hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী

৫৬. নবী (ﷺ) এর সাহাবীদের ফজীলত

مختصر صحيح البخاري

/৪২ পরিচ্ছেদঃ অযু ভঙ্গ না হলেও অযু করা

১৫৮৯

সহিহ হাদিস
عَنْ مَالِكِ بْنِ صَعْصَعَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا : أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ (ﷺ) حَدَّثَهُمْ عَنْ لَيْلَةِ أُسْرِيَ بِهِ : بَيْنَمَا أَنَا في الحَظِيمِ، وَرُبَّمَا قالَ فِي الْحِجْرِ، مُضْطَجِعًا، إِذْ أَتَانِي آتٍ فَقَدْ - قَالَ : وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: فَشَقَّ - مَا بَيْنَ هَذِهِ إِلَى هَذِهِ – قَالَ الراوي : مِنْ تُغْرَةٍ نَحْرِهِ إِلَى شِعْرَتِهِ فَاسْتَخْرَجَ قَلْبِي، ثُمَّ أُتِيتُ بِطَسْت مِنْ ذَهَبٍ مَمْلُوءَةٍ إِيمَانًا ، فَغُسِلَ قَلْبِي، ثُمَّ حُشِي ثُمَّ أُعِيْدَ، ثُمَّ أُتِيتُ بِدَابَّةٍ دُونَ البَغْلِ وَفَوْقَ الْحِمَارِ أَبْيَضَ - قَالَ الراوي رحمه الله تعالى : هُوَ الْبُرَاقُ - يَضَعُ خَطْوَهُ عِنْدَ أَقْضَى طَرْفِهِ، فَحُمِلْتُ عَلَيْهِ، فَانْطَلَقَ بِي جِبْرِيلُ حَتَّى أَتَى السَّمَاءَ الدُّنْيَا فَاسْتَفْتَحَ، فَقِيلَ : مَنْ هَذَا؟ قَالَ : جِبْرِيلُ، قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ قِيلَ: وَقَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ؟ قَالَ: نَعَمْ، قِيلَ : مَرْحَبًا بِهِ فَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ فَفُتِحَ، فَلَمَّا خَلَصْتُ فَإِذَا فِيهَا آدَمُ، فَقَالَ : هُذَا أَبُوكَ آدَمُ فَسَلَّمْ عَلَيْهِ، فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَرَدَّ السَّلامَ، ثُمَّ قَالَ: مَرْحَباً بِالابْنِ الصَّالِحِ وَالنَّبِيِّ (ﷺ) الصَّالِحِ، ثُمَّ صَعِدَ حَتَّى أَتَى السَّمَاءَ الثَّانِيَةَ فَاسْتَفْتَحَ قِيلَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: جبْرِيلُ قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ قِيلَ: وَقَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ؟ قَالَ : نَعَمْ، قِيلَ: مَرْحَبًا بِهِ فَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ فَفُتِحَ، فَلَمَّا خَلَصْتُ إِذَا يَحْيِي وَعِيسَى، وَهُما ابْنَا الخَالَةِ، قَالَ: هَذَا يَحْيى وَعِيسَى فَسَلَّمْ عَلَيْهِمَا، فَسَلَّمْتُ فَرَدًا ، ثُمَّ قَالا : مَرْحَبًا بِالأَخِ الصَّالِحِ وَالنَّبِيِّ (ﷺ) الصَّالِحِ ، ثُمَّ صَعِدَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الثَّالِثَةِ فَاسْتَفْتَحَ، قِيلَ : مَنْ هَذَا؟ قَالَ : جِبْرِيلُ، قِيلَ : وَمَنْ مَعَكَ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ قِيلَ: وَقَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ؟ قَالَ : نَعَمْ، قِيلَ: مَرْحَبًا بِهِ فَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ فَفُتِحَ، فَلَمَّا خَلَصْتُ إِذَا يُوسُفُ، قالَ : هَذَا يُوسُفُ فَسَلَّمْ عَلَيْهِ، فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَرَدَّ ثُمَّ قَالَ : مَرْحَبًا بالأخ الصَّالِحِ وَالنَّبِيِّ (ﷺ) الصَّالِحِ، ثُمَّ صَعِدَ بِي، حَتَّى أَتَى السَّمَاءَ الرَّابِعَةَ فَاسْتَفْتَحَ، قِيلَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: جِبْرِيلُ، قِيلَ : وَمَنْ مَعَكَ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ قِيلَ: أَوَ قَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ؟ قَالَ : نَعَمْ، قِيلَ : مَرْحَبًا بِهِ، فَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ فَفُتِحَ، فَلَمَّا خَلَصْتُ إِلَى إِدْرِيسَ، قَالَ : هَذَا إِدْرِيسُ فَسَلَّمْ عَلَيْهِ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَرَدَّ ثُمَّ قالَ : مَرْحَبًا بِالأَخِ الصَّالِحِ وَالنَّبِيِّ (ﷺ) الصَّالِحِ، ثُمَّ صَعِدَ بِي، حَتَّى أَتَى السَّمَاءَ الخَامِسَةَ فَاسْتَفْتَحَ، قِيلَ: مَنْ هذَا ؟ قالَ : جِبْرِيلُ، قِيلَ : وَمَنْ مَعَكَ؟ قال : محمد ، قِيلَ : وَقَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ؟ قالَ : نَعَمْ، قِيلَ: مَرْحَبًا بِهِ، فَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ، فَلَمَّا خَلَصْتُ فَإِذَا هَارُونُ، قَالَ : هَذَا هَارُونُ فَسَلِّمْ عَلَيْهِ، فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَرَدَّ ثُمَّ قَالَ: مَرْحَبًا بِالأَخِ الصَّالِحِ، وَالنَّبِيِّ (ﷺ) الصَّالِحِ، ثُمَّ صَعِدَ بِي حَتَّى أَتَى السَّمَاءَ السَّادِسَةَ فَاسْتَفْتَحَ، قِيلَ : مَنْ هَذَا؟ قَالَ : جِبْرِيلُ، قِيلَ : مَنْ مَعَكَ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ قِيلَ: وَقَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ؟ قَالَ : نَعَمْ، قَالَ : مَرْحَبًا بِهِ، فَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ، فَلَمَّا خَلَصْتُ فَإِذَا مُوسى، قالَ: هَذَا مُوسَى فَسَلَّمْ عَلَيْهِ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَرَدَّ ثُمَّ قَالَ : مَرْحَبًا بالأخ الصَّالِحِ، وَالنَّبِيِّ (ﷺ) الصَّالِحِ، فَلَمَّا تَجَاوَزْتُ بَكَى قِيلَ لَهُ: مَا يُبْكِيكَ؟ قالَ : أَبْكِي لأن غُلاما بُعِثَ بَعْدِي يَدْخُلُ الجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِهِ أَكْثَرُ مِمَّنْ يَدْخُلُهَا مِنْ أُمَّتِي، ثُمَّ صَعِدَ بِي إِلَى السَّمَاءِ السَّابِعَةِ فَاسْتَفْتَحَ جِبْرِيلُ قِيلَ: مَنْ هذَا؟ قال : جِبْرِيلُ، قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ؟ قالَ: مُحَمَّدٌ قِيلَ: وَقَدْ بُعِثَ إِلَيْهِ؟ قالَ : نَعَمْ، قَالَ : مَرْحَبًا بِهِ فَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ، فَلَمَّا خَلَصْتُ فَإِذَا إِبْرَاهِيمُ، قَالَ: هذَا أَبُوكَ إبْراهِيمُ فَسَلَّمْ عَلَيْهِ، قَالَ: فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَرَدَّ السَّلَامَ، قَالَ: مَرْحَبًا بالابْنِ الصَّالِحِ وَالنَّبِيِّ (ﷺ) الصَّالِح، ثُمَّ رُفِعَتْ لِي سِدْرَةُ المُنْتَهى فَإِذَا نَبِقُهَا مِثْلُ قلالِ هَجَرَ، وَإِذَا وَرَقُهَا مِثْلُ آذَانِ الْفِيَلَةِ، قالَ : هَذِهِ سِدْرَةُ المُنْتَهى، وَإِذَا أَرْبَعَةُ أَنْهَارٍ: نَهْرَانِ بَاطِنَانِ وَنَهْرَانِ ظَاهِرَانِ، فَقُلْتُ : مَا هَذَانِ يَا جِبْرِيلُ؟ قالَ : أَمَّا الْبَاطِنَانِ فَنَهْرَانِ فِي الجَنَّةِ وَأَمَّا الظَّاهِرَانِ فَالنِّيلُ وَالْفُرَاتُ ، ثُمَّ رُفِعَ لِيَ الْبَيْتُ المَعْمُورُ، فَإِذا هُوَ يَدْخُلُهُ كُلَّ يَوْم سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكِ. ثُمَّ أُتِيتُ بِإِنَاءٍ مِنْ خَمْرٍ وَإِنَاءٍ مِنْ لَبَنِ وَإِنَاءٍ مِنْ عَسَلِ، فَأَخَذْتُ اللَّبَنَ فَقَالَ: هِيَ الْفِطْرَةُ الَّتِي أَنْتَ عَلَيْهَا وَأُمَّتُكَ، ثُمَّ فُرِضَتْ عَلَيَّ الصَّلَوَاتُ خَمْسِينَ صَلَاةٌ كُلَّ يَوْمٍ، فَرَجَعْتُ فَمَرَرْتُ عَلَى مُوسَى، فَقَالَ: بِمَ أُمِرْتَ؟ قَالَ: أُمِرْتُ بِخَمْسِينَ صَلَاةٌ كُلَّ يَوْمٍ، قَالَ: إِنَّ أُمَّتَكَ لَا تَسْتَطِيعُ خَمْسِينَ صَلَاةٌ كُلَّ يَوْمٍ، وَإِنِّي وَاللَّهِ قَدْ جَرَّبْتُ النَّاسَ قَبْلَكَ، وَعَالَجْتُ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَشَدَّ المُعَالَجَةِ، فَارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَاسْأَلْهُ التَّخْفِيفَ لِأُمِّتِكَ، فَرَجَعْتُ فَوَضَعَ عَنِّي عَشْرًا، فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى فَقَالَ مِثْلَهُ، فَرَجَعْتُ فَوَضَعَ عَنِّي عَشْرًا، فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى فَقَالَ مِثْلَهُ، فَرَجَعْتُ فَوَضَع عَنِّي عَشْرًا، فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسى فَقَالَ مِثْلَهُ، فَرَجَعْتُ فَوَضَعَ عَنِّي عَشْرًا، فَأُمِرْتُ بِعَشْرِ صَلَوَاتٍ كُلَّ يَوْمٍ، فَرَجَعْتُ فَقَالَ مِثْلَهُ، فَرَجَعْتُ فَأُمِرْتُ بِخَمْسٍ صَلَوَاتٍ كُلَّ يَوْمٍ، فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى، فَقَالَ : بِمَا أُمِرْتَ؟ قُلْتُ : أُمِرْتُ بِخَمْسِ صَلَوَاتٍ كُلَّ يَوْمٍ، قَالَ: إِنَّ أُمَّتَكَ لاَ تَسْتَطِيعُ خَمْسَ صَلَوَاتٍ كُلَّ يَوْمٍ، وَإِنِّي قَدْ جَرَّبْتُ النَّاسَ قَبْلَكَ وَعَالَجْتُ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَشَدَّ المُعَالَجَةِ، فَارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَاسْأَلْهُ التَّخْفِيفَ لِأُمَّتِكَ، قَالَ: سَأَلْتُ رَبِّي حَتَّى أَسْتَحْيَيْتُ، وَلكِنْ أَرْضَى وَأُسَلِّمُ، قَالَ: فَلَمَّا جَاوَزْتُ نَادَى مُنَادٍ : أَمْضَيْتُ فَرِيضَتِي، وَخَفَّفْتُ عَنْ عِبَادِي). وقَدْ تَقَدَّمَ حَدِيْثُ الإِسْرَاءِ عَنْ أَنَسٍ في أَوَّلِ كِتاب الصَّلاة وَفي كُلِّ واحِدٍ مِنْهما مَا لَيْسَ فِي الْآخَرِ .

মালেক বিন সা’সাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) তাদেরকে ঐ রাত্রির অবস্থা বর্ণনা করেছেন, যাতে তাঁর মি'রাজ সংঘটিত হয়েছিল। তিনি বলেনঃ আমি একদা হাতীম অথবা হিরে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলাম। এমন সময় একজন লোক আগমণ করে আমার এস্থান থেকে এস্থান পর্যন্ত বিদীর্ণ করলেন। বর্ণনাকারী বলেনঃ কণ্ঠনালী হতে বক্ষদেশ পর্যন্ত বিদীর্ণ করলেন এবং আমার কলব (হৃদয়) বের করলেন। অতঃপর ঈমানে পরিপূর্ণ একটি স্বর্ণের পেয়ালা আনয়ন করা হলো। তারপর আমার অন্তর ধৌত করে তা ঈমান ও হিকমত দিয়ে ভরে দেয়া হল। তারপর তা স্বীয় স্থানে রেখে দেয়া হল। অতঃপর খচ্চরের চেয়ে ছোট এবং গাধার চেয়ে বড় সাদা রঙ্গের একটি জানোয়ার আনয়ন করা হল। বর্ণনাকারী বলেনঃ সেটি ছিল বুরাক। তার প্রতিটি পদক্ষেপ তার দৃষ্টির শেষ সীমানায় পড়ত। অতঃপর আমাকে তার উপর আরোহণ করানো হল।

অতঃপর জিবরীল ফেরেশতা আমাকে নিয়ে যাত্রা শুরু করলেন। তিনি দুনিয়ার আকাশের নিকটবর্তী হয়ে আকাশের দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হলো, কে? উত্তরে জিবরীল বললেনঃ আমি জিবরীল। আবার জিজ্ঞেস করা হলোঃ আপনার সাথের লোকটি কে? তিনি বললেনঃ মুহাম্মাদ৷ বলা হলোঃ তাকে কি আসতে বলা হয়েছে? জিবরীল বললেনঃ হ্যাঁ। তখন বলা হলঃ আকাশের ফেরেশতাগণ বললেন) স্বাগতম, শুভ হোক তাঁর আগমণ। অতঃপর দরজা খুলে দিলেন। নবী (ﷺ) বলেনঃ প্রথম আকাশে আমি আদম (আঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ করলাম। জিত্রীল বললেনঃ ইনি হলেন আপনার পিতা আদম। আপনি তাঁকে সালাম দিন। নবী (ﷺ)বলেনঃ আমি তাঁকে সালাম দিলাম। আদম (আঃ) সালামের জবাব দিলেন। অতঃপর বললেনঃ নেক্কার ছেলে ও নেক্কার নবীর প্রতি সম্ভাষণ।

অতঃপর জিবরীল আমাকে নিয়ে উপরের দিকে আরোহণ করতে লাগলেন এবং দ্বিতীয় আসমানে পৌঁছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হলো, কে? উত্তরে জিবরীল বললেনঃ আমি জিবরীল। আবার জিজ্ঞেস করা হলোঃ আপনার সাথের লোকটি কে? তিনি বললেনঃ মুহাম্মাদ। বলা হলোঃ তাকে কি আসতে বলা হয়েছে? জিবরীল বললেনঃ হ্যাঁ। বলা হলঃ (আকাশের ফেরেশতাগণ বললেন) স্বাগতম, শুভ হোক তাঁর আগমণ। অতঃপর দরজা খুলে দিলেন। নবী (ﷺ) বলেনঃ আমি সেখানে ঈসা ও ইয়াহ্ইয়াকে দেখতে পেলাম। তারা দু'জন পরস্পর খালাতো ভাই। জিবরীল বললেনঃ এরা হলেন ঈসা ও ইয়াহ্ইয়াহ। তাদের প্রতি আপনি সালাম পেশ করুন। নবী (ﷺ) বলেনঃ আমি তাদের প্রতি সালাম দিলাম। তারা আমার সালামের জবাব দিয়ে বললেনঃ নেক্কার ভাই ও নেক্কার নবীর প্রতি সাদর সম্ভাষণ৷

অতঃপর জিবরীল আমাকে নিয়ে উপরের দিকে আরোহণ করতে লাগলেন এবং তৃতীয় আসমানে পৌঁছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হলো, কে? উত্তরে জিবরীল বললেনঃ আমি জিবরীল। আবার জিজ্ঞেস করা হলোঃ আপনার সাথের লোকটি কে? তিনি বললেনঃ মুহাম্মাদ। বলা হলোঃ তাকে কি আসতে বলা হয়েছে? জিবরীল বললেনঃ হ্যাঁ। বলা হলঃ (আকাশের ফেরেশতাগণ বললেন) স্বাগতম, শুভ হোক তাঁর আগমণ। অতঃপর দরজা খুলে দেয়া হল। নবী (ﷺ) বলেনঃ আমি সেখানে ইউসুফ (আঃ)কে দেখতে পেলাম। জিবরীল বললেনঃ ইনি হলেন ইউসুফ (আঃ)। তাঁর প্রতি আপনি সালাম পেশ করুন। নবী (ﷺ) বলেনঃ আমি তাঁর প্রতি সালাম দিলাম। তিনি আমার সালামের জবাব দিয়ে বললেনঃ নেক্কার ভাই ও নেক্কার নবীর প্রতি সাদর সম্ভাষণ।

অতঃপর জিবরীল আমাকে নিয়ে উপরের দিকে আরোহণ করতে লাগলেন এবং চতুর্থ আসমানে পৌছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হলো, কে? উত্তরে জিবরীল বললেনঃ আমি জিবরীল। আবার জিজ্ঞেস করা হলোঃ আপনার সাথের লোকটি কে? তিনি বললেনঃ মুহাম্মাদ। বলা হলোঃ তাকে কি আসতে বলা হয়েছে? জিবরীল বললেনঃ হ্যাঁ। বলা হলঃ (আকাশের ফেরেশতাগণ বললেন) স্বাগতম, শুভ হোক তাঁর আগমণ। অতঃপর দরজা খুলে দেয়া হল। নবী (ﷺ) বলেনঃ আমি সেখানে ইদরীস (আঃ)কে দেখতে পেলাম। জিবরীল বললেনঃ ইনি হলেন ইদরীস (আঃ)। তাঁর প্রতি আপনি সালাম পেশ করুন। নবী (ﷺ) বলেনঃ আমি তাঁর প্রতি সালাম দিলাম। তিনি আমার সালামের জবাব দিয়ে বললেনঃ নেক্কার ভাই ও নেক্কার নবীর প্রতি সাদর সম্ভাষণ।

অতঃপর জিবরীল আমাকে নিয়ে উপরের দিকে আরোহণ করতে লাগলেন এবং পঞ্চম আসমানে পৌছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হলো, কে? উত্তরে জিবরীল বললেনঃ আমি জিবরীল। আবার জিজ্ঞেস করা হলোঃ আপনার সাথের লোকটি কে? তিনি বললেনঃ মুহাম্মাদ। বলা হলোঃ তাকে কি আসতে বলা হয়েছে? জিবরীল বললেনঃ হ্যাঁ। আকাশের ফেরেশতাগণ বললেনঃ স্বাগতম, শুভ হোক তাঁর আগমণ। নবী (ﷺ) বলেনঃ আমি সেখানে গিয়ে হারুন (আঃ) কে দেখতে পেলাম। জিবরীল বললেনঃ ইনি হলেন হারুন (আঃ)। তাঁর প্রতি আপনি সালাম পেশ করুন। নবী (ﷺ) বলেনঃ আমি তাঁর প্রতি সালাম দিলাম। তিনি আমার সালামের জবাব দিয়ে বললেনঃ নেক্কার ভাই ও নেক্কার নবীর প্রতি সাদর সম্ভাষণ।

অতঃপর জিবরীল আমাকে নিয়ে উপরের দিকে আরোহণ করতে লাগলেন এবং ষষ্ঠ আসমানে পৌছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হলো, কে? উত্তরে জিবরীল বললেনঃ আমি জিবরীল। আবার জিজ্ঞেস করা হলোঃ আপনার সাথের লোকটি কে? তিনি বললেনঃ মুহাম্মাদ। বলা হলোঃ তাকে কি আসতে বলা হয়েছে? জিবরীল বললেনঃ হ্যাঁ। আকাশের ফেরেশতাগণ বললেনঃ স্বাগতম, শুভ হোক তাঁর আগমণ। নবী (ﷺ) বলেনঃ আমি সেখানে গিয়ে মুসা (আঃ)কে দেখতে পেলাম। জিবরীল বললেনঃ ইনি হলেন মুসা (আঃ)। তাঁর প্রতি আপনি সালাম পেশ করুন। নবী (ﷺ) বলেনঃ আমি তাঁর প্রতি সালাম দিলাম। তিনি আমার সালামের জবাব দিয়ে বললেনঃ নেক্কার ভাই ও নেক্কার নবীর প্রতি সাদর সম্ভাষণ।

মূসা (আঃ)কে সালাম দিয়ে বিদায় নিয়ে চলে আসার সময় তিনি কাঁদতে শুরু করলেন। তাঁকে ক্রন্দনের কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেনঃ এই ছেলেটিকে আমার অনেক পরে নবী করে দুনিয়াতে প্রেরণ করা হয়েছে কিন্তু আমার চেয়ে অধিক সংখ্যক উম্মাত নিয়ে আমার পূর্বেই সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
অতঃপর জিবরীল আমাকে নিয়ে উপরের দিকে আরোহণ করতে লাগলেন এবং সপ্তম আসমানে পৌছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হলো, কে? উত্তরে জিবরীল বললেনঃ আমি জিবরীল। আবার জিজ্ঞেস করা হলোঃ আপনার সাথের লোকটি কে? তিনি বললেনঃ মুহাম্মাদ। বলা হলোঃ তাকে কি আসতে বলা হয়েছে? জিবরীল বললেনঃ হ্যাঁ। আকাশের ফেরেশতাগণ বললেনঃ স্বাগতম, শুভ হোক তাঁর আগমণ। নবী (ﷺ) বলেনঃ আমি সেখানে ইবরাহীম (আঃ)কে দেখতে পেলাম। জিবরীল, বললেনঃ ইনি হলেন আপনার পিতা ইবরাহীম (আঃ)। তাঁর প্রতি আপনি সালাম পেশ করুন। নবী (ﷺ) বলেনঃ আমি তাঁর প্রতি সালাম দিলাম। তিনি আমার সালামের জবাব দিয়ে বললেনঃ আমার নেক্কার ছেলেও নেক্কার নবীর প্রতি সাদর সম্ভাষণ।

অতঃপর আমার জন্যে সিদরাতুল মুনতাহা তথা সিমান্তের কূল বৃক্ষ উম্মুক্ত করা হল। এই বৃক্ষের ফলগুলো ছিল হাজার গোত্রের কলসীর ন্যায় বড় বড়। গাছের পাতাগুলো ছিল হাতীর কানের মত বৃহদাকার। জিবরীল বললেনঃ এটি হচ্ছে সিদরাতুল মুন্তাহা। গাছের গোড়াতে চারটি নদী দেখতে পেলেন। দু'টি চলে গেছে ভিতরের দিকে এবং দু'টি চলে গেছে বাহিরের দিকে। জিবরীলকে আমি এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ ভিতরের দিকে প্রবাহিত নদী দু'টি জান্নাতে চলে গেছে এবং বাহিরের নদী দু'টি হল ফোরাত ও নীল। অতঃপর আমার জন্য বাইতুল মা'মুর উন্মুক্ত করা হল। অতঃপর আমার জন্য এক পেয়ালা মদ, এক পেয়ালা দুধ এবং এক পেয়ালা মধু আনয়ন করা হল। আমি দুধের পেয়ালাটি গ্রহণ করলাম। জিবরীল (আঃ) বললেনঃ এটিই স্বভাব ধর্ম। আপনি এর উপর প্রতিষ্ঠিত আছেন এবং আপনার উম্মাতও৷

অতঃপর আমার উপর প্রতিদিন পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরয করা হল। ফেরত আসার সময় মূসা (আঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ হল। মূসা (আঃ) জিজ্ঞেস করলেনঃ আপনাকে কিসের আদেশ দেয়া হয়েছে? নবী (ﷺ) বললেনঃ আমার উপর প্রতিদিন পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরয করা হয়েছে। তিনি বললেনঃ আপনার উম্মাত প্রতিদিন পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায পড়তে পারবেনা। আল্লাহর শপথ! আমি আপনার পূর্বে মানুষের অবস্থা ভালভাবেই পরীক্ষা করে দেখেছি এবং বনী ইসরাঈলদের সাথে আমার তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। আপনি আপনার প্রতিপালকের নিকট ফেরত যান এবং আপনার উম্মাতের জন্য কমাতে বলুন।
নবী (ﷺ) বলেনঃ আমি মূসা (আঃ) এর পরামর্শ মোতাবেক ফেরত গিয়ে কমাতে বললাম। চল্লিশ করা হলো। পুনরায় মুসার কাছে গেলাম৷ তিনি পূর্বের ন্যায় কথা বললেন। আমি তাঁর কথা মোতাবেক আবার গিয়ে আবদারের প্রেক্ষিতে দশ ওয়াক্ত কমিয়ে ত্রিশ করা হল। পুনরায় মুসার কাছে গেলাম। তিনি পূর্বের ন্যায় কথা বললেন। আমি তাঁর কথা মোতাবেক আবার গিয়ে আবদারের প্রেক্ষিতে আরো দশ ওয়াক্ত কমানো হল। পুনরায় মুসার কাছে গেলাম। তিনি পূর্বের ন্যায় কথা বললেন। আমি তাঁর কথা মোতাবেক আবার গিয়ে আবদারের প্রেক্ষিতে আমাকে দশ ওয়াক্ত নামাযের আদেশ দেয়া হল। পুনরায় মুসা (আঃ)- এর কাছে গেলাম। তিনি পূর্বের ন্যায় কথা বললেন। আমি তাঁর কথা মোতাবেক আবার গিয়ে আবলারের প্রেক্ষিতে আমাকে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের আদেশ দেয়া হল।

পাঁচ ওয়াক্ত নামায নিয়ে আমি মুসার কাছে ফেরত আসলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ আপনাকে কিসের আদেশ দেয়া হয়েছে? নবী (ﷺ) বললেনঃ আমাকে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায়ের আদেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বললেনঃ আপনার উম্মাত প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করতে পারবে না। আমি আপনার পূর্বে মানুষের অবস্থা ভালভাবেই পরীক্ষা করে দেখেছি এবং বনী ইসরাঈলদের সাথে আমার তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। আপনি ফেরত যান এবং আপনার উম্মাতের জন্য কমাতে বলুন। নবী (ﷺ) বলেনঃ আমি আমার প্রভুর কাছে এত অধিক বার প্রার্থনা জানিয়েছি যে, পুনর্বার প্রার্থনা জানাতে আমি লজ্জাবোধ করছি। আমি তাঁকে বললামঃ আমি এতে রাজি হয়েছি এবং তা গ্রহণ করে নিয়েছি। নবী (ﷺ) বলেনঃ আমি যখন মুসাকে অতিক্রম করলাম, তখন আল্লাহর পক্ষ হতে ঘোষণা করা হলঃ আমার ফরয ঠিক রাখলাম। কিন্তু বান্দাদের উপর থেকে সংখ্যা কমিয়ে দিলাম।

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত মি'রাজের হাদীছটি নামায অধ্যায়ের শুরুতে আলোচিত হয়েছে। উভয় হাদীছের প্রত্যেকটিতে এমন শব্দ রয়েছে, যা অন্যটিতে নেই। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৫৪৮)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন