উয়াইমীর (রাঃ) আসেম বিন আদী (রাঃ) এর নিকট আসলেন। আর তিনি ছিলেন বনী আজলান কবীলার সরদার। সাহল জিজ্ঞেস করলেন, ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে আপনারা কি বলেন যে তার স্ত্রীর সাথে অন্য কোন পুরুষকে পেল? সে কি তাকে হত্যা করে ফেলবে? আর এমনটি হলে তো আপনারাও তাকে হত্যা করবেন। এরূপ পরিস্থিতিতে সে কি করবে? এ ব্যাপারে আপনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে জিজ্ঞেস করুন। আসেম নবী (ﷺ)-এর কাছে গিয়ে সেই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন। কিন্তু তিনি আসেমের প্রশ্নটি অপছন্দ করলেন।

পরবর্তীতে উয়াইমীর আসেমকে জিজ্ঞেস করলে আসেম বললেনঃ নবী (ﷺ) এ ধরণের প্রশ্ন শুনতে অপছন্দ করেছেন এবং তা দোষণীয় বলেছেন। উয়াইমীর বললেনঃ আল্লাহর শপথ! রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস না করে বিরত হবো না। উয়াইমীর আগমণ করে বললঃ হে আল্লাহর রাসূল! এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে অন্য এক ব্যক্তিকে পেল। সে কি তাকে হত্যা করবে? তাহলে তো আপনারাও তাকে হত্যা করবেন। অথবা এখন সে কি করবে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন বললেনঃ আল্লাহ্ তাআলা তোমার এবং তোমার স্ত্রীর ব্যাপারে কুরআন অবতীর্ণ করেছেন। অতঃপর তাদেরকে লিআন করার আদেশ দিলেন, যা আল্লাহ্ তাআলা কুরআনে উল্লেখ করেছেন। উয়াইমীর তার স্ত্রীর সাথে লিআন করলেন।

অতঃপর তিনি বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! এখন আমি যদি তাকে রেখে দেই, তাহলে আমার পক্ষ হতে তার উপর জুলুম হবে। তাই তিনি তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দিলেন। পরবর্তীতে লিআনকারী প্রত্যেক স্বামী- স্ত্রীর জন্য এটি সুন্নাতে পরিণত হয়েছে। অতঃপর তিনি বললেনঃ তোমরা খেয়াল রাখো। উয়াইমীরের স্ত্রী যদি কালো রং, কালো দু'টি চোখ, বড় নিতম্ব এবং মোটা মোটা নলা বিশিষ্ট সন্তান জন্ম দেয় তাহলে বুঝবে যে, উয়াইমীর তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বলে নি। কিন্তু সে যদি লাল টিকটিকির রঙ্গের মত রং বিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে, তাহলে সে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বলেছে। দেখা গেল উয়াইমীর সত্যবাদী হলে যে গুণাগুণ বিশিষ্ট সন্তান হবে বলে বর্ণনা করেছেন, সেরূপই একটি শিশু সন্তান প্রসব করল। পরে সেই শিশুটিকে মায়ের পরিচয়ে ডাকা হত। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৭১৩)