hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী

. কিতাবুস্ সালাত

مختصر صحيح البخاري

/ পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ)-এর নিকট কিভাবে অহী নাযিল শুরু হয়েছিল?

২২৮

সহিহ হাদিস
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : كَانَ أَبُو ذَرٌ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يُحَدِّثُ : أَنَّ رَسُولَ اللهِ (ﷺ) قال : (فُرِجَ عَنْ سَقْفِ بَيْتِي وَأَنَا بِمَكَّةَ، فَنَزَلَ جِبْرِيلُ، فَفَرَجَ صَدْرِي، ثُمَّ غَسَلَهُ بِمَاءِ زَمْزَمَ، ثُمَّ جَاءَ بِطَسْت مِنْ ذَهَبٍ، مُمْتَلِيءٍ حِكْمَةٌ وَإِيمَانًا، فَأَفْرَغَهُ فِي صَدْرِي، ثُمَّ أَطْبَقَهُ، ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِي فَعَرَجَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا، فَلَمَّا جِئْتُ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا، قَالَ جِبْرِيلُ لِخَازِنِ السَّمَاءِ: افْتَحْ قَالَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: هَذَا جِبْرِيلُ، قَالَ : هَلْ مَعَكَ أَحَدٌ؟ قَالَ: نَعَمْ، مَعِي مُحَمَّدٌ ، فَقَالَ: أُرْسِلَ إِلَيْهِ ؟ قَالَ : نَعَمْ . فَلَمَّا فَتَحَ عَلَوْنَا السَّمَاءَ الدُّنْيَا، فَإِذَا رَجُلٌ قَاعِدٌ، عَلَى يَمِينِهِ أَسْوِدَةٌ، وَعَلَى يَسَارِهِ أَسْوِدَةٌ، إِذَا نَظَرَ قِبَلَ يَمِينِهِ ضَحِكَ، وَإِذَا نَظَرَ قِبَلَ شِمَالِهِ بَكَى فَقَالَ : مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ (ﷺ) الصَّالِح وَالابْنِ الصَّالِحِ قُلْتُ لِجِبْرِيلَ: مَنْ هذَا؟ قَالَ : هَذَا آدَمُ، وَهَذِهِ الْأَسْوِدَةُ عَنْ، يَمِينِهِ وَشِمَالِهِ نَسَمُ بَنِيهِ، فَأَهْلُ الْيَمِين مِنْهُمْ أَهْلُ الْجَنَّةِ، وَالأَسْوِدَةُ الَّتِي عَنْ شِمَالِهِ أَهْلُ النَّارِ، فَإِذَا نَظَرَ عَنْ يَمِينِهِ ضَحِكَ، وَإِذَا نَظَرَ قِبَلَ شِمَالِهِ بَكَى، حَتَّى عَرَجَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الثَّانِيَةِ، فَقَالَ لِخَازِنِهَا : أَفْتَحْ ، فَقَالَ لَهُ خَازِنُهَا مِثْلَ مَا قَالَ الأَوَّلُ، فَفَتَحَ قَالَ أَنَسٌ : فَذَكَرَ : أَنَّهُ وَجَدَ فِي السَّمَاوَاتِ : آدَمَ، وَإِدْرِيسَ، وَمُوسَى، وَعِيسَى، وَإِبْرَاهِيمَ، صَلَوَاتُ اللهِ عَلَيْهِمْ، وَلَمْ يُثْبِتْ كَيْفَ مَنَازِلُهُمْ، غَيْرَ أَنَّهُ ذَكَرَ : أَنَّهُ وَجَدَ آدَمَ فِي السَّمَاءِ الدُّنْيَا، وَإِبْرَاهِيمَ فِي السَّمَاءِ السَّادِسَةِ، قَالَ أَنَسٌ : فَلَمَّا مَرَّ جبْرِيلُ بِالنَّبِيِّ (ﷺ) بِإِدْرِيسَ، قَالَ : مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ (ﷺ) الصَّالِحِ وَالأَخِ الصَّالِحِ. (فَقُلْتُ : مَنْ هَذَا؟ قَالَ : هَذَا إِدْرِيسُ، ثُمَّ مَرَرْتُ بِمُوسَى، فَقَالَ: مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ (ﷺ) الصَّالِحِ وَالأَخِ الصَّالِحِ، قُلْتُ: (مَنْ هذَا؟ قَالَ : هَذَا مُوسَى، ثُمَّ مَرَرْتُ بِعِيسَى، فَقَالَ : مَرْحَبًا بِالأخ الصَّالِحِ وَالنَّبِيِّ (ﷺ) الصَّالِح، قُلْتُ: (مَن هَذَا؟) قَالَ : هَذَا عِيسَى، ثُمَّ مَرَرْتُ بِإِبْرَاهِيمَ، فَقَالَ : مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ (ﷺ) الصَّالِح والابْنِ الصَّالِحِ، قُلْتُ: (مَنْ هَذَا؟) قَالَ: هَذَا إبراهيم عليه السلام. قَالَ : وَكَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُما - وَأَبُو حَبَّةَ الْأَنْصَارِيِّ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - يَقُولَانِ : قَالَ النَّبِيُّ (ﷺ): (ثُمَّ عُرِجَ بِي حَتَّى ظَهَرْتُ لِمُسْتَوَى أَسْمَعُ فِيهِ صَرِيفَ الأَقْلام). قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكِ : قَالَ النَّبِيُّ (ﷺ): (فَفَرَضَ اللَّهُ عَلَى أُمَّتِي خَمْسِينَ صَلَاةٌ، فَرَجَعْتُ بِذَلِكَ، حَتَّى مَرَرْتُ عَلَى مُوسَى، فَقَالَ : مَا فَرَضَ اللَّهُ لَكَ عَلَى أُمَّتِكَ؟ قُلْتُ: فَرَضَ خَمْسِينَ صَلَاةٌ، قَالَ: فَارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ، فَإِنَّ أُمَّتَكَ لاَ تُطِيقُ ذَلِكَ، فَرَاجَعْتُ فَوَضَعَ شَطْرَهَا ، فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى، قُلْتُ: وَضَعَ شَطْرَهَا، فَقَالَ: رَاجِعُ رَبَّكَ، فَإِنَّ أُمَّتَكَ لا تُطِيقُ، فَرَاجَعْتُ فَوَضَعَ شَطْرَهَا، فَرَجَعْتُ إِلَيْهِ، فَقَالَ : ارْجِعُ إِلَى رَبِّكَ، فَإِنَّ أُمَّتَكَ لا تُطِيقُ ذَلِكَ، فَرَاجَعْتُهُ، فَقَالَ: هِيَ خَمْسُ، وَهِيَ خَمْسُونَ، لاَ يُبَدَّلُ الْقَوْلُ لَدَيَّ، فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى، فَقَالَ : ارْجِعْ رَبَّكَ، فَقُلْتُ : اسْتَحْيَيْتُ مِنْ رَبِّي، ثُمَّ انْطَلَقَ بي، حَتَّى أنْتَهَى بي إِلَى سِدْرَةِ الْمُنْتَهَى، وَغَشِيَهَا ، أَلْوَانٌ لاَ أَدْرِي مَا هِيَ، ثُمَّ أُدْخِلْتُ الْجَنَّةَ، فَإِذَا فِيهَا حَبَايِلُ اللُّؤْلُؤِ، وَإِذَا تُرَابُهَا الْمِسْكُ).

আনাস বিন মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আবু যার (রাঃ) বর্ণনা করতেন যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ আমি মক্কা থাকাবস্থায় এক রাতে আমার ঘরের ছাদ বিদীর্ণ করা হল। সেই ছিদ্র দিয়ে জিবরীল ফেরেশতা অবতরণ করলেন। অতঃপর তিনি আমার বক্ষ বিদীর্ণ করলেন এবং যমযমের পানি দিয়ে তা ধৌত করলেন। তারপর জ্ঞান ও ঈমানে পরিপূর্ণ একটি স্বর্ণের পাত্র এনে আমার বক্ষের ভিতরে ঢেলে দিয়ে তা বন্ধ করে দিলেন। তারপর আমার হাত ধরে প্রথম আকাশের দিকে নিয়ে গেলেন। প্রথম আকাশের নিকটবর্তী হলে জিবরীল ফেরেশতা আকাশের রক্ষীকে বললেনঃ দরজা খোল। উপর থেকে আগমণকারীর পরিচয় জানতে চেয়ে জিজ্ঞেস করা হল, কে? উত্তরে জিবরীল বললেনঃ আমি জিবরীল। আবার জিজ্ঞেস করা হলঃ আপনার সাথের লোকটি কে? তিনি বললেনঃ মুহাম্মাদ। বলা হলঃ তাকে কি আসতে বলা হয়েছে? জিবরীল বললেনঃ হ্যাঁ।

নবী (ﷺ) বলেনঃ প্রথম আকাশে উঠে উপবিষ্ট একজন লোক দেখতে পেলাম। তাঁর ডান পাশে মানুষের অসংখ্য রূহ দেখতে পেলাম এবং বাম পাশেও অনুরূপ মানুষের অসংখ্য রূহ দেখতে পেলাম। তিনি যখন ডান দিকে তাকান তখন হাসেন এবং যখন বাম দিকে তাকান তখন কেঁদে ফেলেন। তিনি আমাকে স্বাগতম জানিয়ে বললেনঃ পূণ্যবান ছেলে ও পূণ্যবান নবীর আগমণ শুভ হোক। জিবরীল ফেরেশতাকে আমি জিজ্ঞেস করলামঃ ইনি কে? তিনি বললেনঃ ইনি হলেন আদম। তাঁর ডান ও বাম দিকের রূহগুলো তাঁর সন্তানদের। ডান দিকের রূহগুলো জান্নাতবাসীদের আর বাম দিকের রূহগুলো জাহান্নামীদের। এ জন্যই তিনি যখন ডান দিকে তাকান তখন হাসেন এবং যখন বাম দিকে তাকান তখন কেঁদে ফেলেন। অতঃপর আমাকে দ্বিতীয় আকাশে নিয়ে যাওয়া হল। সেখানে গিয়ে জিবরীল ফেরেশতা আকাশের রক্ষীকে বললেনঃ দরজা খোল। দ্বিতীয় আকাশের রক্ষী জিবরীলকে প্রথম আকাশের ন্যায়ই প্রশ্ন করলেন।

হাদীছের বর্ণনাকারী আনাস (রাঃ) বলেনঃ নবী (ﷺ) বিভিন্ন আকাশে বিভিন্ন নবীর সাক্ষাত পেয়েছেন। যেমন আদম, ইদ্রীস, মূসা, ঈসা এবং ইবরাহীম (আঃ)। তবে কার অবস্থান কোন্ আকাশে তা উল্লেখ করেন নি। কেবল এ টুকু বলেছেন যে, প্রথম আকাশে পেয়েছেন আদম (আঃ)কে এবং ষষ্ট আকাশে পেয়েছেন ইবরাহীম (আঃ)কে।

আনাস (রাঃ) বলেনঃ জিবরীল (আঃ) যখন নবী (ﷺ) কে নিয়ে ইদ্রীস (আঃ) এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন ইদ্রীস (আঃ) স্বাগতম জানিয়ে বললেনঃ আমার পূণ্যবান ভাই ও ন্যায়পরায়ন নবীর আগমণ শুভ হোক। আমি বললামঃ ইনি কে? জিবরীল বললেনঃ তিনি হলেন ইদ্রীস (আঃ)। অতঃপর আমি মূসা (আঃ) এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করলাম। তিনি আমাকে স্বাগতম জানিয়ে বললেনঃ আমার পূণ্যবান ভাই ও ন্যায়পরায়ন নবীর আগমণ শুভ হোক। আমি বললামঃ ইনি কে? জিবরীল (আঃ) বললেনঃ তিনি হলেন মূসা (আঃ)। অতঃপর আমি ঈসা (আঃ) এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করলাম। তিনি আমাকে স্বাগতম জানিয়ে বললেনঃ আমার পূণ্যবান ভাই ও পূণ্যবান নবীর আগমণ শুভ হোক। আমি বললামঃ ইনি কে? জিবরীল বললেনঃ তিনি হলেন ঈসা (আঃ)। অতঃপর আমি ইবরাহীম (আঃ) এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করলাম। তিনি আমাকে স্বাগতম জানিয়ে বললেনঃ আমার পূণ্যবান নবী ও পূণ্যবান ছেলের আগমণ শুভ হোক। আমি বললামঃ ইনি কে? জিবরীল বললেনঃ তিনি হলেন ইবরাহীম (আঃ)।

ইবনে আব্বাস এবং আবু হাব্বাহ আনসারী বলেনঃ নবী (ﷺ) বলেছেনঃ তারপর আমাকে আরো উপরে উঠানো হল। আমি এমন এক স্তরে পৌঁছলাম যেখানে আমি কলম চলার (কলম দিয়ে নিহার) আওয়াজ শুনতে পেলাম।

আনাস (রাঃ) বলেনঃ নবী (ﷺ) বলেছেনঃ অতঃপর আমার উম্মাতের উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরয করা হল। ফেরত আসার সময় মূসা (আঃ) এর সাথে সাক্ষাত হল। মূসা (আঃ) জিজ্ঞেস করলেনঃ আল্লাহ আপনার উম্মাতের উপর কি ফরয করেছেন? নবী (ﷺ) বললেনঃ পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরয করা হয়েছে। মূসা (আঃ) বললেনঃ আপনি ফেরত যান এবং কমাতে বলুন। আপনার উম্মাত পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায পড়তে পারবেনা। নবী (ﷺ) বলেনঃ আমি মূসা (আঃ) এর পরামর্শ মোতাবেক ফেরত গিয়ে কমাতে বললাম। কিছু কমানো হলো।

আসার সময় পুনরায় মূসা (আঃ) এর সাথে সাক্ষাত হলে তাঁকে বললামঃ কিছু কমানো হয়েছে৷ মূসা (আঃ) বললেনঃ আপনি ফেরত যান এবং কমাতে বলুন। তারা এত নামায পড়তে পারবেনা। নবী (ﷺ) বলেনঃ আমি মূসা (আঃ) এর পরামর্শ মোতাবেক ফেরত গিয়ে কমাতে বললাম। এবারো কিছু কমানো হলো।

ফেরত আসার সময় পুনরায় মূসা (আঃ) এর সাথে আবার সাক্ষাৎ হলে তাঁকে বললামঃ আরো কিছু কমানো হয়েছে। মূসা (আঃ) বললেনঃ আপনি ফেরত যান এবং কমাতে বলুন। আপনার উম্মাত এত নামায পড়তে পারবেনা। নবী (ﷺ) বলেনঃ আমি মূসা (আঃ) এর পরামর্শ মোতাবেক ফেরত গিয়ে কমাতে বললাম। এবারো কিছু কমানো হলো। এবার পাচ ওয়াক্ত নির্ধারণ করা হলো। কিন্তু ছাওয়াব পঞ্চাশ ওয়াক্তেরই রয়ে গেল। আল্লাহ বলেনঃ আমার কথার কোন পরিবর্তন হয়না।

নবী (ﷺ) বলেনঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামায নিয়ে মূসা (আঃ) এর কাছে আগমণ করলাম৷ তিনি আমাকে আবার যেতে বললেন। আমি তাঁকে বললামঃ এ ব্যাপারে মহান আল্লাহর নিকট পুনরায় যেতে লজ্জাবোধ করছি।

অতঃপর জিবরীল ফেরেশতা আমাকে নিয়ে সিদরাতুল মুনতাহায় গমণ করলেন। তা বিভিন্ন রং দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। আমি জানিনা তা কিসের রং। পরিশেষে আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হল। সেখানে দেখলাম মুক্তার হার ঝুলানো আছে। আর দেখলাম জান্নাতে মাটিগুলো কস্তুরী দ্বারা নির্মিত। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ২২৫)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন