HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সিয়াম, তারাবীহ ও যাকাত বিষয়ে কয়েকটি অধ্যায়

লেখকঃ শাইখ মুহাম্মাদ সালেহ আল-উসাইমীন রহ.

পঞ্চম অধ্যায়: তারাবীহ প্রসঙ্গে
তারাবীহ: রমযানের রাতে জামা‘আতের সাথে সালাত আদায় করা। এর সময় হচ্ছে এশার পর থেকে ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সালাতের প্রতি উৎসাহ প্রদান করেছেন। তিনি বলেছেন:

«من قام رمضان إيمانًا واحتسابًا غفر له ما تقدم من ذنبه»

“রমযানে যে ঈমান ও সাওয়াবের আশায় কিয়াম করল, আল্লাহ তার পূর্বের সকল পাপ ক্ষমা করে দেবেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২০০৯।]

সহীহ বুখারীতে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো এক রাতে মসজিদে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করেন, লোকেরাও তার সাথে সালাত আদায় করে। অতঃপর পরবর্তী রাতে সালাত আদায় করেন, মানুষের আধিক্য খুব বেড়ে যায়। অতঃপর তারা তৃতীয় অথবা চতুর্থ রাতে একত্র হয়, কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতের জন্য তাদের নিকট আসলেন না, যখন সকাল হলো তিনি বললেন: “তোমরা যা করেছে আমি তা দেখেছি, তোমাদের নিকট আমার না আসার কারণ এ সালাত তোমাদের ওপর ফরয হওয়ার আশঙ্কা। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২০১২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৬১।] এ ঘটনা রমযানের।

সুন্নাত হচ্ছে এগার রাকাত পড়া, প্রত্যেক দু’রাকাতের পর সালাম ফিরানো। কারণ, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, রমযানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সালাত কী রকম ছিল? তিনি বললেন:

«ما كان يزيد في رمضان ولا في غيره على إحدى عشرة ركعة»

“তিনি রমযান ও গায়রে রমযান কখনো এগার রাকাতের চেয়ে বেশি পড়তেন না”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১১৩৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৬৪।]

মুয়াত্তা গ্রন্থে রয়েছে: সায়েব ইবন ইয়াজিদ সাহাবী বলেন, উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু উবাই ইবন কা‘ব ও তামিমুদ দারি রাদিয়াল্লাহু আনহুমাকে মানুষের সাথে এগার রাকাত পড়ার নির্দেশ দিয়ে ছিলেন। [ময়াত্তা ইমাম মালেক: (১/১১০), হাদীস নং ২৮০।]

এগার রাকাতের অধিক পড়লেও কোনো সমস্যা নেই। কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রাতের সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তিনি বললেন: “দুই রাকাত দুই রাকাত, যখন তোমাদের কেউ ফজর হওয়ার আশঙ্কা করে, এক রাকাত পড়ে নিবে, যা তার পূর্বের সকল সালাতকে বেজোড় করে দেবে। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৯৯০; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৪৯।] হাদীসে বর্ণিত এগারো রাকাত দীর্ঘ ও লম্বা করা, যেন মানুষের কষ্ট না হয়, এটা উত্তম ও পরিপূর্ণ পন্থা।

কতক হাফেয সাহেব খুব দ্রুত কুরআন তিলাওয়াত করেন যা সঠিক নয়। এ কারণে যদি সালাতের কোনো ওয়াজিব নষ্ট হয় অথবা কোনো রোকন নষ্ট হয়, তাহলে সালাত শুদ্ধ হবে না।

অনেক ইমামদের দেখা যায়, তারা সালাতে ধীর-স্থিরতা রক্ষা করেন না, এটা তাদের বড় ভুল। কারণ, ইমাম শুধু নিজের জন্য সালাত আদায় করে না, বরং সে নিজের ও অপরের জন্যও সালাত আদায় করে। ইমাম মূলতঃ জিম্মাদার, তাই উত্তমপন্থায় তার কার্য সম্পাদন করা জরুরি। আলিমগণ বলেছেন: ইমামের এতটা দ্রুত করা মাকরূহ, যে সময়ে মুক্তাদিগণ সালাতের জরুরি কার্য সম্পাদান অক্ষম।

সকলের ওপর উচিৎ তারাবীহর সালাত আদায় করা। এক মসজিদ থেকে অন্য মসজিদে গিয়ে (সুন্দর কিরাত শোনার আশায়) সময় নষ্ট না করে ইবাদতে মশগুল থাকা। কারণ, ইমামের সালাত শেষ হওয়া পর্যন্ত যে ব্যক্তি ইমামের সাথে সালাতে মশগুল থাকবে, সে রাত জাগরণের সাওয়াব অর্জন করবে, যদিও সে ইমামের সাথে সালাত শেষে বাকী সময় বিছানায় শুয়ে থাকে।

তারাবীহর সালাতে নারীদের শরীক হতে কোনো সমস্যা নেই, যদি ফিতনার আশঙ্কা না থাকে, তবে শর্ত হচ্ছে শালীনভাবে, সৌন্দর্য প্রকাশ না করে ও সুগন্ধি ব্যবহার না করে তারা মসজিদে আসবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন