই। পক্ষান্তরে আপনাকে এমন জ্ঞান দিয়েছেন যা আমি জানিনা। মূসা (আঃ) বললেনঃ আমি কি আপনার কাছ থেকে তা শেখার জন্য আপনার সাথে চলতে পারি? খিযির (আঃ) বললেনঃ আপনি আমার সাথে কিছুতেই ধৈর্যধারণ করে থাকতে পারবেন না। যে বিষয় বুঝা আপনার আয়ত্তাধীন নয়, তা দেখে আপনি ধৈর্যধারণ করবেন কেমন করে? মূসা বললেনঃ আল্লাহ্ চাহেন তো আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন এবং আমি আপনার কোন আদেশ অমান্য করবোনা। কোন কাজে আমি আপনার বিরোধিতা করবোনা। খিযির (আঃ) বললেনঃ আপনি যদি আমার সাথে থাকতে চান, তবে কোন বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করবেন না, যে পর্যন্ত না আমি নিজে তা আপনার কাছে ব্যক্ত করি।

এ কথা বলার পর উভয়ে সমুদ্রের কুল ধরে চলতে থাকলেন। ঘটনাক্রমে একটি নৌকা এসে সাগরের তীরে থামল। তাঁরা নৌকায় আরোহনের ব্যাপারে কথা বললেন। মাঝিরা খিযিরকে চিনে ফেলল এবং কোন রকম পারিশ্রমিক ছাড়াই তাঁদেরকে নৌকায় তুলে নিল। তারা যখন নৌকায় আরোহন করলেন তখন একটি চড়ুই পাখি এসে নৌকার কিনারায় বসল এবং সাগর থেকে এক ঠোকর বা দুই ঠোকর পানি পান করল। খিযির (আঃ) বললেনঃ এই পাখিটি তার ঠোঁট দিয়ে বিশাল সাগর থেকে যে পরিমাণ পানি পান করেছে আমি এবং আপনি আল্লাহর জ্ঞানের সমুদ্র থেকে ঠিক ততটুকু জ্ঞানই অর্জন করেছি। নৌকায় উঠেই খিযির কুড়ালের সাহায্যে নৌকার একটি তক্তা তুলে ফেললেন। এতে মূসা স্থির থাকতে পারলেন না। তিনি বললেনঃ আপনি কি করলেন? তারা আমাদেরকে বিনা ভাড়ায় (পয়সায়) নৌকায় তুলে নিয়েছে আর আপনি তাদের নৌকা ভেঙ্গে দিলেন, যাতে সবাই ডুবে যায়। আপনি অতি মন্দ কাজ করলেন। খিযির বললেনঃ আমি কি পূর্বেই আপনাকে বলি নি যে, আপনি আমার সাথে ধৈর্য ধারণ করতে পারবেন না? তখন মূসা (আঃ) যুক্তি পেশ করে বললেনঃ আমার ভুলের কারণে আপনি আমাকে দোষারোপ করবেন না। আমার প্রতি কঠোরতা প্রদর্শন করবেন না। প্রথম সমস্যাটি হয়েছিল মূসা (আঃ) এর ভুলের কারণে।

তাঁরা নৌকা থেকে নেমে সমুদ্রের কুল ধরে চলতে লাগলেন। হঠাৎ খিযির একটি বালককে অন্যান্য বালকের সাথে খেলা করতে দেখলেন। খিযির স্ব-হস্তে বালকটির মস্তক তার দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেললেন। মূসা (আঃ) বললেনঃ আপনি একটি নিষ্পাপ প্রাণকে বিনা অপরাধে হত্যা করেছেন। আপনি নিঃসন্দেহে একটি অপছন্দনীয় কাজ করেছেন। খিযির বললেনঃ আমি পূর্বেই বলেছিলামঃ আপনি ধৈর্য ধারণ করতে পারবেন না। (মূসা (আঃ) দেখলেন, এব্যাপারটি পূর্বাপেক্ষা গুরুতর) তাই বললেনঃ এরপর যদি কোন প্রশ্ন করি, তবে আপনি আমাকে পৃথক করে দিবেন। আমার আপত্তি চূড়ান্ত হয়ে গেছে।

অতঃপর তাঁরা আবার চলতে লাগলেন। এক গ্রামের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁরা গ্রামবাসীর কাছে খাবার চাইলেন। ওরা মেহমানদারী করতে সোজা অস্বীকার করল। খিযির এই গ্রামে একটি পুরাতন প্রাচীর দেখলেন, যা উল্টে পড়ার উপক্রম হয়ে গিয়েছিল। তিনি নিজ হাতে প্রাচীরটিকে সোজা করে দিলেন। মূসা (আঃ) বললেনঃ আমরা তাদের কাছে খাবার চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করল। অথচ আপনি তাদের বড় একটি কাজ করে দিলেন। ইচ্ছা করলে আপনি এর পারিশ্রমিক তাদের কাছ থেকে আদায় করতে পারতেন। খিযির বললেনঃ এখন শর্ত পূরণ হয়ে গেছে। এটাই আমার ও আপনার মাঝে বিচ্ছেদের সময়। নবী (ﷺ) বললেনঃ আল্লাহ তা'আলা মূসার উপর রহমত নাযিল করুন। আমাদের আকাঙ্খা ছিল, তিনি যদি ধৈর্য ধারণ করে আরো কিছু সময় থাকতে পারতেন, তাহলে তাদের আরও কিছু ঘটনা আল্লাহ আমাদের কাছে বর্ণনা করতেন। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১০৩)
টিকাঃ সূরা কাহাফে ঘটনার বিবরণ এভাবে এসেছে যে, নৌকাটির ব্যাপার, সেটি ছিল কয়েকজন দরিদ্র ব্যক্তির৷ তারা সমুদ্রে জীবিকা অন্বেষণ করত। আমি ইচ্ছা করলাম যে, সেটিকে ত্রুটিযুক্ত করে দেই। তাদের অপরদিকে ছিল এক বাদশাহ। সে বল প্রয়োগে প্রত্যেকটি নৌকা ছিনিয়ে নিত। বালকটির ব্যাপার - তার পিতা-মাতা ছিল ঈমানদার। আমি আশঙ্কা করলাম যে, সে অবাধ্যতা ও কুফর দ্বারা তাদেরকে প্রভাবিত করবে। অতঃপর আমি ইচ্ছা করলাম যে, তাদের প্রতিপালক তাদেরকে তার চাইতে পবিত্রতায় ও ভালবাসায় ঘনিষ্ঠতর একটি শ্রেষ্ঠ সন্তান দান করুক। প্রাচীরের ব্যাপার- সেটি ছিল নগরের দু'জন পিতৃহীন বালকের। এর নীচে ছিল তাদের গুপ্তধন এবং তাদের পিতা ছিল সৎকর্মপরায়ণ। সুতরাং আপনার প্রতিপালক দয়াবশতঃ ইচ্ছা করলেন যে, তারা যৌবনে পদার্পণ করুক এবং নিজেদের গুপ্তধন নিজেরাই উদ্ধার করুক। আমি নিজ মতে এটা করিনি। আপনি যে বিষয়ে ধৈর্যধারণ করতে অক্ষম হয়েছিলেন, এই হল তার ব্যাখ্যা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন