মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
তিনি আবূ হুরাইরা, যাইদ ইবনু খালিদ ও শিবল (রাঃ) -এর নিকট শুনেছেন। তারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে উপস্থিত ছিলেন। এসময় দু’জন লোক ঝগড়া করতে করতে (তা সমাধানের উদ্দেশ্যে) তাঁর সামনে আসে। তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলে, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনাকে আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমাদের দু’জনের মধ্যে আপনি আল্লাহ তা‘আলার কিতাব মোতাবিক সমাধান করে দিন। তার বুদ্ধিমান প্রতিপক্ষ বলল, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আল্লাহ তা‘আলার কিতাব মোতাবিক আমাদের দু’জনের মধ্যে সমাধান করে দিন এবং আমাকে কথা বলার সম্মতি দনি। আমার পুত্র তার কাছে মজুর হিসাবে ছিল। সে তার স্ত্রীর সাথে যিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হয়। লোকজন আমাকে বলল, আমার ছেলের উপর রজম কার্যকর হবে। আমি এর পরিবর্তে আমার ছেলের পক্ষ হতে তাকে এক শত বকরী এবং একটি গোলাম প্রদান করি। তারপর কয়েকজন আলিমের সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়। তাদের মতে আমার ছেলেকে একশত বেত্রাঘাত প্রদান করতে হবে। এবং এক বছরের নির্বাসন শাস্তি ধার্য হবে। আর এই ব্যক্তির স্ত্রীর উপর রজম কার্যকর হবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সেই মহান প্রভুর শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! আমি অবশ্যই আল্লাহ তা‘আলার কিতাব অনুযায়ী তোমাদের দু’জনের মাঝে ফায়সালা করব। তুমি একশত বকরী ও গোলাম ফিরত পাবে এবং তোমার ছেলেকে এক শত বেত্রাঘাত করতে হবে ও এক বছরের নির্বাসনে পাঠাতে হবে। হে উনাইস! ভোরে তুমি তার স্ত্রীর কাছে যাবে। সে ব্যভিচার করার কথা স্বীকার করলে তাকে রজম (পাথর মেরে হত্যা) করবে। সেই স্ত্রীলোকটির কাছে গিয়ে তিনি জিজ্ঞেস করলে সে তার পাপের কথা স্বীকার করে এবং তিনি তাকে রজম (পাথর মেরে হত্যা) করেন।
সহীহ্, ইবনু মা-জাহ (২৫৪৯), নাসা-ঈ
ইসহাক ইবনু মূসা আল-আনসারী-মা’ন হতে, তিনি মালিক হতে, তিনি ইবনু শিহাব হতে, তিনি উবা্ইদুল্লাহ উবনু আবদুল্লাহ হতে, তিনি আবূ হুরাইরা ও যাইদ ইবনু খালিদ (রাঃ) হতে এই সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপরের হাদীসের মত একই অর্থের হাদীস বর্ণনা করেছেন। মালিক (রহঃ) -এর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ অর্থের হাদীস কুতাইবা-লাইস হতে, তিনি ইবনু শিহাব (রহঃ) এ সনদ সূত্রে বর্ণিত আছ। আবূ বাকরা, উবাদা ইবনুস সামিত, আবূ হুরাইরা, আবূ সাঈদ, ইবনু আব্বাস, জাবির ইবনু সামুরা, হাযযাল, বুরাইদা, সালামা ইবনুল মুহাব্বিক, আবূ বারযা ও ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ হুরাইরা ও যাইদ ইবনু খালিদ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। মালিক ইবনু আনাস, মামার, প্রমুখ যুহরী হতে, তিনি উবাইদুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ হতে, তিনি আবূ হুরাইরা ও যাইদ ইবনু খালিদ (রাঃ) -এর সনদসূত্রে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “ক্রীতদাসী যিনা করলে তাকে চাবুক মার। সে চতুর্থবার যিনা করলে তাকে বিক্রয় করে দাও পশমের একটি দড়ির বিনিময়ে হলেও”। যথার্থ কথা হল, এখানে ভিন্ন দু’টি হাদীস বর্ণিত হয়েছে। এর একটি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট হতে আবূ হুরাইরা ও যাইদ ইবনু খালিদ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন। আর দ্বিতীয় সনদে আবদুল্লাহ ইবনু মালিক (রাঃ) এর সূত্রে শিবল ইবনু খালিদ (রহঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘ক্রীতদাসী যিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হল…..’। এই শেষোক্ত সূত্রটিই হাদীস বিশেষজ্ঞদের নিকট সহীহ্। উভয় হাদীসের বর্ণনাকারী সুফিয়ান ইবনু উআইনা সন্দেহের বশবর্তী হয়ে হাদীস দু’টিকে (একই হাদীস মনে করে) আবূ হুরাইরা, যাইদ ইবনু খালিদ (রাঃ) ও শিবল (রহঃ)-এর সূত্রে বর্ণনা করে দিয়েছেন। তারা বলেছেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট বসা ছিলাম…..। আসল কথা হল, শিবল (রহঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দেখা পাননি। তিনি আবদুল্লাহ ইবনু মালিক আওসীর সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হাদীস বর্ণনা করেছন। ইবনু উআইনার বর্ণিত হাদীস সুরক্ষিত নয়। তার কাছ থেকে আরও বর্ণিত আছে যে, তিনি নামোল্লেখ করতে গিয়ে ভুল করে বলেছেন শিবল ইবনু হামীদ। অথচ হবে শিবল ইবনু খালিদ এবং তিনি শিবল ইবনু খুয়াইলিদ নামেও পরিচিত।
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সংকলক : ইমাম হাফিয মুহাম্মাদ ইবনু ‘ঈসা সাওরাহ আত্-তিরমিযী (রহ.)। মোট হাদীস সংখ্যা : ৩৯৫৬ টি। প্রকাশনী : হুসাইন আল মাদানী প্রকাশনী। তাহক্বিকঃ মোহাম্মদ... See More
জামে' আত-তিরমিজি
সংকলক : ইমাম হাফিয মুহাম্মাদ ইবনু ‘ঈসা সাওরাহ আত্-তিরমিযী (রহ.)। মোট হাদীস সংখ্যা : ৩৯৫৬ টি। প্রকাশনী : হুসাইন আল মাদানী প্রকাশনী। তাহক্বিকঃ মোহাম্মদ নাসিরুদ্দীন আলবানী (আবু আব্দুর রহমান)। ইমাম তিরমিযী রচিত হাদীসের গ্রন্থটি ‘আলিম সমাজের নিকট দু’টি নামে প্রসিদ্ধ- ১. জামিউত্ তিরমিযী। দুই. সুনানুত তিরমিযী। গ্রন্থটি প্রথম নামেই অধিক প্রসিদ্ধ। এই গ্রন্থটিতে সহীহ এবং যঈফ উভয় রকমের হাদীস সংকলিত হয়েছে।
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।