hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রিয়াদুস সলেহিন

. পোষাক-পরিচছদ

رياض الصالحين

/ পরিচ্ছেদঃ সবর (ধৈর্যের) বিবরণ
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱصۡبِرُواْ وَصَابِرُواْ ﴾ [ال عمران: ٢٠٠] অর্থাৎ “হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ধৈর্য ধারণ কর এবং ধৈর্য ধারণে প্রতিযোগিতা কর।” (সূরা আলে ইমরান ২০০ আয়াত) তিনি আরও বলেন, ﴿وَلَنَبۡلُوَنَّكُم بِشَيۡءٖ مِّنَ ٱلۡخَوۡفِ وَٱلۡجُوعِ وَنَقۡصٖ مِّنَ ٱلۡأَمۡوَٰلِ وَٱلۡأَنفُسِ وَٱلثَّمَرَٰتِۗ وَبَشِّرِ ٱلصَّٰبِرِينَ ١٥٥﴾ [البقرة: ١٥٥] অর্থাৎ “নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে কিছু ভয় ও ক্ষুধা দ্বারা এবং কিছু ধনপ্রাণ এবং ফলের (ফসলের) নোকসান দ্বারা পরীক্ষা করব; আর তুমি ধৈর্যশীলদেরকে সুসংবাদ দাও।” (সূরা বাকারাহ ১৫৫ আয়াত) তিনি আরও বলেন, ﴿ إِنَّمَا يُوَفَّى ٱلصَّٰبِرُونَ أَجۡرَهُم بِغَيۡرِ حِسَابٖ﴾ [الزمر: ١٠] অর্থাৎ “ধৈর্যশীলদেরকে তো অপরিমিত পুরস্কার দেওয়া হবে।” (সূরা যুমার ১০ আয়াত) তিনি অন্যত্র বলেন, ﴿ وَلَمَن صَبَرَ وَغَفَرَ إِنَّ ذَٰلِكَ لَمِنۡ عَزۡمِ ٱلۡأُمُورِ ٤٣ ﴾ [الشورا: ٤٣] অর্থাৎ “অবশ্যই যে ধৈর্য ধারণ করে এবং ক্ষমা করে, নিশ্চয় তা দৃঢ়-সংকল্পের কাজ।” (সূরা শুরা ৪৩ আয়াত) ﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱسۡتَعِينُواْ بِٱلصَّبۡرِ وَٱلصَّلَوٰةِۚ إِنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلصَّٰبِرِينَ ١٥٣ ﴾ [البقرة: ١٥٣] অর্থাৎ “হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে থাকেন।” (সূরা বাকারাহ ১৫৩ আয়াত) তিনি আরো বলেন, ﴿ وَلَنَبۡلُوَنَّكُمۡ حَتَّىٰ نَعۡلَمَ ٱلۡمُجَٰهِدِينَ مِنكُمۡ وَٱلصَّٰبِرِينَ وَنَبۡلُوَاْ أَخۡبَارَكُمۡ ٣١ ﴾ [محمد: ٣١] অর্থাৎ “আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব যতক্ষণ না আমি তোমাদের মধ্যে মুজাহিদ ও ধৈর্যশীলদেরকে জেনে নই এবং আমি তোমাদের অবস্থা পরীক্ষা করি।” (সূরা মুহাম্মাদ ৩১ আয়াত) আয়াতসমূহে ধৈর্যের আদেশ এবং তার মাহাত্ম্য বর্ণনা করা হয়েছে তার সংখ্যা অনেক ও প্রসিদ্ধ।

৮০২

দুর্বল হাদিস
وعن قَيسِ بن بشرٍ التَّغْلبيِّ قال: أَخْبَرنى أبي وكان جليساً لأبي الدَّرداءِ قال: كان بِدِمشقَ رَجُلٌ من أَصحاب النبى صلى الله عليه وسلم يقال له سهلُ ابنُ الحنظَليَّةِ، وكان رجُلاً مُتَوحِّداً قَلَّمَا يُجالسُ النَّاسَ، إِنَّمَا هو صلاةٌ، فَإِذا فرغَ فَإِنَّمَا هو تسبيح وتكبيرٌ حتى يأْتيَ أهْلَهُ، فَمَرَّ بِنَا ونَحنُ عِند أبي الدَّردَاءِ، فقال له أَبو الدَّردَاءِ: كَلِمةً تَنْفَعُنَا ولا تضُرُّكَ، . قال: بَعثَ رسول اللهِ صلى الله عليه وسلم سريَّةً فَقَدِمَتْ، فَجَاءَ رَجُلٌ مِنهم فَجَلسَ في المَجْلِس الذي يَجلِسُ فِيهِ رسول اللهِ صلى الله عليه وسلم، فقال لرجُلٍ إِلى جَنْبهِ: لَوْ رَأَيتنَا حِينَ التقَيْنَا نَحنُ والعدُو، فَحمَل فلانٌ فَطَعَنَ، فقال: خُذْهَا مِنِّى . وأَنَا الغُلامُ الغِفَارِيُّ، كَيْفَ تَرى في قوْلِهِ ؟ قال: مَا أَرَاهُ إِلا قَدْ بَطَلَ أَجرُهُ . فسَمِعَ بِذلكَ آخَرُ فقال: مَا أَرَى بِذَلَكَ بأْساً، فَتَنَازعا حَتى سَمِعَ رسول اللهِ صلى الله عليه وسلم فقال: سُبْحان اللهِ ؟ لا بَأْس أَن يُؤْجَرَ ويُحْمَد فَرَأَيْتُ أَبا الدَّرْدَاءِ سُرَّ بِذلكَ، وجعلَ يَرْفَعُ رأْسَه إِلَيهِ وَيَقُولُ: أأَنْتَ سمِعْتَ ذَلكَ مِنْ رسول اللهِ صلى الله عليه وسلم،؟ فيقول: نعَمْ، فما زال يعِيدُ عَلَيْهِ حتى إِنّى لأَقولُ لَيَبرُكَنَّ على ركْبَتَيْهِ . قال: فَمَرَّ بِنَا يَوماً آخَرَ، فقال له أَبُو الدَّرْدَاءِ: كَلِمَةً تَنفَعُنَا ولا تَضُرُّكَ، قال: قال لَنَا رسول اللهِ صلى الله عليه وسلم: المُنْفِقُ عَلى الخَيْلِ كالبَاسِطِ يَدَهُ بالصَّدَقة لا يَقْبِضُهَا . ثم مرَّ بِنَا يوماً آخر، فقال له أَبو الدَّرْدَاءِ: كَلِمَةً تَنْفَعُنَا وَلا تَضرُّكَ، قال: قال رسول اللهِ صلى الله عليه وسلم: نعْمَ الرَّجُلُ خُرَيْمٌ الأَسَديُّ، لولا طُولُ جُمته وَإِسْبَالُ إِزَارِه فبَلغَ ذلك خُرَيماً، فَعجَّلَ فَأَخَذَ شَفرَةً فَقَطَعَ بها جُمتَهُ إِلى أُذنيْه، ورفعَ إِزَارَهُ إِلى أَنْصَاف سَاقَيْه . ثَمَّ مَرَّ بنَا يَوْماً آخَرَ فَقَالَ لَهُ أَبُو الدَّرْدَاءِ: كَلِمةً تَنْفَعُنَا ولاَ تَضُرُّكَ قَالَ: سَمعْتُ رسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يقُولُ: إِنَّكُمْ قَادمُونَ عَلى إِخْوانِكُمْ . فَأَصْلِحُوا رِحَالَكمْ، وأَصْلحوا لبَاسَكُمْ حتى تَكُونُوا كَأَنَّكُمْ شَامَة في النَّاسِ، فَإِنَّ اللهَ لاَ يُحبُّ الفُحْشَ وَلاَ التَّفَحُش . رواهُ أَبو داود بإِسنادٍ حسنٍ، إِلاَّ قَيْسَ بن بشر، فاخْتَلَفُوا في توثيقِهِ وتَضْعفيه، وقد روى له مسلم .

কাইস ইবনু বিশর আত-তাগলিবী (রাহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (বিশর) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এক সাহাবী দামিশকে ছিলেন। তাকে বলা হতো সাহল ইবনু হানযালিয়্যা। তিনি একাকিত্বকে বেশি পছন্দ করতেন, লোকদের সাথে খুব কমই উঠাবসা করতেন, অধিকাংশ সময় সালাতেই কাটিয়ে দিতেন, সালাত থেকে অবসর হয়ে তার পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরে আসার আগ পর্যন্ত তাসবীহ্ ও তাকবীরে মগ্ন থাকতেন। (একদিন) তিনি আমাদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন। তখন আমরা আবূ দারদা (রাঃ)-এর কাছে ছিলাম। আবূ দারদা (রাঃ) তাকে বললেন, আমাদেরকে এমন কোন কথা বলে দিন, যা আমাদের উপকার দিবে আর আপনারও কোন ক্ষতি হবে না। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি ছোট্ট বাহিনী প্রেরণ করলেন। বাহিনী ফিরে আসার পর তাদের একজন ঐ মাজলিশে এসে বসে পড়লো যেখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও বসা ছিলেন। তার পাশে বসা লোকটিকে আগন্তুক লোকটি বললো, তুমি যদি আমাদেরকে তখন দেখতে জিহাদের ময়দানে আমরা যখন শত্রুর মুখোমুখি হয়েছিলাম, বর্শা উঁচিয়ে অমুক (কাফির) আক্রমণ করলো এবং আঘাত হানলো। উত্তরে (আক্রান্ত মুসলিমটি) বললো, এই নে আমার পক্ষ থেকে, আর আমি হচ্ছি গিফার গোত্রের যুবক। তার এই বক্তব্য বিষয়ে আপনি কী বলেন? লোকটি বললো, আমার মতে (অহংকারের কারণে) তার সাওয়াব বিনষ্ট হয়ে গেছে। এই কথা আরেকজন শুনে বললো, এতে তো আমি কোন দোষ দেখি না। তারা বিতর্কে লিপ্ত হলো, এমনকি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও তা শুনে ফেলেন। তিনি বললেনঃ সুবহানাল্লাহ! এতে কোন দোষ নেই, সে (পরকালে) পুরষ্কৃত হবে এবং (ইহকালে) প্রশংসিত হবে। কাইস ইবনু বিশর বলেন, আবুদ দারদা (রাঃ) কে আমি দেখলাম যে, এতে তিনি খুশি হয়েছেন এবং তাঁর দিকে নিজের মাথা উঠিয়ে বললেন, আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে একথা শুনেছেন কি? ইবনু হানযালিয়্যা (রাঃ) বললেন, হ্যাঁ শুনেছি। আবুদ দারদা (রাঃ) এই কথাটি বারবার ইবনু হানযালিয়্যার সামনে বলতে লাগলেন। অবশেষে আমি বলেই ফেললাম, আপনি কি ইবনু হানযালিয়্যার হাঁটুর উপর চড়ে বসতে চান?
বর্ণনাকারী বলেন, আবুদ দারদা আরেকদিন আমাদের কাছে গেলেন, তখন আবুদ দারদা বললেন, একটি বাক্য যা আমাদের উপকার দেবে, তোমার কোনো ক্ষতি করবে না। তিনি বলেন, আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বলেছেন, ঘোড়ার জন্য ব্যয় করা সেই সদকা সমতুল্য যে সদকা করে হাত সংকুচিত করা হয় নি। তারপর তিনি অপরদিন আমাদের পাশ দিয়ে গেলেন, তখন আবুদ দারদা বললেন, একটি বাক্য, যা আমাদের উপকৃত করবে, তোমার কোনো ক্ষতি করবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “খুরাইম আল-আসাদী কতইনা ভালো লোক, যদি না তার মাথার চুল খুব লম্বা হতো, আর যদি না তার লুঙ্গি টাখনুর নিচে না যেত”। কথাটি খুরাইমের কাছে পৌঁছলে তিনি তাড়াতাড়ি ছুরি নিয়ে তার মাথার লম্বা চুল কানের মাঝ বরাবর কেটে ফেললেন, আর তাঁর লুঙ্গিকে নলার মাঝখান পর্যন্ত উঠিয়ে নিলেন। তারপর আরেকদিন আমাদের পাশ দিয়ে গেলেন, তখন আবুদ দারদা রা. তাকে বললেন, একটি বাক্য যা আমাদেরকে উপকৃত করবে, তোমার কোনো ক্ষতি করবে না, তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তোমরা তোমাদের ভাইদের কাছে যাচ্ছ, সুতরাং তোমরা তোমাদের বাহনগুলোকে ঠিক করে নাও, তোমাদের পরিধেয় বস্ত্রগুলো এমনভাবে ঠিক করে নাও যাতে করে তোমাদেরকে মানুষের মাঝে মনে হবে তেমন যেমন তিলের দাগ। কেননা, আল্লাহ তা‘আলা অশ্লীলতা করা ও বলা কোনোটাই পছন্দ করেন না।’ আবূ দাউদ হাদীসটিকে হাসান সনদে বর্ণনা করেন, তবে কাইস ইবন বিশর ব্যতীত; কারণ তার গ্রহণযোগ্যতা কিংবা দুর্বলতা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। যদিও ইমাম মুসলিম তার কাছ থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
(আবূ দাঊদ (৪০৮৯) হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু কায়েস ইবনু বিশ্র নির্ভরযোগ্য নাকি দুর্বল? এ সম্পর্কে মুহাদ্দিসগণ মতবিরোধ করেছেন। আর তার থেকে ইমাম মুসলিম হাদীস বর্ণনা করেছেন। আমি (আলবানী) বলছিঃ সুস্পষ্টভাবে কেউ তাকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন দেখছি না। তবে হাদীসটির সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তার পিতা থেকে। কারণ তার পরিচয় সম্পর্কে জানা যায় না। দেখুন ‘‘ইরওয়াউল গালীল’’ (২১২৩)। হাফিয যাহাবী ‘‘আলমীযান’’ গ্রন্থে কায়েস ইবনু বিশর এবং তার পিতা সম্পর্কে বলেনঃ তাদের দু’জনকেই চেনা যায় না)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন