HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলাম নিয়ে বিদ্রূপের ভয়ঙ্কর প্রবণতা

লেখকঃ ড. আমীন ইব্‌ন আব্দুল্লাহ আশ-শাকাওয়ী

বিদ্রূপকারীর তাওবা :
বিদ্রূপকারীর তাওবা সম্পর্কে শায়খ ইবন উসাইমীন রহ. তদীয় ‘আল-কাওলুল মুফীদ ফী শারহি কিতাবি আত-তাওহীদ’ গ্রন্থে বলেন,

ثم اعلم أن العلماء اختلفوا فيمن سب الله أو رسوله أو كتابه : هل تقبل توبته؟ على قولين :

القول الأول : أنها لا تقبل، وهو المشهور عند الحنابلة، بل يقتل كافرا، ولا يصلى عليه، ولا يدعى له بالرحمة، ويدفن في محل بعيد عن قبور المسلمين، ولو قال : إنه تاب أو إنه أخطأ ; لأنهم يقولون : إن هذه الردة أمرها عظيم، وكبير، لا تنفع فيها التوبة .

وقال بعض أهل العلم : إنها تقبل؛ إذا علمنا صدق توبته إلى الله، وأقر على نفسه بالخطأ، ووصف الله تعالى بما يستحق من صفات التعظيم، وذلك لعموم الأدلة الدالة على قبول التوبة ; كقوله تعالى : { قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعاً } [ الزمر : من الآية 53]،

‘অতপর জেনে রাখুন, আল্লাহ, রাসূল ও কুরআনকে কটাক্ষকারীর তাওবা গ্রহণযোগ্য কি-না এ সম্পর্কে আলেমগণের দুই রকম মত ব্যক্ত হয়েছে :

প্রথম. তার তাওবা গ্রহণযোগ্য নয়। হাম্বলীদের মাঝে এ মতটি অধিক প্রসিদ্ধ। তাকে কাফির হিসেবে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হবে। তার জানাযা পড়া হবে না আর তার জন্য দু‘আও করা হবে না। মুসলিমদের কবরস্থান থেকে দূরে কোথাও তাকে কবর দেওয়া হবে। যদিও বলা হয় সে তওবা করেছে অথবা ভুল করেছে। কারণ, তাঁরা বলেন, এই ধর্মত্যাগ বা খোদাদ্রোহীতার ব্যাপারটি বড় ভয়াবহ। এর তাওবাও কার্যকর হয় না।

দ্বিতীয়. তবে অপর একদল আলেমের মতে, তার তাওবা কবুল করা হবে যখন আমরা জানব যে সে আন্তরিকভাবে তাওবা করেছে, হৃদয় থেকে ভুল স্বীকার করেছে এবং আল্লাহকে তাঁর যথাযোগ্য বিশেষণে বিশেষিত করেছে। আর তাঁরা তা বলেছেন তাওবা কবুলের ঘোষণা সম্বলিত আয়াতটি ব্যাপক হবার যুক্তিতে। আল্লাহ যেমন বলেছেন,

﴿ ۞قُلۡ يَٰعِبَادِيَ ٱلَّذِينَ أَسۡرَفُواْ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمۡ لَا تَقۡنَطُواْ مِن رَّحۡمَةِ ٱللَّهِۚ إِنَّ ٱللَّهَ يَغۡفِرُ ٱلذُّنُوبَ جَمِيعًاۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلۡغَفُورُ ٱلرَّحِيمُ ٥٣ ﴾ [ الزمر : ٥٢ ]

‘বল, ‘হে আমার বান্দাগণ, যারা নিজদের ওপর বাড়াবাড়ি করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। অবশ্যই আল্লাহ সকল পাপ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’। {সূরা আয-যুমার, আয়াত : ৫২} [‘আল-কাওলুল মুফীদ ফী শারহি কিতাবি আত-তাওহীদ : ২৬৮/২]

ইদানীং ইসলামকে বিদ্রূপ ও কটাক্ষের যেসব রূপ আমরা প্রত্যক্ষ করি তার মধ্যে রয়েছে ওই সব কটুক্তি ও ব্যঙ্গচিত্র যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে মুদ্রিত হয়। তথাকথিত মত প্রকাশের স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে এসব প্রকাশ করা হলেও এসবের পশ্চাতে থাকে দীন বিমুখতা ও ইসলাম থেকে বিদ্রোহের মানসিকতা।

একজন এঁকেছে একটি মোরগ আর তার অনুসরণ করছে চারটি মুরগী। এর মাধ্যমে সে একাধিক বিয়েকে ব্যঙ্গ করেছে। আরেকজন একটি প্রবন্ধ লিখেছে, যাতে হিজাব ও পর্দা বিধানের ওপর ন্যাক্কার হামলা চালানো হয়েছে। সে বলছে এটি হলো পশ্চাৎপদতা ও প্রতিক্রিয়াশীলতার প্রকাশ। আরেক জনকে দেখা গেছে সে পবিত্র কুরআনকে কবিতা বানিয়ে গানের মতো বাদ্যযন্ত্র সহযোগে সুর দিয়ে পড়ছে। আল্লাহ আমাদেরকে হেফাযত করুন।

আমাদের জেনে রাখা দরকার যারা এসব ব্যঙ্গচিত্র ও কটুক্তির সাথে জড়িত তীব্রভাবে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হবে। এ কাজের ভয়াবহ অশুভ পরিণতি সম্পর্কে তাদেরকে সতর্ক করতে হবে। ঘৃণায় তাদের সঙ্গে উঠাবসাও ত্যাগ করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ وَقَدۡ نَزَّلَ عَلَيۡكُمۡ فِي ٱلۡكِتَٰبِ أَنۡ إِذَا سَمِعۡتُمۡ ءَايَٰتِ ٱللَّهِ يُكۡفَرُ بِهَا وَيُسۡتَهۡزَأُ بِهَا فَلَا تَقۡعُدُواْ مَعَهُمۡ حَتَّىٰ يَخُوضُواْ فِي حَدِيثٍ غَيۡرِهِۦٓ إِنَّكُمۡ إِذٗا مِّثۡلُهُمۡۗ إِنَّ ٱللَّهَ جَامِعُ ٱلۡمُنَٰفِقِينَ وَٱلۡكَٰفِرِينَ فِي جَهَنَّمَ جَمِيعًا ١٤٠ ﴾ [ النساء : ١٤٠ ]

‘আর তিনি তো কিতাবে তোমাদের প্রতি নাযিল করেছেন যে, যখন তোমরা শুনবে আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করা হচ্ছে এবং সেগুলো নিয়ে উপহাস করা হচ্ছে, তাহলে তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা অন্য কথায় নিবিষ্ট হয়, তা না হলে তোমরাও তাদের মত হয়ে যাবে। নিশ্চয় আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদের সকলকে জাহান্নামে একত্রকারী।’ {সূরা আন-নিসা, আয়াত : ১৪০}

শায়খ আবদুল আযীয ইবন বায রহ. কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যেসব খবরের কাগজ ও ম্যাগাজিন বা বই-পুস্তক নাস্তিক্যবাদী প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও ব্যঙ্গচিত্র ছাপে এবং কাফের, ফাসেক ও বিশৃঙ্খলাকারীদের ইন্ধন যোগায়, সেসব কেনা-বেচা এবং তার প্রচার করা কি জায়েয আছে?

তিনি উত্তর দেন : যেসব পত্রিকা এ কাজ করে ওয়াজিব হলো তাদের বয়কট করা এবং সেগুলো ক্রয় না করা। আর রাষ্ট্র যদি ইসলামী হয় তাহলে কর্তব্য হবে তা নিষিদ্ধ করা। কারণ এসব সমাজ ও মুসলিমদের জন্য এসব বড্ড ক্ষতিকর। তাই মুসলিমদের দায়িত্ব হবে এসবের কেনা ও বেচা এবং এসবের যে কোনো ধরনের প্রচার বর্জন করা আর মানুষকে এসব বর্জনের প্রতি আহ্বান জানানো। এদিকে দায়িত্বশীলদের কর্তব্য হবে এসবকে একেবারে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। [আল-মাওসু‘ আল-বাযিয়া ফিল মাসাইলিন নিসাইয়্যা : ১২৭৪/২]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন