শরীকী কারবারে যে অর্থ দেয় সে যদি লভ্যাংশের কিছু অংশ নিজের জন্য নির্দিষ্ট করে বা যে ব্যবসা করবে সে নিজের জন্য কিছু নির্দিষ্ট করে নেয় তবে এটা অবৈধ। শরীকী কারবারের সহিত কোন বস্তু ক্রয়ের, ভাড়া দেওয়ার, করযের অথবা অন্য কোন উপকারের শর্ত করা অবৈধ। তবে কোন শর্ত ব্যতীত নিয়ম মাফিক একে অন্যের সাহায্য করা বৈধ। নিয়ম মুতাবিক লাভ কর্তন ছাড়া একে অন্যের উপর কিছু অতিরিক্ত ধার্য করা অবৈধ, সেই অতিরিক্ত ধার্য করা সোনায়, চাঁদিতে, খাদ্য-সামগ্রীতে বা অন্য কোন কিছুতে হলেও যদি এইরূপে কোন শর্ত করা হয়, তবে তা ইজারা হয়ে যাবে। আর ইজারা শুধু নির্দিষ্ট ভাড়ার পরিবর্তে বৈধ হবে। শরীকী কারবারে অর্থ গ্রহীতার পক্ষে কাউকেও কোন উপকারের পরিবর্তে কিছু দান করা বা ক্রয়কৃত মাল তাওলিয়াতে বিক্রয় করা বা নিজে নির্দিষ্ট কোন বস্তুর অধিকারী হওয়া বৈধ নয়। যদি ব্যবসায়ে লাভ হয় তবে মূলধন পৃথক করার পর উভয়ে শর্ত অনুযায়ী ভাগ করে নিবে। যদি লাভ না হয় বা ক্ষতি হয় তবে ব্যবসায়ী দায়ী হবে না। নিজের খরচের জন্যও নয়, ক্ষতির জন্যও নয়, বরং ক্ষতি হবে অর্থ প্রদানকারীর। যদি ব্যবসায়ী এবং অর্থ প্রদানকারী উভয়ে লভ্যাংশের আধা-আধি অথবা প্রথম ব্যক্তি ১/৪ দ্বিতীয় ব্যক্তি ১/৪ বা এই ধরনের আর কিছুতে বেশি বা কমের উপর উভয়ে সম্মত হয়ে যায়, তবে শরীকী কারবার বৈধ হবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ শরীকী কারবারে অর্থগ্রহণকারী বণিকা যদি শর্ত করে যে, এত দিনের মধ্যে আমার নিকট হতে মূলধন উঠিয়ে নেয়া চলবে না বা শর্ত করে যে, সে এতদিন মূলধন ফিরিয়ে দিতে পারবে না, তবে ইহা অবৈধ হইবে। কেননা শরীকী কারবারে সময়ের শর্ত হতে পারে না। যদি পুঁজি বিনিয়োগকারী নিজের অর্থ বণিককে দিয়ে দেয় আর বণিকের উহা দ্বারা ব্যবসা করা ভাল না লাগে এমতাবস্থায় যদি অর্থ জমা থাকে তবে মূলধনের মালিক উহা ফেরত নিয়ে নিবে। আর যদি উহা দ্বারা কোন সামগ্রী ইত্যাদি ক্রয় করা হয়ে থাকে তবে পুঁজি বিনিয়োগকারী ঐ সামগ্রী নিবে না এবং বণিকও তাকে উহা নিতে বাধ্য করবে না, বরং এ সামগ্রী বিক্রয় করে নগদ অর্থ যোগাড় করবে ও উহা ফেরত দিবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি পুঁজি বিনিয়োগকারী শর্ত করে যে, উহার যাকাত লভ্যাংশ হতে দিবে তবে ইহা অবৈধ হবে। আর পুঁজি বিনিয়োগকারীর পক্ষে এই শর্ত করাও বৈধ হবে না যে, অমুক ব্যক্তি হতেই মাল খরিদ করতে হবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি পুঁজি বিনিয়োগকারী তার শরীক ব্যবসায়ীর উপর মালের জন্য দায়ী হবার শর্ত করে ইহা জায়েয হবে না। এই অবস্থায় যদি লাভ হয় তা হলে এই দায়িত্বের জন্য অতিরিক্ত কিছুও দেয়া হবে না। যদি মাল নষ্ট হয়ে যায় তবে ব্যবসায়ীর উপর দায়িত্বও অর্পিত হবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি পুঁজি বিনিয়োগকারী ব্যবসায়ীর নিকট এই শর্ত আরোপ করে যে, এই মূলধন দ্বারা কিছু খেজুর গাছ বা কোন জন্তু খরিদ করে নিবে আর উহার ফল ও বাচ্চা বিক্রয় করতে থাকবে, ঐ গাছ বা জন্তু বিক্রয় করবে না, তবে তা বৈধ হবে না, আর ইহা শরীকী কারবারের নিয়ম নয়। হ্যাঁ, যদি ঐ গাছ বা জন্তু খরিদ করে অন্যান্য সামগ্রীর মতো বিক্রয় করে দেয় তবে তা বৈধ।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি ব্যবসায়ী অর্থ বিনিয়োগকারীর প্রতি শর্ত আরোপ করে যে, আমি মূলধন হতে একটি দাস খরিদ করে নিব নিজের সাহায্যের জন্য, তবে ইহা বৈধ হবে। যদি পুঁজি বিনিয়োগকারী এইরূপ অঙ্গীকার না নেয় যে, এই দাস কেবল পণ্যের রক্ষণাবেক্ষণে সাহায্য করবে, অন্য কোন কার্যে সাহায্য করবে না।