hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী

৪৯. হিবা (দান) করার বর্ণনা

مختصر صحيح البخاري

/ পরিচ্ছেদঃ ইসলামের কোন্ কাজটি উত্তম?

১১৫৮

সহিহ হাদিস
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا : أَنَّ نِسَاءَ رَسُولِ اللهِ (ﷺ) كُنَّ حِزْبَيْنِ : فَحِزْبُ فِيهِ عَائِشَةُ وَحَفْصَةُ وَصَفِيَّةٌ وَسَوْدَةُ، وَالْحِرْبُ الآخَرُ فِيهِ أُمُّ سَلَمَةَ وَسَائِرُ نِسَاءِ رَسُولِ اللهِ (ﷺ) وَكَانَ المُسْلِمُونَ قَدْ عَلِمُوا حُبَّ رَسُولِ اللَّهِ (ﷺ) عَائِشَةَ، فَإِذَا كَانَتْ عِنْدَ أَحَدِهِمْ هَدِيَّةٌ، يُرِيدُ أَنْ يُهْدِيَهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ (ﷺ) أَخَّرَهَا ، حَتَّى إِذَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ) فِي بَيْتِ عَائِشَةَ، بَعَثَ صَاحِبُ الْهَدِيَّةِ بِهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ في بَيْتِ عَائِشَةَ، فَكَلَّمَ حِزْبُ أُمِّ سَلَمَةَ، فَقُلْنَ لَهَا : كَلِّمِي رَسُولَ اللَّهِ (ﷺ) يُكَلِّمُ النَّاسَ، فَيَقُولُ : مَنْ أَرَادَ أَنْ يُهْدِيَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ (ﷺ) هَدِيَّةٌ، فَلْيُهْدِهَا إِلَيْهِ حَيْثُ كَانَ مِنْ نِسَائِهِ ، فَكَلَّمَتْهُ أُمُّ سَلَمَةَ بِمَا قُلْنَ لَهَا فَلَمْ يَقُلْ لَهَا شَيْئًا، فَسَأَلْنَهَا، فَقَالَتْ: مَا قَالَ لِي شَيْئًا، فَقُلْنَ لَهَا : فَكَلِّمِيهِ، قَالَتْ : فَكَلَّمَتْهُ حِينَ دَارَ إِلَيْهَا أَيْضًا فَلَمْ يَقُلْ لَهَا شَيْئًا، فَسَأَلْنَها فَقَالَتْ : مَا قَالَ لِي شَيْئًا، فَقُلْنَ لَهَا : كَلِّمِيهِ حَتَّى يُكَلِّمَكِ، فَدَارَ إِلَيْهَا فَكَلَّمَتْهُ، فَقَالَ لَهَا : (لَا تُؤْذِينِي فِي عَائِشَةَ، فَإِنَّ الْوَحْيَ لَمْ يَأْتِنِي وَأَنَا فِي تَوْبِ أَمْرَأَةٍ إِلا عَائِشَةَ . قَالَتْ : فَقُلْتُ: أَتُوبُ إِلَى اللَّهِ مِنْ أَذَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، ثُمَّ إِنَّهُنَّ دَعَوْنَ فَاطِمَةَ بِنْتَ رَسُولِ اللَّهِ (ﷺ) فَأَرْسَلَتْ إِلَى رَسُولِ اللهِ (ﷺ) تَقُولُ : إِنَّ نِسَاءَكَ يَنْشُدُنَكَ اللَّهَ الْعَدْلَ فِي بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، فَكَلَّمَتْهُ فَقَالَ: (يَا بُنَيَّةُ، أَلاَ تُحِينَ مَا أُحِبُّ؟). قَالَتْ : بَلَى، فَرَجَعَتْ إِلَيْهِنَّ فَأَخْبَرَتْهُنَّ ، فَقُلْنَ : ارْجِعِي إِلَيْهِ فَأَبَتْ أَنْ تَرْجِعَ، فَأَرْسَلْنَ زَيْنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ، فَأَتَتْهُ فَأَغْلَظَتْ، وَقَالَتْ: إِنَّ نِسَاءَكَ يَنْشُدُنَكَ اللهُ الْعَدْلَ فِي بِنْتِ ابْنِ أَبِي قُحَافَةَ، فَرَفَعَتْ صَوْتَهَا حَتَّى تَنَاوَلَتْ عائِشَةَ وَهِيَ قَاعِدَةٌ فَسَبِّتْهَا، حَتَّى إِنَّ رَسُولَ اللهِ (ﷺ) لَيَنْظُرُ إِلَى عَائِشَةَ هَلْ تَكَلَّمُ ، قَالَ : فَتَكَلَّمَتْ عَائِشَةُ تَرُدُّ عَلَى زَيْنَبَ حَتَّى أَسْكَتَتْهَا ، قَالَتْ : فَنَظَرَ النَّبِيُّ (ﷺ) إِلَى عَائِشَةَ، وَقَالَ: (إِنَّهَا بِنْتُ أَبِي بَكْرٍ).

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর স্ত্রীগণ দুই ভাগে বিভক্ত ছিলেন। এক গ্রুপে ছিলেন আয়েশা, হাফসা, সাফিয়া এবং সাওদা এবং আরেক গ্রুপে ছিলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর অন্যান্য স্ত্রীগণ। মুসলিমগণ জানতেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আয়েশাকে সবচেয়ে বেশী ভালবাসতেন। কেউ যদি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে হাদীয়া দেয়ার ইচ্ছা করতেন তখন বিলম্ব করতেন। যেদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আয়েশা (রাঃ) এর বাড়ীতে থাকতেন সে দিন তারা হাদীয়া পাঠাতেন। উম্মে সালামার দল উম্মে সালামাকে বললেনঃ আপনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলুনঃ তিনি যেন মানুষকে বলে দেন, যে ব্যক্তি রাসূল (ﷺ) কে হাদীয়া দিতে চায় সে যেন তা পাঠিয়ে দেয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর যে কোন স্ত্রীর ঘরেই অবস্থান করুন না কেন। উম্মে সালামা তাদের কথা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে জানালেন। তিনি তখন কিছু বললেন না। উম্মে সালামার সাথীগণ উম্মে সালামাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে এ ব্যাপারে কিছুই বলেন নি।

তাঁরা পুনরায় বললেনঃ আপনি আবার কথা বলুন। তাঁর ঘরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এলে তিনি আবারও কথা বললেন। এবারও তিনি তার কথার কোন জবাব দিলেন না। তাঁরা তাকে পুনরায় এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ তিনি আমার কথার কোন উত্তর দেন নি। তাঁরা বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আপনার কথার জবাব না দেয়া পর্যন্ত আপনি কথাগুলো তাঁর কাছে পেশ করতে থাকুন। এবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পালা তাঁর ঘরে হলে তিনি ঐ কথাগুলো আবার বললেন। এবার তিনি তাঁকে বললেনঃ আয়েশার ব্যাপারে তুমি আমাকে কষ্ট দিওনা। কেননা একমাত্র আয়েশা ব্যতীত অন্য কোন স্ত্রীর সাথে এক বিছানায় থাকাকালে আমার নিকট অহী আসেনি।

আয়েশা (রা) বলেনঃ উম্মে সালামা বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনাকে কষ্ট দেয়া থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। অতঃপর তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কন্যা ফাতেমাকে ডেকে রাসূল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে এ কথা বলার জন্য পাঠালেন যে, আপনার স্ত্রীগণ আল্লাহর শপথ দিয়ে আবু বকরের কন্যার ব্যাপারে আপনাকে ইনসাফ করতে বলেছেন। ফাতেমা তাদের কথা নবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে বর্ণনা করলে তিনি বললেনঃ হে প্রিয় কন্যা! আমি যা ভালবাসি তুমি কি তা ভালবাস না। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, অবশ্যই। ফাতেমা ফেরত গিয়ে তাদেরকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর মনোভাব জানিয়ে দিলেন। তাঁরা বললেনঃ আপনি আবার যান।

ফাতেমা দ্বিতীয়বার যেতে অস্বীকার করলেন। পরবর্তীতে তারা জয়নব বিনতে জাহশকে পাঠালেন। তিনি গিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে কঠোর ভাষায় কথা বললেন। তিনি বললেনঃ ইবনে আবি কুহাফার কন্যার ব্যাপারে ইনসাফ করার জন্য আপনার স্ত্রীগণ আপনাকে আল্লাহর কসম দিচ্ছেন। এ কথা বলে তিনি আওয়াজ উঁচু করলেন এবং আয়েশাকে গালি দিলেন। আয়েশা (রাঃ) সেখানেই বসা ছিলেন। শেষ পর্যন্ত রাসূল (ﷺ) আয়েশার দিকে তাকিয়ে থাকলেন যে, আয়েশা কিছু বলছে কিনা? বর্ণনাকারী বলেনঃ পরিশেষে আয়েশা (রাঃ) কথা বললেন এবং যয়নবের উত্তর দিয়ে তাকে চুপ করিয়ে দিলেন। তখন নবী (ﷺ) আয়েশার দিকে তাকিয়ে বললেনঃ নিশ্চয়ই সে আবু বকরের কন্যা। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১১৩১)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন